Get on Google Play

বাংলাদেশ বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান
#3725
বাংলাদেশের বনভূমি তিন ধরনের – ১. ক্রান্তীয় চিরহরিৎ বৃক্ষের বণভূমি ২. ক্রান্তীয় পতনশীল বৃক্ষের বনভূমি ৩. স্রোতজ বনভূমি বা সুন্দরবন।
ক্রান্তীয় চিরহরিৎ বৃক্ষের বনভূমি:
যেসব উদ্ভীদের পাতা এক সাথে ঝড়ে পড়ে না এবং গাছগুলো চিরসবুজ থাকে তাদের চিরহরিৎ উদ্ভিদ বলে। এ বনভূমির প্রধান বৃক্ষ ময়না, তেলসুর, চাপালিশ, গর্জন, গামরি, জারুল, কড়িই, বাঁশ, বেত, হোগলা প্রভৃতি। আর প্রধান প্রাণী হাতি, শূকর ইত্যাদি। ক্রান্তীয় চিরহরিৎ বৃক্ষের বণভূমি পার্বত্য চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম, সিলেট অঞ্চলে অবস্থিত। চন্দ্রঘোনা কাগজকলে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের বাশ ব্যবহৃত হয়। গর্জন ও জারুল গাছ রেলের স্লিপার তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়। গামারি ও চাপালিশ গাছ সাম্পান ও নৌকা তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
ক্রান্তীয় পতনশীল বৃক্ষের বনভূমি:
যেসব গাছের পাতা বছরে একবার সম্পূর্ণ ঝরে যায় তাদের পাতাঝরা উদ্ভিদ বলে। ক্রান্তীয় পতনশীল বৃক্ষের বনভূমির প্রধান বৃক্ষগুলোর মধ্যে গজারি, ছাতিম কুর্চি, বহেড়া, হিজল গাছ অন্যতম। এই বনভূমির অবস্থান ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, মধুপুর বনভূমি, গাজীপুর জেলার ভাওয়ালের উদ্যান, রংপুর ও দিনাজপুরের বরেন্দ্র বনভূমি অঞ্চলে শাল কাঠ ঘরের আসবাবপত্র বৈদ্যুতিক জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
স্রোতজ বনভূমি বা সুন্দরবন:
স্রোতজ বনভূমি বা উপকূলীয় বনকে ম্যানগ্রোভ বন বলে। অসংখ্য দ্বীপ নিয়ে গঠিত বনাঞ্চল হলো সুন্দরবন। এই বনের সুন্দরবন নামকরণের মূল কারণ ‘সুন্দরী’ বৃক্ষের প্রাচুর্য। সুন্দরবনের অন্য নাম হচ্ছে বাদাবন। যে বন জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয় আবার ভাটার সময় শুকিয়ে যায় তকে টাইডাল বন বা জোয়ার ভাটার বন বলে। যেমন- সুন্দরবন। সুন্দরবন বন বাংলাদেশ ও ভারত এ দুটি দেশে বিস্তত। সুন্দরবনের মোট আয়তনের ৬২ শতাংশ বাংলাদেশে অবস্থিত। সাতক্ষীরা, খুলনা, ও বাগেরহাট জেলায় সুন্দরবনের বেশিরভাগ এলাকা অবস্থিত। সুন্দরবনের প্রধান উদ্ভিদ সুন্দরী। এছাড়াও গড়ান, গেওয়া, পশুর, ধুন্দল, কেওড়া, বায়েন প্রভৃতি বৃক্ষ প্রচুর জন্মে। এসব উদ্ভিদের শ্বাসমূল থাকে। এ ছাড়া ছন ও গোলপাতা সুন্দরবন থেকে সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। এ বনের প্রাণী রয়েল বেঙ্গল টাইগার, হরিণ, বানর, সাপ ইত্যাদি। হিরণ পয়েন্ট, কাটকা, ও আলকি দ্বীপকে বলা হয় সুন্দরবনের অভয়ারণ্য। সুন্দরবনে দুই ধরনের হরিণ দেখা যায় – মায়া হরিণ ও চিত্রা হরিণ। সুন্দরবনে বাঘ গননা করার জন্য ব্যবহৃত হয় পাগমার্ক। সুন্দরী গাছ বড় বড় খুটি তৈরিতে, গেওয়া নিউজপ্রিন্ট ও দিয়াশলাই কারখানায়, ধুন্দল পেন্সিল তৈরিতে, গরান বৃক্ষের বাকল, চামড়া পাকা করার কাজে এবং গোলপাতা ঘরের ছাউনিতে ব্যবহৃত হয়। এই বন থেকে প্রচুর মধু ও মোম আহরণ করা হয়।

একনজরে সুন্দরবনের আয়তন
মোট আয়তন – ১০,০০০ বর্গকিলোমিটার – সূত্র: উইকিপিডিয়া।
বাংলাদেশ অংশের আয়তন – ৬০১৭ বর্গকিলোমিটার - সূত্র: উইকিপিডিয়া।
৬৪৭৪ বর্গকিলোমিটার বা ২৪০৮ বর্গমাইল – সূত্র: মাধ্যমিক ভূগোল।
৫৭০৪ বর্গকিলোমিটার বা ২১২২ বর্গমাইল – সূত্র: শিশু বিশ্বকোষ।
    Similar Topics
    TopicsStatisticsLast post
    0 Replies 
    1568 Views
    by apple
    0 Replies 
    2499 Views
    by romen
    0 Replies 
    2869 Views
    by romen
    0 Replies 
    2080 Views
    by romen
    0 Replies 
    1899 Views
    by raja

    A group of lions------------------------ A pride o[…]

    • Our family is on very good terms with his f[…]

    • ’মেঘনাদবধ’ কাব্যে ‘রাক্ষস[…]