- Thu Oct 22, 2020 1:36 pm#3870
ওয়াসফিয়া নাজরীন সেভেন সামিট জয়ী একমাত্র বাংলাদেশী। সেভেন সামিট জয়ের লক্ষ্যে তিনি নিজ উদ্যোগে বাংলাদেশ অন সেভেন সামিট ফাউন্ডেশন গড়ে তোলেন এবং ২০১১ সাল থেকে নিজ উদ্যোগে অভিযানে নেমে পড়েন। প্রথমেই ২০১১ সালে তিনি ককেশাস পর্বতমালায় অবস্থিত ইউরোপের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এলবুর্জ জয় করতে গিয়ে চূড়ার মাত্র ৩০০ মিটার নিচ থেকে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসেন । তবে ২০১১ সালেই তিনি কেনিয়া ও তানজানিয়া সীমান্তে অবস্থিত আফ্রিকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কিলিমাঞ্জারো এবং চিলি ও দক্ষিণ আমেরিকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ একাঙ্কাগুয়া যা পৃথিবীর ও দক্ষিণ আমেরিকার দীর্ঘতম পর্বতমালা আন্দিজে অবস্থিত। তা জয় করেন। ২০১২ তে তিনি এভারেস্ট এবং অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট ভিনসন জয় করেন। ২০১৩ সালে তিনি একে একে মাউন্ট এলবুর্জ যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা পর্বতমালা, উত্তর আমেরিকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ ডেনালি এবং ইন্দোরেশিয়ার পাপুয়া প্রদেশে অবস্থিত ওশেনিয়ার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কারস্টেন পিরামিড জয় করেন।
ডেনালি শৃঙ্গটি স্থানীয় আদিবাসীদের কাছে ডেনালি নামে পরিচিত হলেও ১৮৯৬ সালে ২৫ তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম ম্যাককিনলির নামে এর নাম হয়ে যায় মাউন্ট ম্যাককিনলি। প্রেসিডেন্ট ম্যাককিনলি ১৯০১ সালে আততায়ীর হাতে প্রাণ হারান। ২০১৫ সালে বারাক ওবামা এর নাম পরিবর্তন করে আবার ডেনালি রাখেন। তখন ওবামা বলেন, প্রেসিডেন্ট ম্যাককিনলি জীবনে কখনোও আলাস্কায়ই যান নি। তাই আদিবাসীদের দাবী অনুযায়ী এই নাম পরিবর্তন করেন। সেভেন সামিটের সর্বশেষ চূড়া হিসেবে ওয়াসফিয়া কারস্টেন পিরামিড জয় করেন। এবং পুরস্কারসরূপ ২০১৪ সালে ন্যাশনাল জিওগ্রাফির সেরা অভিযাত্রীর খেতাব পান। ওয়াসফিয়ার সবচেয়ে কষ্টকর ও সংগ্রামী অবিযান ছিল কারস্টেন পিরামিড জয়। তিনি বলেন চূড়ায় ওঠার জন্য বেস ক্যাম্পে যেতে তার দলকে ২০ কিলোমিটার দূর্গম পথ হেটে পাড়ি দিতে হয়েছিল। বেস ক্যাম্পের একপাশে সোনার খনি আছে, তাই সেখানে অস্ট্রীয় ও আমেরিকান মাফিয়াদের আনাগোনা। তাছাড়া সেখানকার আদিবাসীদের মধ্যে তিন ধরণের যুদ্ধ হয় প্রায়েই। ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া সীমান্ত দিয়ে চূড়ায় আরোহণ করতে তার দলকে এক চূড়া থেকে অন্য চূড়ায় দড়ির ওপর দিয়ে হেটে পার হতে হয়েছিল। চূড়া জয় করে নামার পথে এক আদিবাসী বৃদ্ধ মারা গেলে ওয়াসফিয়াদের দোষী করা হয়; ফলে চার ঘন্টা শালিসের পর চার হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ দিয়ে মুক্তি পান। সেভেন সামিট ছাড়াও তিনি নেপালের লুরি পর্বত ও আিইল্যান্ড পিক জয় করেন। মাউন্ট এভারেস্ট জয়ী পঞ্চম ও সর্বশেষ বাংলাদেশী হলেন পর্বতারোহী ও চলচিত্রকার মোহাম্মদ খালেদ হোসেন। তিনি ড. জাফর ইকবালের কাজলের দিনরাত্রি গল্প অবলম্বনে চলচিত্র নির্মাণ করেন। সেখানে তার নিজের নাম সজল খালেদ হিসেবে উপস্থাপন করেন। তিনি ২০০৩ সালের ২০ মে মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেন এবং নামার পথে ডেথ জোনে ২৮,২১৫ ফুট উচ্চতায় বিশ্রাম নিতে গিয়ে মারা যান। তার লাশ বাংলাদেশে আনতে উদ্ধার অভিযান বাবদ বাংলাদেশের সরকারের খরচ হয় ৫৫ লাখ টাকা।
ডেনালি শৃঙ্গটি স্থানীয় আদিবাসীদের কাছে ডেনালি নামে পরিচিত হলেও ১৮৯৬ সালে ২৫ তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম ম্যাককিনলির নামে এর নাম হয়ে যায় মাউন্ট ম্যাককিনলি। প্রেসিডেন্ট ম্যাককিনলি ১৯০১ সালে আততায়ীর হাতে প্রাণ হারান। ২০১৫ সালে বারাক ওবামা এর নাম পরিবর্তন করে আবার ডেনালি রাখেন। তখন ওবামা বলেন, প্রেসিডেন্ট ম্যাককিনলি জীবনে কখনোও আলাস্কায়ই যান নি। তাই আদিবাসীদের দাবী অনুযায়ী এই নাম পরিবর্তন করেন। সেভেন সামিটের সর্বশেষ চূড়া হিসেবে ওয়াসফিয়া কারস্টেন পিরামিড জয় করেন। এবং পুরস্কারসরূপ ২০১৪ সালে ন্যাশনাল জিওগ্রাফির সেরা অভিযাত্রীর খেতাব পান। ওয়াসফিয়ার সবচেয়ে কষ্টকর ও সংগ্রামী অবিযান ছিল কারস্টেন পিরামিড জয়। তিনি বলেন চূড়ায় ওঠার জন্য বেস ক্যাম্পে যেতে তার দলকে ২০ কিলোমিটার দূর্গম পথ হেটে পাড়ি দিতে হয়েছিল। বেস ক্যাম্পের একপাশে সোনার খনি আছে, তাই সেখানে অস্ট্রীয় ও আমেরিকান মাফিয়াদের আনাগোনা। তাছাড়া সেখানকার আদিবাসীদের মধ্যে তিন ধরণের যুদ্ধ হয় প্রায়েই। ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া সীমান্ত দিয়ে চূড়ায় আরোহণ করতে তার দলকে এক চূড়া থেকে অন্য চূড়ায় দড়ির ওপর দিয়ে হেটে পার হতে হয়েছিল। চূড়া জয় করে নামার পথে এক আদিবাসী বৃদ্ধ মারা গেলে ওয়াসফিয়াদের দোষী করা হয়; ফলে চার ঘন্টা শালিসের পর চার হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ দিয়ে মুক্তি পান। সেভেন সামিট ছাড়াও তিনি নেপালের লুরি পর্বত ও আিইল্যান্ড পিক জয় করেন। মাউন্ট এভারেস্ট জয়ী পঞ্চম ও সর্বশেষ বাংলাদেশী হলেন পর্বতারোহী ও চলচিত্রকার মোহাম্মদ খালেদ হোসেন। তিনি ড. জাফর ইকবালের কাজলের দিনরাত্রি গল্প অবলম্বনে চলচিত্র নির্মাণ করেন। সেখানে তার নিজের নাম সজল খালেদ হিসেবে উপস্থাপন করেন। তিনি ২০০৩ সালের ২০ মে মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেন এবং নামার পথে ডেথ জোনে ২৮,২১৫ ফুট উচ্চতায় বিশ্রাম নিতে গিয়ে মারা যান। তার লাশ বাংলাদেশে আনতে উদ্ধার অভিযান বাবদ বাংলাদেশের সরকারের খরচ হয় ৫৫ লাখ টাকা।