Get on Google Play

বাংলাদেশ বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান
#1438
১। বাজেটে যেসব খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে

২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন শুরু করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৃহস্পতিবার ৩টার পর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর অনুমতি নিয়ে তিনি বাজেট উপস্থাপন করতে শুরু করেন। পরে তিনি অসুস্থ বোধ করায় বাজেটের অর্থমন্ত্রীর বাজেট ঘোষণার পরবর্তী অংশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঠ করছেন।

এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে সবচেয়ে বড় ব্যয়ের খাত হিসেবে ধরা হয়েছে জনপ্রশাসন খাতকে। এ খাতে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ব্যয় ধরা হয়েছে শতকরা ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ বা প্রায় ৯৬ হাজার ৭৯০ কোটি টাকা। শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে মোট বাজেটের শতকরা ১৫ দশমিক ২ শতাংশ বা প্রায় ৭৯ হাজার ৫২৫ কোটি টাকা। বিভিন্ন সুদের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে শতকরা ১০ দশমিক ৯ শতাংশ বা প্রায় ৫৭ হাজার ২৮ কোটি টাকা।

পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে শতকরা ১২ দশমিক ৪ শতাংশ বা প্রায় ৬৪ হাজার ৮৭৫ হাজার কোটি টাকা। স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে শতকরা ৭ দশমিক ২ শতাংশ বা প্রায় ৩৭ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা। কৃষি খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে শতকরা ৫ দশমিক ৪ শতাংশ বা প্রায় ২৮ হাজার ২৫২ কোটি টাকা। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে শতকরা ৫ দশমিক ৪ শতাংশ বা প্রায় ২৮ হাজার ২৫২ কোটি টাকা। স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে শতকরা ৪ দশমিক ৯ শতাংশ বা প্রায় ২৫ হাজার ৬৩৬ কোটি টাকা।

প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে শতকরা ৬ দশমিক ১ শতাংশ বা প্রায় ৩১ হাজার ৯১৪ কোটি টাকা। সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে শতকরা ৫ দশমিক ৬ শতাংশ বা প্রায় ২৯ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা। জনশৃংখলা ও নিরাপত্তা খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে শতকরা ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বা প্রায় ২৭ হাজার ৭২৯ কোটি টাকা।

গৃহায়ন খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে শতকরা ১ দশমিক ৩ শতাংশ বা প্রায় ৬ হাজার ৮০১ কোটি টাকা। বিনোদন, সংস্কৃতি ও ধর্ম খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে শতকরা দশমিক ৯ শতাংশ বা প্রায় ৪ হাজার ৭০৮ কোটি টাকা। শিল্প ও অর্থনৈতিক সার্ভিস খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে শতকরা দশমিক ৭ শতাংশ বা প্রায় ৩ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা।

এছাড়াও বিবিধ ব্যয়ের জন্য ধরা হয়েছে শতকরা দশমিক ২ শতাংশ বা এক হাজার ৪৬ কোটি টাকা।

২। বাজেটে যেসব খাতে আয় ধরা হয়েছে

২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন শুরু করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৃহস্পতিবার ৩টার পর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর অনুমতি নিয়ে তিনি বাজেট উপস্থাপন করতে শুরু করেন।

এবারের প্রস্তাবিত বাজেটের সবচেয়ে বড় আয়ের উৎস ধরা হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নিয়ন্ত্রিত কর থেকে। এই খাত থেকে আয় ধরা হয়েছে শতকরা ৬২ দশমিক ২ শতাংশ বা প্রায় ৩ লাখ ২৫ হাজার ৪২৪ কোটি টাকা।

এ ছাড়াও এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থায়নের উৎস থেকে দেখা যায়, মোট বাজেটের শতকরা দশমিক ৮ শতাংশ বা প্রায় ৪ হাজার একশ ৮৫ কোটি টাকা আসবে বৈদেশিক অনুদান থেকে। বৈদেশিক ঋণ থেকে আসবে শতকরা ১২ দশমিক ২ শতাংশ বা প্রায় ৬৩ হাজার ৮২৯ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ ঋণ থেকে আসবে শতকরা ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ বা প্রায় ৭৭ হাজার ৪৩২ কোটি টাকা।

কর ব্যতীত প্রাপ্তি থেকে আসবে শতকরা ৭ দশমিক ২ শতাংশ বা প্রায় ৩৭ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বহির্ভূত কর থেকে আসবে শতকরা ২ দশমিক ৮ শতাংশ বা প্রায় ১৪ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকা।

......দৈনিক ইত্তেফাক......

    বিষয় : রাষ্ট্রপতির কার্যালয়, আপন বিভাগের “[…]

    বিষয় : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্[…]

    Amendment of Vacancy announcement for the post of […]