Get on Google Play

বাংলাদেশ বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান
#7253
GI কী?
- GI-এর অভিব্যক্তি geographical Indication; যার বাংলা অর্থ ‘ভৌগোলিক নির্দেশক’। GI হলো একটি চিহ্ন বা প্রতীক। যেটা নির্দিষ্ট একটি পণ্যের জন্য ব্যবহার করা হয়, যা কোনো একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকার (শহর বা দেশ) পণ্যের পরিচিতি বহন করে । এতে পণ্যটি ঐ দেশের বা এলাকার পণ্য হিসেবে খ্যাতি পায়।

বাংলাদেশের GI পণ্য
DPDT এ পর্যন্ত ৯টি বাংলাদেশি পণ্যের GI নিবন্ধন করেছে। ১৭ নভেম্বর ২০১৬ প্রথম GI পণ্য হিসেবে নিবন্ধন সনদ পায় ‘জামদানি শাড়ী’। এরপর ২৪ আগস্ট ২০১৭ দ্বিতীয় পণ্য হিসেবে ‘বাংলাদেশ ইলিশ’ এবং ২৭ জানুয়ারি ২০১৯ তৃতীয় পণ্য হিসেবে ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম’ এ স্বীকৃতি পায়। সাম্প্রতিক সময়ে আরো ছয়টি পণ্যের GI নিবন্ধন চূড়ান্ত করা হয়।

নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় ২৮ পণ্য
GI পণ্য নিবন্ধনের জন্য পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরে ৩৭টি পণ্যের আবেদন করা হয়। এর মধ্যে ৯টি পণ্যের নিবন্ধন করা হয়েছে। আরও দুটি পণ্য জার্নাল প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। এগুলো হলো- বাংলাদেশ বাগদা ও রাজশাহীর ফজলি। এই দুটি জার্নালে প্রকাশ হলে কোনো আপত্তি না এলে পরবর্তী দুই মাস পর GI পণ্যের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাবে। এছাড়া বগুড়ার দই, সিলেটের আগর, জামালপুরের তুলসীমালা ধান, রংপুরের হাঁড়িভাঙা আমসহ আরও ২৬টি পণ্য GI নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়াধীন।

নিবন্ধন সংস্থা
মেধাস্বত্ব-বিষয়ক বৈশ্বিক সংস্থা World Intellectual Properly Organization (WIPO) সাধারণত ভৌগোলিক হয়ে স্থানীয়ভাবে কাজটি করে থাকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (DPDT)।

নিবন্ধনে বিদ্যমান আইন
বাংলাদেশ ৬ নভেম্বর ২০১৩ ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন করে। ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা আইন) ২০১৩ অনুযায়ী, ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য বা GI পণ্য অর্থ ভৌগোলিক নির্দেশকসম্পন্ন এরূপ কৃষিজাত বা প্রকৃতিজাত অথবা প্রস্তুতকৃত পণ্য, যার দ্বারা উক্ত পণ্য কোনো বিশেষ দেশে বা ভূখণ্ডে বা উক্ত দেশ বা ভূখণ্ডের কোনো বিশেষ অঞ্চল বা এলাকার জাত বা প্রস্তুতকৃতকে বোঝায়।

অর্থনৈতিক উন্নয়নে GI-এর গুরুত্ব
বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় GI পণ্য নিবন্ধন ও সুরক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশের নিজস্ব মালিকানা স্বত্ব প্রতিষ্ঠা লাভের পাশাপাশি শক্তিশালী ব্র্যান্ডের মর্যাদা লাভ করবে। বিপণন কৌশলের নিয়ামক হবে, ভোক্তা সাধারণের অধিকার সুরক্ষা দেবে, গ্রামীণ উন্নয়নের অন্যতম উপাদান হবে, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সমুন্নত রাখবে। এছাড়া এসব পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাবে, আন্তর্জাতিক বাজার সৃষ্টি হবে, রপ্তানি ও বিনিয়োগ বাড়বে এবং নতুন নতুন শিল্প গড়ে উঠবে। কর্মসংস্থান বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখবে। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ভোক্তা সাধারণ নিবন্ধিত GI পণ্যগুলো ক্রয়ের ক্ষেত্রে সমজাতীয় অনিবন্ধিত GI পণ্যের চেয়ে ২০-৩০% মূল্য বেশি দিতে সম্মত থাকে।

    বিষয় : রাষ্ট্রপতির কার্যালয়, আপন বিভাগের “[…]

    বিষয় : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্[…]

    Amendment of Vacancy announcement for the post of […]