- Mon Feb 07, 2022 1:05 pm#7399
যথারীত প্রিলি ও লিখিত পরীক্ষায় টিকে ছিলাম আত্মবিশাসের তুঙ্গে। তার পরেও ভাইভা বলে কথা! ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। কেমন প্রশ্ন হবে আগবাড়িয়ে বলা যায় না। তাই প্রস্তুতিটা সারতে হয়েছে দিনরাত খেটেই। ভাইভা বোর্ডে ছিলেন বেশ কয়েকজন সদস্য। রুমে ঢুকে বসার পরেই আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন দেওয়ানি কার্যবিধির আদেশ ২২ থেকে। জানতে চেয়েছিলেন, কোন পক্ষের মৃত্যুতে মামলা করার অধিকার ক্ষুন্ন হয়েছে কি না? কিন্তু উত্তরটা যে জুতসই দিতে পারিনি তা নিজেই বুঝেছিলাম। প্রথমেই এমন হোঁচট খেয়ে কিছুটা ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম এবারও কিছু হবে না। সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে সামলে নিয়েছিলাম। পরে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, সম্প্রতি কোন বই পড়েছি কিনা? বলেছিলাম, রশিদ করীমের ‘উত্তম পুরুষ’ আর বুদ্ধদেব বসুর ’তিথিডোর’। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও প্রমীলা দেবীকে নিয়েও প্রশ্ন করেছিলেন। পরে বিভিন্ন আইন নিয়ে শুরু হয়ে একের পর এক প্রশ্ন। ফেীজদারি কার্যবিধি, দেওয়ানি কার্যবিধি, আর্মস অ্যাক্ট, নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট অ্যাক্ট, অর্থ্ঋণ আদালত আইন থেকে প্রশ্ন করেছিলেন। শেষের দিকে সব প্রশ্নের উত্তর ঠিকঠাক এবং গুছিয়ে দিয়েছিলাম। পরে যখন ১১ তম জুডিশিয়ারি পরীক্ষায় চুড়ান্ত ফলাফল দিল, দেখলাম আমি প্রথম হয়েছি। বিশ্বাসই হচ্ছিল না। আনন্দে চোখে পানি এসেছিল।
সংগৃহিতঃ-
সংগৃহিতঃ-