- Fri Jun 05, 2020 3:32 pm#2680
আসসালামু আলাইকুম,
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সমীপে, একটি যৌক্তিক দাবি উপস্থাপন করছিঃ
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী , গত ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাজস্ব খাতভুক্ত " সহকারি শিক্ষক " শূন্য পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।এর পূর্ববর্তী দুটি প্যানেলের মামলা জটিলতায় নিয়োগটি চার বছরের জন্য স্থগিত হয়ে যায় এবং ২০১৮ সালের অক্টোবরে চূড়ান্ত নিয়োগ দেওয়া হয়।
নিয়োগের এই দীর্ঘসূত্রীতার কারণে ৯০% চাকরি প্রত্যাশীদের সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা পেড়িয়ে গেছে। ফলে সব ধরনের আবেদন থেকে বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীরা।
সমগ্র শিক্ষা ক্ষেত্রে ৩/৪/৫ বছরের সেশন জট এবং প্রাথমিকে৪/৫ বছর নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকায় একটির বেশি আবেদনের সুযোগ পায়নি আবেদনকারীরা।এর মধ্যেই সারাজীবনের অর্জীত সার্টিফিকেটের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।মানবতার মা,বর্তমানে প্রতিযোগিতা মূলক চাকরির বাজারে নিজেকে যোগ্য করে তুলতে একটি আবেদনই যথেষ্ট, যেখানে শূন্য পদসমূহও পূরণ করা হয় না? নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বাভাবিক থাকলে চার বছরে চারটি আবেদনের সুযোগ হতো।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ৪৩০০০ শিক্ষক প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগ সম্পূর্ণ করতে চার বছর সময় লেগেছে। ফলে ২০১৪ সালের স্থগিত নিয়োগের আবেদনকারীরা যে ক্ষতিগ্রস্হ হয়েছে তার জন্য কি রাষ্ট্র দায়ী নয়?
উল্লেখ্য যে, উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন জমা পড়ে প্রায় ১৩ লাখ যা ঐ সময়ের জন্য রেকর্ড সংখ্যক আবেদন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে ২৯৫৫৫ জন।নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৯৭৬৭ জন শিক্ষক। অথচ ২০১৮ সালের ২৯ মার্চের "এডুকেশনাল বাংলা" নিউজ পেপারে প্রকাশিত তথ্য মতে উক্ত সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ১৮০০০ পদ শূন্য ছিল।মানবিক দিক বিবেচনা করে এই নিয়োগ থেকে বেশি সংখ্যক নিয়োগ দেওয়া দরকার ছিল।অথচ ১০০০০ পদও পূরণ করা হয়নি।
মানবতার মা,আপনিতো ঘোষণা দিয়েছেন ঘরে ঘরে চাকরি দিবেন, মুজিব বর্ষে কেউ বেকার থাকবে না।রাষ্ট্রযন্ত্রের কারণে আমরা যে ৩০ এর শিকলে বাঁধা পড়েছি, তাহলে কিভাবে আমাদের চাকরি দিবেন? গত ০১/০২/২০১৮ ইং তারিখে আমার বয়স ৩০ বছর পূর্ণ হওয়ায় ২০১৮ সালের বিজ্ঞপ্তিতেও আবেদনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছি।বর্তমানে আমার বয়স ৩২ বছর ৪ মাস।২০১৪ সালের নিয়োগটি স্থগিত হওয়ার কারণে ভুক্তভোগীদের ক্ষতি কিছুটাহলেও পোষিয়ে দিতে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৯৭৮৮ জন শিক্ষককে প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগের দাবি জানাচ্ছি।
প্যানেল চাওয়ার যৌক্তিক কারণ সমূহঃ
১।প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে চরম শিক্ষক সংকট বিদ্যমান।( আমরা মাত্র ১৯৭৮৮ জন)
২।বর্তমানে ১ লাখ ১৬৬ টি পদের চাহিদা রয়েছে।
৩।১৩ লাখ প্রার্থীর মধ্য থেকে বাছাই কৃত আমরা মাত্র ১৯৭৮৮ জন মেধাবী।
৪।দীর্ঘদিন নিয়োগ বন্ধ থাকায় আমরা চরম বৈষম্যের শিকার।
৫।আমাদের অধিকাংশের আবেদনের বয়সসীমা শেষ হয়ে গেছে।
৬। রিট জটিলতার কারণে ২০১৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত আমরা একটি মাত্র সহকারি শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পেয়েছি।
৭।ব্যাংক,বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য সেক্টরে প্যানেলে নিয়োগ পদ্ধতি প্রচলিত আছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা ও মমতাময়ী মা হিসেবে আপনি আমাদের প্রাণের দাবি মেনে নিয়ে মুজিব বর্ষকে স্মরণীয় করে রাখবেন বলে আমরা মনে করি।
আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা নিরন্তর।
নিবেদক
২০১৪ এর স্থগিত নিয়োগের ( ভাইভা ২০১৮) প্যানেল প্রত্যাশী।
সালেহা আক্তার, গাজীপুর।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সমীপে, একটি যৌক্তিক দাবি উপস্থাপন করছিঃ
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী , গত ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাজস্ব খাতভুক্ত " সহকারি শিক্ষক " শূন্য পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।এর পূর্ববর্তী দুটি প্যানেলের মামলা জটিলতায় নিয়োগটি চার বছরের জন্য স্থগিত হয়ে যায় এবং ২০১৮ সালের অক্টোবরে চূড়ান্ত নিয়োগ দেওয়া হয়।
নিয়োগের এই দীর্ঘসূত্রীতার কারণে ৯০% চাকরি প্রত্যাশীদের সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা পেড়িয়ে গেছে। ফলে সব ধরনের আবেদন থেকে বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীরা।
সমগ্র শিক্ষা ক্ষেত্রে ৩/৪/৫ বছরের সেশন জট এবং প্রাথমিকে৪/৫ বছর নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকায় একটির বেশি আবেদনের সুযোগ পায়নি আবেদনকারীরা।এর মধ্যেই সারাজীবনের অর্জীত সার্টিফিকেটের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।মানবতার মা,বর্তমানে প্রতিযোগিতা মূলক চাকরির বাজারে নিজেকে যোগ্য করে তুলতে একটি আবেদনই যথেষ্ট, যেখানে শূন্য পদসমূহও পূরণ করা হয় না? নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বাভাবিক থাকলে চার বছরে চারটি আবেদনের সুযোগ হতো।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ৪৩০০০ শিক্ষক প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগ সম্পূর্ণ করতে চার বছর সময় লেগেছে। ফলে ২০১৪ সালের স্থগিত নিয়োগের আবেদনকারীরা যে ক্ষতিগ্রস্হ হয়েছে তার জন্য কি রাষ্ট্র দায়ী নয়?
উল্লেখ্য যে, উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন জমা পড়ে প্রায় ১৩ লাখ যা ঐ সময়ের জন্য রেকর্ড সংখ্যক আবেদন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে ২৯৫৫৫ জন।নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৯৭৬৭ জন শিক্ষক। অথচ ২০১৮ সালের ২৯ মার্চের "এডুকেশনাল বাংলা" নিউজ পেপারে প্রকাশিত তথ্য মতে উক্ত সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ১৮০০০ পদ শূন্য ছিল।মানবিক দিক বিবেচনা করে এই নিয়োগ থেকে বেশি সংখ্যক নিয়োগ দেওয়া দরকার ছিল।অথচ ১০০০০ পদও পূরণ করা হয়নি।
মানবতার মা,আপনিতো ঘোষণা দিয়েছেন ঘরে ঘরে চাকরি দিবেন, মুজিব বর্ষে কেউ বেকার থাকবে না।রাষ্ট্রযন্ত্রের কারণে আমরা যে ৩০ এর শিকলে বাঁধা পড়েছি, তাহলে কিভাবে আমাদের চাকরি দিবেন? গত ০১/০২/২০১৮ ইং তারিখে আমার বয়স ৩০ বছর পূর্ণ হওয়ায় ২০১৮ সালের বিজ্ঞপ্তিতেও আবেদনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছি।বর্তমানে আমার বয়স ৩২ বছর ৪ মাস।২০১৪ সালের নিয়োগটি স্থগিত হওয়ার কারণে ভুক্তভোগীদের ক্ষতি কিছুটাহলেও পোষিয়ে দিতে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৯৭৮৮ জন শিক্ষককে প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগের দাবি জানাচ্ছি।
প্যানেল চাওয়ার যৌক্তিক কারণ সমূহঃ
১।প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে চরম শিক্ষক সংকট বিদ্যমান।( আমরা মাত্র ১৯৭৮৮ জন)
২।বর্তমানে ১ লাখ ১৬৬ টি পদের চাহিদা রয়েছে।
৩।১৩ লাখ প্রার্থীর মধ্য থেকে বাছাই কৃত আমরা মাত্র ১৯৭৮৮ জন মেধাবী।
৪।দীর্ঘদিন নিয়োগ বন্ধ থাকায় আমরা চরম বৈষম্যের শিকার।
৫।আমাদের অধিকাংশের আবেদনের বয়সসীমা শেষ হয়ে গেছে।
৬। রিট জটিলতার কারণে ২০১৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত আমরা একটি মাত্র সহকারি শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পেয়েছি।
৭।ব্যাংক,বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য সেক্টরে প্যানেলে নিয়োগ পদ্ধতি প্রচলিত আছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা ও মমতাময়ী মা হিসেবে আপনি আমাদের প্রাণের দাবি মেনে নিয়ে মুজিব বর্ষকে স্মরণীয় করে রাখবেন বলে আমরা মনে করি।
আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা নিরন্তর।
নিবেদক
২০১৪ এর স্থগিত নিয়োগের ( ভাইভা ২০১৮) প্যানেল প্রত্যাশী।
সালেহা আক্তার, গাজীপুর।