- Mon Aug 05, 2019 1:52 am#1574
চাইলে এড়িয়ে যেতে পারেন।
চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে Motivational Speech এবং Motivation ব্যবসায়ী মানে স্পিকার, উভয়টিই আমার কাছে বিষবৎ পরিত্যাজ্য। কারণ হিসেবে বলি, Motivational Speech সাধারণ মানের Student দের একটা ঘোরের মধ্যে নিয়ে যায়। তারা স্বপ্ন দেখতে শুরু করে- বেলা বোসকে নীল শাড়ি কিনে দেয় নীল দেয়ালের ঘরের সাথে ম্যাচিং করে। ওদিকে কিন্তু প্রকৃত Preparation এর তলা ফুটো। স্বপ্নের উপর স্বপ্ন, তার উপর স্বপ্ন। Speaker এর বকবকানি শেষ। চোখ মেলতেই সব অষ্টরম্ভা।
Motivational Speaker দের একটা উদ্দেশ্যই থাকে কথার জালে ফাসানো। আপনাকে গ্যাস দিয়ে একেবারে আসমানে তুলে দিবে। হ্যান করলে চাকরি আপনার পাছে পাছে সারমেয় এর মত ঘুরবে; ত্যান করলে চাকরি একেবারে বাপ বাপ বলে আপনাকে জড়িয়ে ধরবে। আসলে কী তাই!
নির্জলা সত্য বলছি, Young man, This is all rubbish। এতটা সহজ নয়। একটা ১০তলা বিল্ডিংকে মাটির উপর দাঁড় করিয়ে রাখতে যেমন শক্তFoundation এর দরকার হয়, ঠিক তেমনি প্রিলি, রিটেন পেরিয়ে ভাইভা পর্যন্ত যেতে নিজেকে সময় নিয়ে একটু একটু করে গড়ে তুলতে হয়।‘অনন্ত যৌবনা বইয়ের কাছে প্রিয়ার কালো চোখ ঘোলাটে’(ওমর খৈমাম এর আপডেট ভার্সন) না হলে ওই দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়া সম্ভব নয়। সবাই গন্তব্যে পৌছতে পারবে না- এই কঠিন সত্যকে মেনে নিয়ে কাজে লেগে পড়তে হবে। একরোখা, জিদ্দি। ১০দিনে প্রিলি পাশ; সাত দিনে রিটেন। এইসব সাপুড়েদের তাবিজ বিক্রির মত। ফাঁদ।
জীবনে যারা কিছু করতে পেরেছে, তারা আলাদা জাতের।হোক সে চাকরির বাজারে বা আত্মনির্ভরশীলতায়। নিজেকে টপকে যাওয়ার ঐকান্তিক ইচ্ছা এবং নিবিষ্টচিত্তে কাজ করার মানসিকতাই তাকে তুলে দিয়েছে অনেকের থেকে একটু ওপরে। দীর্ঘদিন লেগে থেকে আজকের এই অবস্থান। এখানেMotivation প্রয়োজনহীন। একই ঝাড়ের বাঁশ কোনটা মসজিদে যায়, কোনটা মন্দিরে যায়, কোনটা যায় কবরে আর কোনটা যায় চুলোয়। এটাই বাস্তবতা। আপনিই আপনার চারপাশে দেখুন না, আপনারই কোন বন্ধু যেকোন ক্যাডার, ব্যাংকার, রিকসাওয়ালা, আবার কেউ ফ্যা ফ্যা করে কাঠফাটা রোদ্দুরে গার্লস স্কুলের পাশে চায়ের দোকানে বসে বালিকাদের পদ্মচরণ গোনার ‘মহান’ কাজে ব্যস্ত।
‘আজকেই সিদ্ধান্ত নিলেন, যা শালা, সব বাদ দিয়ে আগে নিজেকে তৈরি করি। তারপরে অন্যকিছু’। নিস্তব্ধ রাতের শেষ প্রহরে মনে উদয় হল, আর্ একটু ঘুমিয়ে নিই- সময় তো আছেই। হবে না দাদা। হয় না। কেউ আছে Regularity Maintain করে আবার কেউ আছে সারাদিন টো টো কোম্পানির ম্যানেজার কিন্তু রাত হলেই বুদ্ধের মত পড়াশোনায় অটল। আপনি কী চান, সেটা ধরতে পারলেই Self-motivation আপনার হয়ে যাবে। আচ্ছা,
চোখ বন্ধ করে একবার ভাবুন তো- আপনি আসলেই কী চান? চোখ খুলে লিখে ফেলুন খাতায়।
এবার, চোখ বন্ধ করে আবার ভাবুন তো- যা লিখেছেন তা করা কেন আপনার দ্বারা সম্ভব নয়?
যদি উত্তর পান, তাহলে স্রোতের বিপরীতে কাজ শুরু করে দিন- কাল থেকে নয়- এখন থেকেই।
যদি উত্তর না পান, তাহলে হবে- ‘এই বুকে সব ছিল, শুধু তুমি থাকনি।’(কার কথা নাম মনে নেই। ধরে নেন আমারই কথা।)
আপনি অন্য লাইন দেখুন।
এইবার শুধু একটা প্রশ্নের নির্জলা উত্তর দেই-
প্রশ্ন: ভাইয়া, ম্যাথ পারিনা। ভাইয়া, ম্যাথ পারি কিন্তু পরীক্ষার হলে এলোমেলো হয়ে যায়। ভাইয়া, বাংলা ম্যাথ দিলে পারি কিন্তু ইংরেজিতে দিলে পারি না।
উত্তর: ম্যাথে সমস্যা একটা জাতীয় সমস্যা। ব্যাংকের ম্যাথ আসে ইংরেজিতে তাই বাংলায় করার কোন সুযোগ নাই। আমাদের বেশিরভাগ ছাত্রদের ম্যাথ সমস্যা তৈরি করেছে ম্যাথ বইয়ের তথাকথিত রাইটাররা। এরা করে কী, ম্যাথটার বাংলা ভার্সন তৈরি করে, বোঝার সুবিধার্থে- ওরা বলে। আসলে কি তাই? না। ওরা আপনাকে ভালমত বাঁশটাই দেয়। ইংরেজিতে লেখা ম্যাথ আপনাকে ইংরেজিতেই বুঝতে হবে। তা না হলে, পরীক্ষার হলে আপনার ধরা খাওয়া কেউ ঠেকাতে পারবে না।
সনাতন দা’র পিএ
চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে Motivational Speech এবং Motivation ব্যবসায়ী মানে স্পিকার, উভয়টিই আমার কাছে বিষবৎ পরিত্যাজ্য। কারণ হিসেবে বলি, Motivational Speech সাধারণ মানের Student দের একটা ঘোরের মধ্যে নিয়ে যায়। তারা স্বপ্ন দেখতে শুরু করে- বেলা বোসকে নীল শাড়ি কিনে দেয় নীল দেয়ালের ঘরের সাথে ম্যাচিং করে। ওদিকে কিন্তু প্রকৃত Preparation এর তলা ফুটো। স্বপ্নের উপর স্বপ্ন, তার উপর স্বপ্ন। Speaker এর বকবকানি শেষ। চোখ মেলতেই সব অষ্টরম্ভা।
Motivational Speaker দের একটা উদ্দেশ্যই থাকে কথার জালে ফাসানো। আপনাকে গ্যাস দিয়ে একেবারে আসমানে তুলে দিবে। হ্যান করলে চাকরি আপনার পাছে পাছে সারমেয় এর মত ঘুরবে; ত্যান করলে চাকরি একেবারে বাপ বাপ বলে আপনাকে জড়িয়ে ধরবে। আসলে কী তাই!
নির্জলা সত্য বলছি, Young man, This is all rubbish। এতটা সহজ নয়। একটা ১০তলা বিল্ডিংকে মাটির উপর দাঁড় করিয়ে রাখতে যেমন শক্তFoundation এর দরকার হয়, ঠিক তেমনি প্রিলি, রিটেন পেরিয়ে ভাইভা পর্যন্ত যেতে নিজেকে সময় নিয়ে একটু একটু করে গড়ে তুলতে হয়।‘অনন্ত যৌবনা বইয়ের কাছে প্রিয়ার কালো চোখ ঘোলাটে’(ওমর খৈমাম এর আপডেট ভার্সন) না হলে ওই দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়া সম্ভব নয়। সবাই গন্তব্যে পৌছতে পারবে না- এই কঠিন সত্যকে মেনে নিয়ে কাজে লেগে পড়তে হবে। একরোখা, জিদ্দি। ১০দিনে প্রিলি পাশ; সাত দিনে রিটেন। এইসব সাপুড়েদের তাবিজ বিক্রির মত। ফাঁদ।
জীবনে যারা কিছু করতে পেরেছে, তারা আলাদা জাতের।হোক সে চাকরির বাজারে বা আত্মনির্ভরশীলতায়। নিজেকে টপকে যাওয়ার ঐকান্তিক ইচ্ছা এবং নিবিষ্টচিত্তে কাজ করার মানসিকতাই তাকে তুলে দিয়েছে অনেকের থেকে একটু ওপরে। দীর্ঘদিন লেগে থেকে আজকের এই অবস্থান। এখানেMotivation প্রয়োজনহীন। একই ঝাড়ের বাঁশ কোনটা মসজিদে যায়, কোনটা মন্দিরে যায়, কোনটা যায় কবরে আর কোনটা যায় চুলোয়। এটাই বাস্তবতা। আপনিই আপনার চারপাশে দেখুন না, আপনারই কোন বন্ধু যেকোন ক্যাডার, ব্যাংকার, রিকসাওয়ালা, আবার কেউ ফ্যা ফ্যা করে কাঠফাটা রোদ্দুরে গার্লস স্কুলের পাশে চায়ের দোকানে বসে বালিকাদের পদ্মচরণ গোনার ‘মহান’ কাজে ব্যস্ত।
‘আজকেই সিদ্ধান্ত নিলেন, যা শালা, সব বাদ দিয়ে আগে নিজেকে তৈরি করি। তারপরে অন্যকিছু’। নিস্তব্ধ রাতের শেষ প্রহরে মনে উদয় হল, আর্ একটু ঘুমিয়ে নিই- সময় তো আছেই। হবে না দাদা। হয় না। কেউ আছে Regularity Maintain করে আবার কেউ আছে সারাদিন টো টো কোম্পানির ম্যানেজার কিন্তু রাত হলেই বুদ্ধের মত পড়াশোনায় অটল। আপনি কী চান, সেটা ধরতে পারলেই Self-motivation আপনার হয়ে যাবে। আচ্ছা,
চোখ বন্ধ করে একবার ভাবুন তো- আপনি আসলেই কী চান? চোখ খুলে লিখে ফেলুন খাতায়।
এবার, চোখ বন্ধ করে আবার ভাবুন তো- যা লিখেছেন তা করা কেন আপনার দ্বারা সম্ভব নয়?
যদি উত্তর পান, তাহলে স্রোতের বিপরীতে কাজ শুরু করে দিন- কাল থেকে নয়- এখন থেকেই।
যদি উত্তর না পান, তাহলে হবে- ‘এই বুকে সব ছিল, শুধু তুমি থাকনি।’(কার কথা নাম মনে নেই। ধরে নেন আমারই কথা।)
আপনি অন্য লাইন দেখুন।
এইবার শুধু একটা প্রশ্নের নির্জলা উত্তর দেই-
প্রশ্ন: ভাইয়া, ম্যাথ পারিনা। ভাইয়া, ম্যাথ পারি কিন্তু পরীক্ষার হলে এলোমেলো হয়ে যায়। ভাইয়া, বাংলা ম্যাথ দিলে পারি কিন্তু ইংরেজিতে দিলে পারি না।
উত্তর: ম্যাথে সমস্যা একটা জাতীয় সমস্যা। ব্যাংকের ম্যাথ আসে ইংরেজিতে তাই বাংলায় করার কোন সুযোগ নাই। আমাদের বেশিরভাগ ছাত্রদের ম্যাথ সমস্যা তৈরি করেছে ম্যাথ বইয়ের তথাকথিত রাইটাররা। এরা করে কী, ম্যাথটার বাংলা ভার্সন তৈরি করে, বোঝার সুবিধার্থে- ওরা বলে। আসলে কি তাই? না। ওরা আপনাকে ভালমত বাঁশটাই দেয়। ইংরেজিতে লেখা ম্যাথ আপনাকে ইংরেজিতেই বুঝতে হবে। তা না হলে, পরীক্ষার হলে আপনার ধরা খাওয়া কেউ ঠেকাতে পারবে না।
সনাতন দা’র পিএ