- Thu Oct 22, 2020 11:44 am#3866
ক. নাম বিশেষণ: যে বিশেষণ পদ কোনো বিশেষ্য বা সর্বনাম পদকে বিশেষিত করে, তাকে বিশেষণ বলে। যথা:
বিশেষ্যের বিশেষণ: ধাতুর শেষে অন্ত প্রত্যয় যোগ করে গঠিত পদটি বিশেষ্যের বিশেষণ হয়। যেমন:
√চল+অন্ত=চলন্ত (বিশেষ্যের বিশেষণ)
√পড়+অন্ত=পড়ন্ত (বিশেষ্যের বিশেষণ)
সর্বনামের বিশেষণ: মেঘনা বড় নদী।
এই আমি আর নই একা।
খ.ভাব বিশেষণ: যে পদ বিশেষ্য ও সর্বনাম ভিন্ন অন্য পদকে বিশেষিত করে তাই ভাব বিশেষণ।
ভাব বিশেষণ চার প্রকার। যথা:
১.ক্রিয়া বিশেষণ
২.বিশেষণেল বিশেষণ
৩.অব্যয়ের বিশেষণ
৪.বাক্যের বিশেষণ
ক্রিয়া বিশেষণ: যে পদ ক্রিয়া সংগঠনের ভাব, কাল বা রূপ নির্দেশ করে, তাই ক্রিয়া বিশেষণ। যথা:
বাতাস ধীরে বইছে।
সে খুব তাড়াতাড়ি হাটিল।
বিশেষণীয় বিশেষণ: যে পদ নাম বিশেষণ অথবা ক্রিয়া বিশেষণকে বিশেষিত করে, তাকে বিশেষনীয় বিশেষণ বলে। যথা:
সামান্য একটু দুধ দাও।
অতিশয় মন্দ কথা।
অব্যয়ের বিশেষণ: যে ভাব বিশেষণ অব্যয় পদ অথবা অব্যয় পদের অর্ধেক বিশেষিত করে, তাকে অব্যয়ের বিশেষণ বলে। যথা –
ধিক তারে, শত ধিক নিলজ্জ যে জন।
বাক্যের বিশেষণ: কখনো কখনো কোনো বিশেষণ পদ একটি সম্পূর্ণ বাক্যকে বিশেষিত করতে পারে, তখন তাকে বাক্যের বিশেষণ বলা হয়। যেমন-
দুর্ভাগ্যক্রমে দেশ আবার নানা সমস্যাজালে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে।
বাস্তবিকই আজ আমাদের কঠিন পরিশ্রমের প্রয়োজন।
বিশেষণের অতিশায়ন: বিশেষণ পদ যখন দুই বা ততোধিক বিশেষ্য পদের মধ্যে গুণ, অবস্থা, পরিমাণ প্রভৃতি বিষয়ে তুলনায় একের উৎকর্ষ বুঝিয়ে থাকে তাকে বিশেষণের অতিশায়ণ বলে। যেমন-
তৎসম শব্দের অতিশায়ন:
দুয়ের মধ্যে ‘তর’ এবং বহুর মধ্যে ‘তম’ প্রত্যয় যুক্ত হয়ে থাকে। যেমন:
দীর্ঘ – দীর্ঘতর – দীর্ঘতম
দুয়ের মধ্যে তুলনায় ‘ঈয়স’ প্রত্যয় এবং বহুর মধ্যে তুলনায় ‘ইষ্ঠ প্রত্যয় যুক্ত হয়।
লঘু – লঘীয়ান – লঘিষ্ঠ
শ্রেয় – শ্রেয়ান – শ্রেষ্ঠ
অল্প – কনীয়ান – কণিষ্ঠ
বাংলা শব্দের অতিশায়ন:
ক.দুয়ের মধ্যে অতিশায়ন:
চাইতে, চেয়ে, হইতে, হতে, অপেক্ষা, থেকে ইত্যাদি শব্দ ব্যবহৃত হয়। যথা:
গরুর থেকে ঘোড়ার দাম বেশি।
বাঘের চেয়ে সিংহ বলবান
কখনো কোনো শব্দে ষষ্ঠী বিভক্তি – চেয়ে, থেকে প্রভৃতি শব্দের কার্যসাধন করে। যথা:
এ মাটি সোনার বাড়া।
খ.বহুর মধ্যে অতিশায়ন:
সবচাইতে, সবচেয়ে, সবথেকে, সর্বাপেক্ষা, সর্বাধিক প্রভৃতি শব্দ ব্যবহার হয়। যথা:
ভাইদের মধ্যে রাসেলই সবচাইতে বিচক্ষণ।
বিশেষ্যের বিশেষণ: ধাতুর শেষে অন্ত প্রত্যয় যোগ করে গঠিত পদটি বিশেষ্যের বিশেষণ হয়। যেমন:
√চল+অন্ত=চলন্ত (বিশেষ্যের বিশেষণ)
√পড়+অন্ত=পড়ন্ত (বিশেষ্যের বিশেষণ)
সর্বনামের বিশেষণ: মেঘনা বড় নদী।
এই আমি আর নই একা।
খ.ভাব বিশেষণ: যে পদ বিশেষ্য ও সর্বনাম ভিন্ন অন্য পদকে বিশেষিত করে তাই ভাব বিশেষণ।
ভাব বিশেষণ চার প্রকার। যথা:
১.ক্রিয়া বিশেষণ
২.বিশেষণেল বিশেষণ
৩.অব্যয়ের বিশেষণ
৪.বাক্যের বিশেষণ
ক্রিয়া বিশেষণ: যে পদ ক্রিয়া সংগঠনের ভাব, কাল বা রূপ নির্দেশ করে, তাই ক্রিয়া বিশেষণ। যথা:
বাতাস ধীরে বইছে।
সে খুব তাড়াতাড়ি হাটিল।
বিশেষণীয় বিশেষণ: যে পদ নাম বিশেষণ অথবা ক্রিয়া বিশেষণকে বিশেষিত করে, তাকে বিশেষনীয় বিশেষণ বলে। যথা:
সামান্য একটু দুধ দাও।
অতিশয় মন্দ কথা।
অব্যয়ের বিশেষণ: যে ভাব বিশেষণ অব্যয় পদ অথবা অব্যয় পদের অর্ধেক বিশেষিত করে, তাকে অব্যয়ের বিশেষণ বলে। যথা –
ধিক তারে, শত ধিক নিলজ্জ যে জন।
বাক্যের বিশেষণ: কখনো কখনো কোনো বিশেষণ পদ একটি সম্পূর্ণ বাক্যকে বিশেষিত করতে পারে, তখন তাকে বাক্যের বিশেষণ বলা হয়। যেমন-
দুর্ভাগ্যক্রমে দেশ আবার নানা সমস্যাজালে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে।
বাস্তবিকই আজ আমাদের কঠিন পরিশ্রমের প্রয়োজন।
বিশেষণের অতিশায়ন: বিশেষণ পদ যখন দুই বা ততোধিক বিশেষ্য পদের মধ্যে গুণ, অবস্থা, পরিমাণ প্রভৃতি বিষয়ে তুলনায় একের উৎকর্ষ বুঝিয়ে থাকে তাকে বিশেষণের অতিশায়ণ বলে। যেমন-
তৎসম শব্দের অতিশায়ন:
দুয়ের মধ্যে ‘তর’ এবং বহুর মধ্যে ‘তম’ প্রত্যয় যুক্ত হয়ে থাকে। যেমন:
দীর্ঘ – দীর্ঘতর – দীর্ঘতম
দুয়ের মধ্যে তুলনায় ‘ঈয়স’ প্রত্যয় এবং বহুর মধ্যে তুলনায় ‘ইষ্ঠ প্রত্যয় যুক্ত হয়।
লঘু – লঘীয়ান – লঘিষ্ঠ
শ্রেয় – শ্রেয়ান – শ্রেষ্ঠ
অল্প – কনীয়ান – কণিষ্ঠ
বাংলা শব্দের অতিশায়ন:
ক.দুয়ের মধ্যে অতিশায়ন:
চাইতে, চেয়ে, হইতে, হতে, অপেক্ষা, থেকে ইত্যাদি শব্দ ব্যবহৃত হয়। যথা:
গরুর থেকে ঘোড়ার দাম বেশি।
বাঘের চেয়ে সিংহ বলবান
কখনো কোনো শব্দে ষষ্ঠী বিভক্তি – চেয়ে, থেকে প্রভৃতি শব্দের কার্যসাধন করে। যথা:
এ মাটি সোনার বাড়া।
খ.বহুর মধ্যে অতিশায়ন:
সবচাইতে, সবচেয়ে, সবথেকে, সর্বাপেক্ষা, সর্বাধিক প্রভৃতি শব্দ ব্যবহার হয়। যথা:
ভাইদের মধ্যে রাসেলই সবচাইতে বিচক্ষণ।