Get on Google Play

বাংলাদেশ বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান
#1253
২৫শে মার্চ থেকে ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত যে সকল স্বনামধন্য বুদ্ধিজীবী পাকবাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আল বদরের হাতে প্রাণ হারান তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যঃ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকঃ
ডঃ গোবিন্দ চন্দ্র দেব (দর্শনশাস্ত্র)
ডঃ মুনির চৌধুরী (বাংলা সাহিত্য)
ডঃ মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী (বাংলা সাহিত্য)
ডঃ আনোয়ার পাশা (বাংলা সাহিত্য)
ডঃ আবুল খায়ের (ইতিহাস)
ডঃ জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা (ইংরেজি সাহিত্য)
ডঃ সিরাজুল হক খান (শিক্ষা)
ডঃ এ এন এম ফাইজুল মাহী (শিক্ষা)
হুমায়ূন কবীর (ইংরেজি সাহিত্য)
রাশিদুল হাসান (ইংরেজি সাহিত্য)
সাজিদুল হাসান (পদার্থবিদ্যা)
ফজলুর রহমান খান (মৃত্তিকা বিজ্ঞান)
এন এম মনিরুজ্জামান (পরিসংখ্যান)
এ মুকতাদির (ভূ-বিদ্যা)
শরাফত আলী (গণিত)
এ আর কে খাদেম (পদার্থবিদ্যা)
অনুদ্বৈপায়ন ভট্টাচার্য (ফলিত পদার্থবিদ্যা)
এম এ সাদেক (শিক্ষা)
এম সাদত আলী (শিক্ষা)
সন্তোষচন্দ্র ভট্টাচার্য (ইতিহাস)
গিয়াসউদ্দিন আহমদ (ইতিহাস)
রাশীদুল হাসান (ইংরেজি)
এম মর্তুজা (চিকিৎসক)

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকঃ
ডঃ হবিবুর রহমান (গণিত বিভাগ)
ডঃ শ্রী সুখারঞ্জন সমাদ্দার (সংস্কৃত)
মীর আবদুল কাইউম (মনোবিজ্ঞান)

চিকিৎসকঃ
অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ ফজলে রাব্বি (হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ)
অধ্যাপক ডাঃ আলিম চৌধুরী (চক্ষু বিশেষজ্ঞ)
অধ্যাপক ডাঃ শামসুদ্দীন আহমেদ
অধ্যাপক ডাঃ আব্দুল আলিম চৌধুরী
ডাঃ হুমায়ুন কবীর
ডাঃ আজহারুল হক
ডাঃ সোলায়মান খান
ডাঃ আয়েশা বদেরা চৌধুরী
ডাঃ কসির উদ্দিন তালুকদার
ডাঃ মনসুর আলী
ডাঃ মোহাম্মদ মোর্তজা
ডাঃ মফিজউদ্দীন খান
ডাঃ জাহাঙ্গীর
ডাঃ নুরুল ইমাম
ডাঃ এস কে লালা
ডাঃ হেমচন্দ্র বসাক
ডাঃ ওবায়দুল হক
ডাঃ আসাদুল হক
ডাঃ মোসাব্বের আহমেদ
ডাঃ আজহারুল হক (সহকারী সার্জন)
ডাঃ মোহাম্মদ শফী (দন্ত চিকিৎসক)

অন্যান্যঃ
শহীদুল্লাহ কায়সার (সাংবাদিক)
নিজামুদ্দীন আহমেদ (সাংবাদিক)
সেলিনা পারভীন (সাংবাদিক)

সিরাজুদ্দীন হোসেন (সাংবাদিক)
আ ন ম গোলাম মুস্তফা (সাংবাদিক)
আলতাফ মাহমুদ (গীতিকার ও সুরকার)।
ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত (রাজনীতিবিদ)
রণদাপ্রসাদ সাহা (সমাজসেবক এবং দানবীর)
যোগেশ চন্দ্র ঘোষ (শিক্ষাবিদ, আয়ূর্বেদিক চিকিৎসক)
জহির রায়হান (লেখক, চলচ্চিত্রকার)
মেহেরুন্নেসা (কবি)
ডঃ আবুল কালাম আজাদ (শিক্ষাবিদ, গণিতজ্ঞ)
নজমুল হক সরকার (আইনজীবী)
নূতন চন্দ্র সিংহ (সমাজসেবক, আয়ূর্বেদিক চিকিৎসক)

বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গঃ
পাকিস্তানী সামরিক জান্তার পক্ষে এ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিল মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী। আর তাকে তালিকা প্রস্তুতিতে সহযোগীতা ও হত্যাকাণ্ড বাস্তবায়নের পেছনে ছিল মূলত জামায়াতে ইসলামী কর্তৃক গঠিত কুখ্যাত আল বদর বাহিনী। বুদ্ধিজীবী হত্যার প্রধান ঘাতক ছিল বদর বাহিনীর চৌধুরী মঈনুদ্দীন (অপারেশন ইন-চার্জ) ও আশরাফুজ্জামান খান (প্রধান জল্লাদ)। ১৬ ডিসেম্বরের পর আশরাফুজ্জামান খানের নাখালপাড়ার বাড়ি থেকে তার একটি ব্যক্তিগত ডায়েরী উদ্ধার করা হয়, যার দুটি পৃষ্ঠায় প্রায় ২০ জন বুদ্ধিজীবীর নাম ও বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের কোয়ার্টার নম্বরসহ লেখা ছিল। তার গাড়ির ড্রাইভার মফিজুদ্দিনের দেয়া সাক্ষ্য অনুযায়ী রায়ের বাজারের বিল ও মিরপুরের শিয়ালবাড়ি বদ্ধভূমি হতে বেশ কয়েকজন বুদ্ধিজীবীর গলিত লাশ পাওয়া যায় যাদের সে নিজ হাতে গুলি করে মেরেছিল। আর চৌধুরী মঈনুদ্দীন ৭১ সালে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিল। সে অবজারভার ভবন হতে বুদ্ধিজীবীদের নাম ঠিকানা রাও ফরমান আলী ও ব্রিগেডিয়ার বশীর আহমেদকে পৌঁছে দিত। এছাড়া আরো ছিল এ বি এম খালেক মজুমদার (শহীদুল্লাহ কায়সারের হত্যাকারী), মাওলানা আবদুল মান্নান (ডাঃ আলীম চৌধুরীর হত্যাকারী) , আবদুল কাদের মোল্লা (কবি মেহেরুন্নেসার হত্যাকারী) প্রমুখ। চট্টগ্রামে প্রধান হত্যাকারী ছিলেন ফজলুল কাদের চৌধুরী ও তার দুই ছেলে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং গিয়াস কাদের চৌধুরী।

সংগৃহিতঃ- Mohammad Shams
    Similar Topics
    TopicsStatisticsLast post
    0 Replies 
    1369 Views
    by kajol

    ১.দানশীলতা আনুষ্ঠানিক সমাজকর্মের –ভিত্তি ২. […]

    ১৬.বাংলাদেশের কোন প্রতিষ্ঠানটি মাইক্রোক্রেডিট সম্ম[…]

    বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন প্রশাসন ব[…]

    প্রকৃত নামঃ গন্ধর্ব নারায়ন মিত্র জন্মঃ ১০ এপ্রিল[…]