Get on Google Play

আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান
#1493
এশিয়ার দুই আঞ্চলিক সুপার পাওয়ারের মধ্যে চলছে স্নায়ুযুদ্ধ। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে চীনকে ব্যালেন্স করার জন্য ভারত মার্কিন জোটের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে আর চীনের পাশে রয়েছে রাশিয়া। পাশাপাশি ভারত মহাসাগরের বিভিন্ন জায়গায় দুই দেশ কৌশলগত সামরিক অবস্থান নিয়েছে। চলুন দেখে আসি কোন দেশ কোথায় সামরিক ঘাঁটি করেছে।

ভারত ধীরে ধীরে ভারত মহাসাগরের বিভিন্ন জায়গায় কৌশলগত অবস্থান নিলেও চীন নিকট অতীত পর্যন্ত এটা নিয়ে চিন্তিত ছিলনা। বহির্বিশ্বে চীনের প্রথম সামরিক ঘাটি হর্ণস অব আফ্রিকা খ্যাত আফ্রিকার জিবুতিতে। তারপরই চীনের শক্ত নৌঘাঁটি রয়েছে তাঞ্জানিয়ার দার এস সালাম বন্দর এবং মরিশাসে। চীন পাকিস্তানের গোয়াদর এবং শ্রীলংকার হাম্বানটোটায় নির্মাণ করেছে দু'টি গভীর সমুদ্র বন্দর। আবার শ্রীলংকার কলম্বো বন্দরকে লিজ নিয়েছে ৯৯ বছরের জন্য। মালদ্বীপেও রয়েছে নৌঘাঁটি। দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত স্পার্টলী দ্বীপে রয়েছে শক্ত অবস্থান। বাংলাদেশের সোনাদিয়ায়ও গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের আগ্রহ রয়েছে। মায়ানমারের কিয়াকপিউতে গভীর সমুদ্র বন্দরের পাশাপাশি পাইপলাইন নির্মাণ করেছে যাতে মালাক্কা প্রণালী ব্যবহার না করে বন্দর থেকে রোহিঙ্গাদের আবাস ভূমি রাখাইন দিয়ে সরাসরি চীনের ইউনান প্রদেশে তেল এবং গ্যাস সরবরাহ করা যায়।

বহির্বিশ্বে ভারতের প্রথম সামরিক ঘাঁটি তাজিকিস্তানের ফারখোর বিমানবন্দরে। এখান থেকে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের দূরত্ব অনেক কম। ভুটানে ভারতের একটি স্থায়ী সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। নেপালের কাঠমন্ডু বিমানবন্দর ও তারা ব্যবহার করতে পারে। শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটায় চীনের নৌঘাঁটি নিকটবর্তী দূরত্বে ভারতেরও অবস্থান রয়েছে। মালদ্বীপের সমুদ্র উপকূল এবং আফ্রিকার মাদাগাস্কারে রয়েছে দুটি রাডার স্টেশন। এছাড়া মাদাগাস্কারের নিকটবর্তী মরিশাস, আগালেগা এবং সেশেলস দ্বীপে নৌঘাঁটি করার চুক্তি হয়েছে। কাতার এবং ওমানের সাথেও চুক্তি রয়েছে তাদের সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করার। একইভাবে, দক্ষিণ চীন সাগরে অবস্থান নিশ্চিত করার জন্য সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি সমুদ্র বন্দর, ভিয়েতনামের কেম রেন বন্দর এবং ইন্দোনেশিয়ার সাবাং দ্বীপ ব্যবহারের চুক্তি রয়েছে। সর্বশেষ নিজেদের ভূখন্ড আন্দামানে রয়েছে নৌঘাঁটি। এছাড়া তারা প্রয়োজনে আমেরিকার ঘাঁটিগুলোও ব্যবহার করতে পারবে।

বহির্বিশ্বে ভারতের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ রয়েছে ইরানে। দেশ দু'টির দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বেশ পুরানো। ভারতের মোট জ্বালানী চাহিদার ১০% এর যোগানদাতা হলো ইরান। প্রতিমাসে ভারত ইরান থেকে প্রায় ১.২ মিলিয়ন টন জ্বালানি তেল আমদানী করে। ইরানের সাথে ভালো সম্পর্ক থাকার কারণে পাকিস্তানের বেলুচিস্তান এবং আফগানিস্তানের উপর ভারতের এক ধরণের নিয়ন্ত্রণ ছিল। ইরানের সাথে সম্পর্ককে স্থায়ী রূপ দেয়ার জন্য ওমান সাগরের তীরবর্তী ইরানের চাবাহারে একটি গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে ৫০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। নির্মাণ কাজ এখনো শেষ হয়নি। এমতাবস্থায়, ইরানকে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র অবরোধ আরোপ করেছে যাতে অন্য কোন দেশ ইরান থেকে তেল এবং স্টিল কিনতে না পারে। ভারত যুক্তরাষ্ট্রের আহবানে সাড়া দিয়ে ইরান থেকে তেল আমদানী এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বন্ধ রেখেছে।

উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আর্থিক ক্ষতি এড়ানোর জন্য ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত ১৪ই মে দিল্লি সফর করে ভারতের সহযোগিতা চায়। কিন্তু যতদূর জানা যায়, এ বিষয়ে ভারতের কাছ থেকে কোন আশ্বাস না পেয়ে অভিমানী ইরানী পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরবর্তীতে চীন ও পাকিস্তান সফর করে সাহায্য চাইলে তারা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। ইরান খুশি হয়ে আরব সাগরের তীরবর্তী পাকিস্তানের গোয়াদর গভীর সমুদ্র বন্দরের সাথে চাবাহার বন্দরের সংযোগ স্থাপন করে এ রুটকে চীনের বেল্ট এন্ড রুটের অংশ করার প্রস্তাব দেয়। চীন এবং পাকিস্তান এ প্রস্তাব লুফে নেয়। ফলে ইরান-মার্কিন যুদ্ধ উত্তেজনা বদলে দিচ্ছে অনেক সমীকরণ!

সংগৃহীত

    ] Global China Hardware & Trading Ltd. is[…]

    Thanks for the information.

    ইবনে সিনা ট্রাস্ট নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪ নিয়োগ বিজ[…]

    Achieving the best SEO (Search Engine Optimization[…]