Get on Google Play

বাংলাদেশ বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান
#1148
বঙ্গবন্ধু-১ কৃত্রিম উপগ্রহ
-----------------------------------
>>আশু পরিবর্তন সম্বন্ধে বলতে গেলে প্রথমেই বলতে হয় বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম যোগাযোগ উপগ্রহ ‘বঙ্গবন্ধু-১’ এর কথা। বাংলাদেশ ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এর এখতিয়ারভুক্ত বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এর দ্বারা পরিচালিত হবার কথা এর।
>>৩,৫০০ কেজি ভরের এই কৃত্রিম উপগ্রহটি তৈরি করছে ‘থেলস অ্যালেনিয়া স্পেস’ নামক ফরাসী প্রতিষ্ঠান। মোট ৪০টি কেইউ ও সি-ব্যান্ড ট্রান্সপন্ডারসহ (বৈদ্যুতিক যন্ত্র যা সিগন্যাল গ্রহণ করে নির্দিষ্ট প্রত্যুত্তর করতে পারে) এটি ১১৯.১০ পূর্ব-দ্রাঘিমার ভূসমলয় উপগ্রহ এলাকায় স্থাপিত হবে।
>>থেলস অ্যালেনিয়া স্পেসের স্পেসবাস-৪০০০বিটু এর আদলে তৈরি এ কৃত্রিম উপগ্রহটি সবকিছু ঠিক থাকলে এ বছরের ১৬ই ডিসেম্বর স্পেসএক্স ফ্যালকন-৯ রকেটের মাধ্যমে মহাকাশে পাঠানোর কথা থাকলেও পাঠানো হয়নি; ২৬ শে মার্চ,২০১৮ পাঠানো হবে।>>বাণিজ্যিকভাবে এটি তার কার্যক্রম ২০১৮ সালের মার্চ মাসে শুরু করবে এবং এটি বাংলাদেশ থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
>>বর্তমানে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ ও অন্যান্য সুবিধার জন্য বার্ষিক প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ ডলার উপগ্রহভাড়া দেয়। নিজস্ব কৃত্রিম উপগ্রহ থাকলে এদেশ এক্ষেত্রে শুধু স্বনির্ভরই হবে না, বরং বৈদেশিক মুদ্রাও আয় করবে।
>>১৬,০০০ মেগাহার্টজ ক্ষমতার বঙ্গবন্ধু-১ উপগ্রহের এর স্থায়িত্বকাল ১৫ বছর হবে।
--------------------------------
পদ্মাসেতু
--------------------------------
>>নির্মাণাধীন ৬.১৫ কিলোমিটার লম্বা পদ্মা বহুমুখী সেতু বাংলাদেশের দীর্ঘতম ও বৃহত্তম সেতু হতে যাচ্ছে।
>> ৩.৬৫ বিলিয়ন ইউএস ডলার খরচে নিজস্ব উদ্যোগে বাংলাদেশ এই সেতুটি তৈরি করছে, যা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের সাথে অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার নতুন দিকপাল হিসেবে কাজ করবে।
>>শতকরা প্রায় ৩৭ ভাগ কাজ হওয়া সেতুটি বন্যা ও ভূমিকম্প প্রতিরোধী। জাজিরা পয়েন্টে শতকরা ৬৫ ভাগ এবং মাওয়া পয়েন্টে শতকরা ৭৩ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
>>১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি খিলান নিয়ে তৈরি হবে এ সেতু যার প্রতিটির ওজন প্রায় ২,৯০০ টন। প্রতি মাসে এগুলো ১-২টি করে চীন থেকে আনা হয়। ২০-৮০ মিলিমিটার পুরু স্টীলের পাত এগুলো তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে।
>>দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনে নানা সেবার দুয়ার খুলে দিতে পারবে এ বহুমুখী সেতুটি।
>>এটির নির্মাণ ২০১৮-১৯ সাল নাগাদ সম্পন্ন হয়ে ব্যবহারের জন্য অবমুক্ত করে দেয়া হবে। আর তা হলে বাংলাদেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন তথা জিডিপি শতকরা ১.২ ভাগ বৃদ্ধি পাবে।
--------------------------------------
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র
--------------------------------------
>>দেশের বর্ধিষ্ণু বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাবার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সরকার পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে।
>>এর নির্মাণে ১২.৬৫ বিলিয়ন ইউএস ডলার ব্যয় হবে যার ৯০% রুশ সরকার ঋণ হিসেবে যোগান দেবে।
>>২.৪ গিগাওয়াট (২৪০০ মেগাওয়াট) ক্ষমতার এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির উপযোগিতা নিয়ে রাশিয়ান প্রতিষ্ঠান রোসাটম স্টেট এটমিক এনার্জি কর্পোরেশন ২০১৩ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি এর অঙ্গসংস্থা অ্যাটোমেনার্গোপ্রোয়েক্টও এর সাথে জড়িত।
>>এ কাজের জন্য প্রায় অর্ধ-বিলিয়ন ডলার ঋণের অর্থ পেয়েছে রোসাটম। রুশ প্রতিষ্ঠান এটমস্ট্রয় এক্সপোর্টের এটি তৈরি করার কথা।
>>২০১৭ সালে এর কাজ শুরু হয়ে ২০২০ সালের মধ্যে তা শেষ হবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ সরকার।
>>এর দুইটি ভিভিইআর-১২০০ রিঅ্যাক্টরের একটি (রূপপুর-১) ২০২৩ সাল ও অন্যটি (রূপপুর-২) ২০২৪ সাল নাগাদ কর্মক্ষম হবে। রোসাটম এক বছর বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালাবার পর তা বাংলাদেশকে পরিচালনার জন্য দেবে। চুক্তি মোতাবেক, রুশ সরকার পারমাণবিক জ্বালানীর যোগান ও ব্যবহৃত জ্বালানীর অপসারণের দায়িত্ব নেবে। যদিও হালে এই চুক্তি নিয়ে রুশ সরকারের সাথে কিছু জটিলতা ও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়েও চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা-বিতর্কের ঝড়।
সরকার একদিকে যেমন এটিকে দেখছে শক্তির উৎস নানামুখী করার ও পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুযোগ হিসেবে, তেমনি অনেকের মতে, বাংলাদেশ এখনো অবকাঠামো ও প্রযুক্তিগতভাবে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য তৈরি নয়। বরং বাংলাদেশের উচিত শক্তি উৎপাদনের অন্য কোনো উপায় চিন্তা করা। এ সকল বিতর্কের কিছু সুস্পস্ট কারণ পাওয়া গেছে। যেমনঃ
১) রূপপুরে নির্দিষ্ট করা স্থানটি ৫০ বছর আগে বাছাই করা হয়েছিলো তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের দ্বারা। কোনো ধরনের পরিবেশের উপর এর আশু প্রভাব কিংবা স্থান হিসেবে এর উপযোগিতা সেভাবে যাচাই করা হয় নি। তখন এর পাশ দিয়ে বহমান পদ্মা ছিল খরস্রোতা নদী। কালের ফেরে পলি জমে ও ফারাক্কা বাঁধের কারণে (ঐ স্থান থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত) পানি কমে যাওয়ায় গ্রীষ্মকালে এর শতকরা প্রায় ৭৫ ভাগ পানি শুকিয়ে যায়। ফলে একটি ১০০০ মেগাওয়াট ইলেকট্রিক ইউনিট রিঅ্যাক্টরকে ঠান্ডা করার মতো যথেস্ট পানিও সেখানে নেই! যেখানে সরকার দুটি রিঅ্যাক্টর বসাতে চলেছে। মানুষ আশঙ্কা করছে যে, যথেষ্ট হিমায়ক পানির অভাবে ঘটতে পারে। ফুকুশিমার ঘটনার মতো কোনো বিপর্যয় যার পরিণতি হবে ব্যাপক ধ্বংসাত্মক, লক্ষ লক্ষ মানুষ হবে তেজস্ক্রিয়তার ভয়াবহ শিকার।
২) বাংলাদেশের এত বড় ও জটিল সিস্টেম পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত দক্ষতা, জনবল, সুরক্ষা, নির্দেশিকা ও নীতিমালা নেই। বাংলাদেশ থেকে যদিও এটা দাবি করা হয়েছে যে- রাশিয়া থেকে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার ব্যাপারে নিশ্চিত করা হয়েছে, কিন্তু রোসাটমের দাবি নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার ভার লাইসেন্সধারীর তথা বাংলাদেশের। অর্থাৎ লাইসেন্স সংক্রান্ত আইনি মারপ্যাঁচ সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ এখনো বুঝে উঠতে পারে নি।
৩) এই চুল্লিতে ব্যবহৃতব্য ইউরেনিয়াম জ্বালানীর যোগান এবং ব্যবহৃত জ্বালানি ও বর্জ্য (নিউক্লিয়ার ওয়েস্ট) অপসারণ উভয়ের ভারই রুশ সরকার নেবে বলে চুক্তি করেছিল- দাবি বাংলাদেশের। কিন্তু রাশিয়া থেকে এ দাবি অস্বীকার করে বলা হয় নিউক্লীয় বর্জ্য তারা নিয়ে যাবে এমন কোনো চুক্তিই নাকি হয় নি।
৪) যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে তা জনমানুষের পাশাপাশি নদীমাতৃক বাংলাদেশের জলজ প্রাণী ও বাস্তুসংস্থানকে বিপর্যস্ত করে তুলবে। পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এত বেশি হবে যা পৃথিবী এখন অবধি দেখে নি। দুর্ঘটনা হলে তা আশেপাশে অবস্থিত ভারতীয় এলাকাসহ সমগ্র বাংলাদেশ মিলিয়ে মোট ১০০ মিলিয়ন মানুষকে নিউক্লিয় তেজস্ক্রিয়তার শিকার করে ছাড়বে।
৫) ঋণের টাকার কিছু অংশ কিছু রাশিয়ান সংস্থাকে দিতে হচ্ছে, উচ্চ অঙ্কের ঋণ বাংলাদেশের অর্থনীতির উপর বোঝাস্বরূপ। তাছাড়া এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণসহ আনুষঙ্গিক খরচ অত্যন্ত ব্যয়বহুল। প্রাপ্ত ঋণের টাকা পর্যাপ্ত না হওয়ায় বাংলাদেশকেও অর্থলগ্নি করতে হচ্ছে।
এ সকল কারণে নানান আলোচনা-সমালোচনা ও মতামতের বৃষ্টিস্নাত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এখন এটি বাংলাদেশের প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ চাহিদা মিটিয়ে ও বিদ্যুৎ রপ্তানি করে বাংলাদেশকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে নাকি ভয়ঙ্কর বিপর্যয় ঢেকে আনবে সেটাই দেখার বিষয়। অনেকের মতে, এত বড় ঝুঁকি না নিয়ে সরকারের এ প্রকল্প বন্ধ করে দেয়া উচিত।
----------------------------------
মেট্রো-রেল
----------------------------------
>>মাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-৬ তথা বাংলাদেশের বহুল আলোচিত মেট্রো-রেলের কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে, যা নগরীর যানজট কমাতে কাজে লাগবে বলে আশা ব্যক্ত করা হয়েছে।
>>২৪টি ট্রেন দ্বারা ঘণ্টায় প্রায় ৬০,০০০ যাত্রী বহনকারী মেট্রোরেলের দৈর্ঘ্য প্রথমে হবে প্রায় ২০ কিলোমিটার। এটি ঢাকা মহানগরীর ভেতরে ২০১৯ সাল নাগাদ এবং ঢাকার বাইরে যেমন- সাভার, টঙ্গী প্রভৃতি এলাকায় ২০৩৫ সাল নাগাদ পৌঁছতে পারবে।
>>উত্তর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত প্রাথমিক দফায় এবং আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায় মেট্রোরেলের কাজ হবে যার প্রথম দফার কাজ ২০১৯ সালের ডিসেম্বর নাগাদ এবং দ্বিতীয় দফার কাজ ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাস নাগাদ শেষ হবে।
>>এটির খরচ ধরা হয়েছে ২.৫ বিলিয়ন ইউএস ডলার। মেট্রোরেলের রাস্তায় চাকুলি মন্দির অবস্থিত হওয়ায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে তা মিরপুর সেনানিবাস থেকে অন্যত্র সরিয়ে রাস্তা চওড়া করে নেয়া হচ্ছে। - এর মাধ্যমে উত্তর উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত যেতে মোট ৩৭ মিনিট লাগবে এবং পথিমধ্যের ১৬টি স্টেশনের দু’পাশের লাইনে গড়ে প্রতি ৪ মিনিটে একটি করে ট্রেন দেখা যাবে। ট্রেনগুলোতে ৬টি বড় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বগি থাকবে। মেট্রোরেল চলবে ভূমি থেকে ওপরে।
--------------------------------
এলএনজি টার্মিনাল
--------------------------------
>>পেট্রোবাংলা মার্চ ৩১, ২০১৬ যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির সাথে চুক্তি সই করে।
>>প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় ধরা হয় ২ বছর।
>>ব্যয় ধরা হয় ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
>>এই প্রকল্পের অংশ হিসাবে, এটিকে জাতীয় গ্রিডের সাথে যুক্ত করা জন্য মহেশখালি থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটার পাইপ লাইন নির্মান করা হবে।
>>২০১৭ সাল থেকে প্রতি বছর ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচে কাতার থেকে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি (LNG- Liquefied Natural Gas) আমদানি করবে।
-----------------------------------
ঢাকা-চট্টগ্রাম ঊড়াল মহাসড়ক
-----------------------------------
>>৭০,০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য ঢাকা-চট্টগ্রাম ঊড়াল মহাসড়কটি বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত সর্বাপেক্ষা বেশি ব্যয়বহুল পরিকল্পনা।
>>ঘনবসতি সম্পন্ন দেশ হবার কারণে এই প্রকল্পের জন্য পর্যাপ্ত জমির অভাব এর মূল্য আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। তবুও এটি বাস্তবায়িত হলে যানসমূহ গড়ে প্রায় ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে যেতে পারবে কোনো রকম অযাচিত যানজট, অবৈধভাবে পার্ক করা যানবাহন এবং পথচারীর ঝামেলা ছাড়াই। এভাবে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম চলে যাওয়া যাবে মাত্র দু’ঘণ্টায়।
>>এতে ইঞ্জিনবিহীন যান চলার আলাদা রাস্তা এবং জরুরী ক্ষেত্রে (যেমন- এ্যাম্বুলেন্স, দমকল) যাতায়াতের জন্য ইমার্জেন্সি লেন রয়েছে।
---------------------
>>ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেস রেলওয়ে
---------------------
>>ঢাকা ও চট্টগ্রাম সংযোগকারী এই রেলপথ কমিয়ে দেবে যাত্রাপথে নষ্ট হওয়া অনেক সময়। অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটারেরও বেশি গতিতে চলবে ট্রেন।
>>এই ট্রেনগুলোকে পথিমধ্যে অন্য ট্রেনের গমনের জন্য লাইনে অপেক্ষা করতে হবে না। কেননা এই রেলপথ সম্পূর্ণ আলাদাভাবে তৈরি হবে।
>>এটি সড়কপথের যানগুলোর উপরের চাপ কমিয়ে দিয়ে যানজট ও জনভোগান্তির নিরসন করবে বলেই আশাবাদ ব্যক্ত করা যায়।
----------------------
ঢাকা-কক্সবাজার রেলওয়ে লিঙ্ক প্রকল্প
----------------------
>>বাংলাদেশের অন্যতম এই পর্যটন নগরী কক্সবাজারে এখনো পর্যন্ত কোনো রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। কেমন হতো যদি রেলপথ তৈরি করে এর যাত্রাপথ আরো সুগম করা যায়? এই লক্ষ্যেই উদ্যোগ নেয়া হবে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথের যা রাজধানী ঢাকার সাথে কক্সবাজারের সরাসরি সংযোগ স্থাপন করবে। এতে সহজেই ছুটির দিনে কম ঝামেলায় উপভোগ করে আসতে পারবেন কক্সবাজারের অবিরাম সৌন্দর্য। ঢাকা-চট্টগ্রাম হয়ে ডুলাহাজরা পর্যন্ত বিস্তৃত হবে এ রেলপথ।
>>বাস্তবায়িত হলে এ সকল প্রকল্প যেমন উন্নয়ন ও নাগরিক সুবিধা বয়ে আনবে, তেমনি পাল্টে দেবে বাংলাদেশের অনেক কিছু। জীবনের মানোন্নয়ন, মহানগরীর সমস্যা নিরসন, নাগরিক সুযোগ-সুবিধার প্রসারণ, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ও বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের নতুন নতুন দুয়ার খুলে দিতে পারে এ ধরনের নানা প্রকল্প। আবার এগুলোর কিছু কিছু নিয়ে বিতর্ক, আলোচনা ও কিছু ক্ষেত্রে জনমনে শঙ্কারও শেষ নেই। তাই সঠিক পরিকল্পনামাফিক কাজ ও সম্পদের বিবেকোচিত ব্যবহারই কোনো প্রকার ক্ষতি ব্যতিরেকে দেশের উন্নতিতে ভূমিকা রাখতে পারে।
----------------------
এরকম আরও কিছু মেগা প্রজেক্ট হলো--
* রাম্পাল বিদ্যুৎ প্রকল্প
* মাতারবাড়ি ১২০০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প
* সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দর
* পায়রা সমুদ্রবন্দর
(সংগৃহীত)
    Similar Topics
    TopicsStatisticsLast post
    0 Replies 
    1108 Views
    by raju
    0 Replies 
    1658 Views
    by apple
    0 Replies 
    2587 Views
    by romen
    0 Replies 
    2976 Views
    by romen
    0 Replies 
    2151 Views
    by romen

    A group of lions------------------------ A pride o[…]

    • Our family is on very good terms with his f[…]

    • ’মেঘনাদবধ’ কাব্যে ‘রাক্ষস[…]