Get on Google Play

আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান
#1093
✔নামঃ-ঐক্যের মূর্তি (স্ট্যাচু অব ইউনিটি নামেও পরিচিত)
📌সাম্প্রতিক তথ্য

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নেতা বল্লভভাই পটেলের স্মৃতির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্যোগে নির্মিত একটি শ্রেষ্ঠ ভাস্কর্য।১৮২ মিটার লম্বা এই ভাস্কর্য বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভাস্কর্য যা প্রায় ৬০ তলা ভবনের সমান উঁচু।

👉অবস্থানঃ-গুজরাত (ভারত)
👉নকশাকারকঃ-রাম ভি সুতার
👉উপাদানঃ-ইস্পাত কাঠামোবদ্ধ, চাঙ্গা কংক্রিট, ব্রোঞ্জ আবৃত
👉উচ্চতাঃ-মূর্তি: ১৮২ মিটার (৫৯৭ ফুট)
👉ভিত্তিসহঃ-২৪০ মিটার (৭৯০ ফুট)
👉কাজ শুরুর তারিখঃ-৩১ অক্টোবর ২০১৩
👉সমাপ্তি তারিখঃ- ৩১ অক্টোবর ২০১৮ (আজ)
👉উৎসর্গীকৃতঃ-বল্লভভাই পটেল
👉আনুমানিক ব্যয়ঃ- ₹৩,০০১ কোটি ভারতীয় রুপি (ইউএস$৪২০ মিলিয়ন) নির্ধারণ করে। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের অক্টোবরে লারসেন এন্ড টুব্রো তার সর্বনিম্ন দর ₹২,৯৮৯ কোটির দিয়ে নকশা, নির্মাণ এবং রক্ষণাবেক্ষণ করার কাজ পায়। ২০১৩ সালের ৩১ অক্টোবরে নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ২০১৮ সালের অক্টোবরের মাঝামাঝি কাজ শেষ হয়।

✔অবস্থান
এটি ভারতের গুজরাট রাজ্যের সাদু বেট আইল্যান্ডে নর্মদা নদীর পাশে অবস্থিত। ভাস্কর্যটি ২০,০০০ বর্গ মিটারেও বেশি এলাকা জুড়ে অবস্থিত এবং ১২ বর্গ কিঃ মিঃ ক্ষেত্র বিশিষ্ট একটি কৃত্রিম হ্রদ দ্বারা পরিবেষ্টিত।

✔কাঠামো
ভাস্কর্যটি তিন স্তরবিশিষ্ট কাঠামোয় বিন্যস্ত। অভ্যন্তরীণ স্তরে ১২৭ মিটার দুটি উঁচু টাওয়ার আছে, যা ভাস্কর্যের বুক পর্যন্ত বিস্তৃত। দ্বিতীয় স্তরটি স্টিলের কাঠামো এবং তৃতীয় স্তর বা ভাস্কর্যের উপরিভাগ আট মিলিমিটার ব্রোঞ্জ দিয়ে মোড়ানো। ভাস্কর্যের আপাদমস্তক দর্শনের জন্য দুটি লিফট আছে। প্রতি লিফট ২৬ জন বহন করতে পারে। লিফটে আধা মিনিটের মধ্যে ভাস্কর্যের শীর্ষ স্থানে পৌঁছানো সম্ভব। উচ্চতার দিক থেকে এর আগে সর্বোচ্চ স্ট্যাচুর রেকর্ড ছিল চীনের। স্প্রিং টেম্পল অব বুদ্ধ নামের স্ট্যাচুটির উচ্চতা ১৫৩ মিটার। বর্তমানে সেই অবস্থান নিল ভারতের স্ট্যাচু অব ইউনিটি। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে জাপানের ১২০ মিটার উঁচু উশিকু দায়বাসু, চতুর্থ স্থানে যুক্তরাষ্ট্রের ৯৩ মিটার উঁচু স্ট্যাচু অব লিবার্টি এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে রাশিয়া ৮৫ মিটার উঁচু হোমল্যান্ড মাদার।

✔ভাস্কর্য নির্মাণ
প্রথমে এলঅ্যান্ডটি কোম্পানি ১৯৪৯ সালের প্যাটেলের একটি আলোকচিত্রকে ভিত্তি হিসেবে নেয়। আলোকচিত্রটির অনুরূপ ১৮ ফুট উঁচু ব্রোঞ্জের ভাস্কর্য তৈরি করেন ভাস্কর রাম ভি সুতার। সেই ভাস্কর্য প্যাটেলের জন্মস্থান গুজরাটের আনন্দ জেলার কারামাসাদে নিয়ে জনসমক্ষে প্রদর্শন করা হয়। মূলত, প্যাটেলের বাস্তব জীবনের সঙ্গে ভাস্কর্যের মিল আছে কি না, সেটা যাচাইয়ে স্থানীর জনতার মতামত ও পরামর্শের জন্য এটি করা হয়েছিল। জনতার প্রতিক্রিয়া মূল্যায়ন করে রাম সুতার ৩০ ফুট উচ্চতার ভাস্কর্য নির্মাণ করেন। বিভিন্ন গোষ্ঠীর পরামর্শে সেটাই চূড়ান্ত করা হয়। ভাস্কর্যে ব্যবহৃত ব্রোঞ্জের কাজ করেছে চীনের জিয়াংজি টোকাইন কোম্পানি (জেটিকিউ)।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও এলঅ্যান্ডটির কোম্পানির কর্মকর্তাদের সঙ্গে রাম সুতার চীনে গিয়ে জেটিকিউয়ের কাজ পর্যবেক্ষণ করেন। এই কাজের জন্য চারবার চীনে যেতে হয় সুতারকে। বিভিন্ন সাইজের প্রায় সাত হাজার প্লেট ভাস্কর্যটিতে স্থাপন করা হয়েছে। এসব কাজ পর্যবেক্ষণে ছিলেন এলঅ্যান্ডটি প্রকল্পের পরিচালক মুকেশ রাভাল।

সরদার বল্লভভাই প্যাটেল রাষ্ট্রীয় একটা ট্রাস্ট (এসভিপিআরইটি), গুজরাতের সরকার নির্মিত একটি বিশেষ উদ্দেশ্য যানবাহনে করে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে ভারত জুড়ে প্রচার কার্যক্রম চালায়। ভাস্কর্য এবং অন্যান্য কাঠামোর জন্য প্রয়োজনীয় লোহাগুলি সারা ভারতে গ্রামের কৃষকদের কাছ থেকে তাদের ব্যবহৃত কৃষি উপকরণ দান করার মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছিল। এসভিপিআরইট ভারত জুড়ে এই লোহা সংগ্রহর জন্য ৩৬ টি অফিস স্থাপন করে, ধারণা করা হয় ৫ লক্ষাধিক কৃষক এতে দান করে।

✔পর্যটন
সরদার প্যাটেল ভাস্কর্যের নিচ থেকে ২৫ মিটার উঁচু বা আটতলার উঁচু সমস্থানে ৪ হাজার ৭৪৭ স্কয়ার মিটার আয়তনের প্রদর্শনী হল ও চলচ্চিত্র কেন্দ্র আছে। যেখানে প্যাটেলের জাতীয় জীবনের কৃতিত্ব চিত্রায়িত করা হবে। এটি খুব শিগগির বড় পর্যটন কেন্দ্র হবে। এই স্ট্যাচু ও এর আশপাশের পাহাড়ি বনাঞ্চল পর্যটকদের আকর্ষণ করবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন। ভাস্কর্য আরোহণে দুটি লিফটের মধ্যে একটি ১৩৫ মিটার উঁচুতে উঠবে। ছিন্দ্রযুক্ত জানালার সঙ্গে আছে চিত্তাকর্ষক গ্যালারি। প্রতিদিন ভাস্কর্যটি পরিদর্শনে তিন হাজার দর্শনার্থীকে অনুমতি দেওয়া হবে।

স্ট্যাচুর পাদদেশে আছে ভ্রমণকারীদের জন্য হাঁটার পথ, ফুট কোর্ট, বড় বাজার ও অতিথিদের থাকার ব্যবস্থা। স্ট্যাচুর অদূরে থ্রি স্টার হোটেল ও সেখানে ৫২টি কক্ষ আছে। ২৬৪ আসনের ক্যাফেটেরিয়া ও একটি গিফট শপ আছে। এ ছাড়া ৮০০টি গাড়ি পার্কিংয়ের সুব্যবস্থা। স্ট্যাচু অব ইউনিটি ঘিরে বিপুল পর্যটক আকর্ষণ করতে মোদি সরকারের পরিকল্পনা আছে। ভাদোদারা থেকে ৯০ কিলোমিটার ফোর লেন সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। পর্যটকেরা আকাশপথে বা রেলপথে ভাদোদারা পৌঁছে যেতে পারবেন। পরে সেখান থেকে ব্যক্তিগত গাড়ি, ভাড়া করা গাড়ি কিংবা বাসে করে ওই ভাস্কর্যস্থলে যেতে পারবেন।

সংগৃহিতঃ- Raisul Islam Hridoy

    বিষয় : রাষ্ট্রপতির কার্যালয়, আপন বিভাগের “[…]

    বিষয় : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্[…]

    Amendment of Vacancy announcement for the post of […]