- Tue Jun 05, 2018 3:42 am#127
আমি :May I come in Sir?
আসসালামু ওয়ালাইকুম।
বসতে বললে বসলাম।
বোর্ড চেয়ারম্যান স্যার নিজের হাতের কাগজের দিকে তাকিয়ে আমার নামটা প্রশ্নবোধক ভঙ্গিতে উচ্চারণ করলেন।
আমি :yes sir.
চে:সাইকোলজির স্টুডেন্ট !! (তার ডান পাশে বসা স্যারকে উদ্দেশ্য করে )তাহলেতো আপনার ব্যপার , দেখেন।
স্যার: Id, igo, super igo এগুলো ব্যাখ্যা করুন, বাস্তব উদাহরণ সহ।
এটা আমার কমন টপিক ছিলো,সুন্দর করে ধীরে ধীরে গুছিয়ে বললাম। মাঝখানে একবারো থামান নি কেউ।
স্যার : Instinct কী এবং কত প্রকার ?
উত্তর দিলাম।
স্যার : subconscious ও unconscious mind সম্বন্ধে বলেন।
বললাম।
স্যার : IQ কিভাবে নির্ণয় করা হয়?
বললাম।
স্যার : Mental age ও chronological age কী?
বললাম।
স্যার : illusion ও delusion এর মধ্যে পার্থক্য কী?
বললাম।
(অবশেষে সাইকোলজি থেকে বের হতে সাহায্য করলেন চেয়ারম্যান স্যার )
চে: বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন কখনো ?
আমি: জ্বী স্যার, আগেও ভিজিট করেছি, আর আজকে ভাইভা আছে তাই গতকাল রাতেও ভিজিট করেছি।
স্যার: ওয়েবসাইটটা দেখতে কেমন?
আমি: স্যার, প্রথমেই ব্যাংকের নাম লেখা আছে, তারপর ব্যাংক রেট, ফরেইন রেট কী কী যেনো সব লেখা আছে। তার পর ব্যাংকের ইতিহাস, নোটিশ বোর্ড, কোন কোন খাতে ঋণ দেয়া হয় এগুলো আছে, তারপরে....
স্যার: আচ্ছা থামেন, আর বলতে হবে না, এখন বলেন তো ব্যাংকের স্লোগান কী? আর লোগোটা দেখতে কেমন?
আমি পটর পটর করে হাসিমুখে সঠিক উত্তর দিলাম।
স্যার : BKB এর মোট শাখা কয়টি ?
আমি : জানি না, স্যার।
স্যার : কেনো ওয়েবসাইটেই তো আছে !!
আমি : আমি তো খেয়াল করি নি, স্যার, কোন জায়গাটাতে আছে স্যার ?
আমার কথাবার্তা শুনে চেয়ারম্যান স্যার মিটিমিটি হাসছে, আর চেয়ারম্যান স্যারের বামে বসা ম্যাডাম কটমট করে বিরক্তি ভরা চোখ দিয়ে তাকিয়ে আছে।
স্যার সুন্দর করে বুঝিয়ে বললেন ওয়েবসাইটের কোথায় শাখার কথা লিখতে লেখা আছে। আমি মনোযোগ দিয়ে শুনে বললাম -আজকেই বাসাই গিয়ে দেখবো, স্যার।
স্যার চেয়ারম্যান স্যারের দিকে তাকিয়ে পিছনে হেলান দিয়ে বসলেন। চেয়ারম্যান স্যার এবার তার বামে বসা ম্যাডামের দিকে তাকালেন।
ম্যাডাম : ব্যাংক রেট কী?
বললাম।
ম্যাডাম : ( কী কী যেন ইংরেজি টার্ম বলে জিজ্ঞেস করলেন, এগুলো কী এবং কার কাজ?
আমি : sorry, sir.
ম্যাডাম : (রাগত স্বরে, একটু জোরে) মানি মার্কেট কে কন্ট্রোল করে?
আমি : জ্বী, স্যার, মানে....
ম্যাডামের রক্তচক্ষুর মাঝেই আবার চেয়ারম্যান স্যারের আবির্ভাব।
চে:(হাসিমুখে) আচ্ছা, এই যে অনেকগুলো ব্যাংক আছে, এগুলো কে নিয়ন্ত্রণ করে ?
আমি : (মহাপন্ডিতের মতো একটা হাসি দিয়ে ) ওওও, এটাতো জানি,স্যার। বাংলাদেশ ব্যাংক।
ম্যাডাম আবার কিছু খটোমটো ইংরেজি ব্যাংকিং টার্ম বলে এগুলো কী তা বলতে বললেন।
আমি আবারো দুঃখ প্রকাশ করলাম sorry বলে।
এবার ম্যাডাম খেপেছেন।
ম্যাডাম : তাহলে আমাদেরকেও তো sorry বলতে হবে। (ধমক দিয়ে)স্টক এক্সচেঞ্জ, শেয়ার বাজার সম্বন্ধে কিছু জানেন ?
আমি তো ঘামতে শুরু করেছি, ছাড়বে কখন, পালাবো আমি।
চেয়ারম্যান স্যার ম্যাডামকে উদ্দেশ্য করে বললেন, আরে বাদ দেন, ও সাইকোলজির ছাত্র, এসবের কী বুঝবে!!
ম্যাডাম বললেন, তাহলে ব্যাংকে চাকরি করবে কিভাবে ?!
চেয়ারম্যান স্যার বললেন, পরে শিখে নিবে।
চে: আচ্ছা, শেষ প্রশ্ন, ব্যাংকের প্রয়োজনীয়তা কী, (ব্যাখ্যা করলেন) মানে দেশে যে এত ব্যাংক এগুলো দেশের কী উপকার করে ?
আমি : একজন সাধারণ গ্রাহকের দৃষ্টিকোণ থেকে বলবো স্যার?
চে : অবশ্যই।
আমি : প্রথমত, মানুষ তার সঞ্চয় নিরাপদ স্থানে রাখার সুযোগ পাই, দ্বিতীয়ত, ভিন্ন ভিন্ন পরিমাণ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয়গুলো আলাদা আলাদা করে বিনিয়োগ করা হয় ,তারচেয়ে ছোটো ছোটো সঞ্চয়গুলো একত্রে বড় আকারে বিনিয়োগ করার মাধ্যম হলো ব্যাংক। এতে তৃণমূল পর্যায়ের মানুষেরও কল্যাণ, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থারও
উন্নয়ন হয়।
চে :আচ্ছা, ঠিক আছে, এখন আপনি যেতে পারেন।
আমি সালাম দিয়ে বের হয়ে আসলাম।
--সংগৃহিত
আসসালামু ওয়ালাইকুম।
বসতে বললে বসলাম।
বোর্ড চেয়ারম্যান স্যার নিজের হাতের কাগজের দিকে তাকিয়ে আমার নামটা প্রশ্নবোধক ভঙ্গিতে উচ্চারণ করলেন।
আমি :yes sir.
চে:সাইকোলজির স্টুডেন্ট !! (তার ডান পাশে বসা স্যারকে উদ্দেশ্য করে )তাহলেতো আপনার ব্যপার , দেখেন।
স্যার: Id, igo, super igo এগুলো ব্যাখ্যা করুন, বাস্তব উদাহরণ সহ।
এটা আমার কমন টপিক ছিলো,সুন্দর করে ধীরে ধীরে গুছিয়ে বললাম। মাঝখানে একবারো থামান নি কেউ।
স্যার : Instinct কী এবং কত প্রকার ?
উত্তর দিলাম।
স্যার : subconscious ও unconscious mind সম্বন্ধে বলেন।
বললাম।
স্যার : IQ কিভাবে নির্ণয় করা হয়?
বললাম।
স্যার : Mental age ও chronological age কী?
বললাম।
স্যার : illusion ও delusion এর মধ্যে পার্থক্য কী?
বললাম।
(অবশেষে সাইকোলজি থেকে বের হতে সাহায্য করলেন চেয়ারম্যান স্যার )
চে: বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন কখনো ?
আমি: জ্বী স্যার, আগেও ভিজিট করেছি, আর আজকে ভাইভা আছে তাই গতকাল রাতেও ভিজিট করেছি।
স্যার: ওয়েবসাইটটা দেখতে কেমন?
আমি: স্যার, প্রথমেই ব্যাংকের নাম লেখা আছে, তারপর ব্যাংক রেট, ফরেইন রেট কী কী যেনো সব লেখা আছে। তার পর ব্যাংকের ইতিহাস, নোটিশ বোর্ড, কোন কোন খাতে ঋণ দেয়া হয় এগুলো আছে, তারপরে....
স্যার: আচ্ছা থামেন, আর বলতে হবে না, এখন বলেন তো ব্যাংকের স্লোগান কী? আর লোগোটা দেখতে কেমন?
আমি পটর পটর করে হাসিমুখে সঠিক উত্তর দিলাম।
স্যার : BKB এর মোট শাখা কয়টি ?
আমি : জানি না, স্যার।
স্যার : কেনো ওয়েবসাইটেই তো আছে !!
আমি : আমি তো খেয়াল করি নি, স্যার, কোন জায়গাটাতে আছে স্যার ?
আমার কথাবার্তা শুনে চেয়ারম্যান স্যার মিটিমিটি হাসছে, আর চেয়ারম্যান স্যারের বামে বসা ম্যাডাম কটমট করে বিরক্তি ভরা চোখ দিয়ে তাকিয়ে আছে।
স্যার সুন্দর করে বুঝিয়ে বললেন ওয়েবসাইটের কোথায় শাখার কথা লিখতে লেখা আছে। আমি মনোযোগ দিয়ে শুনে বললাম -আজকেই বাসাই গিয়ে দেখবো, স্যার।
স্যার চেয়ারম্যান স্যারের দিকে তাকিয়ে পিছনে হেলান দিয়ে বসলেন। চেয়ারম্যান স্যার এবার তার বামে বসা ম্যাডামের দিকে তাকালেন।
ম্যাডাম : ব্যাংক রেট কী?
বললাম।
ম্যাডাম : ( কী কী যেন ইংরেজি টার্ম বলে জিজ্ঞেস করলেন, এগুলো কী এবং কার কাজ?
আমি : sorry, sir.
ম্যাডাম : (রাগত স্বরে, একটু জোরে) মানি মার্কেট কে কন্ট্রোল করে?
আমি : জ্বী, স্যার, মানে....
ম্যাডামের রক্তচক্ষুর মাঝেই আবার চেয়ারম্যান স্যারের আবির্ভাব।
চে:(হাসিমুখে) আচ্ছা, এই যে অনেকগুলো ব্যাংক আছে, এগুলো কে নিয়ন্ত্রণ করে ?
আমি : (মহাপন্ডিতের মতো একটা হাসি দিয়ে ) ওওও, এটাতো জানি,স্যার। বাংলাদেশ ব্যাংক।
ম্যাডাম আবার কিছু খটোমটো ইংরেজি ব্যাংকিং টার্ম বলে এগুলো কী তা বলতে বললেন।
আমি আবারো দুঃখ প্রকাশ করলাম sorry বলে।
এবার ম্যাডাম খেপেছেন।
ম্যাডাম : তাহলে আমাদেরকেও তো sorry বলতে হবে। (ধমক দিয়ে)স্টক এক্সচেঞ্জ, শেয়ার বাজার সম্বন্ধে কিছু জানেন ?
আমি তো ঘামতে শুরু করেছি, ছাড়বে কখন, পালাবো আমি।
চেয়ারম্যান স্যার ম্যাডামকে উদ্দেশ্য করে বললেন, আরে বাদ দেন, ও সাইকোলজির ছাত্র, এসবের কী বুঝবে!!
ম্যাডাম বললেন, তাহলে ব্যাংকে চাকরি করবে কিভাবে ?!
চেয়ারম্যান স্যার বললেন, পরে শিখে নিবে।
চে: আচ্ছা, শেষ প্রশ্ন, ব্যাংকের প্রয়োজনীয়তা কী, (ব্যাখ্যা করলেন) মানে দেশে যে এত ব্যাংক এগুলো দেশের কী উপকার করে ?
আমি : একজন সাধারণ গ্রাহকের দৃষ্টিকোণ থেকে বলবো স্যার?
চে : অবশ্যই।
আমি : প্রথমত, মানুষ তার সঞ্চয় নিরাপদ স্থানে রাখার সুযোগ পাই, দ্বিতীয়ত, ভিন্ন ভিন্ন পরিমাণ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয়গুলো আলাদা আলাদা করে বিনিয়োগ করা হয় ,তারচেয়ে ছোটো ছোটো সঞ্চয়গুলো একত্রে বড় আকারে বিনিয়োগ করার মাধ্যম হলো ব্যাংক। এতে তৃণমূল পর্যায়ের মানুষেরও কল্যাণ, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থারও
উন্নয়ন হয়।
চে :আচ্ছা, ঠিক আছে, এখন আপনি যেতে পারেন।
আমি সালাম দিয়ে বের হয়ে আসলাম।
--সংগৃহিত