- Tue Dec 03, 2019 7:07 am#2086
ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব বিধান
ণত্ব বিধানঃ বাংলা ভাষায বহু তৎসম বা সংস্কৃত শব্দে মূর্ধন্য-ণ এবং দন্ত্য-ন এর ব্যবহার আছে। তা বাংলায় অবিকৃত ভাবে রক্ষিত হয়। তৎসম শব্দের বানানে ণ এর সঠিক ব্যবহারের নিয়মই ণত্ব বিধান।
ণ ব্যবহারের নিয়ম:
• ট-বর্গীয় ধ্বনির আগে দন্ত্য ন ব্যবহৃত হয়ে যুক্ত ব্যঞ্জন গঠিত হলে, সব সময় মূর্ধন্য ণ হয়। যেমন- ঘন্টা, লণ্ঠন, কাণ্ড, বণ্টন ইত্যাদি।
• ঋ, র,ষ-এর পরে মুর্ধন্য ণ হয়। যেমন: ঋণ, তৃণ, বর্ণ, বর্ণনা, কারণ, মরণ, ব্যাকরণ, ভীষণ, ভাষণ, উষ্ণ ইত্যাদি।
• ঋ, র, ষ এর পরে স্বরধ্বনি, হ, য়, ব, ং এবং ক-বর্গীয় ও প-বর্গীয় ধ্বনি থাকলে পরবর্তী ন মূর্ধন্য ণ হয়। যেমন: কৃপণ (ঋ কারের পরে প, তার পরে ণ), হরিণ ( র এর পরে ই, তার পরে ণ), অর্পণ ( র্+প্+অ+ণ), লক্ষণ (ক্ +ষ্+ অ +ণ)। এরূপ রামায়ণ, রূপায়ণ, ব্রাহ্মণ, ভ্রমণ, নিরূপণ ইত্যাদি।
• কতকগুলো শব্দে স্বভাবতই ণ হয় (নিত্য মূর্ধণ্য- ণ):
চাণক্য মাণিক্য গণ বাণিজ্য লবণ মণ
বেণু বীণা কঙ্কণ কণিকা।
কল্যাণ শোণিত মণি স্থাণু গুণ পুণ্য বেণী
ফণী অণু বিপণি গণিকা।
আপণ লাবণ্য বাণী নিপুণ ভণিতা পাণি
গৌণ কোণ ভাণ পণ শাণ।
চিক্কণ নিক্কণ তূণ কফোণি বণিক গুণ
গণনা পিণাক পণ্য বাণ।
ণত্ব বিধান প্রযোজ্য নয়:
• বাংলা (দেশী), তদ্ভব ও বিদেশী শব্দের বানানে মূর্ধন্য বর্ণ (ণ) লেখার প্রয়োজন হয় না।
• সমাসবদ্ধ শব্দে সাধারণত ণত্ব বিধান খাটে না। এরূপ ক্ষেত্রে ন হয়। যেমন-ত্রিনয়ন, সর্বনাম, দুর্নীতি, দুর্নাম, দুর্নিবার পরনিন্দা, অগ্রনায়ক।
• ত বর্গীয় বর্ণেও সঙ্গে যুক্ত ন কখনো ণ হয় না, ন হয়। যেমন: অন্ত, গ্রন্থ, ক্রন্দন।
বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর
১. ণত্ব বিধি সাধারণত কোন শব্দে প্রযোজ্য? (২৪ তম বিসিএস)
- তৎসম
২. ণত্ব-বিধান কি? [জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর উপসহকারী পরিচালকঃ০১)
- তৎসম শব্দের রীতি
৩. ‘কন্টক’ বানান কোন নিয়মে হয়? [রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা, সংস্কৃতঃ ০৯-১০]
- ণ-ত্ব বিধান
৪. কোনটি শুদ্ধ বানান? [ থানা সহকারী শিক্ষা অফিসারঃ৯৯]
- বণ্টন
৫. কোন বানান শুদ্ধ? [থানা সহকারী শিক্ষা অফিসারঃ০৫]
- পুণ্য
৬. কোন বানানটি শুদ্ধ? [১২তম বিসিএস]
- পাষাণ
৭. কোন বানানটি শুদ্ধ? [বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বিজ্ঞাপন আধিকারিক (গ্রেড২): ০৬]
- ব্যাকরণ
৮. কোনটি শুদ্ধ বানান? [বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সহকারী অফিসারঃ ০৭/থানা নির্বাচন অফিসারঃ ০৪]
- নির্নিমেষ
৯. কোন বানানটি শুদ্ধ? [রাজশাহী বিশ্ববিদ্যাল ভর্তি পরীক্ষা, সমাজকর্মঃ ০৯-১০]
- অগ্রহায়ণ
১০. কোন বানানটি শুদ্ধ? [প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষকঃ ১০]
- রূপায়ণ
১১. কোন বানানটি সঠিক? [যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তাঃ ০৬]
- ষাণ্মাসিক
১২. কোনটি শুদ্ধ বানান? [ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে সহকারী শ্রম অফিসারঃ ০৩]
- ত্রিহায়ন
১৩. বাংলা বানানের নিয়ম অনুসারে নিচের কোনটি শুদ্ধ? [স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে স্বাস্থ্য সহকারীঃ ১০]
- গভর্নর
১৪. শুদ্ধ বানানটি চিহ্নিত করুন। [সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের প্রসাশনিক কর্মকর্তাঃ০৭]
- মূর্ধন্য
১৫. কোন বানানে ণ-ত্ব বিধান পালিত হয়নি? [ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে সহকারী পরিচালকঃ০৬]
- কোরান
১৬. ণ-ত্ব বিধান অনুসারে ভুল বানান আছে- [জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা, ক ইউনিটঃ ১০-১১]
- মূল্যায়ণ, নিরূপন
১৭. কোনটি শুদ্ধ বানান? [জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা, ক ইউনিটঃ ১০-১১]
- ধরন
ষ-ত্ব বিধানঃ
যে সব তৎসম ষ রয়েছে তা বাংলায় অবিকৃত রয়েছে। তৎসম শব্দের বানানে মূর্ধন্য ষ এর ব্যবহারের নিয়মকে ষ-ত্ব বিধান বলে।
ষ ব্যবহারের নিয়ম:
• অ, আ ভিন্ন অন্য স্বরধ্বনি এবং ক ও র এর পরের স থাকলে তা ষ হয়। যেমন: ভবিষ্যৎ (ভ্+অ+ব্+ ই+ ষ্- ব্ এর পরে ই এর ব্যবধান) মুমূর্ষু, চক্ষুষ্মান, চিকীর্ষা, নিষুতি ইত্যাদি।
• ই-কারান্ত এবং উ-কারান্ত উপসর্গের পর কতকগুলো ধাতুতে ষ হয়। যেমন-
অভিসেক>অভিষেক, সুসুপ্ত>সুষুপ্ত অনুসঙ্গ>অনুষঙ্গ,
প্রতিসেধক>প্রতিষেধক বিসম>বিষম অনুস্থান>অনুষ্ঠান
প্রতিস্থান>প্রতিষ্ঠান সুসমা>সুষমা
• ঋ-কার ও র-এর পর ষ হয়। যেমন: ঋষি, কৃষক, তৃষ্ণা, উৎকৃষ্ট, বৃষ্টি, কৃষ্টি, দৃষ্টি, সৃষ্টি, বর্ষা, বর্ষণ ইত্যাদি।
• ট ও ঠ এর সঙ্গে যুক্ত হলে দন্ত্য-স না হয়ে মূর্ধন্য ষ হয়। যেমন - কষ্ট, স্পষ্ট, নষ্ট, কাষ্ঠ, ওষ্ঠ।
• কতকগুলো শব্দে স্বভাবতই মূর্ধন্য ষ হয় (নিত্য মূর্ধণ্য-ষ)। যেমন:
আষাঢ়
ভাষা
ষোড়শ
ষট্
আভাষ
ঊষর
ঔষধ
বিশেষ
শেষ
কলুষ
কোষ
পুরুষ
ভাষণ
তোষণ
বিষাণ
ভূষণ
ভাষ্য
অভিলাষ
ষড়যন্ত্র
ঈষৎ
পৌষ
ষণ্ড
পোষণ
ঊষা
পাষাণ
সরিষা
মানুষ
দূষণ
মেষ
রোষ
প্রত্যূষ
শোষণ
ষত্ব বিধান প্রযোজ্য নয়:
• দেশী, তদ্ভব ও বিদেশী শব্দের বানানে মূর্ধন্য ষ লেখার প্রয়োজন হয় না। যেমন : জিনিস, পোশাক, মাস্টার, পোস্ট ইত্যাদি বিদেশী ভাষা থেকে আগত শব্দে ষ হয় না।
• সংস্কৃত সাৎ প্রত্যয়যুক্ত পদেও ষ হয় না। যেমন- অগ্নিসাৎ, ধূলিসাৎ, ভূমিসাৎ ইত্যাদি।
বিভিন্ন প্রতিযোগিতামুলক পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর
১. নিত্য মূর্ধন্য-ষ কোন শব্দে বর্তমান? [২৪তম বিসিএস/২০তম বিসিএস]
- আষাঢ়
২. নিচের কোন শব্দে কোন নিয়ম ছাড়াই মূর্ধন্য-ষ বসেছে? [ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা, ঘ ইউনিটঃ ০৯-১০]
- ভাষ্য
৩. কোন শব্দটির বানান সঠিক? [ আবহাওয়া অধিদপ্তরের অধীনে সহকারী আবহাওয়াবিদঃ০০]
- দূষণীয়
৪. শুদ্ধ বানানটি হচ্ছে- [ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (সহ-ভূতত্ত্ববিদ): ০৬]
- নিষুতি
৫. ষ-ত্ব বিধানের ব্যতিক্রম কোনটি? [ শ্রম পরিদপ্তরের সহকারী শ্রম পরিচালক: ০৬]
- অফিস
ণত্ব বিধানঃ বাংলা ভাষায বহু তৎসম বা সংস্কৃত শব্দে মূর্ধন্য-ণ এবং দন্ত্য-ন এর ব্যবহার আছে। তা বাংলায় অবিকৃত ভাবে রক্ষিত হয়। তৎসম শব্দের বানানে ণ এর সঠিক ব্যবহারের নিয়মই ণত্ব বিধান।
ণ ব্যবহারের নিয়ম:
• ট-বর্গীয় ধ্বনির আগে দন্ত্য ন ব্যবহৃত হয়ে যুক্ত ব্যঞ্জন গঠিত হলে, সব সময় মূর্ধন্য ণ হয়। যেমন- ঘন্টা, লণ্ঠন, কাণ্ড, বণ্টন ইত্যাদি।
• ঋ, র,ষ-এর পরে মুর্ধন্য ণ হয়। যেমন: ঋণ, তৃণ, বর্ণ, বর্ণনা, কারণ, মরণ, ব্যাকরণ, ভীষণ, ভাষণ, উষ্ণ ইত্যাদি।
• ঋ, র, ষ এর পরে স্বরধ্বনি, হ, য়, ব, ং এবং ক-বর্গীয় ও প-বর্গীয় ধ্বনি থাকলে পরবর্তী ন মূর্ধন্য ণ হয়। যেমন: কৃপণ (ঋ কারের পরে প, তার পরে ণ), হরিণ ( র এর পরে ই, তার পরে ণ), অর্পণ ( র্+প্+অ+ণ), লক্ষণ (ক্ +ষ্+ অ +ণ)। এরূপ রামায়ণ, রূপায়ণ, ব্রাহ্মণ, ভ্রমণ, নিরূপণ ইত্যাদি।
• কতকগুলো শব্দে স্বভাবতই ণ হয় (নিত্য মূর্ধণ্য- ণ):
চাণক্য মাণিক্য গণ বাণিজ্য লবণ মণ
বেণু বীণা কঙ্কণ কণিকা।
কল্যাণ শোণিত মণি স্থাণু গুণ পুণ্য বেণী
ফণী অণু বিপণি গণিকা।
আপণ লাবণ্য বাণী নিপুণ ভণিতা পাণি
গৌণ কোণ ভাণ পণ শাণ।
চিক্কণ নিক্কণ তূণ কফোণি বণিক গুণ
গণনা পিণাক পণ্য বাণ।
ণত্ব বিধান প্রযোজ্য নয়:
• বাংলা (দেশী), তদ্ভব ও বিদেশী শব্দের বানানে মূর্ধন্য বর্ণ (ণ) লেখার প্রয়োজন হয় না।
• সমাসবদ্ধ শব্দে সাধারণত ণত্ব বিধান খাটে না। এরূপ ক্ষেত্রে ন হয়। যেমন-ত্রিনয়ন, সর্বনাম, দুর্নীতি, দুর্নাম, দুর্নিবার পরনিন্দা, অগ্রনায়ক।
• ত বর্গীয় বর্ণেও সঙ্গে যুক্ত ন কখনো ণ হয় না, ন হয়। যেমন: অন্ত, গ্রন্থ, ক্রন্দন।
বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর
১. ণত্ব বিধি সাধারণত কোন শব্দে প্রযোজ্য? (২৪ তম বিসিএস)
- তৎসম
২. ণত্ব-বিধান কি? [জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর উপসহকারী পরিচালকঃ০১)
- তৎসম শব্দের রীতি
৩. ‘কন্টক’ বানান কোন নিয়মে হয়? [রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা, সংস্কৃতঃ ০৯-১০]
- ণ-ত্ব বিধান
৪. কোনটি শুদ্ধ বানান? [ থানা সহকারী শিক্ষা অফিসারঃ৯৯]
- বণ্টন
৫. কোন বানান শুদ্ধ? [থানা সহকারী শিক্ষা অফিসারঃ০৫]
- পুণ্য
৬. কোন বানানটি শুদ্ধ? [১২তম বিসিএস]
- পাষাণ
৭. কোন বানানটি শুদ্ধ? [বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বিজ্ঞাপন আধিকারিক (গ্রেড২): ০৬]
- ব্যাকরণ
৮. কোনটি শুদ্ধ বানান? [বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সহকারী অফিসারঃ ০৭/থানা নির্বাচন অফিসারঃ ০৪]
- নির্নিমেষ
৯. কোন বানানটি শুদ্ধ? [রাজশাহী বিশ্ববিদ্যাল ভর্তি পরীক্ষা, সমাজকর্মঃ ০৯-১০]
- অগ্রহায়ণ
১০. কোন বানানটি শুদ্ধ? [প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষকঃ ১০]
- রূপায়ণ
১১. কোন বানানটি সঠিক? [যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তাঃ ০৬]
- ষাণ্মাসিক
১২. কোনটি শুদ্ধ বানান? [ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে সহকারী শ্রম অফিসারঃ ০৩]
- ত্রিহায়ন
১৩. বাংলা বানানের নিয়ম অনুসারে নিচের কোনটি শুদ্ধ? [স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে স্বাস্থ্য সহকারীঃ ১০]
- গভর্নর
১৪. শুদ্ধ বানানটি চিহ্নিত করুন। [সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের প্রসাশনিক কর্মকর্তাঃ০৭]
- মূর্ধন্য
১৫. কোন বানানে ণ-ত্ব বিধান পালিত হয়নি? [ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে সহকারী পরিচালকঃ০৬]
- কোরান
১৬. ণ-ত্ব বিধান অনুসারে ভুল বানান আছে- [জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা, ক ইউনিটঃ ১০-১১]
- মূল্যায়ণ, নিরূপন
১৭. কোনটি শুদ্ধ বানান? [জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা, ক ইউনিটঃ ১০-১১]
- ধরন
ষ-ত্ব বিধানঃ
যে সব তৎসম ষ রয়েছে তা বাংলায় অবিকৃত রয়েছে। তৎসম শব্দের বানানে মূর্ধন্য ষ এর ব্যবহারের নিয়মকে ষ-ত্ব বিধান বলে।
ষ ব্যবহারের নিয়ম:
• অ, আ ভিন্ন অন্য স্বরধ্বনি এবং ক ও র এর পরের স থাকলে তা ষ হয়। যেমন: ভবিষ্যৎ (ভ্+অ+ব্+ ই+ ষ্- ব্ এর পরে ই এর ব্যবধান) মুমূর্ষু, চক্ষুষ্মান, চিকীর্ষা, নিষুতি ইত্যাদি।
• ই-কারান্ত এবং উ-কারান্ত উপসর্গের পর কতকগুলো ধাতুতে ষ হয়। যেমন-
অভিসেক>অভিষেক, সুসুপ্ত>সুষুপ্ত অনুসঙ্গ>অনুষঙ্গ,
প্রতিসেধক>প্রতিষেধক বিসম>বিষম অনুস্থান>অনুষ্ঠান
প্রতিস্থান>প্রতিষ্ঠান সুসমা>সুষমা
• ঋ-কার ও র-এর পর ষ হয়। যেমন: ঋষি, কৃষক, তৃষ্ণা, উৎকৃষ্ট, বৃষ্টি, কৃষ্টি, দৃষ্টি, সৃষ্টি, বর্ষা, বর্ষণ ইত্যাদি।
• ট ও ঠ এর সঙ্গে যুক্ত হলে দন্ত্য-স না হয়ে মূর্ধন্য ষ হয়। যেমন - কষ্ট, স্পষ্ট, নষ্ট, কাষ্ঠ, ওষ্ঠ।
• কতকগুলো শব্দে স্বভাবতই মূর্ধন্য ষ হয় (নিত্য মূর্ধণ্য-ষ)। যেমন:
আষাঢ়
ভাষা
ষোড়শ
ষট্
আভাষ
ঊষর
ঔষধ
বিশেষ
শেষ
কলুষ
কোষ
পুরুষ
ভাষণ
তোষণ
বিষাণ
ভূষণ
ভাষ্য
অভিলাষ
ষড়যন্ত্র
ঈষৎ
পৌষ
ষণ্ড
পোষণ
ঊষা
পাষাণ
সরিষা
মানুষ
দূষণ
মেষ
রোষ
প্রত্যূষ
শোষণ
ষত্ব বিধান প্রযোজ্য নয়:
• দেশী, তদ্ভব ও বিদেশী শব্দের বানানে মূর্ধন্য ষ লেখার প্রয়োজন হয় না। যেমন : জিনিস, পোশাক, মাস্টার, পোস্ট ইত্যাদি বিদেশী ভাষা থেকে আগত শব্দে ষ হয় না।
• সংস্কৃত সাৎ প্রত্যয়যুক্ত পদেও ষ হয় না। যেমন- অগ্নিসাৎ, ধূলিসাৎ, ভূমিসাৎ ইত্যাদি।
বিভিন্ন প্রতিযোগিতামুলক পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর
১. নিত্য মূর্ধন্য-ষ কোন শব্দে বর্তমান? [২৪তম বিসিএস/২০তম বিসিএস]
- আষাঢ়
২. নিচের কোন শব্দে কোন নিয়ম ছাড়াই মূর্ধন্য-ষ বসেছে? [ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা, ঘ ইউনিটঃ ০৯-১০]
- ভাষ্য
৩. কোন শব্দটির বানান সঠিক? [ আবহাওয়া অধিদপ্তরের অধীনে সহকারী আবহাওয়াবিদঃ০০]
- দূষণীয়
৪. শুদ্ধ বানানটি হচ্ছে- [ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (সহ-ভূতত্ত্ববিদ): ০৬]
- নিষুতি
৫. ষ-ত্ব বিধানের ব্যতিক্রম কোনটি? [ শ্রম পরিদপ্তরের সহকারী শ্রম পরিচালক: ০৬]
- অফিস