- Fri Feb 11, 2022 3:42 pm#7406
ক্যারিয়ার – এর প্রস্তিুতি
ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে সবার আগে নিজের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হোন। নিজের প্রতি অঙ্গীকার না থাকলে কেউ বিকশিত হতে পারে না। আপনি যা চান তা কখনোই পাবেন না, যদি আপনার বর্তমান অবস্থা ও পরিস্থিতিকে সবচেয়ে ভালো বলে মেনে নেন অথবা অন্যরা যা দিতে সক্ষম, আপনি যদি তারচেয়ে বেশি দিতে সম্মত না হন।
লক্ষ্য নির্ধারণ করুন
লক্ষ ঠিক করার পর খোঁজখবর করুন লক্ষ্যে পৌছতে কি কি প্রস্তুতি লাগবে। কোন প্রশিক্ষণ গ্রহণের দরকার আছে কিনা? খোজ নিন, আপনার কাঙ্খিত পেশা সম্পর্কিত কোন বই কিনতে পাওয়া যা কিনা? আরো জেনে নিন প্রত্যাশিত পেশায় যাওয়ার পথে কি কি সমস্যা হতে পারে এবং সেসব সমস্যা সমাধানের উপায় কি হতে পারে। সবশেষে ভেবে দেখুন, সব কিছুর সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবেন কিনা?
লক্ষ্য সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা রাখুন
দীর্ঘমেয়াদি কৌশল প্রণয়নে আপনি কি চান এবং কোথায় পৌছাতে চান এই বিষয়গুলো নিয়ে সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে জটিল প্রশ্নের মুখোমুখি হবেন। বিস্তর যাচাই বাছাই করে আপনাকে সমস্যাগুলো সুনির্দিষ্ট ও সীমিত করে আনতে হবে। সোজা কথায়, পরিকল্পনা হবে সুনিদিষ্ট।
নিজের কাছে এটা পরিষ্কার করুন যে, পেশাগতভাবে ঠিক কী ধরনের পরিবেশে আপনি নিজেকে বিকশিত করতে চান। যদি ব্যবস্থা করতে চান, তাহলে ভাববেন অন্যের অধীনে চাকরি ছেড়ে কেবলমাত্র নিজের অধীনে চাকরি নিতে যাচ্ছেন! এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আপনার জীবন পদ্ধতি ও কর্মক্ষেত্রের মৌলিক দিকগুলোকে নতুন করে গড়তে যাচ্ছেন।
মনছবি লিপিবদ্ধ করুন
আপনি কি হতে চান – মনের মুকুরে ভেসে ওঠা সেই ছবিগুলোকে কাগজে লিখে ফেলুন। যদি আপনার ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা কাগজে-কলমে বর্ণনা করতে না পারেন, তহালে সর্বপ্রথম এটাই মনে করা সঙ্গত হবে যে, এর প্রতি আপনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নন। প্রথমে শুরু করুন নিজের সম্পর্কে সৎ ও সত্য মূল্যায়ন দিয়ে।
আত্মমূল্যায়নে আপনার পেশাগত যোগ্যতা, দক্ষতা আগ্রহ ও মূল্যবোধগুলো প্রথমে লিপিবদ্ধ ও পরে পরীক্ষা করুন। আপনার অক্ষমতা ও যোগ্যতাগুলো লিপিবদ্ধ করুন। এই আত্মানুসন্ধানে হয়তো বেরিয়ে আসবে আপনি আসলে কোন কাজটির জন্য উপযুক্ত বা কোন পেশায় আপনি ভাল করবেন।
বিশিষ্ট নাট্যকার, অভিনেতা ও সংগঠক মামুনুর রশীদ ছোটবেলায় একসঙ্গে অনেক কিছু হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। বড় হয়ে ঠিক কি হবেন, সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলেন না। তার সমস্যার সমাধান করে দেন ‘মাসুদ রানা’ খ্যাত বিশিষ্ট লেখক কাজী আনোয়ার হোসেন।
তিনি মানুনুর রশীদকে ডেকে বললেন, বড় হয়ে কি কি হতে চাও, একটা কাগজে লিখে ফেলো। মামুন লিখে তার হাতে দেওয়ার পর বললেন, এবার চূড়ান্ত বিবেচনায় কোনটা হতে চাও না, সেগুলো কেটে বাদ দাও। মামুন অনেক ভেবে-চিন্তে একটা একটা করে স্বপ্ন বাদ দিতে লাগলেন এবং শেষ পর্যন্ত একটা স্বপ্ন অবশিষ্ট থাকলো। তিনি তার লক্ষ্য নির্ধারণ করে ফেললেন- সুঅভিনেতা হবেন এবং বলাইবাহুল্য যে, তার সে স্বপ্ন সত্যি হয়েছে!
আপনিও আপনার জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণে এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। সবার আগে লক্ষ্য চূড়ান্ত করুন এবং সেই মতো নিজেকে প্রস্তুত করুন। আপনার স্বপ্ন একদিন অবশ্যই সত্যি হবে।
ব্যক্তিগত জীবনকে পেশার সঙ্গে সঙ্গে যুক্ত করুন
খুব কম লোকই তাদের পেশাগত সিদ্ধান্তকে ব্যক্তিজীবনের সঙ্গে সংযুক্ত করতে পারেন। যখন বাধার মুখোমুখি হবো তখন ডিঙাবো- এটা না ভেবে ক্যারিয়ার পরিকল্পনা করার সময় বাধা-বিপত্তিগুলো যথাসম্ভব শনাক্ত ও উত্তরণের প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন। তাহলে অপ্রত্যাশিত বাধা-বিপত্তিগুলো অপেক্ষাকৃত সহজভাবে অতিক্রম করতে পারবেন।
ক্যারিয়ার জন্য প্রস্তুতি
প্রথম ঠিক কের নিন কোন দিকে এগুবেন আপনি। যদি ব্যবসায়ী হতে চান, তবে বিসিএস গাইড বইয়ের পিছনে না দৌড়ানোই ভালো। শেষে দেখা যাবে কোনটাই ঠিকমতো হয়নি। কাজেই আগে ঠিক কের নিন কোন পথে হাটবেন। তারপর সেই মতো প্রস্তুতি নিন।
সংগৃহিতঃ-
ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে সবার আগে নিজের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হোন। নিজের প্রতি অঙ্গীকার না থাকলে কেউ বিকশিত হতে পারে না। আপনি যা চান তা কখনোই পাবেন না, যদি আপনার বর্তমান অবস্থা ও পরিস্থিতিকে সবচেয়ে ভালো বলে মেনে নেন অথবা অন্যরা যা দিতে সক্ষম, আপনি যদি তারচেয়ে বেশি দিতে সম্মত না হন।
লক্ষ্য নির্ধারণ করুন
লক্ষ ঠিক করার পর খোঁজখবর করুন লক্ষ্যে পৌছতে কি কি প্রস্তুতি লাগবে। কোন প্রশিক্ষণ গ্রহণের দরকার আছে কিনা? খোজ নিন, আপনার কাঙ্খিত পেশা সম্পর্কিত কোন বই কিনতে পাওয়া যা কিনা? আরো জেনে নিন প্রত্যাশিত পেশায় যাওয়ার পথে কি কি সমস্যা হতে পারে এবং সেসব সমস্যা সমাধানের উপায় কি হতে পারে। সবশেষে ভেবে দেখুন, সব কিছুর সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবেন কিনা?
লক্ষ্য সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা রাখুন
দীর্ঘমেয়াদি কৌশল প্রণয়নে আপনি কি চান এবং কোথায় পৌছাতে চান এই বিষয়গুলো নিয়ে সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে জটিল প্রশ্নের মুখোমুখি হবেন। বিস্তর যাচাই বাছাই করে আপনাকে সমস্যাগুলো সুনির্দিষ্ট ও সীমিত করে আনতে হবে। সোজা কথায়, পরিকল্পনা হবে সুনিদিষ্ট।
নিজের কাছে এটা পরিষ্কার করুন যে, পেশাগতভাবে ঠিক কী ধরনের পরিবেশে আপনি নিজেকে বিকশিত করতে চান। যদি ব্যবস্থা করতে চান, তাহলে ভাববেন অন্যের অধীনে চাকরি ছেড়ে কেবলমাত্র নিজের অধীনে চাকরি নিতে যাচ্ছেন! এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আপনার জীবন পদ্ধতি ও কর্মক্ষেত্রের মৌলিক দিকগুলোকে নতুন করে গড়তে যাচ্ছেন।
মনছবি লিপিবদ্ধ করুন
আপনি কি হতে চান – মনের মুকুরে ভেসে ওঠা সেই ছবিগুলোকে কাগজে লিখে ফেলুন। যদি আপনার ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা কাগজে-কলমে বর্ণনা করতে না পারেন, তহালে সর্বপ্রথম এটাই মনে করা সঙ্গত হবে যে, এর প্রতি আপনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নন। প্রথমে শুরু করুন নিজের সম্পর্কে সৎ ও সত্য মূল্যায়ন দিয়ে।
আত্মমূল্যায়নে আপনার পেশাগত যোগ্যতা, দক্ষতা আগ্রহ ও মূল্যবোধগুলো প্রথমে লিপিবদ্ধ ও পরে পরীক্ষা করুন। আপনার অক্ষমতা ও যোগ্যতাগুলো লিপিবদ্ধ করুন। এই আত্মানুসন্ধানে হয়তো বেরিয়ে আসবে আপনি আসলে কোন কাজটির জন্য উপযুক্ত বা কোন পেশায় আপনি ভাল করবেন।
বিশিষ্ট নাট্যকার, অভিনেতা ও সংগঠক মামুনুর রশীদ ছোটবেলায় একসঙ্গে অনেক কিছু হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। বড় হয়ে ঠিক কি হবেন, সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলেন না। তার সমস্যার সমাধান করে দেন ‘মাসুদ রানা’ খ্যাত বিশিষ্ট লেখক কাজী আনোয়ার হোসেন।
তিনি মানুনুর রশীদকে ডেকে বললেন, বড় হয়ে কি কি হতে চাও, একটা কাগজে লিখে ফেলো। মামুন লিখে তার হাতে দেওয়ার পর বললেন, এবার চূড়ান্ত বিবেচনায় কোনটা হতে চাও না, সেগুলো কেটে বাদ দাও। মামুন অনেক ভেবে-চিন্তে একটা একটা করে স্বপ্ন বাদ দিতে লাগলেন এবং শেষ পর্যন্ত একটা স্বপ্ন অবশিষ্ট থাকলো। তিনি তার লক্ষ্য নির্ধারণ করে ফেললেন- সুঅভিনেতা হবেন এবং বলাইবাহুল্য যে, তার সে স্বপ্ন সত্যি হয়েছে!
আপনিও আপনার জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণে এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। সবার আগে লক্ষ্য চূড়ান্ত করুন এবং সেই মতো নিজেকে প্রস্তুত করুন। আপনার স্বপ্ন একদিন অবশ্যই সত্যি হবে।
ব্যক্তিগত জীবনকে পেশার সঙ্গে সঙ্গে যুক্ত করুন
খুব কম লোকই তাদের পেশাগত সিদ্ধান্তকে ব্যক্তিজীবনের সঙ্গে সংযুক্ত করতে পারেন। যখন বাধার মুখোমুখি হবো তখন ডিঙাবো- এটা না ভেবে ক্যারিয়ার পরিকল্পনা করার সময় বাধা-বিপত্তিগুলো যথাসম্ভব শনাক্ত ও উত্তরণের প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন। তাহলে অপ্রত্যাশিত বাধা-বিপত্তিগুলো অপেক্ষাকৃত সহজভাবে অতিক্রম করতে পারবেন।
ক্যারিয়ার জন্য প্রস্তুতি
প্রথম ঠিক কের নিন কোন দিকে এগুবেন আপনি। যদি ব্যবসায়ী হতে চান, তবে বিসিএস গাইড বইয়ের পিছনে না দৌড়ানোই ভালো। শেষে দেখা যাবে কোনটাই ঠিকমতো হয়নি। কাজেই আগে ঠিক কের নিন কোন পথে হাটবেন। তারপর সেই মতো প্রস্তুতি নিন।
সংগৃহিতঃ-