- Wed Oct 14, 2020 1:12 pm#3760
বায়ুমন্ডল: যে গ্যাসীয় আবরণ পৃথিবীকে বেষ্টন করে আছে, তাকে বায়ুমন্ডল বলে। পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণ শক্তির ফলে বায়ুমন্ডলও ভূপৃষ্ঠের চারদিকে জড়িয়ে থেকে অনবরত আবর্তন করছে। বায়ুমন্ডলের বর্ণ, গন্ধ, আকার কিছুই নেই। ভূপৃষ্ঠ থেকে উপরের দিকে প্রায় ১০ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত বায়ুমন্ডল বিস্তত, তবে বায়ুমন্ডলের প্রায় ৯৭ ভাগ উপাদানই ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার এর মধ্যে সীমাবদ্ধ।
বায়ুমন্ডলের বিভিন্ন উপাদানের তালিকা
নাইট্রোজেন – ৭৮.০২%
অক্সিজেন – ২০.৭১%
আরগন – ০.৮০%
জলীয় বাষ্প – ০.৪১%
কার্বন ডাই-অক্সাইড – ০.০৩%
অন্যান্য গ্যাস – ০.০২%
ধূলিকণা – ০.০১%
মোট ১০০%
ওজন গ্যাসের স্তর সূর্য থেকে আসা অতিবেগুনী রশ্মিকে শোষণ করে। বায়ুমন্ডল ভূ-পৃষ্ঠ থেকে উপরের দিকে পর্যায়ক্রমে পাচটি স্তরে বিভক্ত – ট্রাপোমন্ডল, স্ট্যাটোমন্ডল, মেসোমন্ডল, তাপমন্ডল ও এক্সোমন্ডল। উল্লেখিত স্তরগুলোর প্রথম তিনটি সমমন্ডল এবং পরবর্তী দুটি বিষমমন্ডলের অন্তর্ভুক্ত ।
ট্রাপোমন্ডল: বায়ুমন্ডলের সবচেয়ে নিচের স্তর হলো ট্রাপোমন্ডল। মেঘ, বৃষ্টিপাত, বায়ুপ্রবাহ, ঝড়, শিশির, কুয়াশা সবই এই স্তরে সৃষ্টি হয়। ট্রাপোমন্ডলের শেষ প্রান্তের অংশের নাম ট্রাপোবিরতি। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে বায়ুর ঘনত্ব কমতে থাকে এবং উষ্ণতা কমে যায়। সাধারণত প্রতি ১০০০ মিটার উচ্চতায় ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হ্রাস পায়। সমগ্র বায়ুমন্ডলের ওজনের প্রায় ৭৫ ভাগ এই স্তরে অবস্থিত। ট্রাপোমন্ডল বিষুবীয় অঞ্চলে ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৬-১৯ কিলোমিটার িএবং মেরু অঞ্চলে প্রায় ৮ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তত।
স্ট্রাটোমন্ডল: ট্রাপোবিরতির উপরের দিকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তত স্ট্র্যটোমন্ডল নামে পরিচিত। স্ট্র্যাটোমন্ডলের উপরের অংশকে স্ট্র্যাটোবিরতি বলে। এই স্তরের ওজন গ্যাসের স্তর সবচেয়ে বেশি। এই স্তরে আবহাওয়া শান্ত ও শুষ্ক থাকে বলে এ স্তরের মধ্য দিয়ে জেট বিমান চলাচল করে।
মেসোমন্ডল: স্ট্র্যাটোবিরতির পর প্রায় ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তত স্তরকে মেসোমন্ডল বলে। মেসোমন্ডলের উপরের অংশের নাম মোসোবিরতি। পৃথিবীর দিকে ছুটে আসা উল্কাপিন্ড এ স্তরেই ধ্বংস হয়।
তাপমন্ডল: মোসোবিরতির উপরে ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত তাপমন্ডল বিস্তত। তাপমন্ডলের নিম্ন অংশকে আয়নমন্ডল বলে। ভূপৃষ্ঠ থেকে পাঠানো ভিন্ন বেতার তরঙ্গ আয়নমন্ডলে বাধা পেয়ে পুনরায় ভূপৃষ্ঠে ফিরে আসে।
এক্সোমন্ডল: এক্সোমন্ডলে হিলিয়াম ও হাইড্রোজেন গ্যাসের প্রাধান্য বেশি। এক্সোমন্ডল বায়ুমন্ডলের সবচেয়ে বেশি উপরের স্তর।
বায়ুমন্ডলের বিভিন্ন উপাদানের তালিকা
নাইট্রোজেন – ৭৮.০২%
অক্সিজেন – ২০.৭১%
আরগন – ০.৮০%
জলীয় বাষ্প – ০.৪১%
কার্বন ডাই-অক্সাইড – ০.০৩%
অন্যান্য গ্যাস – ০.০২%
ধূলিকণা – ০.০১%
মোট ১০০%
ওজন গ্যাসের স্তর সূর্য থেকে আসা অতিবেগুনী রশ্মিকে শোষণ করে। বায়ুমন্ডল ভূ-পৃষ্ঠ থেকে উপরের দিকে পর্যায়ক্রমে পাচটি স্তরে বিভক্ত – ট্রাপোমন্ডল, স্ট্যাটোমন্ডল, মেসোমন্ডল, তাপমন্ডল ও এক্সোমন্ডল। উল্লেখিত স্তরগুলোর প্রথম তিনটি সমমন্ডল এবং পরবর্তী দুটি বিষমমন্ডলের অন্তর্ভুক্ত ।
ট্রাপোমন্ডল: বায়ুমন্ডলের সবচেয়ে নিচের স্তর হলো ট্রাপোমন্ডল। মেঘ, বৃষ্টিপাত, বায়ুপ্রবাহ, ঝড়, শিশির, কুয়াশা সবই এই স্তরে সৃষ্টি হয়। ট্রাপোমন্ডলের শেষ প্রান্তের অংশের নাম ট্রাপোবিরতি। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে বায়ুর ঘনত্ব কমতে থাকে এবং উষ্ণতা কমে যায়। সাধারণত প্রতি ১০০০ মিটার উচ্চতায় ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হ্রাস পায়। সমগ্র বায়ুমন্ডলের ওজনের প্রায় ৭৫ ভাগ এই স্তরে অবস্থিত। ট্রাপোমন্ডল বিষুবীয় অঞ্চলে ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৬-১৯ কিলোমিটার িএবং মেরু অঞ্চলে প্রায় ৮ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তত।
স্ট্রাটোমন্ডল: ট্রাপোবিরতির উপরের দিকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তত স্ট্র্যটোমন্ডল নামে পরিচিত। স্ট্র্যাটোমন্ডলের উপরের অংশকে স্ট্র্যাটোবিরতি বলে। এই স্তরের ওজন গ্যাসের স্তর সবচেয়ে বেশি। এই স্তরে আবহাওয়া শান্ত ও শুষ্ক থাকে বলে এ স্তরের মধ্য দিয়ে জেট বিমান চলাচল করে।
মেসোমন্ডল: স্ট্র্যাটোবিরতির পর প্রায় ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তত স্তরকে মেসোমন্ডল বলে। মেসোমন্ডলের উপরের অংশের নাম মোসোবিরতি। পৃথিবীর দিকে ছুটে আসা উল্কাপিন্ড এ স্তরেই ধ্বংস হয়।
তাপমন্ডল: মোসোবিরতির উপরে ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত তাপমন্ডল বিস্তত। তাপমন্ডলের নিম্ন অংশকে আয়নমন্ডল বলে। ভূপৃষ্ঠ থেকে পাঠানো ভিন্ন বেতার তরঙ্গ আয়নমন্ডলে বাধা পেয়ে পুনরায় ভূপৃষ্ঠে ফিরে আসে।
এক্সোমন্ডল: এক্সোমন্ডলে হিলিয়াম ও হাইড্রোজেন গ্যাসের প্রাধান্য বেশি। এক্সোমন্ডল বায়ুমন্ডলের সবচেয়ে বেশি উপরের স্তর।