Get on Google Play

আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান
#3859
এশিয়ার দীর্ঘতম এবং পৃথিবীর উচ্চতম পর্বতশ্রেণি হিমালয় পর্বতমালা। হিমালয় শব্দটি এসেছে সংস্কৃত ভাষা থেকে যার অর্থ তুষারের আবাস বা বাসা। কারণ এর সবচেয়ে উচু চূড়াগুলো সারা বছর তুষারে ঢাকা থাকে। পর পর তিনটি সমান্তরাল রেঞ্জে হিমালয় পর্বতমালা গঠিত। যা ভারত, বাংলাদেশ, ও পাকিস্তানের সমতল ভূমির বিপরীতে উঠে গেছে। তিনটি রেঞ্জ মিলে হিমালয় পর্বতমালার দৈর্ঘ্য প্রায় ২৪০০ কিলোমিটার বা ১৫০০ মাইল। এদের মধ্যে হিন্দু কুশ রেঞ্জ অবস্থিত পাকিস্তানে ও আফগানিস্তান সীমান্তে। কারাকোরাম রেঞ্জ পাকিস্তানের কাশ্মির ও চীন সীমান্তে যদিও এই অঞ্চলটি নিজেদের বলে দাবি করে ভারত। আর দীর্ঘতম রেঞ্জ হচ্ছে চীন, ভারত, নেপাল ও ভুটান জুড়ে। অর্থাৎ হিমালয় পর্বতমালাটি চীন, ভুটান, নেপাল, ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান – এই ছয়টি দেশে বিস্তত। হিমালয়ের তিনটি রেঞ্জে মোটমাট ৬৬টি পর্বতে ২৪,০০০ ফুটের ওপর প্রায় ১১০ টি চূড়া রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো হিমালয় রেঞ্জের মাউন্ট এভারেস্ট যা পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ। এছাড়া এই রেঞ্জের রয়েছে পৃথিবীর সপ্তম সর্বোচ্চ নেপালের শৃঙ্গ ধবলগিরি। ধবলগিরি শব্দের অর্থ শ্বেত পর্বত।
হিমালয় পর্বতমালার উত্তরে চীনের তিব্বত মালভূমি, তারিম মালভূমি এবং পৃথিবীর ছাদখ্যাত মধ্য এশিয়ার পামির মালভূমি, দক্ষিণে দক্ষিণ এশিয়ার চয়টি দেশ, যা আগেই বলা হতো। পশ্চিমে ইরান, ও মধ্য এশিয়ার কয়েকটি দেশ এবং পূর্বে চীন ও ভারতের সেভেন সিস্টার্স।
হিমালয় পর্বতমালার কৈলাস শৃঙ্গের মানস সরোবর থেকে উৎিপত্তি লাভ করেছে ইয়ারলুপ সাংপু নদী। যা ভারতের অরুণাচল প্রদেশ দিয়ে ব্রহ্মপুত্র নামে প্রবেশ করে এবং বাংলাদেশে প্রবেশ করে কুড়িগ্রাম জেলা দিয়ে এবং সর্বশেষ বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়।
ভারতের অভ্যন্তরে হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে উৎপত্তি লাভ করে গঙ্গা নদী বাংলাদেশের পশ্চিমে চাঁপাইনববাবগঞ্জের ভেতর দিয়ে পদ্মা নামে প্রবেশ করে এবং প্রথমে যমুনা ও পরে মেঘনার সাথে মিলিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়। এছাড়া সিন্ধু নদী তিব্বতের মালভূমি থেকে উৎপত্তি লাভ করে ও হিমালয় পবর্তের গা বেয়ে চীন, ভারত, ও পাকিস্তানের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে আরব সাগরে পতিত হয়।
হিমালয়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা প্রথমে পরিমাপ করেন বাঙালি সার্ভেয়ার রাধানাথ শিকদার। পরবর্তীতে ব্রিটিশ ভারতের সার্ভেয়ার অ্যান্ড্র ওয়াহ চূড়ান্ত পরিমাপ করে এক বিশ্বের সর্বোচ্চ চূড়া হিসেবে স্বীকৃতি দেন এবং তার পূর্বসূরি ব্রিটিশ ভারতের সার্ভেয়ার জেনারেল জর্জ এভারেস্টের নাম অনুসারে এর নামকরণ করেন। তবে এভারেস্টের নেপালি নাম সাগরমাতা, তিব্বতি নাম চেমোলুংমা এবং চীনা নাম কোকো ল্যাংমা। ১৯৫৩ সালের ২৯ মে এভারেস্টের চূড়ায় সর্বপ্রথম পা রাখেন এডমন্ড হিলারী। ও নেপালের শেরপা তেনজিং নোরাগে। এভারেস্ট বিজয়ী প্রথম মহিলা জুনকো তাবেই প্রথম আরব মহিলা সুজেন আল হাবিব, প্রথম ভারতীয় অবতার সিং।
বাংলাদেশের মধ্যে মূসা ইবরাহীম ২৩ মে ২০১০ প্রথম এভারেস্ট এর চূড়ায় বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান। দ্বিতীয় হলেন এমএ মুহিত, প্রথম বাংলাদেশী নারী নিশাত মজুমদার, বাংলাদেশের দ্বিতীয় নারী এবং সর্বকণিষ্ঠ এভারেস্ট বিজয়ীর নাম ওয়াসফিয়া নাজরীন। তিনি ২৬ মে ২০১২ সালে মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন।
    Similar Topics
    TopicsStatisticsLast post
    0 Replies 
    2524 Views
    by tamim
    0 Replies 
    2031 Views
    by raja
    0 Replies 
    1967 Views
    by mousumi
    0 Replies 
    2435 Views
    by kajol
    0 Replies 
    2079 Views
    by raihan

    ৪১.নিচের কোনটি ঋণাত্মক প্রভাবক ? ক. S0_3খ. Glyceri[…]

     শখের হাঁড়ি এক ধরনের –ঐতিহ্যবাহী।  ছোট সো[…]