- Thu Feb 10, 2022 2:24 pm#7405
লেখাপড়ার পাট শেস করে কর্মজীবন শুরুর ধাপটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি ভালো চাকরি পাওয়া মানেই জীবনটা সম্পুর্ণ বদলে যাওয়া – জীবনটাকে নতুনভঅবে সাজিয়ে নেওয়া। যদিও শুরুতেই মনের মত চাকরি খুজে পাওয়াটা একটু কঠিনই বটে।
ছাত্রজীবন শেষ করামাত্র সবারই প্রত্যাশা একটা ‘ভাল চাকরি’। কিন্তু দুর্মূল্যের এই বাজারে চাকরি না পেয়ে যখন ভীষণ হতাশ, তখন মনে হয় যে কোন একটি চাকরি পেলেই বেঁচে যাই! চাকরি পাওয়ার আগে ও পরে এই দৃষ্টিভঙ্গি দুটি ক্ষেত্রেই ভুল, নেতিবাচক।
কখনো কি ভেবে দেখেছেন, একজন মানুষ স্বাভাবিক কর্মজীবনে যতটা সময় কাজ করেন, তার যোগফল মাত্র ৭৩ হাজার ঘন্টা বা তার কিছু বেশি! হিসাবটা হলো: প্রতিদিন ৭.৫ কর্ম-ঘন্টা X বছরে ২৩২ কর্ম-দিবস X ৪২ কর্ম-বৎসর। সাধারণত ঘন্টায় চার মাইল বেগে হাটলে এই সময়ে অন্ত ১৮ বার আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দেওয়া যায়। সুতরাং কর্মক্ষেত্রে ঢুকতে হবে জীবন জয়ের লক্ষ্য নিয়ে।
জীবনে উন্নতি করতে চাইলে সবার আগে প্রয়োজন পরিবর্তনের। সে পরিবর্তন আনতে হবে দৃষ্টিভঙ্গিতে, অভ্যাসে ও কর্মে। বেকার হোন, কর্মরত হোন অথবা কর্মজীবনে প্রবেশের প্রস্তুতি পর্বে থাকুন না কেন, উন্নতির জন্য প্রয়োজন সঠিক সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনার। প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতি ছাড়া কেউ বেশি দুর যেতে পারে না।
পেশাজীবন শুরুর আগে ভাবনা
ছাত্রজীবন শেষ করামাত্র সবারই প্রত্যাশা একটা ‘ভাল চাকরি’। কিন্তু দুর্মূল্যের এই বাজারে চাকরি না পেয়ে যখন ভীষণ হতাশ, তখন মনে হয় যে কোন একটি চাকরি পেলেই বেঁচে যাই! চাকরি পাওয়ার আগে ও পরে এই দৃষ্টিভঙ্গি দুটি ক্ষেত্রেই ভুল, নেতিবাচক।
কখনো কি ভেবে দেখেছেন, একজন মানুষ স্বাভাবিক কর্মজীবনে যতটা সময় কাজ করেন, তার যোগফল মাত্র ৭৩ হাজার ঘন্টা বা তার কিছু বেশি! হিসাবটা হলো: প্রতিদিন ৭.৫ কর্ম-ঘন্টা X বছরে ২৩২ কর্ম-দিবস X ৪২ কর্ম-বৎসর। সাধারণত ঘন্টায় চার মাইল বেগে হাটলে এই সময়ে অন্ত ১৮ বার আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দেওয়া যায়। সুতরাং কর্মক্ষেত্রে ঢুকতে হবে জীবন জয়ের লক্ষ্য নিয়ে।
জীবনে উন্নতি করতে চাইলে সবার আগে প্রয়োজন পরিবর্তনের। সে পরিবর্তন আনতে হবে দৃষ্টিভঙ্গিতে, অভ্যাসে ও কর্মে। বেকার হোন, কর্মরত হোন অথবা কর্মজীবনে প্রবেশের প্রস্তুতি পর্বে থাকুন না কেন, উন্নতির জন্য প্রয়োজন সঠিক সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনার। প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতি ছাড়া কেউ বেশি দুর যেতে পারে না।
পেশাজীবন শুরুর আগে ভাবনা
- প্রতিষ্ঠানিক পড়াশোনা শেষে সবারই লক্ষ্য থাকে ভালো কোন পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করা। আবার কেউ কেউ শিক্ষাজীবন থেকেই খন্ডকালীন চাকরি করেন। তবে পেশাজীবন শুরুর আগে পেশা চিন্তা-ভাবনা করে কর্মজীবন শুরু করা উচিত।
- প্রথমে ভাবুন, কোনো পেশায় আপনি নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারবেন। আপনি যে বিভাগ (মানবিক, বিজ্ঞান, বাণিজ্য) থেকে পড়াশোনা শেষ করেছেন, তার সঙ্গে সম্পর্কিত পেশাগুলো সম্পর্কে জানুন।
- যে কাজের জন্য নিজেকে যোগ্য মনে করেন, সে ধরনের পেশায় অভিজ্ঞ বা বিশেষজ্ঞ কারো পরামর্শ নিতে পারেন।
- যে পেশাটিকে নিজের পেশা হিসেবে নির্বাচন করতে চান সে পেশায় চাকরি, বাজারের বর্তমান অবস্থা, সম্ভাবনা, ভবিষ্যত সম্পর্কে খোজ-খবর নিন।
- যে বিষয়টিতে আপনি পড়াশোনা করেছেন, সে বিষয় নিয়ে কাজ করলে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা আপনার কর্মজীবনে ব্যবহারিক ক্ষেত্রে খুবই সহায়ক হতে পারে। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে ভাবুন এবং প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকে প্রাধান্য দিয়ে পেশা নির্বাচন করুন।
- কাজটি আপনার মানসিকতা, শিক্ষা, মেধা, মেজাজ ইত্যাদিকে কতটা উৎসাহিত করে তা ভাবুন।
- যে পেশায় নিজেকে যুক্ত করতে চান সে পেশার আর্থ-সামাজিক গুরুত্ব সম্পর্কে জেনে নিন।
- আপনি কোন পেশায় কেন জড়িত হতে চান, তাও ভাবুন। কারণগুলো চিহ্নিত করার পর আপনার লক্ষ নির্ধারণ করুন।
- বর্তমান চাকরির বাজার বেশ প্রতিযোগীতাপূর্ণ। পেশা বাছাইয়ের আগে কাজের ক্ষেত্রগুলো বাছাই করুন। লক্ষ নির্ধারণের পর নিজেকে সেই ক্ষেত্রের জন্য যোগ্য করে গড়ে তুলুন।
- যে পেশাটিকে আপনার জন্য উপযক্ত মনে করেন, সে পেশার উপযোগী করে জীবনবৃত্তান্ত তৈরি করুন।
- যে পেশা নির্বাচন করবেন, তার জন্য নিজেকে তৈরি করুন। পেশাটি নিয়ে পড়াশোনা করুন এবং ওই পেশায় জড়িতদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করুন।
- কোন প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগ থাকলে বা কোন কর্মশালায় অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকলে তা গ্রহণ করুন।