Get on Google Play

আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান
#3706
তৃণভূমি: ক্রান্তীয় ও নাতিশীতোষ্ণ মন্ডলে যেখানে বৃষ্টিপাত বেশি কম, সেখানে মহাদেশের অভ্যন্তরভাগে স্বল্প বৃষ্টি যুক্ত শুষ্ক অঞ্চলে বিভিন্ন প্রকার ঘাস দ্বারা নিরবিচ্ছিন্ন আচ্ছাদিত ভূভাগকে তৃণভূমি বলে। অবস্থান ও বৈশিষ্ট্যের সাপেক্ষে তৃণভূমি দুই প্রকার।
১.ক্রান্তীয় তৃণভূমি
২. নাতিশীতোষ্ণ তৃণভূমি।
ক্রান্তীয় তৃণভূমি: ক্রান্তীয় তৃণভূমি হলো ক্রান্তীয় মন্ডলের উভয় গোলার্ধে গড়ে ৫-২০ ডিগ্রি অক্ষরেখার মধ্যে মহাদেশের অভ্যন্তরে চরম প্রাকৃতিক জলবায়ুতে উজ্জল, সবুজ ও রূপালি রঙের দীর্ঘ ও কর্কশ ঘাসে আবৃত তৃণভূমি।
পশ্চিম আফ্রিকার সাব – সাহারা অঞ্চলটি সাহেল নামে পরিচিত। এটি আফ্রিকার উত্তরের মরুময় এলাকা এবং দক্ষিণের আর্দ্র ক্রান্তীয় অঞ্চলের মধ্যবর্তী একটি পরিবর্তনশীল অঞ্চল। সাহেল অঞ্চলে বেশিরভাগ এলাকায় দুর্ভিক্ষ নিয়মিত ঘটনা।
আফ্রিকার সুদানে যে ক্রান্তীয় তৃণভূমি লক্ষ্য করা যায়, তাই হলো সাভানা। তাছাড়া ক্রান্তীয় তৃণভূমিগুলো বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নামে দেখতে পাওয়া যায়। যেমন – ভেনিজুয়েলায় ল্যানোস, জিম্বাবুয়ে পার্কল্যান্ড, ব্রাজিলে ক্যাম্পোর্স ইত্যাদি।
বিশ্বের বৃহত্তম ক্রান্তীয় বণভূমি হলো সাভানা। প্রায় ৩-১৫ ফুট লম্বা হাতিঘাস দেখা যায় জিম্বাবুয়ের পার্কল্যান্ড তৃণভূমি অঞ্চলে।
নাতিশীতোষ্ণ তৃণভূমি: পৃথিবীর বৃহত্তম নাতিশীতোষ্ণ তৃণভূমি হলো ইউরেশিয়ার তথা রাশিয়া ও ইউক্রেনের স্টোপ। দ্বিতীয় বৃহত্তম হলো যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় প্রেইরি এবং তৃতীয় হলো আার্জেন্টিনা ও উরুগুয়ের পম্পাস।
প্রেইরি: বিশ্ববিখ্যাত নাতিশীতোষ্ণ তৃণভূমির একটি হলো প্রেইরি। এটি উত্তর আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মাঝে বিশাল এলাকা নিয়ে বিস্তত। একসময় প্রায় ১৪২ মিলিয়ন একর এলাকাজুড়ে এই প্রেইরি অঞ্চল। তখন পুরো আমেরিকার প্রায় ৪০ ভাগ ভূমি এই প্রেইরির অধীন ছিল। প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার বছর আগের রকি পর্বতমালা থেকে নেমে আসা হিমশৈলীর প্রভাবে এই প্রেইরি তৃণভূমির সৃষ্টি । প্রেইরি সমভূমি অঞ্চলকে পৃথিবীর রুটির ঝুড়ি বলা হয়।
    InterServer Web Hosting and VPS

    বেপজা পাবলিক স্কুল ও কলেজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি চট্টগ[…]

    বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি […]

    বিডিচাকরি তে একজন কনটেন্ট ম্যানেজার আবশ্যক […]

    Career Opportunity Wealth Champ Internati[…]