Get on Google Play

বাংলাদেশ বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান
#3819
ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস:
১৮৮৫ সালে ‘ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস’ বা ভারতীয় প্রতিষ্ঠিত হয়। এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত ইংরেজ সিভিলিয়ন অ্যালান অক্টোভিয়াম হিউম। সর্বভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম সভাপতি ছিলেন উমেশচন্দ্র বন্দোপাধ্যায়। এটি ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন রাজনৈতিক দল।
নিখিল ভারত মুসলিম লীগ:
১৯০৬ সালে ঢাকায় মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। মুসলিম লীগের প্রকৃত নাম ছিল ‘নিখিল ভারত মুসলিম লীগ’। মুসলিম লীগ গঠনের প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন নবাব সলিমুল্লাহ, আগা খান এবং নওয়াব বিকার-উল-মুলক।
আওয়ামী মুসলিম লীগ:
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং আবুল হাসেমের নেতৃত্বাধীন তৎকালীন বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের একাংশের সম্মেলন এর মধ্য দিয়ে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকা টিকাতুলির কেএম দাস লেন রোডের রোজগার্ডেন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাকালীন সাংগঠনিক সদস্য ছিলেন ৪০ জন। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ছিলেন মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শামসুল হক এবং যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। রাজনৈতিক দলটি পূর্ব পাকিস্তানে দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভে সমর্থ হয়। ধর্ম নিরপেক্ষতা চর্চা এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৫৫ সালে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে দলের নাম পরিবর্তন করে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ রাখা হয়।
নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ:
১৯৫১ সালে হোসেন সোহরাওয়ার্দীকে সভাপতি এবং সিন্ধুর মাহমুদুল হক ওসমানীকে সাধারণ সম্পাদক করে গঠন করা হয় নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি):
১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল প্রতিষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা। প্রতিষ্ঠাকালীন বিএনপির নাম ছিল জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল)।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী:
সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী ১৯৪১ সালে লাহোরে জাময়াতে ইসলামী হিন্দ নামে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করে। পাকিস্তান সৃষ্টির পর জামায়াতে ইসলামী মূলত ভারত এবং পাকিস্তান দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়। বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতের শাখা থেকে সৃষ্ঠি। ১৯৭১ সালে জামায়াতে ইসলামী মুক্তিযুদ্ধের তীব্র বিরোধিতা করে।
ন্যাপ (ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি):
১৯৫৭ সালে ৫-৭ ফেব্রুয়ারী টাঙ্গাইলের কাগমারীতে যে সম্মেলন হয়, তাতে পূর্ব পাকিস্তান এর স্বায়ত্তশসিন এবং পররাষ্ট্র নীতি নিয়ে আলোচনা হয়। পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে সোহরাওয়ার্দী ও শেখ মুজিবের সঙ্গে ভাসানীর দ্বন্দ্ব দেখা দয়ে। ১৮ মার্চ ১৯৫৭ ভাসানী আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং একই বছর ২৫ জুলাই রূপমহল সিনেমা হলে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি তথা ন্যাপ গঠন করেন। সভাপতি হন ভাসানী এবং জিএস হন মাহমুদ আলী। মাওলানা ভাসানীর পর আওয়ামী লীগের সভাপতি হন মাওলানা আবদুর রশিদ তর্কবাগিশ।
এনডিএফ (ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট):
১৯৬২ সালে এনডিএফ গঠন করা হয়। আওয়ামী লীগ ন্যাপ, কৃষক শ্রমিক পার্টি ইত্যাদি এনডিএফে যোগ দেয়। মূলত গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠা করার জন্য এনডিএফ গঠন করা হয়।
পাকিস্তান রুখে দাঁড়াও:
১৯৬৪ সালে দাঙ্গার কারনে তোফাজ্জল হোসেন মালিক মিয়াকে আহ্বায়ক করে দাঙ্গা প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি পূর্ব পাকিস্তান রুখে দাঁড়াও শীর্ষক প্রচারপত্র বিলি করে।
কপ (কম্বাইন্ড অপজিশন পার্টি):
১৯৬৪ সালে খাজা নাজিমুদ্দিনের বাসভবনে বিরোধী দলগুলো একত্রিত হয়ে এবং ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য ‘কপ’ গঠন করে।
কেএসপি (কৃষক শ্রমিক পার্টি):
১৯৫৩ সালে শেরে বাংলা একে ফজলুল হক ‘কেএসপি’ গঠন করেন।
    Similar Topics
    TopicsStatisticsLast post
    0 Replies 
    2475 Views
    by romen
    0 Replies 
    5738 Views
    by tumpa
    0 Replies 
    1853 Views
    by tumpa
    0 Replies 
    1591 Views
    by tamim
    0 Replies 
    5807 Views
    by romen

    A group of lions------------------------ A pride o[…]

    • Our family is on very good terms with his f[…]

    • ’মেঘনাদবধ’ কাব্যে ‘রাক্ষস[…]