Get on Google Play

আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান
#3838
ট্রম্যান ডকট্রিন:
১৯৪৭ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রম্যান সমাজতন্ত্রের বিস্তার রোধে যে নীতি দেন, তাই ট্রম্যান ডকট্রিন। এই তত্ত্বে তিনি বলেন, মার্কিন নীতির উদ্দেশ্য হলো এমন একটি আন্তর্জাতিক পরিবেশ গঠন করা যার ফলে সব জাতি স্বাধীনভাবে বল প্রয়োগ ছাড়াই বসবাস করতে পারে। ট্রম্যানের এই ঘোষণার অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য ছিল গণতন্ত্র, প্রতিষ্ঠা ও জাতীয় ঐক্য রক্ষার নামে অন্য রাষ্ট্রর অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধত্তরকালে রাশিয়া পশ্চিম ইউরোপিয় বিধ্বস্ত দেশগুলোয় তার সম্প্রসারন নীতি অনুসরণ করেন। যুদ্ধে এসব এলাকায় দেশগুলো দারিদ্রে নিমজ্জিত হয়। আর এই সুযোগ নিয়ে সেসব দেশে কমিউনিস্ট বলয় বাড়ানোর চেষ্টা করে। এ সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ট্রম্যান নীতি অনুযায়ী পশ্চিম িইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলোয় অর্থনৈতিক পনর্গঠন ও উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করে, যাতে ঐ রাষ্ট্রগুলো কমিউনিস্টদের খপ্পরে না পড়ে।
মার্শাল পরিকল্পনা
ট্র্ম্যান-তত্ত্বের সূত্র ধরে মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব জেনারেল জর্জ মার্শাল ১৯৪৭ খ্রিষ্ট্রাব্দে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সভায় বলেন – যেখানে দারিদ্র, হতাশা ও লোকসংখ্যা বেশি, সেখানেই কমিউনিজম শাখাপ্রশাখা ছড়ায়। তাই কমিউনিজমের হাত থেকে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোকে বাচিয়ে মার্কিনিদের পক্ষে আনার জন্য ১৯৪৭ সালে যে পরিকল্পনার কথা বলেন, তাই ইতিহাসে মার্শাল পরিকল্পনা নামে পরিচিত।
ওয়ারশো চুক্তি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাটো গঠনের পাল্টা জবাব হিসেবে সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৫৫ সালে পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশোতে যে চুক্তি সম্পাদন করেন তাই ওয়ারশো চুক্তি নামে পরিচিত।
ডমিনো তত্ত্ব
প্রেসিডেন্ট আইজেন হাওয়ার বলেন কোনো একটি দেশে সমাজতন্ত্র প্রবেশ করলে তার পাশের দেশগুলোয় সয়ংক্রিয়ভাবেই সমাজতন্ত্র ঢুকে পড়বে। ঠিক যেমন পাশাপাশি দাড় করিয়ে সাজানো একটি কার্ডে টোকা দিলে বাকি কার্ডগুলো পড়ে যায়। এক্ষেত্রে তিনি বলেন তাই কোনো দেশে সমাজতন্ত্র কায়েম হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঐ দেশে ও আশেপাশের দেশে সামরিক আগ্রাসন চালাবে সমাজতন্ত্র প্রতিহত করার জন্য। এটাই ডমিনো তত্ত্ব। প্রেসিডেন্ট হাইজেন হাওয়ার এই ডমিনো তত্ত্বটি উল্লেখ করেছিল ইন্দোচীনে সমাগজতন্ত্রের প্রসার ঘটলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জন্য।
ভূমির বিনিময়ে শান্তি চুক্তি
যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড এ অবস্থিত ওয়াইরিভার নামক স্থানে ১৯৯৮ সালে ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির উদ্দেশ্য হলো পশ্চিমতীরের ১৩ শতাংশ ভূমি থেকে ইসরাইলি সৈন্য প্রত্যাহার। এই চুক্তির মধ্যস্থতা করেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন।
অসলো চুক্তি
১৯৯৩ সালে ফিলিস্তিনের পিএলও এবং ইসরাইলের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির উদ্দেশ্য ছিল গাজা ভূখন্ড ও পশ্চিমতীরের জেরিকো শহর থেকে বিগত ২৭ বছরের ইসরাইলি দখলের অবসান ঘটানো। এই চুক্তির মধ্যস্থতা করেন মিশরের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক। এর মাধ্যমে পিএলও এবং ইসরাইল পরস্পরকে স্বীকৃতি দেয়। এটি অসলো চুক্তি নামেও পরিচিত।
জেনেভা কনভেনশন
যুদ্ধাহত ও যুদ্ধ বন্দিদের প্রতি ন্যায় বিচারের জন্য আচরণবিধি তৈরির উদ্দেশ্যে ১৯৪৯ সালে জেনেভায় যে চুক্তি গৃহীত হয় তাই জেনেভা কনভেনশন। এই কনভেনশন এ ৪টি আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
    InterServer Web Hosting and VPS

    বেপজা পাবলিক স্কুল ও কলেজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি চট্টগ[…]

    বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি […]

    বিডিচাকরি তে একজন কনটেন্ট ম্যানেজার আবশ্যক […]

    Career Opportunity Wealth Champ Internati[…]