- Tue Oct 13, 2020 2:57 pm#3747
ভূত্বক: জন্মের সময় পৃথিবী ছিল এক উত্তপ্ত গ্যাসপিন্ড। এই গ্যাসপিন্ড ক্রমে শীতল হয়ে ঘণীভূত হয়। একসময় এর ওপর যে কঠিন আস্তরণ পড়ে, তা হলো ভূত্বক।
ভূগর্ভ: ভূগর্ভের তিনটি স্তর রয়েছে –
১.অশ্বমন্ডল
২.গুরুমন্ডল
৩.কেন্দ্রমন্ডল।
অশ্বমন্ডল: অশ্বমন্ডল হচ্ছে পৃথিবীর উপরের স্তর। ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগ থেকে পৃথিবীর অভ্যন্তরে প্রায় ১০০ কিলোমিটার গভীর পর্যন্ত অশ্বমন্ডল বিস্তৃত। অশ্বমন্ডলের বাইরের আবরণ হলো ভূ-ত্বক। ভূত্বকের শিলাস্তরকে দুই ভাগে ভাগ করা যায় – সিয়াল এবং সিমা। সিয়াল স্তরে থাকে সিলিকন এবং অ্যালুমিনিয়াম, তাই এটি সিয়াল নামে পরিচিত এবং সিমা স্তরটি সিলিকন এবং ম্যাগনেসিয়াম দ্বারা গঠিত, তাই এটি সিমা নামে পরিচিত। অর্থাৎ ভূত্বক এবং অশ্বমন্ডলের গঠন উপাদান হলো সিলিকন, অ্যালুমিনিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম। সমভূমি, মালভূমি, পাহাড়, পর্বত, হ্রদ, নদী, সাগর, মহাসাগর, ইত্যাদি অশ্বমন্ডলের উপরিভাগেরই দেখা যায়।
গুরুমন্ডল: অশ্বমন্ডলের নিচে প্রায় ২৮৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত পুরু স্তর হলো গুরুমন্ডল। গুরুমন্ডলের দুইটি স্তর – উর্ধ্ব গুরুমন্ডল এবং নিম্ন গুরুমন্ডল। উর্ধ্ব গুরুমন্ডল ৭০০ কিলোমিটার গভীর এবং নিম্ন গুরুমন্ডল ২১৮৫ কিলোমিটার। গুরুমন্ডলের গঠন উপাদান ম্যাগনেসিয়াম, লোহা, কার্বন।
কেন্দ্রমন্ডল: গুরুমন্ডলের নিচে আরো প্রায় ৩৪৮৬ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তত স্তরকে বলে কেন্দ্রমন্ডল। কেন্দ্র মন্ডলের গঠন উপাদান হলো লোহা, নিকেল, পারদ, সিসা। তবে প্রধান উপাদান হলো লোহা ও নিকেল।
শিলা ও খনিজ
কতকগুলো মৌলিক উপাদান প্রাকৃতিক উপায়ে মিলিত হয়ে যে যৌগ গঠন করে তাই খনিজ। আর শিলা হলো এক বা একাধিক খনিজের মিশ্রণ। একটি মাত্র মৌল দ্বারা গঠিত খনিজ হলো হীরা, সোনা, তামা, রুপা ইত্যাদি।
উৎপত্তি ও গঠন প্রণালি অনুসারে শিলা তিন প্রকার- আগ্নেয় শিলা, পাললিক শিলা ও রূপান্তরিত শিলা।
পৃথিবী সৃষ্টির প্রথম পর্যায়ে সৃষ্টি হয়েছিল বলে আগ্নেয় শিলাকে প্রাথমিক শিলাও বলা হয়। এ শিলার কোনো স্তর ও জীবাশ্ম নেই। পাললিক শিলাকে স্তরীভূত শিলাও বলে। চুনাপাথর রূপান্তরিত হয়ে মার্বেল, কাদা ও শেল রূপান্তরিত হয়ে স্লেট, কয়লা রূপান্তরিত হয়ে গ্রাফাইটে পরিণত হয় বলে এদের রূপান্তরিত শিলা বলে। কয়লা একটি পাললিক শিলা এবং নিস রূপান্তরিত শিলার উদাহরণ।
আবহাওয়া ও জলবায়ু
কোনো একটি নির্দিষ্ট স্থানের বায়ুর চাপ, তাপ, আদ্রতা, বৃষ্টিপাত ও বায়ুপ্রবাহের দৈনন্দিন সামগ্রিক অবস্থানকে সেই দিনের আবহাওয়া বলে এবং কোনো একটি এলাকার ৩০-৪০ বছরের গড় আবহাওয়ার অবস্থাকে জলবায়ু বলে। নিরপেক্ষ রেখা বরাবর তাপমাত্রা মেরু অঞ্চলের চেয়ে বেশি থাকে। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে উপরে দিকে তাপমাত্রা কমতে থাকে । সমুদ্র উপকূল অঞ্চলের চেয়ে সমুদ্র থেকে দূরে অবস্থিত অঞ্চলে শীতকালে বেশি শীত এবং গ্রীষ্মকালে বেশি পরিমাণ গরম অনূভূত হয়। কারণ স্থলবন্দর জলভাগের তুলনায় বেশি ও তাড়াতাড়ি উত্তপ্ত ও শীতল হয়। প্রস্তর বা বালুকাময় মৃত্তিকার তাপ সংরক্ষণ ক্ষমতা কম তাই মরুভূমি দ্রুত উত্তপ্ত ও শীতল হয়। ফলে মরুভূমিতে দিনে বেশি গরম এবং রাতে বেশি ঠান্ডা অনূভূত হয়।
ভূগর্ভ: ভূগর্ভের তিনটি স্তর রয়েছে –
১.অশ্বমন্ডল
২.গুরুমন্ডল
৩.কেন্দ্রমন্ডল।
অশ্বমন্ডল: অশ্বমন্ডল হচ্ছে পৃথিবীর উপরের স্তর। ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগ থেকে পৃথিবীর অভ্যন্তরে প্রায় ১০০ কিলোমিটার গভীর পর্যন্ত অশ্বমন্ডল বিস্তৃত। অশ্বমন্ডলের বাইরের আবরণ হলো ভূ-ত্বক। ভূত্বকের শিলাস্তরকে দুই ভাগে ভাগ করা যায় – সিয়াল এবং সিমা। সিয়াল স্তরে থাকে সিলিকন এবং অ্যালুমিনিয়াম, তাই এটি সিয়াল নামে পরিচিত এবং সিমা স্তরটি সিলিকন এবং ম্যাগনেসিয়াম দ্বারা গঠিত, তাই এটি সিমা নামে পরিচিত। অর্থাৎ ভূত্বক এবং অশ্বমন্ডলের গঠন উপাদান হলো সিলিকন, অ্যালুমিনিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম। সমভূমি, মালভূমি, পাহাড়, পর্বত, হ্রদ, নদী, সাগর, মহাসাগর, ইত্যাদি অশ্বমন্ডলের উপরিভাগেরই দেখা যায়।
গুরুমন্ডল: অশ্বমন্ডলের নিচে প্রায় ২৮৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত পুরু স্তর হলো গুরুমন্ডল। গুরুমন্ডলের দুইটি স্তর – উর্ধ্ব গুরুমন্ডল এবং নিম্ন গুরুমন্ডল। উর্ধ্ব গুরুমন্ডল ৭০০ কিলোমিটার গভীর এবং নিম্ন গুরুমন্ডল ২১৮৫ কিলোমিটার। গুরুমন্ডলের গঠন উপাদান ম্যাগনেসিয়াম, লোহা, কার্বন।
কেন্দ্রমন্ডল: গুরুমন্ডলের নিচে আরো প্রায় ৩৪৮৬ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তত স্তরকে বলে কেন্দ্রমন্ডল। কেন্দ্র মন্ডলের গঠন উপাদান হলো লোহা, নিকেল, পারদ, সিসা। তবে প্রধান উপাদান হলো লোহা ও নিকেল।
শিলা ও খনিজ
কতকগুলো মৌলিক উপাদান প্রাকৃতিক উপায়ে মিলিত হয়ে যে যৌগ গঠন করে তাই খনিজ। আর শিলা হলো এক বা একাধিক খনিজের মিশ্রণ। একটি মাত্র মৌল দ্বারা গঠিত খনিজ হলো হীরা, সোনা, তামা, রুপা ইত্যাদি।
উৎপত্তি ও গঠন প্রণালি অনুসারে শিলা তিন প্রকার- আগ্নেয় শিলা, পাললিক শিলা ও রূপান্তরিত শিলা।
পৃথিবী সৃষ্টির প্রথম পর্যায়ে সৃষ্টি হয়েছিল বলে আগ্নেয় শিলাকে প্রাথমিক শিলাও বলা হয়। এ শিলার কোনো স্তর ও জীবাশ্ম নেই। পাললিক শিলাকে স্তরীভূত শিলাও বলে। চুনাপাথর রূপান্তরিত হয়ে মার্বেল, কাদা ও শেল রূপান্তরিত হয়ে স্লেট, কয়লা রূপান্তরিত হয়ে গ্রাফাইটে পরিণত হয় বলে এদের রূপান্তরিত শিলা বলে। কয়লা একটি পাললিক শিলা এবং নিস রূপান্তরিত শিলার উদাহরণ।
আবহাওয়া ও জলবায়ু
কোনো একটি নির্দিষ্ট স্থানের বায়ুর চাপ, তাপ, আদ্রতা, বৃষ্টিপাত ও বায়ুপ্রবাহের দৈনন্দিন সামগ্রিক অবস্থানকে সেই দিনের আবহাওয়া বলে এবং কোনো একটি এলাকার ৩০-৪০ বছরের গড় আবহাওয়ার অবস্থাকে জলবায়ু বলে। নিরপেক্ষ রেখা বরাবর তাপমাত্রা মেরু অঞ্চলের চেয়ে বেশি থাকে। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে উপরে দিকে তাপমাত্রা কমতে থাকে । সমুদ্র উপকূল অঞ্চলের চেয়ে সমুদ্র থেকে দূরে অবস্থিত অঞ্চলে শীতকালে বেশি শীত এবং গ্রীষ্মকালে বেশি পরিমাণ গরম অনূভূত হয়। কারণ স্থলবন্দর জলভাগের তুলনায় বেশি ও তাড়াতাড়ি উত্তপ্ত ও শীতল হয়। প্রস্তর বা বালুকাময় মৃত্তিকার তাপ সংরক্ষণ ক্ষমতা কম তাই মরুভূমি দ্রুত উত্তপ্ত ও শীতল হয়। ফলে মরুভূমিতে দিনে বেশি গরম এবং রাতে বেশি ঠান্ডা অনূভূত হয়।