Get on Google Play

আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান
#2270
জাতিসংঘের বিশেষ সংস্থা: পর্ব ২
ILO: ILO- এর পূর্ণ রূপ হচ্ছে International Labour Organization । সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায়। প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯১৯ সালে। ILO শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পায় ১৯৬৯ সালে। সদস্য ১৮৭।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা: WHO (World Health Organization): WHO ১৯৪৮ সালের ৭ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত হয়। তাই ৭ এপ্রিল হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। WHO – এর সদর দপ্তর জেনেভায়। WHO- এর বর্তমান মহাসচিব ইথিওপিয়ার টেডরোস এডহামনম। সদস্য ১৯৪।
UNESCO : UNESCO- এর পূর্ণ রূপ United Nations Educational, Scientific And Cultural Organization । সদর দপ্তর ফ্রান্সের প্যারিসে। সদস্য ১৯৩টি। ফিলিস্তিন UNESCO-র সর্বশেষ সদস্য। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে UNESCO ত্যাগ করে।
খাদ্য ও কৃষি সংস্থা FAO (Food And Agricultural Organization): এটি ১৯৪৫ সালের ১৬ অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৬ অক্টোবর হচ্ছে বিশ্ব খাদ্য দিবস। এর সদর দপ্তর ইতালির রোমে। সদস্য ১৯৪।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা WTO (World Trade Organization)
Bretton Woods Conference (ব্রিটন উডস সম্মেলন): ১৯৪৪ সালের ১-২২ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের নিউহ্যাম্পশায়ারের ব্রেটন উডস নামক স্থানে IBRD তথা বিশ্বব্যাংক, IMF এবং ITO (International Trade Organization) গঠনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৯৪৫ সালে গঠিত হয় IBRD বা World Bank, যা ১৯৪৬ সালে যাত্রা শুরু করে এবং ১৯৪৫ IMF প্রতিষ্ঠিত হয়, যা ১৯৪৭ সালে যাত্রা শুরু করে । IBRD এবং IMF প্রতিষ্ঠিত হলেও ITO প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ITO – এর পরিবর্তে ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় GATT (General Agreement on Tariffs and Trade) শুল্ক-অশুল্ক বাধা দূর করে মুক্তবাজার অর্থনীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত গ্যাটের ৮ রাউন্ড আলোচনায় হয়। এর মধ্যে ১৯৮৬ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৮ বছর ধরে চলা উরুগুয়ে রাউন্ড ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই রাউন্ডের পরপরই ১৯৯৫ সালের ১ জানুয়ারি GATT পরিবর্তিত হয়ে WTO (World Trade Organization) এ রূপ নেয়। বাংলাদেশ ১৯৯৫ সালেই WTO – এর সদস্যপদ লাভ করে। IBRD, IMF, WTO- এই সংস্থাগুলোর প্রতিষ্ঠার পেছনে রয়েছে ব্রেটন উডস সম্মেলন। তাই এই সংস্থাগুলোকে Bretton woods Institution বা ব্রেটন উডস প্রতিষ্ঠান বলা হয়।
• WTO – এর বর্তমান সদস্যসংখ্যা ১৬৪।
• সর্বশেষ সদস্য আফগানিস্তান।
• সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায়।
• মহাসচিব- ব্রাজিলের রবার্তো কার্ভালহো দি আজিভেদো।
• বাংলাদেশ WTO – এর ১২৪তম সদস্য।
• WTO – এর সদস্যদেশ তাইওয়ানের সার্বভৌমত্ব নেই।
• WTO – এর সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ারসে।
• WTO – এর দোহা রাউন্ড চলছে ২০০১ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত।

আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল IMF (International Monetary Fund)
• IMF ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৪৭ সালে। IMF – এর সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে।
• IMF – এর কাজ: ১. আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থাপনা করা; ২. মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখা; ৩. বিশ্বব্যাপী নেতিবাচক বাণিজ্য দূর করে বাণিজ্য ভারসাম্য অর্জনে সহায়তা করা।
• IMF – এর রিজার্ভ সম্পদের একক হচ্ছে SDR (Special Drawing Rights).
• IMF – এর বর্তমান মহাসচিব ফ্রান্সের ক্রিস্টিনা লাগার্ড।
• IMF – এর বর্তমান সদস্যদেশ ১৮৯টি। সর্বশেষ সদস্য নাওরু।
• বাংলাদেশে IMF এর বর্তমান কার্যালয় আগারগাঁওয়ে।
শান্তির জন্য ঐক্য প্রস্তাব (The Uniting Peace for Resolution)
শান্তির জন্য ঐক্য প্রস্তাব (The Uniting Peace for Resolution) হলো বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার লক্ষ্যে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক গৃহীত একটি শান্তি প্রস্তাব। ১৯৫০ সালে কোরীয় শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচটি সদস্যের মধ্যে মতানৈক্য দেখা গেলে ঐ সালের ৩ নভেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ এটি অনুমোদন করে।
জাতিসংঘের সনদ অনুসারে নিরাপত্তা পরিষদের কোনো স্থায়ী সদস্য পরিষদে আলোচিত কোনো প্রস্তাবে ভেটো প্রয়োগ করলে তা গৃহীত হয় না। তাই নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্যের মতৈক্যের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা এবং তারা ভীতি প্রদর্শন বা আগ্রাসী কার্যকলাপ প্রতিরোধে ব্যর্থ হলে এ প্রস্তাবের ক্ষমতাবলে সাধারণ পরিষদ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জরুরি সভা আহ্বান করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সুতরাং বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এ প্রস্তাবটি নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে।
Responsibility to Protect (R2P or RtoP)
’আরটুপি’তত্ত্ব মূলত জাতিসংঘ কর্তৃক উদ্ভাবিত ও অনুমোদিত। ২০০৫ সালে জাতিসংঘ আয়োজিত বিশ্ব সম্মেলনে এ তত্ত্ব গ্রহণ করা হয়। এই তত্ত্বের মূল কথা হচ্ছে, একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের নিরীহ জনগণকে গণহত্যা থেকে রক্ষা করা এবং তাদের মানবাধিকার নিশ্চিত করা। সাধারণ ক্ষেত্রে আরটুপি-তত্ত্ব সামরিক অভিযান কিংবা বিমান হামলার মধ্য দিয়ে বাস্তবায়ন করা হয় (লিবিয়া, সিরিয়া, সুদান)। কিন্তু কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিদ্যমান গ্রুপগুলোর মধ্যে সমঝোতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি কমিশন গঠন করে সেখানে নিরপরাধ মানুষদের হত্যার হাত থেকে রক্ষা করা হয় (কেনিয়া, ২০০৮)। আরটুপির ১৩৮ অনুচ্ছেদে বলা আছে- একটি স্বাধীন রাষ্ট্র তার জনগণকে সব ধরনের গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, জাতিগত উচ্ছেদ অভিযান থেকে রক্ষা করবে। এ ধরনের অপরাধ যাতে না ঘটে, তা দেখার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। আর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ওই রাষ্ট্রেকে সহযোগিতা করবে এই দায়িত্ব পালন করতে। আরটুপির ১৩৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে – আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জাতিসংঘের মাধ্যমে গণহত্যা, যুদ্ধপরাধ, জাতিগত উচ্ছেদ অভিযান, মানবতাবিরোধী অপরাধ বন্ধে কূটনৈতিক, মানবিক উদ্যোগসহ প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ গ্রহণ করবে। উদ্দেশ্য, জনগণকে গণহত্যা থেকে রক্ষা করা। আরটুপি-তত্ত্বের সঙ্গে Humanitarian Intervention- এর প্রশ্নটিও জড়িত। এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, মানবিকতা রক্ষার নামে যে-কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ সমর্থনযোগ্য।
    Similar Topics
    TopicsStatisticsLast post
    0 Replies 
    356 Views
    by sajib
    0 Replies 
    813 Views
    by rajib
    0 Replies 
    203 Views
    by kajol
    0 Replies 
    191 Views
    by tasnima
    0 Replies 
    197 Views
    by mousumi

    বিষয় : রাষ্ট্রপতির কার্যালয়, আপন বিভাগের “[…]

    বিষয় : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্[…]

    Amendment of Vacancy announcement for the post of […]