- Fri Oct 08, 2021 5:45 pm#7363
আমার গল্প দিয়েই শুরু করি। আমি ভার্সিটি চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। সঙ্গত কারণেই আমার পরিবার আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে ক্যারিয়ার বিষয়ক কয়েকটি কমন প্রশ্ন শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা হওয়ার অবস্থা। এখন কী করছো? চাকরির প্রস্তুতি শুরু করেছো? কী চাকরি করবে? কত তম বিসিএস দিবে।
এদের হাবভাব দেখে মনে হয় চাকরি করা ছাড়া পৃথিবীতে আর কোনো অপশন নেই। আর পড়াশোনার একমাত্র উদ্দেশ্য চাকরি পাওয়া। যাই হোক, পরিবার পরিজনদের কাছে এসব প্রশ্ন শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা হলেও কিছু করার নেই। এটা সহ্য করা ছাড়া আপাতত কোনো উপায় নেই। মাঝে মাঝে তাদের প্রশ্নের উত্তর দেই। আবার মাঝে মাঝে চুপ করে থেকে তাদের দীর্ঘ উপদেশমূলক বক্তব্য শুনি। আসলে শুনতে হয়।
এদের বক্তব্য হচ্ছে- তুমি ভালো স্টুডেন্ট। ভার্সিটিতে পড়ছো। পড়াশোনা শেষ করো। পাশাপাশি চাকরির প্রস্তুতি নিতে শুরু করো। একজন ভালো অফিসার হতে পারলে তোমাকে সবাই মাথায় তুলে রাখবে। বর্তমান বাজারে সরকারি চাকুরের দাম আছে। ভালোভাবে পড়াশোনা করো; প্রয়োজনে টাকা-পয়সা দিয়ে সরকারি চাকরিতে যাবে। সরকারি চাকরি তো সোনার হরিণ, একবার পেলে আর চিন্তা নেই। আর বেসরকারি চাকরিতে যেও না। জীবন তামাতামা করে দিবে। রাতদিন খাটতে হবে। অবশ্য বেতন ভালো। তারপর আমি যখন বলি উদ্যোক্তা হবো। এটা আমার স্বপ্ন। তাছাড়া চাকরি আমার কাছে ভালো লাগে না। একথা শুনে অধিকাংশই কপালে চোখ তুলে ভ্রু কোঁচকায়। উদ্যোক্তা হবে!! এক্সপ্রেশন দেখে মনে হয় এমন কথা জীবনে শুনে নাই। যাইহোক এরপর শুরু হয় মূল পর্ব।
উদ্যোক্তা যে হবে; টাকা কোথায় পাবে? ব্যবসায়ে তো অনেক ঝুঁকি, ব্যবসায় তো চাকরির সমান মানসম্মান নেই, ব্যবসায় করলে তো তোমার কাছে কেউ মেয়ে বিয়ে দিবে না, এত পড়াশোনা করে ব্যবসা করবে? কেমনডা লাগে, বলেন।
যে পরিস্থিতি এতক্ষণ ধরে বর্ণনা করলাম, সেটা আমার নিজে অভিজ্ঞতা। আমার ধারণা, সকল উদ্যোক্তাদেরকেই কমবেশি এসব অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। যাইহোক, আমি তাদেরকে যে উত্তর দেই, তাতে অনেকেই সন্তুষ্ট হয় আবার অনেকে চাকরি থেকে বের হতে পারে না।
এদেরকেই বা কি দোষ দেব। চাকরি নামক আধুনিক দাসত্বের ব্যাপারটি তো আমার ধারণা, সকল উদ্যোক্তাদেরকেই কমবেশি এসব অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। যাইহোক, আমি তাদেরকে যে উত্তর দেই, তাতে অনেকেই সন্তুষ্ট হয় আবার অনেকে চাকরি থেকে বের হতে পারে না।
এদের হাবভাব দেখে মনে হয় চাকরি করা ছাড়া পৃথিবীতে আর কোনো অপশন নেই। আর পড়াশোনার একমাত্র উদ্দেশ্য চাকরি পাওয়া। যাই হোক, পরিবার পরিজনদের কাছে এসব প্রশ্ন শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা হলেও কিছু করার নেই। এটা সহ্য করা ছাড়া আপাতত কোনো উপায় নেই। মাঝে মাঝে তাদের প্রশ্নের উত্তর দেই। আবার মাঝে মাঝে চুপ করে থেকে তাদের দীর্ঘ উপদেশমূলক বক্তব্য শুনি। আসলে শুনতে হয়।
এদের বক্তব্য হচ্ছে- তুমি ভালো স্টুডেন্ট। ভার্সিটিতে পড়ছো। পড়াশোনা শেষ করো। পাশাপাশি চাকরির প্রস্তুতি নিতে শুরু করো। একজন ভালো অফিসার হতে পারলে তোমাকে সবাই মাথায় তুলে রাখবে। বর্তমান বাজারে সরকারি চাকুরের দাম আছে। ভালোভাবে পড়াশোনা করো; প্রয়োজনে টাকা-পয়সা দিয়ে সরকারি চাকরিতে যাবে। সরকারি চাকরি তো সোনার হরিণ, একবার পেলে আর চিন্তা নেই। আর বেসরকারি চাকরিতে যেও না। জীবন তামাতামা করে দিবে। রাতদিন খাটতে হবে। অবশ্য বেতন ভালো। তারপর আমি যখন বলি উদ্যোক্তা হবো। এটা আমার স্বপ্ন। তাছাড়া চাকরি আমার কাছে ভালো লাগে না। একথা শুনে অধিকাংশই কপালে চোখ তুলে ভ্রু কোঁচকায়। উদ্যোক্তা হবে!! এক্সপ্রেশন দেখে মনে হয় এমন কথা জীবনে শুনে নাই। যাইহোক এরপর শুরু হয় মূল পর্ব।
উদ্যোক্তা যে হবে; টাকা কোথায় পাবে? ব্যবসায়ে তো অনেক ঝুঁকি, ব্যবসায় তো চাকরির সমান মানসম্মান নেই, ব্যবসায় করলে তো তোমার কাছে কেউ মেয়ে বিয়ে দিবে না, এত পড়াশোনা করে ব্যবসা করবে? কেমনডা লাগে, বলেন।
যে পরিস্থিতি এতক্ষণ ধরে বর্ণনা করলাম, সেটা আমার নিজে অভিজ্ঞতা। আমার ধারণা, সকল উদ্যোক্তাদেরকেই কমবেশি এসব অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। যাইহোক, আমি তাদেরকে যে উত্তর দেই, তাতে অনেকেই সন্তুষ্ট হয় আবার অনেকে চাকরি থেকে বের হতে পারে না।
এদেরকেই বা কি দোষ দেব। চাকরি নামক আধুনিক দাসত্বের ব্যাপারটি তো আমার ধারণা, সকল উদ্যোক্তাদেরকেই কমবেশি এসব অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। যাইহোক, আমি তাদেরকে যে উত্তর দেই, তাতে অনেকেই সন্তুষ্ট হয় আবার অনেকে চাকরি থেকে বের হতে পারে না।