Get on Google Play

চাকরি প্রর্থীদের সমস্যা, প্রশ্ন, মতামত এবং বিভিন্ন পেশা সর্ম্পকে আলোচনা, অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ
#839
সবচেয়ে বেশি প্রার্থী ছিটকে পড়েন প্রিলিমিনারি পর্ব থেকে। ৪০তম বিসিএসের প্রিলির প্রস্তুতি নিয়ে বিশেষ ধারাবাহিকের প্রথম পর্বে বাংলা।

♣লিখেছেন ৩৭তম বিসিএসে ফরেন অ্যাফেয়ার্স ক্যাডারে প্রথম মো. রহমত আলী

বিসিএস যদি একটা গন্তব্য হয়, তবে ম্যাপ হচ্ছে সিলেবাস; শর্টকাট রাস্তা বিগত প্রশ্নের প্যাটার্ন আর দক্ষতা-দুর্বলতা মাথায় রেখে টপিকসের গুরুত্ব অনুযায়ী পরিকল্পনা সাজানো ও সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়াই গন্তব্যে পৌঁছানোর নিশ্চয়তা। আপনি যত বেশি টেকনিক্যাল হবেন, আপনার রাস্তা তত শর্ট হবে।

নিজের শক্তি ও দুর্বলতা সম্পর্কে জেনে সে অনুযায়ী পরিকল্পনা সাজাতে হবে এবং তার সঠিক বাস্তবায়ন করতে হবে। যা পড়ছি, সেটি কোনো রকমে না পড়ে গভীরে গিয়ে বুঝে বুঝে পড়তে হবে। প্রয়োজনে যা পড়লাম, তা নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। সিলেবাস এবং আগের বছরের প্রশ্ন সম্পর্কে ধারণা থাকা জরুরি। সিলেবাসের কোন কোন টপিক থেকে এর আগে প্রশ্ন এসেছে, সেগুলো চিহ্নিত করতে হবে। এতে সহজেই বুঝতে পারবেন, কোন কোন বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া জরুরি। খেয়াল করে দেখবেন, কিছু টপিক থেকে নিয়মিত প্রশ্ন আসে। আবার কিছু টপিক থেকে খুব বেশি প্রশ্ন আসে না। যেসব বিষয় থেকে প্রশ্ন কম হয়, সেগুলোর পেছনে বেশি সময় নষ্ট করবেন না।

দিনে কয় ঘণ্টা পড়লেন সেটি গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং কী পড়লেন, গুছিয়ে পড়লেন কি না, যা পড়লেন সেটি আদৌ গুরুত্বপূর্ণ কি না—সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্টের প্রস্তুতির শুরুতেই মাথায় রাখতে হবে, কারোর পক্ষেই সব প্রশ্নের সঠিক উত্তর করে আসা সম্ভব নয়। তাই নিজের সামর্থ্যের কথা মাথায় রেখে এমনভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে, যাতে সাধ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ উত্তর করে আসা যায়। শুরুতেই চলে আসে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের কথা। প্রিলিমিনারির মোট ২০০ নম্বরের মধ্যে ৩৫ বরাদ্দ এ বিষয়ে। বাংলা ভাষার ওপর ১৫টি আর সাহিত্যের ওপর ২০টি প্রশ্ন করা হয়। শুরু থেকেই বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রস্তুতি খুব ভালো হওয়া চাই।

বিসিএসের প্রস্তুতির শুরুটাই হওয়া উচিত সিলেবাস আর বিগত সালের প্রশ্নের বিশ্লেষণ দিয়ে। গোটা সিলেবাসের কোন অংশ থেকে বেশি প্রশ্ন আসে, সেগুলোর ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়ে প্রস্তুতি নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। বাংলা ভাষার সিলেবাসে রয়েছে ধ্বনি, বর্ণ, শব্দ, পদ, বাক্য, প্রত্যয়, সন্ধি, সমাস, প্রয়োগ- অপপ্রয়োগ, উপসর্গ, ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব বিধান, বানান ও বাক্যশুদ্ধি, পরিভাষা, সমার্থক শব্দ এবং বিপরীতার্থক শব্দ। এর বাইরে থেকেও প্রশ্ন আসে। আর বাংলা সাহিত্যের সিলেবাসে রয়েছে প্রাচীন ও মধ্যযুগ (৫ নম্বর) এবং আধুনিক যুগ (১৮০০ সাল থেকে বর্তমান, ১৫ নম্বর)।
সর্বশেষ বিসিএস পরীক্ষাগুলোতে দেখা গেছে, ব্যাকরণ অংশে ধ্বনি, শব্দ ও শব্দের অর্থ, পরিভাষা, শব্দ ও বাক্য শুদ্ধিকরণ, সমাস, প্রকৃতি- প্রত্যয়, সমার্থক ও বিপরীতার্থক শব্দ থেকে প্রশ্ন বেশি এসেছে। এই অংশের প্রশ্নগুলো কঠিন ছিল না। বিগত সালের প্রশ্ন (প্রিলি ও লিখিত), যেকোনো রেফারেন্স বই এবং নবম-দশম শ্রেণির বোর্ড ব্যাকরণ বই থেকে নিয়মিত অনুশীলন করলে এই অংশের উত্তর করতে অসুবিধা হবে না। স্কুল-কলেজে পড়াকালীন যারা এগুলোকে অবহেলা করেছিল, তাদের অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হবে। কারণ কিছু টপিক হয়তো মুখস্থ করে পার পাওয়া যাবে; কিন্তু সমাস, সন্ধি, প্রকৃতি-প্রত্যয়, শুদ্ধিকরণের মতো টপিকের উত্তর করার জন্য এগুলোর ওপর ভালো দক্ষতা থাকতে হয়।

এবার আসা যাক বাংলা সাহিত্যে। এই অংশের প্রস্তুতির ক্ষেত্রে আপনাকে কৌশলী হতে হবে। শুরুতেই বলে রাখি, বাংলা সাহিত্যের প্রস্তুতির শুরুটাই হওয়া উচিত বিগত বিসিএস পরীক্ষাগুলোর (প্রিলিমিনারি ও লিখিত) সব প্রশ্ন পড়ে ফেলার মাধ্যমে। সেটি না করে অনেকেই বাংলা সাহিত্যের প্রস্তুতি নিতে গিয়ে একটা বইয়ের আদ্যোপান্ত পড়ে ফেলেন। পরে দেখা যায়, কিছুই মনে নেই। একটু খেয়াল করলেই দেখবেন, প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের ওপর যে প্রশ্নগুলো আসে, সেগুলো তুলনামূলক সহজ এবং পড়লে কমন পড়ে। তাই এই অংশটুকুর প্রস্তুতি দুই-তিনটি রেফারেন্স বই মিলিয়ে ভালোভাবে নেওয়া উচিত। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস ও ধ্বনিবিজ্ঞান নির্ভর বই নিয়ে প্রশ্ন আসবেই। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসকেন্দ্রিক (১৯৫২-৭১) যেসব গল্প, উপন্যাস, নাটক, চলচ্চিত্র আছে, সেগুলো ভালোভাবে পড়তে হবে। আর বিভিন্ন পত্রিকা ও সংগঠনের মুখপত্র নিয়েও প্রশ্ন আসে।

এরপর আসা যাক আধুনিক যুগের সাহিত্যে। আপনি চাইলে এ নিয়ে মাসের পর মাস পড়ে থাকতে পারেন, আবার প্রস্তুতিতে কৌশলীও হতে পারেন। বিভিন্ন সাহিত্যিক ও তাঁদের সাহিত্যকর্মের নাম টানা মুখস্থ করা এখানে মুখ্য নয়, কারণ যে প্রশ্নগুলো কঠিন হয়, সেগুলো কেউই সচরাচর উত্তর করতে পারে না। তাই বেছে বেছে কয়েকজন বিখ্যাত সাহিত্যিকের (যেমন—রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, মীর মশাররফ, বঙ্কিমচন্দ্র, শরৎচন্দ্র, ঈশ্বরচন্দ্র, প্রমথ চৌধুরী, মধুসূদন, আবু ইসহাক, আলাউদ্দিন আল আজাদ, কায়কোবাদ, জসীমউদ্দীন, জীবনানন্দ, তারাশঙ্কর, মানিক, শওকত ওসমান, সৈয়দ মুজতবা আলী প্রমুখ) সাহিত্যকর্মের পাশাপাশি তাঁদের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সাহিত্যকর্মের উক্তি, চরিত্র ও সংক্ষিপ্তসার পড়ে রাখা ভালো। এতে আপনি লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতিতেও এগিয়ে যাবেন। এর পাশাপাশি হাসান হাফিজুর রহমান, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, আনোয়ার পাশা, জহির রায়হান, নির্মলেন্দু গুণ, নীলিমা ইব্রাহিম, মুনীর চৌধুরী, শওকত আলী, শামসুর রাহমান, সুফিয়া কামাল, সেলিনা হোসেন, সেলিম আল দীন, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ, সৈয়দ শামসুল হক, হুমায়ুন আজাদ, আহমদ ছফা, হাসান আজিজুল হক, বুদ্ধদেব বসু, মহেশ্বেতা দেবী প্রমুখের সাহিত্যকর্মও পড়ে রাখা ভালো। মোহসীনা নাজিলার ‘শীকর বাংলা সাহিত্য’ বইটি আমি পড়েছিলাম, ওখানে এসব গুছিয়ে লেখা আছে।

পরিশেষে একটাই কথা, পরিকল্পনামাফিক পরিশ্রম করলে সাফল্য আসবেই, তবে পরিশ্রমটা নিয়মিত ও পূর্ণ মনোযোগে করতে হবে। সবার জন্য শুভ কামনা।
    Similar Topics
    TopicsStatisticsLast post
    0 Replies 
    1379 Views
    by mousumi
    0 Replies 
    995 Views
    by raihan
    0 Replies 
    1936 Views
    by mousumi
    0 Replies 
    2454 Views
    by sajib
    0 Replies 
    2058 Views
    by kajol
    long long title how many chars? lets see 123 ok more? yes 60

    We have created lots of YouTube videos just so you can achieve [...]

    Another post test yes yes yes or no, maybe ni? :-/

    The best flat phpBB theme around. Period. Fine craftmanship and [...]

    Do you need a super MOD? Well here it is. chew on this

    All you need is right here. Content tag, SEO, listing, Pizza and spaghetti [...]

    Lasagna on me this time ok? I got plenty of cash

    this should be fantastic. but what about links,images, bbcodes etc etc? [...]