- Sun Oct 18, 2020 2:27 pm#3816
উয়ারী – বটেশ্বর:
উয়ারী-বটেশ্বর নরসিংদীর বেলাব উপজেলায় অবস্থিত একপি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন এবং সর্বশেষ আবিষ্কৃত প্রত্নতত্ত্ব। এটি মাটির নিচে একটি দুর্গ নগরী। উয়ারী বসতিকে খ্রিষ্ট্রপূর্ব ৪৫০ অব্দের বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। প্রত্নতাত্ত্বিকদের অনেকেই উয়ারী বটেশ্বরকে টলেমির সোনাগড়া বলে উল্লেখ করে থাকেন। ২০১০ সালে এখানে আবিষ্কৃত হয় ১৪০০ বছরের প্রাচীন বৌদ্ধ পদ্মমন্দির। ১৯৩০ সালে স্কুল শিক্ষক মোহাম্মদ হানিফ পাঠান প্রথম উয়ারী বটেশ্বরকে সুধী সমাজের নজরে আনেন। ২০০০ সালে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের উদ্যোগে শুরু হয় এর প্রথম খননকাজ। খনন কাজের নেতৃত্ব দেন বিভাগের প্রধান সুফি মোস্তাফিজুর রহমান।
পুন্ড্রনগর:
বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত মহাস্থানগড় বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন পুরাকীর্তি বাংলার প্রাচীনতম জনপদ ছিল পুন্ড্র। পুন্ড্রদের আবাস্থলই পুন্ড্র নামে পরিচিত। এই পুন্ড্র রাজ্যের রাজধানী ছিল পুন্ড্রনগর। আনুমানিক খ্রিষ্ট্রপূর্ব দ্বিতীয় অব্দে এই নগর গড়ে উঠেছিল। পুন্ড্র নগরের বর্তমান নাম মহাস্থানগড়। এটি মৌর্য ও গুপ্ত রাজবংশের প্রাদেশিক রাজধানী ছিল। কথিত আছে, এখানে পরশুরামের সাথে ফকিরবেশী আধ্যাত্মিক শক্তির অধিকারী হয়রত শাহ সুলতান মোহাম্মদ বলখি (রা) এর যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে পরমাশুর পরাজিত ও নিহত হন। শাহ সুলতান বলখি (রা) এ অঞ্চলে ইসলামের পতাকা উড্ডীন করেন।গড়ের পূর্ব পাশে রয়েছে করতোয়া নদীর তীরে অবস্তিত শীলাদেবীর ঘাট। এখানে রয়েছে সম্রাট অশোক নির্মিত বৌদ্ধস্তম্ভ, যা বেহুলার বাসর ঘর নামে পরিচিত। মহাস্থানগড়ের দার্শনীয় স্থান, শাহ সুলতান বলখির মাজার, পরশুরামের প্রাসাদ, খোদার পাথর ভিটা, বৈরাগীর ভিটা, গোবিন্দর ভিটা, লখিন্দরের বাসরঘর, পদ্মদেবীর বাসভবন ইত্যাদি। ১৮০৮ সালে হ্যামিল্টন বুকানন সর্বপ্রথম এ স্থানটি আবিষ্কার করেন। ১৮৭৯ সালে আলেকজান্ডার কানিংহাম স্থানটিকে প্রাচীন পুন্ড্রবর্ধনের রাজধানী হিসেবে শনাক্ত করেন। এ খনন কাজ শুরু হয় ১৯২৯ সালে।
বৈরাগীর চাল অবস্তিত গাজীপুরের শ্রীপুরে।
মালদহ:
মালদ নামে এক প্রাচীন জাতিগোষ্ঠীর নাম থেকে মালদহ বা মালদা নামটি এসছে। ভারতের স্বাধীনতা লাভের আগে মালদহ ছিল রাজশাহী জেলার অন্তর্ভুক্ত। ১৯৪৭ সালের ১৭ আগস্ট এই চাপাইনবাবগঞ্জ , শিবগঞ্জ, ভোলাহাট, নাচোল ও গোমস্তাপুর থানা বাদে বাকি অংশ ভারতের অন্তর্ভুক্ত ছিল। মালদহে রয়েছে পান্ডুয়া, আদিনা, ও গৌড়ের মতো ঐতিহাসিক স্থান। গৌড়ে রয়েছে বড় সোনা মসজিদ, ছোট সোনা মসজিদ, কদমরসুলইত্যাদি। মালদহের দক্ষিণে গৌড় আর উত্তরে পান্ডুয়া অবস্থান। পান্ডুয়ার অন্যতম মধ্যযুগীয় নিদর্শন হচ্ছে আদিনা মসজিদ।
কোটিবর্ষ:
দেবকোট বা কোটিবর্ষ ছিল বাংলার এক প্রাচীন শহর। কোটিবর্ষ ছিল পন্ড্রবর্ধন ভুক্তির একটি অংশ। অধূনা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বাণগড় গ্রামে এই শহরের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কৃত হয়েছে।
উয়ারী-বটেশ্বর নরসিংদীর বেলাব উপজেলায় অবস্থিত একপি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন এবং সর্বশেষ আবিষ্কৃত প্রত্নতত্ত্ব। এটি মাটির নিচে একটি দুর্গ নগরী। উয়ারী বসতিকে খ্রিষ্ট্রপূর্ব ৪৫০ অব্দের বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। প্রত্নতাত্ত্বিকদের অনেকেই উয়ারী বটেশ্বরকে টলেমির সোনাগড়া বলে উল্লেখ করে থাকেন। ২০১০ সালে এখানে আবিষ্কৃত হয় ১৪০০ বছরের প্রাচীন বৌদ্ধ পদ্মমন্দির। ১৯৩০ সালে স্কুল শিক্ষক মোহাম্মদ হানিফ পাঠান প্রথম উয়ারী বটেশ্বরকে সুধী সমাজের নজরে আনেন। ২০০০ সালে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের উদ্যোগে শুরু হয় এর প্রথম খননকাজ। খনন কাজের নেতৃত্ব দেন বিভাগের প্রধান সুফি মোস্তাফিজুর রহমান।
পুন্ড্রনগর:
বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত মহাস্থানগড় বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন পুরাকীর্তি বাংলার প্রাচীনতম জনপদ ছিল পুন্ড্র। পুন্ড্রদের আবাস্থলই পুন্ড্র নামে পরিচিত। এই পুন্ড্র রাজ্যের রাজধানী ছিল পুন্ড্রনগর। আনুমানিক খ্রিষ্ট্রপূর্ব দ্বিতীয় অব্দে এই নগর গড়ে উঠেছিল। পুন্ড্র নগরের বর্তমান নাম মহাস্থানগড়। এটি মৌর্য ও গুপ্ত রাজবংশের প্রাদেশিক রাজধানী ছিল। কথিত আছে, এখানে পরশুরামের সাথে ফকিরবেশী আধ্যাত্মিক শক্তির অধিকারী হয়রত শাহ সুলতান মোহাম্মদ বলখি (রা) এর যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে পরমাশুর পরাজিত ও নিহত হন। শাহ সুলতান বলখি (রা) এ অঞ্চলে ইসলামের পতাকা উড্ডীন করেন।গড়ের পূর্ব পাশে রয়েছে করতোয়া নদীর তীরে অবস্তিত শীলাদেবীর ঘাট। এখানে রয়েছে সম্রাট অশোক নির্মিত বৌদ্ধস্তম্ভ, যা বেহুলার বাসর ঘর নামে পরিচিত। মহাস্থানগড়ের দার্শনীয় স্থান, শাহ সুলতান বলখির মাজার, পরশুরামের প্রাসাদ, খোদার পাথর ভিটা, বৈরাগীর ভিটা, গোবিন্দর ভিটা, লখিন্দরের বাসরঘর, পদ্মদেবীর বাসভবন ইত্যাদি। ১৮০৮ সালে হ্যামিল্টন বুকানন সর্বপ্রথম এ স্থানটি আবিষ্কার করেন। ১৮৭৯ সালে আলেকজান্ডার কানিংহাম স্থানটিকে প্রাচীন পুন্ড্রবর্ধনের রাজধানী হিসেবে শনাক্ত করেন। এ খনন কাজ শুরু হয় ১৯২৯ সালে।
বৈরাগীর চাল অবস্তিত গাজীপুরের শ্রীপুরে।
মালদহ:
মালদ নামে এক প্রাচীন জাতিগোষ্ঠীর নাম থেকে মালদহ বা মালদা নামটি এসছে। ভারতের স্বাধীনতা লাভের আগে মালদহ ছিল রাজশাহী জেলার অন্তর্ভুক্ত। ১৯৪৭ সালের ১৭ আগস্ট এই চাপাইনবাবগঞ্জ , শিবগঞ্জ, ভোলাহাট, নাচোল ও গোমস্তাপুর থানা বাদে বাকি অংশ ভারতের অন্তর্ভুক্ত ছিল। মালদহে রয়েছে পান্ডুয়া, আদিনা, ও গৌড়ের মতো ঐতিহাসিক স্থান। গৌড়ে রয়েছে বড় সোনা মসজিদ, ছোট সোনা মসজিদ, কদমরসুলইত্যাদি। মালদহের দক্ষিণে গৌড় আর উত্তরে পান্ডুয়া অবস্থান। পান্ডুয়ার অন্যতম মধ্যযুগীয় নিদর্শন হচ্ছে আদিনা মসজিদ।
কোটিবর্ষ:
দেবকোট বা কোটিবর্ষ ছিল বাংলার এক প্রাচীন শহর। কোটিবর্ষ ছিল পন্ড্রবর্ধন ভুক্তির একটি অংশ। অধূনা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বাণগড় গ্রামে এই শহরের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কৃত হয়েছে।