Get on Google Play

দৈনন্দিন বিজ্ঞান বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান
#6982
১. জ্যোতির্বিজ্ঞান হল পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাইরে অবস্থিত বস্তু ও সংগঠিত ঘটনাবলী এবং সেগুলোর প্রাকৃতিক ও রাসায়নিক গুণাবলীর পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা।
২. জ্যোতির্বিজ্ঞান বিশেষজ্ঞদের বলা হয় জ্যোর্তি বিজ্ঞানী।
৩. জ্যোতিষ শাস্ত্র বিশারদকে বলে জ্যোতিষী।
৪. মহাশূন্যে অবস্থিত বস্তুসমূহ কেই জ্যোতিষ্ক বা স্বর্গীয় বস্তু বলে। পৃথিবী ব্যতীত অন্য সব বস্তু এর অন্তর্ভুক্ত।
৫. অপরদিকে পৃথিবীর সব মহাবিশ্বে যাবতীয় বস্তু কে
জ্যোতির্বিজ্ঞানিক বস্তু বলা হয়।
৬. জ্যোতিষ্ক প্রধানত সাত প্রকার।
-নীহারিকা, নক্ষত্র ,গ্রহ ,উপগ্রহ, ছায়াপথ, ধুমকেতু, উল্কা।
৭. যেসব জ্যোতিষ্কের নিজের আলো আছে তাদের নক্ষত্র বলে।অর্থাৎ রাতে মেঘমুক্ত আকাশের দিকে তাকালে অনেক আলোক বিন্দু মিটমিট করে জ্বলতে দেখা যায় এদেরকে নক্ষত্র বলে ।
৮. নক্ষত্রগুলো হল জলন্ত গ্যাস পিণ্ড এরা হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাস দ্বারা তৈরি।
৯. আকাশে উজ্জ্বলতম নক্ষত্রের নাম লুব্ধক।
১০. পৃথিবীর নিকটতম নক্ষত্র সূর্য।
১১. সপ্তর্ষিমণ্ডল
-উত্তর আকাশের কাছাকাছি যে সাতটি উজ্জ্বল নক্ষত্র দেখা যায় তার নাম সপ্তর্ষিমণ্ডল।
-সাতজন ঋষির নাম অনুসারীরা পরিচিত।
-জ্যামিতিক রেখা দিয়ে যুক্ত করলে ? চিহ্নের মতো দেখায়।
১২. কালপুরুষ
-কালপুরুষ এর অপর নাম আদমসুরত।
-এটির ধনুক হাতে শিকারীর মত দেখতে।
১৩. গ্যালাক্সি
-মহাকাশের গ্রহ, নক্ষত্র ,ধূলিকণা, ধুমকেতু ,বাষ্প কুন্ডের এক বিশাল সমাবেশে গ্যালাক্সি বা নক্ষত্র মন্ডল বলে।
-এদের বিভিন্ন আকার আকৃতি থাকলেও অধিকাংশই সর্পিলাকার বা উপবৃত্তাকার।
১৪. ছায়াপথ
-কোন একটা গ্যালাক্সির ক্ষুদ্র অংশকে ছায়াপথ বা আকাশগঙ্গা বলে ।
-অন্ধকার আকাশে এদের উজ্জ্বল দীপ্তি দীর্ঘপথের মত দেখায়।
-একটি ছায়াপথ লক্ষ-কোটি নক্ষত্রের সমষ্টি।
১৫. কোন ছায়াপথ তার নিজ অক্ষকে কেন্দ্র করে একবার ঘুরে আসতে যে সময় এর প্রয়োজন হয় তাকে কসমিক ইয়ার বলে।
১৬. পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের ছায়াপথ অ্যান্ডোমিডা।
১৭. ধুমকেতু
-মহাকাশে মাঝে মাঝে এক প্রকার জ্যোতিষ্কের এর আবির্ভাব ঘটে ,এদের একটি মাথা ও একটি লেজ, এসব জ্যোতিষ্ককে বলে ধুমকেতু।
১৮. হ্যালির ধূমকেতু
-জ্যোতিষ বিজ্ঞানে এডমন্ড হ্যালি এটি আবিষ্কার করেন।
-এটি দেখা যায় খ্রিস্টপূর্বে ২৪০ অব্দ থেকে।
-এটি ৭৫/৭৬ বছর পর পর দেখা যায়।
-সর্বশেষে দেখা গেছে ১৯৮৬ সালে।
১৯. লাইনিয়ার একাবিংশ শতাব্দীর প্রথম ধুমকেতু।
২০. উল্কা
-মহাশূন্যে অজস্র জড়পিন্ড ভেসে বেড়ায়।এই জড় পিণ্ডগুলো অভিকর্ষ বলের আকর্ষনে প্রচন্ড গতিতে (সেকেন্ডে প্রায় তিন কিলোমিটার) পৃথিবীর দিকে ছুটে আসে। বায়ুর সংস্পর্শে এসে বায়ুর সাথে ঘর্ষণের ফলে এরা জ্বলে ওঠে। এগুলোকে বলে।
-রাতের মেঘমুক্ত আকাশে অনেক সময় মনে হয় যেন মনে হয় কোন নক্ষত্র ছুটে যাচ্ছে মনে হয় যেন কোন নক্ষত্র এইমাত্র খসে পড়ল এই ঘটনাকে নক্ষত্র পতন বা তারাখসা বলে।
-কোন ধূমকেতুর অংশবিশেষ কক্ষ পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে ঘর্ষণের জ্বলে উঠলে কাকে উল্কাবৃষ্টি বলে।
২১. গ্রহ
-মহাকাশে কতগুলো জ্যোতিষ্ক সূর্যকে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পথ অতিক্রম করে। এদের নিজেদের কোনো আলো বা তাপ নেই।মহাকর্ষ বলের প্রভাবে এরা সূর্যকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। এরা সূর্য থেকে আলো ও তাপ নিয়ে উত্তপ্ত হয়। এরা তারার মতো মিটমিট করে জ্বলে না। এসব জ্যোতিষ্ককেই গ্রহ বলে।
-সৌরজগতের গ্রহ রয়েছে ৮ টি
-বুধ, শুক্র, পৃথিবী ,মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি ,ইউরেনাস, নেপচুন।
২২. উপগ্রহ
-মহাকর্ষ বলের প্রভাবে যে জ্যোতিষ্ক বা বস্তু গ্রহকে ঘিরে আবর্তিত হয় তাদেরকে উপগ্রহ বলে।
-এদের নিজস্ব আলো ও তাপ নেই
-উপগ্রহ দুই প্রকার। প্রাকৃতিক উপগ্রহ ,কৃত্রিম উপগ্রহ।
-প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্ট উপগ্রহকে প্রাকৃতিক উপগ্রহ ভরে। চাঁদ পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ।
-মহাশূন্যে পাড়ি দেয়া, আবহাওয়ার পূর্বাভাস, তথ্য আদান-প্রদান, গোয়েন্দা নজরদারি, খনির সম্পদের অনুসন্ধান, পরিবেশ দূষণ নির্ণয় ইত্যাদি কাজের জন্য মানব সৃষ্ট উপগ্রহকে কৃত্রিম উপগ্রহ বলে। যেমন স্পুটনিক' ওয়ান।
২৩. কৃষ্ণগহ্বর
-২০১৯ সালে বিজ্ঞানীরা ইভেন্ট হরাইজন টেলিস্কোপ এর সাহায্যে কৃষ্ণগহ্বরের ছবি তোলার।
২৪. শ্বেতবামন
-এটি একটি মৃত তারা।
-শ্বেত বামন এক ধরনের ছোট তারা যা মূলত ইলেকট্রন অপজাত পদার্থ দিয়ে তৈরি।

বিভিন্ন জ্যোতির্বিজ্ঞানী
১. টলেমি
-বিখ্যাত রোমান গণিতবিদ ও জ্যোতির্বিদ।
২. গ্যালিলিও
-ইটালির জ্যোতিষবিদ, পদার্থবিদ গণিতবিদ এবং আধুনিক বিজ্ঞানের জনক, আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের জনক, আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের জনক হিসেবে পরিচিত।
-দূরবীক্ষণ যন্ত্র আবিষ্কার। বৃহস্পতির উপগ্রহ আবিষ্কার।
৩. মেঘনাথ সাহা
-বাঙালির জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী
-তিনি থার্মাল আয়নাইজেশন তত্ত্বের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে খ্যাত।
-গ্রন্থ: দ্যা প্রিন্সিপাল অফ রিলেটিভিটি
৪. জামাল নজরুল ইসলাম
-জন্ম ১৯৩৯ সালে ঝিনাইদহ
-তিনি মহাবিশ্বের উদ্ভব ও পরিণতি বিষয়ে মৌলিক গবেষণার জন্য খ্যাতি লাভ করেন
৫. স্টিফেন হকিং
-১৯৪২ সালে অক্সফোর্ড যুক্তরাজ্য জন্মগ্রহণ করেন।
-বিখ্যাত পদার্থবিদ ও গণিতবিদ ।
-মহাবিশ্বের উৎপত্তি বিবর্তন এবং চূড়ান্ত পরিণতি নিয়ে গবেষণা কে বিশ্বতত্ত্ব বা সৃষ্টিতত্ত্ব বলে।
-বিখ্যাত গ্রন্থ এ ব্রিফ হিস্ট্রি অফ টাইম।
সংগৃহীত:-
    Similar Topics
    TopicsStatisticsLast post
    0 Replies 
    1933 Views
    by Romana
    0 Replies 
    1168 Views
    by rana
    0 Replies 
    1553 Views
    by kajol
    0 Replies 
    2036 Views
    by kajol

    A group of lions------------------------ A pride o[…]

    • Our family is on very good terms with his f[…]

    • ’মেঘনাদবধ’ কাব্যে ‘রাক্ষস[…]