- Tue Jun 25, 2019 2:06 pm#1497
২৯ আগস্ট, ২০১৫ কৃষি ব্যাংক সিনিয়র অফিসার প্রিলিমিনারী পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল আমার ব্যাংক জবের মিশন। ১২ জুন, ২০১৯ তারিখে সে মিশনের আপাত সমাপ্তি ঘটল! মাঝখানের এই চার বছরে যে কতোবার পরীক্ষা দেবার উদ্দেশ্যে ঢাকা গিয়েছি তার হিসেব নেই। কোনো কোনো মাসে তিনবারও ঢাকাতে গিয়েছি শুধু পরীক্ষা দেয়ার জন্য! অনেক লঞ্চের স্টাফ এবং বাসের টিকিট কাউন্টারের লোক আমাকে চিনত ঢাকা-বরিশালের নিয়মিত যাত্রী হিসেবে! এই চার বছরে সরকারী ব্যাংক নিয়োগের যতোগুলো পরীক্ষা ঢাকাতে অনুষ্ঠিত হয়েছে তার প্রত্যকটিতে আমি অংশগ্রহন করেছি। আর এই দীর্ঘ সময়ে ঢাকাতে বেশি বিরক্ত করেছি বন্ধু জিয়া, অপু এবং মিশুকে। জিয়া জাপান চলে যাবার পর অপু এবং মিশুকে। হৃদয় উজাড় করা ভালোবাসা এবং কৃতজ্ঞতা বন্ধুরা তোদের প্রতি। এতো ঝামেলা হয়তো কোনো নিকট আত্মীয়রাও সহ্য করতোনা। এক একটি পরীক্ষা শেষে আমার ব্যর্থতার গল্প দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়েছে। আজ সেই সব দিনগুলোর কথা মনে হলে নিজের অজান্তেই চোখের কোনে জল চলে আসে। কতো কষ্ট, কতো ত্যাগ আর কতো সমালোচনা যে মুখ বুজে সহ্য করেছি তা একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই ভালো জানেন।
এতো ব্যর্থতার পরেও যে মানুষ দু'জন ছায়ার মতো আমার পাশে ছিলেন তাঁরা হচ্ছেন আমার জন্মদাতা মা-বাবা। আমার কাছে এ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দার্শনিক আমার মা-বাবা। আমার মা একদিন আমাকে বলেছিলেন "বাবা তোমার জন্য আল্লাহতাআলা যেটা বরাদ্দ করে রেখেছেন তুমি এখনও সেখানে পৌঁছাতে পারোনি"। একবার চিন্তা করুন কী কঠিন সত্য কথা এটি। বাবার কথা কী বলবো। তাঁর অনুপ্রেরণা না পেলে আজ হয়তো আমার এ অবস্থানে আসা হতোনা। প্রত্যেকবার পরীক্ষা শেষে ফোন অন করার পর প্রথম বাবার ফোন রিসিভ করতাম। চাতক পাখির মতো অপেক্ষায় থাকতেন আমার পরীক্ষা কেমন হয়েছে সেটি জানার জন্য। এই দীর্ঘ চার বছরে আমি তাঁকে যতোবার হতাশার কথা শুনিয়েছি তিনি ঠিক ততোবার আমাকে আশার কথা শুনিয়েছেন। বলতেন এবার হয়নি তো কী হয়েছে? পরেরবার অবশ্যই হবে। প্রথমদিকে আমার মনে হতো আসলেই পরেরবার হবে। কিন্তু বারবার ব্যর্থ হবার পরে মনে হতো এসব মিছে শান্ত্বনা ছাড়া আর কিছুইনা। আমি হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে দিতাম! বাবা বলতেন হাল ছেড়োনা, বান্দার চেষ্টা যেখানে শেষ, আল্লাহর রহমত সেখানে শুরু। কিভাবে তোমার চাকুরী হবে সেটা তুমিও বুঝতে পারবেনা। শেষ মুহূর্তে এসে চাকুরী হওয়ায় আমি বুঝতে পেরেছি আসলেই সন্তানের জীবনের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক তার মা-বাবা।
আজ যে সকল বন্ধুরা বেকার আছো তাদের উদ্দেশ্যে বলছি: এই যুগের নীতি হচ্ছে বিপদগ্রস্ত মানুষের কাছ থেকে দূরে সরে যাওয়া! তুমি বেকার আছো সুতরাং সমাজে তুমি বিপদগ্রস্তদের একজন! তোমার মাথায় হাত বুলিয়ে উৎসাহ দেয়ার লোক খুঁজে পাবেনা কিন্তু তোমাকে টেনে নিচে নামাবার লোকের অভাব নেই। তাই দাঁতে দাঁত কামড়ে সব সহ্য করে যাও। কারো সমালোচনার জবাব দেয়ার দরকার নেই। তুমি তোমার লক্ষ্যে অটুট থাকো। বাকিটা সময়ের হাতে ছেড়ে দাও। সময় সব কিছুর সুন্দর জবাব দিবে। মনে রাখবে, পরাজিত মানুষের গল্প কেউ শুনতে চায়না। বিজয়ী মানুষের গল্প সবাই আগ্রহ নিয়ে শোনে। চেঙ্গিস খাঁর গল্প আমরা শুনতে চাই কারণ তিনি জয়ী। তিনি যে সকল রাজাদের পরাজিত করেছেন তাদের তাদের গল্প আমরা শুনতে চাইনা কারন তারা পরাজিত। আজ যারা তোমার সমালোচনা করে তোমার সাফল্যে তারাই আবার তোমার জয়গান গাইবে। জীবনের মজাটা এখানেই,,,,,,,তাই হাল ছেড়োনা বন্ধুরা,,,, বিশ্বাস রেখ হৃদয়ে,,,,,,,দেখা হবে বিজয়ে,,,,,,,,,
শাহরিয়ার মাহমুদ শহীদ
সুপারিশকৃত অফিসার(জেনারেল)
সোনালী ব্যাংক লিমিটেড।
এতো ব্যর্থতার পরেও যে মানুষ দু'জন ছায়ার মতো আমার পাশে ছিলেন তাঁরা হচ্ছেন আমার জন্মদাতা মা-বাবা। আমার কাছে এ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দার্শনিক আমার মা-বাবা। আমার মা একদিন আমাকে বলেছিলেন "বাবা তোমার জন্য আল্লাহতাআলা যেটা বরাদ্দ করে রেখেছেন তুমি এখনও সেখানে পৌঁছাতে পারোনি"। একবার চিন্তা করুন কী কঠিন সত্য কথা এটি। বাবার কথা কী বলবো। তাঁর অনুপ্রেরণা না পেলে আজ হয়তো আমার এ অবস্থানে আসা হতোনা। প্রত্যেকবার পরীক্ষা শেষে ফোন অন করার পর প্রথম বাবার ফোন রিসিভ করতাম। চাতক পাখির মতো অপেক্ষায় থাকতেন আমার পরীক্ষা কেমন হয়েছে সেটি জানার জন্য। এই দীর্ঘ চার বছরে আমি তাঁকে যতোবার হতাশার কথা শুনিয়েছি তিনি ঠিক ততোবার আমাকে আশার কথা শুনিয়েছেন। বলতেন এবার হয়নি তো কী হয়েছে? পরেরবার অবশ্যই হবে। প্রথমদিকে আমার মনে হতো আসলেই পরেরবার হবে। কিন্তু বারবার ব্যর্থ হবার পরে মনে হতো এসব মিছে শান্ত্বনা ছাড়া আর কিছুইনা। আমি হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে দিতাম! বাবা বলতেন হাল ছেড়োনা, বান্দার চেষ্টা যেখানে শেষ, আল্লাহর রহমত সেখানে শুরু। কিভাবে তোমার চাকুরী হবে সেটা তুমিও বুঝতে পারবেনা। শেষ মুহূর্তে এসে চাকুরী হওয়ায় আমি বুঝতে পেরেছি আসলেই সন্তানের জীবনের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক তার মা-বাবা।
আজ যে সকল বন্ধুরা বেকার আছো তাদের উদ্দেশ্যে বলছি: এই যুগের নীতি হচ্ছে বিপদগ্রস্ত মানুষের কাছ থেকে দূরে সরে যাওয়া! তুমি বেকার আছো সুতরাং সমাজে তুমি বিপদগ্রস্তদের একজন! তোমার মাথায় হাত বুলিয়ে উৎসাহ দেয়ার লোক খুঁজে পাবেনা কিন্তু তোমাকে টেনে নিচে নামাবার লোকের অভাব নেই। তাই দাঁতে দাঁত কামড়ে সব সহ্য করে যাও। কারো সমালোচনার জবাব দেয়ার দরকার নেই। তুমি তোমার লক্ষ্যে অটুট থাকো। বাকিটা সময়ের হাতে ছেড়ে দাও। সময় সব কিছুর সুন্দর জবাব দিবে। মনে রাখবে, পরাজিত মানুষের গল্প কেউ শুনতে চায়না। বিজয়ী মানুষের গল্প সবাই আগ্রহ নিয়ে শোনে। চেঙ্গিস খাঁর গল্প আমরা শুনতে চাই কারণ তিনি জয়ী। তিনি যে সকল রাজাদের পরাজিত করেছেন তাদের তাদের গল্প আমরা শুনতে চাইনা কারন তারা পরাজিত। আজ যারা তোমার সমালোচনা করে তোমার সাফল্যে তারাই আবার তোমার জয়গান গাইবে। জীবনের মজাটা এখানেই,,,,,,,তাই হাল ছেড়োনা বন্ধুরা,,,, বিশ্বাস রেখ হৃদয়ে,,,,,,,দেখা হবে বিজয়ে,,,,,,,,,
শাহরিয়ার মাহমুদ শহীদ
সুপারিশকৃত অফিসার(জেনারেল)
সোনালী ব্যাংক লিমিটেড।