- Tue Oct 20, 2020 1:22 pm#3836
উত্তরা গণভবন
দিঘাপাতিয়া রাজবাড়ী নাটোর জেলায় অবস্থিত। এককালে দিঘাপাতিয়া মহারাজাদের বাসস্থান। এটি বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের উঞ্চরাঞ্চলীয় সচিবালয়। ১৭৪৩ সালে রাজা দয়ারাম রায় এটি নির্মাণ করেন। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই রাজবাড়ীর নামকরণ করেন ‘উত্তরা গনভবন’।
কার্জন হল
কার্জন হল ঢাকার একটি ঐতিহাসিক ভবন। ১৯০৪ সালে ভারতের তৎকালীন ভাইসরয় ও বড়লাট লর্ড কার্জন এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এটি নির্মিত হয় ঢাকা কলেজের পাঠাগার হিসেবে। ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে কার্জন হল অন্তর্ভুক্ত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের জন্য। যা আজও ব্যবহৃত হয়।
আহসান মঞ্জিল
আহসান মঞ্জিল পুরান ঢাকার ইসলামপুরে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। এটি পূর্বে ছিল ঢাকার নবাবদের প্রাসাদ। এর প্রতিষ্ঠাতা নবাব আবদুল গণি। তিনি তার পুত্র খাজা আহসানউল্লাহর নামানুসারে এর নামকরণ করেন। এর নির্মাণকাল ১৮৫৯-১৮৭২ সাল। ১৮৯৭ সালে ঢাকায় ভূমিকম্প আঘাত হানলে আহসান মঞ্জিলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। পরবর্তীকালে নবাব আহসানউল্লাহ তা পুনর্নির্মাণ করেন। ১৯০৬ সালে আহসান মঞ্জিলে অনুষ্ঠিত এক সভায় মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯২ সালে আহসান মঞ্ঝিলকে আহসান মঞ্জিল জাদুঘরে রূপান্তর করা হয়।
বঙ্গভবন
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন বঙ্গভবন। এটি ঢাকার দিলকুশা এলাকায় অবস্থিত। ১৯০৫ সালে পূর্ববঙ্গ ও আসামের সরকার এ স্থানটি কিনে নেয় এবং প্রাসাদোপম বাড়ি তৈরি করে। এটি ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলে গভর্নর হাউজ নামে পরিচিত ছিল। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি গভর্নর হাউজের নাম পরিবর্তন করে বঙ্গভবন রাখা হয়। ঐ দিনই আবু সাইদ চৌধূরি বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হন। এ স্থানটিকে রাষ্ট্রপতির ভবন হিসেবে ব্যবহার করেন।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার
দুইশ আটাশ বছরের ইতিহাস পেছনে ফেলে নতুন ঠিকানায় স্থানান্তর হলো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার। নাজিমউদ্দীন রোডের কারাগার থেকে ৬৪০০ বন্দিকে কেরানীগঞ্জে নবনির্মিত কারাগারে স্থানান্তর হয়েছে। এখন পুরনো কারাগারটি পার্ক আর জাদুঘরে রূপান্তরের অপেক্ষায়। নতুন কারাগারে বন্দি স্থানান্তরের মধ্য দিয়ে দেশের কারা ইতিহাসে যুক্ত হলো নতুন এক অধ্যায়। এর মধ্য দিয়ে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতনের পর ব্রিটিশ আমলে ১৭৮৮ সালে ১৭ একর জায়গার ওপর স্থাপিত কারাগারটি ১৯৪ একরের বৃহৎ পরিসরে স্থানান্তর হলো।
বন্দিদের স্থানান্তরের পর পর্যায়ক্রমে এ জায়গায় স্থাপিত হবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতাসহ কারাগারের ঐতিহাসিক স্মৃতি নিয়ে কারা জাদুঘর, পার্ক, মার্কেটসহ প্রস্তাবিত একাধিক স্থাপনা।
তিন নেতার মাজার
তিন নেতার মাজার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অবস্থিত স্বাধীনতাপূর্ব বাংলার তিন বিখ্যাত নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, খাজা নাজিমুদ্দিন, এবং শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের কবরের ওপর নির্মিত ঢাকার অন্যতম স্থাপত্য নিদর্শন।
রাজশাহীর বড় কুঠি
বড় কুঠি বাংলাদেশের রাজশাহী অঞ্চলের সর্বপ্রাচীন এবং সবচেয়ে আকর্ষনীয় ইমারত। এটি প্রথমে ওলন্দাজ বা ডাচদের ব্যবসাকেন্দ্র ছিল।
দিঘাপাতিয়া রাজবাড়ী নাটোর জেলায় অবস্থিত। এককালে দিঘাপাতিয়া মহারাজাদের বাসস্থান। এটি বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের উঞ্চরাঞ্চলীয় সচিবালয়। ১৭৪৩ সালে রাজা দয়ারাম রায় এটি নির্মাণ করেন। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই রাজবাড়ীর নামকরণ করেন ‘উত্তরা গনভবন’।
কার্জন হল
কার্জন হল ঢাকার একটি ঐতিহাসিক ভবন। ১৯০৪ সালে ভারতের তৎকালীন ভাইসরয় ও বড়লাট লর্ড কার্জন এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এটি নির্মিত হয় ঢাকা কলেজের পাঠাগার হিসেবে। ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে কার্জন হল অন্তর্ভুক্ত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের জন্য। যা আজও ব্যবহৃত হয়।
আহসান মঞ্জিল
আহসান মঞ্জিল পুরান ঢাকার ইসলামপুরে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। এটি পূর্বে ছিল ঢাকার নবাবদের প্রাসাদ। এর প্রতিষ্ঠাতা নবাব আবদুল গণি। তিনি তার পুত্র খাজা আহসানউল্লাহর নামানুসারে এর নামকরণ করেন। এর নির্মাণকাল ১৮৫৯-১৮৭২ সাল। ১৮৯৭ সালে ঢাকায় ভূমিকম্প আঘাত হানলে আহসান মঞ্জিলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। পরবর্তীকালে নবাব আহসানউল্লাহ তা পুনর্নির্মাণ করেন। ১৯০৬ সালে আহসান মঞ্জিলে অনুষ্ঠিত এক সভায় মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯২ সালে আহসান মঞ্ঝিলকে আহসান মঞ্জিল জাদুঘরে রূপান্তর করা হয়।
বঙ্গভবন
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন বঙ্গভবন। এটি ঢাকার দিলকুশা এলাকায় অবস্থিত। ১৯০৫ সালে পূর্ববঙ্গ ও আসামের সরকার এ স্থানটি কিনে নেয় এবং প্রাসাদোপম বাড়ি তৈরি করে। এটি ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলে গভর্নর হাউজ নামে পরিচিত ছিল। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি গভর্নর হাউজের নাম পরিবর্তন করে বঙ্গভবন রাখা হয়। ঐ দিনই আবু সাইদ চৌধূরি বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হন। এ স্থানটিকে রাষ্ট্রপতির ভবন হিসেবে ব্যবহার করেন।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার
দুইশ আটাশ বছরের ইতিহাস পেছনে ফেলে নতুন ঠিকানায় স্থানান্তর হলো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার। নাজিমউদ্দীন রোডের কারাগার থেকে ৬৪০০ বন্দিকে কেরানীগঞ্জে নবনির্মিত কারাগারে স্থানান্তর হয়েছে। এখন পুরনো কারাগারটি পার্ক আর জাদুঘরে রূপান্তরের অপেক্ষায়। নতুন কারাগারে বন্দি স্থানান্তরের মধ্য দিয়ে দেশের কারা ইতিহাসে যুক্ত হলো নতুন এক অধ্যায়। এর মধ্য দিয়ে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতনের পর ব্রিটিশ আমলে ১৭৮৮ সালে ১৭ একর জায়গার ওপর স্থাপিত কারাগারটি ১৯৪ একরের বৃহৎ পরিসরে স্থানান্তর হলো।
বন্দিদের স্থানান্তরের পর পর্যায়ক্রমে এ জায়গায় স্থাপিত হবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতাসহ কারাগারের ঐতিহাসিক স্মৃতি নিয়ে কারা জাদুঘর, পার্ক, মার্কেটসহ প্রস্তাবিত একাধিক স্থাপনা।
তিন নেতার মাজার
তিন নেতার মাজার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অবস্থিত স্বাধীনতাপূর্ব বাংলার তিন বিখ্যাত নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, খাজা নাজিমুদ্দিন, এবং শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের কবরের ওপর নির্মিত ঢাকার অন্যতম স্থাপত্য নিদর্শন।
রাজশাহীর বড় কুঠি
বড় কুঠি বাংলাদেশের রাজশাহী অঞ্চলের সর্বপ্রাচীন এবং সবচেয়ে আকর্ষনীয় ইমারত। এটি প্রথমে ওলন্দাজ বা ডাচদের ব্যবসাকেন্দ্র ছিল।