- Wed Oct 24, 2018 9:46 pm#1017
আমি আথাকরা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০২ সালে এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ ২.৭৫ পেয়ে পাশ করি। ফলাফল আশানুরূপ না হওয়ায় খুব হতাশ হয়ে পড়ি এবং ওই বছর আর কলেজে ভর্তি হওয়া থেকে বিরত থাকি। পরবর্তীতে অনেক চিন্তা ভাবনা করে ২০০৩ সালে রামগঞ্জ সরকারি কলেজে মানবিক বিভাগে ভর্তি হয়ে যাই।
এরপর থেকে শুরু করলাম নতুন উদ্যমে পড়াশুনা। ২০০৫ সালে মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ ৪.২০ পেয়ে উপজেলায় প্রথম হই। তারপর ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় অপেক্ষমান থেকে বাদ পড়ি।পরিবার সবার ইচ্ছে ছিল ঢাকাতেই পড়তে হবে তাই ঢাকার বাইরের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা না দিয়ে ঢাকা কলেজে ভূগোলে ভর্তি হই। ভূগোল থেকে অনার্স পরীক্ষায় প্রথম শ্রেনিতে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করি। এবং মাস্টার্স পরীক্ষায় দ্বিতীয় শ্রেনিতে পাশ করি।
আমি অনার্সের পড়া শাহবাগ পাবলিক লাইব্রেরিতে পড়তাম। তখন দেখতাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ভাই বিসিএসের জন্য পড়ছে এবং ক্যাডার ও হচ্ছে। মনে মনে ভাবতাম তাহলে আমি কি পারবো না! একে ঢাকা কলেজে ভূগোলে পড়েছি তার উপর আবার এসএসসির জিপিএ কম তাই মনে মনে ভাবতাম চেষ্টা করে ভাইভা পর্যন্ত গেলেও এসব কারণে বাদ পড়ে যাব। ৩০ তম বিসিএসে এসে দেখি আমার ভূগোলের এক ভাই পুলিশ ক্যাডার পেয়ে গেল।
এরপরই ভাবলাম চেষ্টা করলে আমার পক্ষেও সম্ভব। এরপরই শুরু করলাম পাবলিক লাইব্রেরীতে আমার বিসিএস প্রস্তুতি। সেই ২০১২ সাল থেকে আমরা চার বন্ধু মিলে শুরু করলাম বিসিএস প্রস্তুতি। ৩৪ বিসিএস ভাইভা ফেল করলাম। ৩৫ লিখিত ফেল করলাম, ৩৬-এ এসে ক্যাডার হলাম আলহামদুলিল্লাহ। ৩৭ জেনারেল ক্যাডারে লিখিত দিলাম।
নতুনদের উদ্দেশ্যে বলব বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন যদি সতিকার অর্থেই থাকে তাহলে অসীম ধৈর্য নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। বিসিএসে তাড়াহুড়োর ঠাঁই নেই। একটা বিসিএস থেকে বাদ পড়লে দুই বছর পিছিয়ে পড়া লাগে তাই হতাশ হলে চলবে না। মনে আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে যে আজ হোক বা কাল হোক আমি সফল হবোই। তাহলে একদিন না একদিন সফলতা ধরা দিবেই।
আমি আমার আব্বা আম্মা ভাই বোনদের প্রতি কৃতজ্ঞ।কারণ বিসিএস এর জন্য চেষ্টা করতে গিয়ে বয়স শেষ হয়ে গেলেও তারা আমাকে বেসরকারি চাকরির জন্য চাপ দেননি। তারা আমার উপর শতভাগ আস্থা রেখেছিলেন। এছাড়া খারাপ সময়ে আমার কয়েকজন বন্ধু (আজরাফ, দিদার, বাবর, রকি, তনয়) সার্বক্ষণিক পাশে ছিলেন তাদের প্রতি ও রইল কৃতজ্ঞতা।
আমি শুধুই বিসিএসের জন্য পড়েছি। এ জন্য বন্ধুদের বিভিন্ন জায়গায় চাকরি হয়ে গেলেও আমাকে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়েছে। এক পর্যায়ে বয়স ৩০ ও পার হয়ে যায়। পড়ে গেলাম মহা টেনশনে। নানা প্রকার সামাজিক ও মানসিক চাপ সহ্য করতে হয়েছে। অনেকে অনেক কটু কথাও বলেছে। আমি আল্লাহর উপর ভরসা করে নিরবে সব সহ্য করেছি। এখন তারাই আবার বাহবা দিচ্ছে।
সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা পেয়েছি কাছের কয়েকজন বড় ভাইয়ের কাছ থেকে। তারা তাদের সাফল্যের পেছনের কারণ শেয়ার করে উৎসাহ দিত।
লেখক: ৩৬ বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশকৃত (মেধা তালিকায় তৃতীয়)
এরপর থেকে শুরু করলাম নতুন উদ্যমে পড়াশুনা। ২০০৫ সালে মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ ৪.২০ পেয়ে উপজেলায় প্রথম হই। তারপর ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় অপেক্ষমান থেকে বাদ পড়ি।পরিবার সবার ইচ্ছে ছিল ঢাকাতেই পড়তে হবে তাই ঢাকার বাইরের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা না দিয়ে ঢাকা কলেজে ভূগোলে ভর্তি হই। ভূগোল থেকে অনার্স পরীক্ষায় প্রথম শ্রেনিতে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করি। এবং মাস্টার্স পরীক্ষায় দ্বিতীয় শ্রেনিতে পাশ করি।
আমি অনার্সের পড়া শাহবাগ পাবলিক লাইব্রেরিতে পড়তাম। তখন দেখতাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ভাই বিসিএসের জন্য পড়ছে এবং ক্যাডার ও হচ্ছে। মনে মনে ভাবতাম তাহলে আমি কি পারবো না! একে ঢাকা কলেজে ভূগোলে পড়েছি তার উপর আবার এসএসসির জিপিএ কম তাই মনে মনে ভাবতাম চেষ্টা করে ভাইভা পর্যন্ত গেলেও এসব কারণে বাদ পড়ে যাব। ৩০ তম বিসিএসে এসে দেখি আমার ভূগোলের এক ভাই পুলিশ ক্যাডার পেয়ে গেল।
এরপরই ভাবলাম চেষ্টা করলে আমার পক্ষেও সম্ভব। এরপরই শুরু করলাম পাবলিক লাইব্রেরীতে আমার বিসিএস প্রস্তুতি। সেই ২০১২ সাল থেকে আমরা চার বন্ধু মিলে শুরু করলাম বিসিএস প্রস্তুতি। ৩৪ বিসিএস ভাইভা ফেল করলাম। ৩৫ লিখিত ফেল করলাম, ৩৬-এ এসে ক্যাডার হলাম আলহামদুলিল্লাহ। ৩৭ জেনারেল ক্যাডারে লিখিত দিলাম।
নতুনদের উদ্দেশ্যে বলব বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন যদি সতিকার অর্থেই থাকে তাহলে অসীম ধৈর্য নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। বিসিএসে তাড়াহুড়োর ঠাঁই নেই। একটা বিসিএস থেকে বাদ পড়লে দুই বছর পিছিয়ে পড়া লাগে তাই হতাশ হলে চলবে না। মনে আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে যে আজ হোক বা কাল হোক আমি সফল হবোই। তাহলে একদিন না একদিন সফলতা ধরা দিবেই।
আমি আমার আব্বা আম্মা ভাই বোনদের প্রতি কৃতজ্ঞ।কারণ বিসিএস এর জন্য চেষ্টা করতে গিয়ে বয়স শেষ হয়ে গেলেও তারা আমাকে বেসরকারি চাকরির জন্য চাপ দেননি। তারা আমার উপর শতভাগ আস্থা রেখেছিলেন। এছাড়া খারাপ সময়ে আমার কয়েকজন বন্ধু (আজরাফ, দিদার, বাবর, রকি, তনয়) সার্বক্ষণিক পাশে ছিলেন তাদের প্রতি ও রইল কৃতজ্ঞতা।
আমি শুধুই বিসিএসের জন্য পড়েছি। এ জন্য বন্ধুদের বিভিন্ন জায়গায় চাকরি হয়ে গেলেও আমাকে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়েছে। এক পর্যায়ে বয়স ৩০ ও পার হয়ে যায়। পড়ে গেলাম মহা টেনশনে। নানা প্রকার সামাজিক ও মানসিক চাপ সহ্য করতে হয়েছে। অনেকে অনেক কটু কথাও বলেছে। আমি আল্লাহর উপর ভরসা করে নিরবে সব সহ্য করেছি। এখন তারাই আবার বাহবা দিচ্ছে।
সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা পেয়েছি কাছের কয়েকজন বড় ভাইয়ের কাছ থেকে। তারা তাদের সাফল্যের পেছনের কারণ শেয়ার করে উৎসাহ দিত।
লেখক: ৩৬ বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশকৃত (মেধা তালিকায় তৃতীয়)