- Wed Aug 22, 2018 2:22 am#609
প্রাচীন ভারতের বিখ্যাত কূটনৈতিক এবং অর্থনীতিবিদ চাণক্যের পরামর্শ মেনে চলে এক সময় সফলতার শিখরে উঠেছিলেন সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য। কী সেইসব মন্ত্র, যা আজও সমানভাবে কার্যকরি? চলুন মহান সেই ব্যক্তিত্বের ভাবনার দুনিয়ায় প্রবেশ করা যাক।
১. জন্ম নয়, কর্ম আগে
মানুষ কোন পরিবারে জন্ম নিয়ছে তার ওপর তার পরিচিতি নির্ভর করে না। করে তার কাজের উপর। যে যত ভাল কাজ করবে, সে তত সুখ্যাতি পাবে। তাই আপনি যদি কোনো বড় লোকের বাড়িতে জন্ম না নিয়ে থাকেন, তার জন্য দুঃখ করবেন না। কারণ আপনার কাজের মাধ্যমে আপনি বড় হয়ে উঠতে পারেন, যা ওই বড় লোকের ব্যাটা কোনো দিন নাও করে উঠতে পারে।
২. ভাল মানুষের জয় সর্বত্র
ফুলের গন্ধ কিন্তু শুধু হওয়ার পথে এগোয়। কিন্তু ভাল মানুষের সুখ্যাতি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। সে কোনো সীমানা মানে না। তাই তো মন থেকে ভাল মানুষ হয়ে উঠুন। জানবেন খারাপ হওয়ার জন্য হাজারও কারণ থাকে, ভাল হওয়ার জন্য কোনো কারণের প্রয়োজন পড়ে না।
৩. যৌবনকে খারাপ কাজে শেষ করবেন না
যৌবন হল সেই আগুন যাকে কোনো দিন ভুল কাজে লাগাতে নেই। তাই যুবসমাজকে বুঝতে হবে, তাদের মনে এবং মস্তিষ্কে যে শক্তি মজুত রয়েছে তাকে কাজে লাগিয়ে যতদূর সম্ভব জীবনে এবং ক্যারিয়ারে এগিয়ে যেতে হবে। একবার এই শক্তি শেষ হয়ে গেল কিন্তু আফসোস করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।
৪. কাজ শুরুর আগের তিন প্রশ্ন
যে কোনো কাজ শুরুর আগে নিজেকে এই তিনটি প্রশ্ন করতে ভুলবেন না। ক) কেন এই কাজটি আমি করতে চলেছি? খ) এই কাজের ফল কী হবে? গ) আমি কি এই কাজটিতে সফল হব? নিজেকে এই তিনটি প্রশ্ন করলেই দেখবেন যে কোনো কিছুর গভীরে গিয়ে ভাবতে পারছেন। বুঝতে পারছেন ঠিক-ভুলের ফারাক। এমনটা করতে পারলেই না সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
৫. মন নরম মানুষেরা মুখোশ পরো
মনের দিক থেকে ধনী মানুষকে কষ্টে রাখতে কেউ পিছপা হয় না। কারণ দুর্বলকে পিষেই তো সবলের যাত্রা শুরু হয়। তাই মন থেকে আপনি যতই দুর্বল হোন না কেন, তা ভুলেও প্রকাশ করবেন না। চাণক্য যেমনটা বলে গেছেন, ‘কোনো সাপ বিষাক্ত না হলেও তো লোক তাকে ভয় করে চলে। কারণ তার শরীরে বিষ আছে, এমনটা সে প্রতিনিয়ত দেখাতে থাকে।’ অর্থাৎ আপনাকে বিষাক্ত হতে হবে না। শুধু বাঁচতে বিষাক্ত হওয়ার নাটক করতে হবে।
৬. শিক্ষাই হাতিয়ার
একজন শিক্ষিত ব্যক্তির কদর সর্বত্র। তাই তো নিজেকে জ্ঞানী করে তুলুন। যা পাবেন পড়ে ফেলুন। জানবেন শিক্ষা, সৌন্দর্য এবং যৌবনের থেকেও বেশি শক্তিশালী।
৭. ঈশ্বরের বাস মন্দিরে নয়
‘ও মাই গড’ সিনেমায় এই কথাটা এই কদিন আগে বললেও সেই ২৭৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দে চাণক্য বলে গিয়েছিলেন মন্দিরের চার দেওয়ালের মধ্যে সর্বশক্তিমানকে খোঁজার চেষ্টা বৃথা। তাঁকে যদি খুঁজতেই হয়, নিজের মনের মন্দিরে খুঁজুন। দেখবেন ঠিক খোঁজ পাবেন। কারণ ভাবনায় ভগবানের বাস আর মন হল সেই ভাবনার আবাসস্থল।
৮. মন দিয়ে কাজ করুন
যে কাজই করুন না কেন, তা মন দিয়ে করুন। যখন কাজটি করবেন সফলতা বা ব্যর্থতার বিষয়ে খেয়াল রাখবেন না। এমনটা করলে দেখবেন মনোযোগের ঘাটতি হবে না। ফলে কাজটি থেকে ভাল কিছু পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।
৯. সোজা গাছ ঝড়ে পরে যায়
যখন খুব ঝড় ওঠে তখন কোন গাছটা আগে মাটি ছোঁয় জানেন? যে গাছটা একেবারে সোজা, অনেকের থেকে লম্বা। তেমনি মানব দুনিয়ায় বাঁচতে গেলে বেশি মাত্রায় সৎ হওয়া একেবারেই চলবে না। এক্ষেত্রে একটা জিনিস খেয়াল রাখবেন, সৎ হতে চাণক্য মানা করেননি। শুধু বলেছেন পরিস্থিতি বিশেষে সততা মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই কিছুটা কৌশলী হতে হবে।
১০. সফলতার চাবিকাঠি থাকে যেন মনের অন্দরে
আপনি কীভাবে সফলতার সিঁড়ি চড়ছেন তা ভুলেও কাউকে জানাবেন না। এমনটা না করলে কিন্তু একদিন আপনি পিছিয়ে যাবেন, আর অন্য কেউ আপনার জায়গা নেবে। যেমন ধরুন, কোকাকোলা কম্পানি আজ পর্যন্ত জানায়নি তার কোল্ড ড্রিঙ্কের এমন স্বাদের রহস্য কী! তাই তো তারা আজও সফলতার শীর্ষে বসে রয়েছে। একইভাবে আপনার সফলতার মন্ত্র সব সময় আপনার মনের সিন্দুকে থাকবে, বন্ধুদের মগজে নয়।
১১. ভয়কে জয় করতে হবে
প্রতিপক্ষ আক্রমণ করলে কী করতে হয়? দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, নাকি পাল্টা আক্রমণের ফান্দি আঁটতে হয়? নিশ্চয় দ্বিতীয়টা করতে হয়। সেই রকমই ভয় যখন আক্রমণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে না থেকে উল্টো তাকেও আক্রমণ করতে হবে। তবেই না ভয় দূরে পালাবে। নয়তো মাথায় চড়ে বসে স্ট্রেস এত বাড়িয়ে দেবে যে নানা দিক থেকে জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠবে।
১. জন্ম নয়, কর্ম আগে
মানুষ কোন পরিবারে জন্ম নিয়ছে তার ওপর তার পরিচিতি নির্ভর করে না। করে তার কাজের উপর। যে যত ভাল কাজ করবে, সে তত সুখ্যাতি পাবে। তাই আপনি যদি কোনো বড় লোকের বাড়িতে জন্ম না নিয়ে থাকেন, তার জন্য দুঃখ করবেন না। কারণ আপনার কাজের মাধ্যমে আপনি বড় হয়ে উঠতে পারেন, যা ওই বড় লোকের ব্যাটা কোনো দিন নাও করে উঠতে পারে।
২. ভাল মানুষের জয় সর্বত্র
ফুলের গন্ধ কিন্তু শুধু হওয়ার পথে এগোয়। কিন্তু ভাল মানুষের সুখ্যাতি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। সে কোনো সীমানা মানে না। তাই তো মন থেকে ভাল মানুষ হয়ে উঠুন। জানবেন খারাপ হওয়ার জন্য হাজারও কারণ থাকে, ভাল হওয়ার জন্য কোনো কারণের প্রয়োজন পড়ে না।
৩. যৌবনকে খারাপ কাজে শেষ করবেন না
যৌবন হল সেই আগুন যাকে কোনো দিন ভুল কাজে লাগাতে নেই। তাই যুবসমাজকে বুঝতে হবে, তাদের মনে এবং মস্তিষ্কে যে শক্তি মজুত রয়েছে তাকে কাজে লাগিয়ে যতদূর সম্ভব জীবনে এবং ক্যারিয়ারে এগিয়ে যেতে হবে। একবার এই শক্তি শেষ হয়ে গেল কিন্তু আফসোস করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।
৪. কাজ শুরুর আগের তিন প্রশ্ন
যে কোনো কাজ শুরুর আগে নিজেকে এই তিনটি প্রশ্ন করতে ভুলবেন না। ক) কেন এই কাজটি আমি করতে চলেছি? খ) এই কাজের ফল কী হবে? গ) আমি কি এই কাজটিতে সফল হব? নিজেকে এই তিনটি প্রশ্ন করলেই দেখবেন যে কোনো কিছুর গভীরে গিয়ে ভাবতে পারছেন। বুঝতে পারছেন ঠিক-ভুলের ফারাক। এমনটা করতে পারলেই না সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
৫. মন নরম মানুষেরা মুখোশ পরো
মনের দিক থেকে ধনী মানুষকে কষ্টে রাখতে কেউ পিছপা হয় না। কারণ দুর্বলকে পিষেই তো সবলের যাত্রা শুরু হয়। তাই মন থেকে আপনি যতই দুর্বল হোন না কেন, তা ভুলেও প্রকাশ করবেন না। চাণক্য যেমনটা বলে গেছেন, ‘কোনো সাপ বিষাক্ত না হলেও তো লোক তাকে ভয় করে চলে। কারণ তার শরীরে বিষ আছে, এমনটা সে প্রতিনিয়ত দেখাতে থাকে।’ অর্থাৎ আপনাকে বিষাক্ত হতে হবে না। শুধু বাঁচতে বিষাক্ত হওয়ার নাটক করতে হবে।
৬. শিক্ষাই হাতিয়ার
একজন শিক্ষিত ব্যক্তির কদর সর্বত্র। তাই তো নিজেকে জ্ঞানী করে তুলুন। যা পাবেন পড়ে ফেলুন। জানবেন শিক্ষা, সৌন্দর্য এবং যৌবনের থেকেও বেশি শক্তিশালী।
৭. ঈশ্বরের বাস মন্দিরে নয়
‘ও মাই গড’ সিনেমায় এই কথাটা এই কদিন আগে বললেও সেই ২৭৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দে চাণক্য বলে গিয়েছিলেন মন্দিরের চার দেওয়ালের মধ্যে সর্বশক্তিমানকে খোঁজার চেষ্টা বৃথা। তাঁকে যদি খুঁজতেই হয়, নিজের মনের মন্দিরে খুঁজুন। দেখবেন ঠিক খোঁজ পাবেন। কারণ ভাবনায় ভগবানের বাস আর মন হল সেই ভাবনার আবাসস্থল।
৮. মন দিয়ে কাজ করুন
যে কাজই করুন না কেন, তা মন দিয়ে করুন। যখন কাজটি করবেন সফলতা বা ব্যর্থতার বিষয়ে খেয়াল রাখবেন না। এমনটা করলে দেখবেন মনোযোগের ঘাটতি হবে না। ফলে কাজটি থেকে ভাল কিছু পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।
৯. সোজা গাছ ঝড়ে পরে যায়
যখন খুব ঝড় ওঠে তখন কোন গাছটা আগে মাটি ছোঁয় জানেন? যে গাছটা একেবারে সোজা, অনেকের থেকে লম্বা। তেমনি মানব দুনিয়ায় বাঁচতে গেলে বেশি মাত্রায় সৎ হওয়া একেবারেই চলবে না। এক্ষেত্রে একটা জিনিস খেয়াল রাখবেন, সৎ হতে চাণক্য মানা করেননি। শুধু বলেছেন পরিস্থিতি বিশেষে সততা মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই কিছুটা কৌশলী হতে হবে।
১০. সফলতার চাবিকাঠি থাকে যেন মনের অন্দরে
আপনি কীভাবে সফলতার সিঁড়ি চড়ছেন তা ভুলেও কাউকে জানাবেন না। এমনটা না করলে কিন্তু একদিন আপনি পিছিয়ে যাবেন, আর অন্য কেউ আপনার জায়গা নেবে। যেমন ধরুন, কোকাকোলা কম্পানি আজ পর্যন্ত জানায়নি তার কোল্ড ড্রিঙ্কের এমন স্বাদের রহস্য কী! তাই তো তারা আজও সফলতার শীর্ষে বসে রয়েছে। একইভাবে আপনার সফলতার মন্ত্র সব সময় আপনার মনের সিন্দুকে থাকবে, বন্ধুদের মগজে নয়।
১১. ভয়কে জয় করতে হবে
প্রতিপক্ষ আক্রমণ করলে কী করতে হয়? দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, নাকি পাল্টা আক্রমণের ফান্দি আঁটতে হয়? নিশ্চয় দ্বিতীয়টা করতে হয়। সেই রকমই ভয় যখন আক্রমণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে না থেকে উল্টো তাকেও আক্রমণ করতে হবে। তবেই না ভয় দূরে পালাবে। নয়তো মাথায় চড়ে বসে স্ট্রেস এত বাড়িয়ে দেবে যে নানা দিক থেকে জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠবে।