- Thu Oct 22, 2020 3:49 pm#3874
প্রণালি
পৃথিবীর যে-কোনো অংশের দুটি ভূখন্ড, যেমন-দ্বীপ, দেশ, উপমহাদেশ বা মহাদেশকে পৃথককারী এবং বৃহৎ জলরাশি যেমন- উপসাগর, সাগর, মহাসাগরকে যোগকারী দীর্ঘ ও সরু প্রাকৃতিক জলরাশিকে প্রণালী বলে। পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘতম প্রণালি হচ্ছে তাতার প্রণালি।
বিশ্বের প্রণালিগুলো
নাম – পৃথক করেছে – যোগ করেছে
বেরিং প্রণালি – এশিয়া-উত্তর আমেরিকা – বেরিং সাগর+উত্তর সাগর
বসফরাস প্রণালি – এশিয়া-ইউরোপ – মর্মর সাগর+কৃষ্ণ সাগর
দার্দানেলিস প্রণালি – তুরস্ক-তুরস্ক – মর্মর সাগর +ইজিয়ান সাগর
জিবরাল্টার প্রণালি – আফ্রিকা-ইউরোপ – উত্তর আটলান্টিক+ভূমধ্যসাগর
পক প্রণালি – ভারত-শ্রীলঙ্কা – ভারত মহাসাগর+আরব সাগর
মালাক্কা প্রণালি – ইন্দোনেশিয়া-মালয়েশিয়া – বঙ্গোপসাগর+জাভা সাগর
সুন্দা প্রণালি – সুমাত্রা-জাভা – জাভা সাগর+ভারত মহাসাগর
ফরমোজা প্রণালি – পূর্বচীন-তাইওয়ান – চীন সাগর+টুকিং উপসাগর
হরমুজ প্রণালি – ইরান-সংযুক্ত আরব আমিরাত – পারস্য উপসাগর+ওমান উপসাগর
ইংলিশ চ্যানেল – ফ্রান্স-ব্রিটেন – আটলান্টিক+উত্তর সাগর
ডোভার প্রণালি – ফ্রান্স-ব্রিটেন – ইংলিশ চ্যানেল+উত্তর সাগর
ফ্লোরিডা প্রণালি – কিউবা-ফ্লোরিডা – মেক্সিকো উপসাগর+আটলান্টিক
কোরিয়া প্রণালি – কোরিয়া-জাপান – পূর্বচীন সাগর+জাপান সাগর
তাতার প্রণালি – রাশিয়া – শাখানিল – জাপান সাগর+ওখস্টক সাগর
বাব এল মান্দেব প্রণালি – এশিয়া – আফ্রিকা – লোহিত সাগর+এডেন উপসাগর
নদনদী
পাহাড়পর্বত, মালভূমি ইত্যাদি উচ্চভূমি এবং উচু হ্রদ, জলাধার থেকে যখন কোনো জলের স্রোত মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে উচু গাত্র বেয়ে নিচের দিকে নেমে আসে এবং মেষ পর্যন্ত সমুদ্রের বুকে পতিত হয়, তখন ঐ জলরাশির প্রবাহপথকে নদনদী বলে। নদনদী তাদের চলার পথে শাখানদী সৃষ্টি করে আবার উপনদীর সাথে মিলিত হয়।
নদী যখন কোনো হ্রদ বা সাগরে এসে পতিত হয়, তখন সেই পতিত স্থানকে মোহনা বলে। অধিক বিস্তত মোহনাকে খাড়ি বলে। দুই বা ততোধিক নদীর মিলণস্থলকে নদীসংগম বলে। প্রবাহমান নদীর মধ্যবর্তী ভূমিকে দোয়াব বলে। পর্বত বা হ্রদ থেকে যখন ছোট নদী উৎপন্ন হয়ে কোনো নদীতে পতিত হয় তখন তাকে সেই বড় নদীর উপনদী বলে । মূল নদী থেকে যেসব নদী বের হয় তাদের মূল নদীর শাখা নদী বলে। যে খাতের মধ্য দিয়ে নদী প্রবাহিত হয় সে খাতকে ঐ নদীর উপত্যকা বলে। নদী উপত্যকার তলদেশকে নদীগর্ভ বলে। উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত নদীর গতিপথকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়- ক.উর্ধ্বগতি খ.মধ্যগতি এবং গ.নিম্নগতি।
পৃথিবীর যে-কোনো অংশের দুটি ভূখন্ড, যেমন-দ্বীপ, দেশ, উপমহাদেশ বা মহাদেশকে পৃথককারী এবং বৃহৎ জলরাশি যেমন- উপসাগর, সাগর, মহাসাগরকে যোগকারী দীর্ঘ ও সরু প্রাকৃতিক জলরাশিকে প্রণালী বলে। পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘতম প্রণালি হচ্ছে তাতার প্রণালি।
বিশ্বের প্রণালিগুলো
নাম – পৃথক করেছে – যোগ করেছে
বেরিং প্রণালি – এশিয়া-উত্তর আমেরিকা – বেরিং সাগর+উত্তর সাগর
বসফরাস প্রণালি – এশিয়া-ইউরোপ – মর্মর সাগর+কৃষ্ণ সাগর
দার্দানেলিস প্রণালি – তুরস্ক-তুরস্ক – মর্মর সাগর +ইজিয়ান সাগর
জিবরাল্টার প্রণালি – আফ্রিকা-ইউরোপ – উত্তর আটলান্টিক+ভূমধ্যসাগর
পক প্রণালি – ভারত-শ্রীলঙ্কা – ভারত মহাসাগর+আরব সাগর
মালাক্কা প্রণালি – ইন্দোনেশিয়া-মালয়েশিয়া – বঙ্গোপসাগর+জাভা সাগর
সুন্দা প্রণালি – সুমাত্রা-জাভা – জাভা সাগর+ভারত মহাসাগর
ফরমোজা প্রণালি – পূর্বচীন-তাইওয়ান – চীন সাগর+টুকিং উপসাগর
হরমুজ প্রণালি – ইরান-সংযুক্ত আরব আমিরাত – পারস্য উপসাগর+ওমান উপসাগর
ইংলিশ চ্যানেল – ফ্রান্স-ব্রিটেন – আটলান্টিক+উত্তর সাগর
ডোভার প্রণালি – ফ্রান্স-ব্রিটেন – ইংলিশ চ্যানেল+উত্তর সাগর
ফ্লোরিডা প্রণালি – কিউবা-ফ্লোরিডা – মেক্সিকো উপসাগর+আটলান্টিক
কোরিয়া প্রণালি – কোরিয়া-জাপান – পূর্বচীন সাগর+জাপান সাগর
তাতার প্রণালি – রাশিয়া – শাখানিল – জাপান সাগর+ওখস্টক সাগর
বাব এল মান্দেব প্রণালি – এশিয়া – আফ্রিকা – লোহিত সাগর+এডেন উপসাগর
নদনদী
পাহাড়পর্বত, মালভূমি ইত্যাদি উচ্চভূমি এবং উচু হ্রদ, জলাধার থেকে যখন কোনো জলের স্রোত মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে উচু গাত্র বেয়ে নিচের দিকে নেমে আসে এবং মেষ পর্যন্ত সমুদ্রের বুকে পতিত হয়, তখন ঐ জলরাশির প্রবাহপথকে নদনদী বলে। নদনদী তাদের চলার পথে শাখানদী সৃষ্টি করে আবার উপনদীর সাথে মিলিত হয়।
নদী যখন কোনো হ্রদ বা সাগরে এসে পতিত হয়, তখন সেই পতিত স্থানকে মোহনা বলে। অধিক বিস্তত মোহনাকে খাড়ি বলে। দুই বা ততোধিক নদীর মিলণস্থলকে নদীসংগম বলে। প্রবাহমান নদীর মধ্যবর্তী ভূমিকে দোয়াব বলে। পর্বত বা হ্রদ থেকে যখন ছোট নদী উৎপন্ন হয়ে কোনো নদীতে পতিত হয় তখন তাকে সেই বড় নদীর উপনদী বলে । মূল নদী থেকে যেসব নদী বের হয় তাদের মূল নদীর শাখা নদী বলে। যে খাতের মধ্য দিয়ে নদী প্রবাহিত হয় সে খাতকে ঐ নদীর উপত্যকা বলে। নদী উপত্যকার তলদেশকে নদীগর্ভ বলে। উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত নদীর গতিপথকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়- ক.উর্ধ্বগতি খ.মধ্যগতি এবং গ.নিম্নগতি।