Get on Google Play

বাংলাদেশ বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান
#3842
বাংলাদেশের জনসংখ্যা ও আদমশুমারি:
জনসংখ্যায় বাংলাদেশ বিশ্বে অষ্টম এবং এশিয়ায় সার্কভুক্ত দেশগুলোয় অবস্থান তৃতীয়। এশিয়া মহাদেশে অবস্থান পঞ্চম।
বাংলাদেশের এক নম্বর জাতীয় সামাজিক সমস্যা জনসংখ্যা সমস্যা। ১৯৭৬ সালে জাতীয় জনসংখ্যা নীতি প্রণীত হয়। একটি দেশের জনসংখ্যাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গনণা করার পদ্ধতিকে আদমশুমারী বলে। ১৮৭২ সালে লর্ড মেয়ারের শাসনামলে ভারতবর্ষে প্রথম আদমশুমারি হয়। ২০১১ সালে বাংলাদেশে সর্বশেষ আদমশুমারি হয়। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ৫টি আদমশুমারি হয়েছে। যথা: ১৯৭৪ সালে, ১৯৮১ সালে, ১৯৯১ সালে, ২০০১ সালে ও ২০১১ সালে। আগামী আদমশুমারী হবে ২০২১ সালে। আদমশুমারী পরিচালনা করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
বাংলাদেশের সিলেট বিভাগে ও গাজীপুর জেলায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি এবং বরিশাল বিভাগে ও বাগেরহাট জেলায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সবচেয়ে কম। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ঋণাত্মক চারটি জেলায় – খুলনা, বাগেরহাট, বরিশাল, ও ঝালকাঠি। বাংলাদেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১০১৫ জন, সর্বাধিক জনবসতিপূর্ণ জেলা ঢাকা এবং কম জনবসতিপূর্ণ জেলা বান্দরবন। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শহর ঢাকা।

ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট
একটি নির্দিষ্ট সময়ে কোনো দেশে সর্বোচ্চ কর্মক্ষম জনসংখ্যা ‘জনসংখ্যা বোনাস’ যুগ। এ সময়ে জনগোষ্ঠীর সবচেয়ে বেশি সংখ্যা থাকে ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সের মধ্যে। কমতে থাকে ১ থেকে ১৫ এর নিচে বয়সী জনসংখ্যা। একই সাথে কমতে থাকে ৬৪ এর ওপর বয়সী জনসংখ্যা। অর্থাৎ যখন কোনো দেশের কর্মক্ষম লোকের সংখ্যা আনুপাতিক হারে সবচেয়ে বেশি থাকে তখন একটি দেশ জনসংখ্যার বোনাস যুগে প্রবেশ করে।
UNDP’র মতে, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট হচ্ছে সেই অবস্থা যখন একটি দেশের জনসংখ্যার ৬০% বা তার কাছাকাছি মানুষের বয়স থাকে ১৫ থেকে ৫৯ বছর। অর্থাৎ কএ সংখ্যক মানুষ কর্মক্ষম। কোনো একটি রাষ্ট্র জনসংখ্যা ও সুযোগ একবারই পেয়ে থাকে। এ যুগ ৩০ থেকে ৪০ বছর পর্যন্ত বিরাজমান থাকে। বাড়ে জাতীয় সঞ্চয় এবং সচল হয় দেশের অর্থনীতির চাকা। বাংলাদেশ বর্তমানে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট অবস্থায় আছে। ২০৩৩ সাল পর্যন্ত এ অবস্থা চলতে থাকবে বলে অর্থনীতি বিদরা মনে করেন। চীনে বিগত শতাব্দীর আশির দশক থেকে এ অবস্থা শুরু হলে তারা এই সুযোগ কাজে লিাগিয়ে আজ দ্বিতীয় অর্থনৈতিক শক্তির দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটিয়ে চীন বর্তমানে পৃথীবির এক নম্বর অর্থনীতির দেশ।

নারীবিষয়ক নানা তথ্য
ব্রিটিশ বাংলার নারীরা প্রথম ভোটাধিকার লাভ করে – ১৯২৯ সালে।
স্বাধীন বাংলাদেশে জাতীয় সংসদে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা করা হয় – ১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদে।
বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর নারী সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয় – ১৯৭৪ সালে।
আনসার বাহিনীতে নারী সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয় – ১৯৭৬ সালে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে প্রথম মহিলা কমিশনপ্রাপ্ত অফিসার নিয়োগ করা হয় – ২০০০ সালে।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে প্রথম নারী ক্যাডেট নিয়োগ করা হয় – ২০০০ সালে।
ইউনিয়ন পরিষদে সংক্ষিপ্ত আসনে সরাসরি ভোটে নারীদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় – ১৯৯৭ সালে।
সন্তানের পরিচয়ের ক্ষেত্রে বাবার নামের পাশাপাশি মায়ের নাম লেখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় – ২০০৪ সালে।
সরকারী গেজেটের পদে মহিলাদের সংরক্ষিত কোটা – ১০%।
সরকারি নন-গেজেটের পদে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত কোটা – ১৫%।
সরকারি চাকুরীজীবী মহিলাদের প্রসূতিকালীন ছুটি – ৬ মাস।
বাংলাদেশের প্রথম মহিলা কারাগার নির্মিত হচ্ছে – কাশিমপুর,গাজীপুর।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত কোটা – ৬০%।
দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোয় মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত কোটা – ৩০%।
    Similar Topics
    TopicsStatisticsLast post
    0 Replies 
    5443 Views
    by delower
    0 Replies 
    388 Views
    by sajib
    0 Replies 
    823 Views
    by rajib
    0 Replies 
    224 Views
    by kajol
    0 Replies 
    246 Views
    by shihab
    long long title how many chars? lets see 123 ok more? yes 60

    We have created lots of YouTube videos just so you can achieve [...]

    Another post test yes yes yes or no, maybe ni? :-/

    The best flat phpBB theme around. Period. Fine craftmanship and [...]

    Do you need a super MOD? Well here it is. chew on this

    All you need is right here. Content tag, SEO, listing, Pizza and spaghetti [...]

    Lasagna on me this time ok? I got plenty of cash

    this should be fantastic. but what about links,images, bbcodes etc etc? [...]