- Sat Jun 22, 2019 10:22 am#1473
আমি কাওকে ব্যাংকে চাকরীর জন্য নিরুৎসাহিত করছি না,শুধু বাস্তবতাটা জানিয়ে দিচ্ছি।
১. ব্যাংকে শুরুর সময় আছে সকাল ১০টায়, কিন্তু কখন শেষ হবে এটার কোন সীমা নাই।কোন কোন শাখা রাত ৭-৮টার আগে বের হওয়ার চিন্তাও করতে পারে না।
২. লাঞ্চ ব্রেক নামে ব্যাংকে কিছু নাই। এখানে আপনি খাওয়ার সময়টা পাবেন ততক্ষণ, যতক্ষণ কাস্টমার এসে আপনার টেবিলে দাড়ায়া চিল্লাফাল্লা না করবে।
৩. ব্যাংকে আপনার অধীনস্ত বলে কিছু নাই।এখানে আপনি অর্ডার দেয়ার মত কাওকে খুজে পাবেন না।বা নিজের বসগিরি ফলানোর জায়গা ব্যাংক না।এখানে জুনিয়র অফিসার থেকে সিনিয়র অফিসার সবাই একই কাজ করে।
৪. ব্যাংকের মূলমন্ত্র হইল কাস্টমার ইজ অলয়েজ রাইট।কাস্টমার থাপ্পর মারলেও আপনি চুপ থাকবেন এটাই ব্যাংক চায়(সিরিয়াসলি বলছি,কাস্টমার যাই করুক তাই রাইট,ব্যাংকার কিছু করলে সেটাই পাপ)। প্রাইভেট ব্যাংকগুলার অতি আল্ট্রা সার্ভিসের কারণে অশিক্ষিত মূর্খ মানুষজন ও ব্যাংকারকে ঝাড়ুদারের চেয়ে অধম মনে করে।মুখের উপর ভাউচার ছুড়ে দিয়ে কোন রকম কার্টেসী ছাড়াই বলে দিবে লিখে দেন।
৫. প্রাইভেট ব্যাংক হইলে তো আপনি টার্গেটের চিপায় কোন রকম বেচে থাকবেন। আর সরকারী ব্যাংকে থাকবেন সরকারী সেবামূলক হাজারো কাজের চাপে।শত শত টাইপের ভাতার কাজ করতে করতে জীবন হয়ে যাবে রোবটের মত।
৬. খাতাপত্রে শুক্র শনি ছুটি আছে ঠিকি,তবে দেখা যাবে ট্রেনিং,কনফারেন্স, লোন রিকভারি,টার্গেট এচিভ এর নাম করে শুক্র শনির ছুটিটাও অনেক সময় পাবেন না।বছরে ২০ দিন ছুটি আপনার প্রাপ্য থাকলেই অনেকে বছরে ২ দিন ও নিতে পারে না।
৭. টাকা পয়সার যেহেতু খেলা, রিক্স তো আছে এটা বলার মাইনে রাখে না।ক্যাশে জব হইলে টাকা না মিললে নিজের পকেট থেকেই দেয়া লাগবে।জেনারেলে কাজ করে কপাল খারাপ থাকলে আপনার পকেট ও ফাকা হতে পারে।
৮. ব্যাংকের যে কাজ ওটা ক্লাস এইট পাশ যে কেও পারবে। উপরের লেভেল ছাড়া ব্যাংকে নিজের মেধাবুদ্ধি বা ক্রিয়েটিভিটি দেখানোর জায়গা অনেক কম। এখানে রোবট টাইপ কাজ,খাটি বাংলায় বলতে কেরানী টাইপ কাজ-ই।প্রতিদিন ঢুকবেন,প্রতিদিন একই কাজ করবেন,বের হয়ে যাবেন।দ্যাটস ইট।
আপনি অব্যশ্যই ব্যাংকে চাকরী করবেন,চাকরীটাই আপনার দরকার।কিন্তু ব্যাংকের চাকরী নিয়ে এত্ত হাই লেভেলের প্রত্যাশা রেখে ব্যাংকে জয়েন কইরেন না।দেশে চাকরীর বাজারের যে অবস্থা তাতে ব্যাংকের চাকরীই সবচেয়ে এভেইলেবল।জেনে শুনে আসুন,তবেই চাকরীটা উপভোগ করতে পারবেন।
Collected
১. ব্যাংকে শুরুর সময় আছে সকাল ১০টায়, কিন্তু কখন শেষ হবে এটার কোন সীমা নাই।কোন কোন শাখা রাত ৭-৮টার আগে বের হওয়ার চিন্তাও করতে পারে না।
২. লাঞ্চ ব্রেক নামে ব্যাংকে কিছু নাই। এখানে আপনি খাওয়ার সময়টা পাবেন ততক্ষণ, যতক্ষণ কাস্টমার এসে আপনার টেবিলে দাড়ায়া চিল্লাফাল্লা না করবে।
৩. ব্যাংকে আপনার অধীনস্ত বলে কিছু নাই।এখানে আপনি অর্ডার দেয়ার মত কাওকে খুজে পাবেন না।বা নিজের বসগিরি ফলানোর জায়গা ব্যাংক না।এখানে জুনিয়র অফিসার থেকে সিনিয়র অফিসার সবাই একই কাজ করে।
৪. ব্যাংকের মূলমন্ত্র হইল কাস্টমার ইজ অলয়েজ রাইট।কাস্টমার থাপ্পর মারলেও আপনি চুপ থাকবেন এটাই ব্যাংক চায়(সিরিয়াসলি বলছি,কাস্টমার যাই করুক তাই রাইট,ব্যাংকার কিছু করলে সেটাই পাপ)। প্রাইভেট ব্যাংকগুলার অতি আল্ট্রা সার্ভিসের কারণে অশিক্ষিত মূর্খ মানুষজন ও ব্যাংকারকে ঝাড়ুদারের চেয়ে অধম মনে করে।মুখের উপর ভাউচার ছুড়ে দিয়ে কোন রকম কার্টেসী ছাড়াই বলে দিবে লিখে দেন।
৫. প্রাইভেট ব্যাংক হইলে তো আপনি টার্গেটের চিপায় কোন রকম বেচে থাকবেন। আর সরকারী ব্যাংকে থাকবেন সরকারী সেবামূলক হাজারো কাজের চাপে।শত শত টাইপের ভাতার কাজ করতে করতে জীবন হয়ে যাবে রোবটের মত।
৬. খাতাপত্রে শুক্র শনি ছুটি আছে ঠিকি,তবে দেখা যাবে ট্রেনিং,কনফারেন্স, লোন রিকভারি,টার্গেট এচিভ এর নাম করে শুক্র শনির ছুটিটাও অনেক সময় পাবেন না।বছরে ২০ দিন ছুটি আপনার প্রাপ্য থাকলেই অনেকে বছরে ২ দিন ও নিতে পারে না।
৭. টাকা পয়সার যেহেতু খেলা, রিক্স তো আছে এটা বলার মাইনে রাখে না।ক্যাশে জব হইলে টাকা না মিললে নিজের পকেট থেকেই দেয়া লাগবে।জেনারেলে কাজ করে কপাল খারাপ থাকলে আপনার পকেট ও ফাকা হতে পারে।
৮. ব্যাংকের যে কাজ ওটা ক্লাস এইট পাশ যে কেও পারবে। উপরের লেভেল ছাড়া ব্যাংকে নিজের মেধাবুদ্ধি বা ক্রিয়েটিভিটি দেখানোর জায়গা অনেক কম। এখানে রোবট টাইপ কাজ,খাটি বাংলায় বলতে কেরানী টাইপ কাজ-ই।প্রতিদিন ঢুকবেন,প্রতিদিন একই কাজ করবেন,বের হয়ে যাবেন।দ্যাটস ইট।
আপনি অব্যশ্যই ব্যাংকে চাকরী করবেন,চাকরীটাই আপনার দরকার।কিন্তু ব্যাংকের চাকরী নিয়ে এত্ত হাই লেভেলের প্রত্যাশা রেখে ব্যাংকে জয়েন কইরেন না।দেশে চাকরীর বাজারের যে অবস্থা তাতে ব্যাংকের চাকরীই সবচেয়ে এভেইলেবল।জেনে শুনে আসুন,তবেই চাকরীটা উপভোগ করতে পারবেন।
Collected