Get on Google Play

বাংলাদেশ বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান
#7107
বাংলা নববর্ষ
পহেলা বৈশাখ বাংলা বর্ষের প্রথম মাসের প্রথম দিন । বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বাহক পহেল বৈশাখ এক অসাম্প্রদায়িক উৎসবের দিন । অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যার্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ , শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপিত হয় নববর্ষের প্রথম দিন ।

বাংলা সনের সূচনা
কৃষিকাজরে সুবিধার্থেই মোগল সম্রাট আকবর ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১০/১১ মার্চ বাংলা সন প্রর্বতন করেন এবং তা কার্যকর হয় তার সিংহসনে আরোহণের সময় থেকে (১৫৫৬, হিজরি ৯৬৩) হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌরসনকে ভিত্তি করে বাংলা সন প্রবর্তিত হয় । নতুন সনটি প্রথমে ‘ফসলি সন’ নামে পরিচিত ছিল, পরে তা বঙ্গাব্দ নামে পরিচিত ।

পহেল বৈশাখ উদযাপন
নতুন বছরের উৎসবের সাথে বাঙালি জনগোষ্ঠীর কৃষ্টি ও সংস্কৃতির নিবিড় সম্পর্ক নয়েছে । হাজার বছরের ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় এসময় বাঙালি হারিয়ে যায় বাঁধভাঙা উল্লাসে । সর্বজনীন এবং স্থানীয় এ দু’ধরনের অনুষ্ঠান সমারোহে ফুঁটে উঠে বাঙালির লোক-সংস্কৃতির চিরাচরিত ধারা । এর মধ্যে কয়েকটি - বৈশাখী মেল , হালখাতা , গম্ভীরা , বলীখেলা , লাঠিখেলা বা কাঠি নাচ , ষাঁড়েই লড়াই , মোরগের লড়াই , গরুর দৌড় , হা-ডু-ডু খেলা ।
ঢাকা শহরে পহেলা বৈশাখের মূল অনুষ্ঠানের কেন্দ্রবিন্দু সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটের গানের মাধ্যমে নতুন বছরের সূর্যকে আহ্বান । পহেলা বৈশাখে সূর্যোদয়ের সাথে ছায়ানটের শিল্পীর রমনা বটমূলে সম্মিলিত কণ্ঠে গান গেয়ে নতুন বছরকে স্বাগতম জানায় । ১৯৬০ - এর দশকে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর নিজীড়ন ও সাংস্কৃতিক সন্দ্রাসের প্রতিবাদে ১৯৬৭ সাল থেকে ছায়ানচের এ বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সূচনা । ঢাকার বৈশাখী উৎসবের আরেকটি আবশ্যিক অঙ্গ মঙ্গল শোভাযাত্রা ।
    Similar Topics
    TopicsStatisticsLast post
    0 Replies 
    198 Views
    by tamim
    0 Replies 
    166 Views
    by raja
    0 Replies 
    141 Views
    by mousumi
    0 Replies 
    693 Views
    by kajol
    0 Replies 
    656 Views
    by raihan

    বিষয় : রাষ্ট্রপতির কার্যালয়, আপন বিভাগের “[…]

    বিষয় : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্[…]

    Amendment of Vacancy announcement for the post of […]