Get on Google Play

বাংলাদেশ বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান
#3673
সর্ববৃহৎ খাদ্য গুদাম
দেশের সর্ববৃহৎ ও প্রথম সৌরবিদ্যুৎ সুবিধাসংবলিত বহুতল খাদ্যগুদামটি বগুড়ার আমদীঘি উপজেলার সান্তাহারে অবস্থিত। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে উদ্বোধন হয়েছে। জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার সিংহভাগ আর্থিক সহায়তায় ২৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে এটি। খাদ্যগুদামের ছাদজুড়ে বসানো শতাধিক সৌর প্যানেল থেকে উৎপাদিত ৩৬০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ দিয়ে গুদামের বিদ্যুতের চাহিদা পুরোপুরি মেটাবে। ২৫,০০০ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার খাদ্যগুদামটির নির্মিত হয় ‘সান্তাহার খাদ্যশস্য সাইলো’ ক্যাম্পাসে।

অর্থকরী ফসল
যেসব ফসল সরাসরি বিক্রির উদ্দেশ্যে চাষ করা হয়, তাদের অর্থকরী ফসল বলে। অর্থকরী ফসল এর মধ্যে পাট, চা, আখ, তামাক, রেশম, রবার, ও তুলা প্রধান।
পাট: পাট বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসল। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বলে পাটকে সোনালি আশ বলা হয়। পাটকে তিনটি শ্রেনীতে ভাগ করা যায় – সাদা, তোষা ও মেছতা। তোষা পাট থেকে উন্নত মানের আশ পাওয়া যায়। একটি কাঁচা পাটের গাইটের ওজন ৩.৫ মণ। পাট পচানোর পদ্ধতিকে বলে রিবন রেটিং। ২০১০ সালে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা পাটের জন্মরহস্য আবিষ্কার করেন। পাটের জিন রহস্য উন্মোচনকারী দলের নেতা ড.মাকসুদুল আলম। ড. মাকসুদুল আলম পাট, ভুট্টা, তুলা, সয়াবিনসহ ৫০০টি উদ্ভিদের ক্ষতিকারক ছত্রাকের জীবনরহস্য উন্মোচন করেন।
জুটন: পাট ও তুলার সংমিশ্রনে এক ধরনের কাপড় হলো জুটন। এতে ৭০ ভাগ পাট ও ৩০ ভাগ তুলা থাকে। ড.মোহাম্মদ সিদ্দিকুল্লাহ জুটন আবিষ্কার করেন।
চা: চা বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রধান অর্থকরী ফসল। চায়ের আদিবাস হলো চীন। বাংলাদেশে সর্বপ্রথম চা চাষ শুরু হয় ১৮৪০ সালে চট্টগ্রামের ক্লাব এলাকায়। বাংলাদেশে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে চায়ের চাষ শুরু হয় ১৯৫৭ সালে সিলেটের মালনিছড়ায়। সিলেটে প্রচুর পরিমাণে চা জন্মানোর কারণ হলো – পাহাড় ও প্রচুর বৃষ্টিপাত। বাংলাদেশের অর্গানিক চা উৎপাদন শুরু হয়েছে পঞ্চগড়ে।
তুলা: যশোর অঞ্চল তুলা চাষের জন্য সবচেয়ে উপযোগী।
রবার: অধিক বৃষ্টিপাত যুক্ত অঞ্চল চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সিলেটে রবারের উৎপন্ন হয়। ১৯৬১ সালে কক্সবাজারের রামুতে দেশের প্রথম রবার বাগান করা হয়।
রেশম: রাজশাহী, দিনাজপুর অঞ্চলে রেশম চাষ করা হয়। রেশম পোকা বা মথ তুত গাছের পাতা খেয়ে বেচে থাকে।
কৃষি তথ্য
ফসল – বর্ণনা
ধান – ধান উৎপাদনে পৃথিবীতে বাংলাদেশের স্থান চতুর্থ। নওগা জেলায় সবচেয়ে বেশি চালকল রয়েছে। ধান উৎপাদনে শীর্ষ দেশ জেলা ময়মনসিংহ।
গম – বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি গম উৎপাদিত হয় ঠাকুরগাঁওয়ে।
আলু – আলু উৎপাদনে বাংলাদেশে সপ্তম। ঢাকা অঞ্চলে আলু বেশি হয়।
পাট - পাট উৎপাদনে শীর্ষ দেশ ভারত। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি পাট উৎপাদিত হয় ফরিদপুর জেলায়।
মাছ – মাছ উৎপাদনে শীর্ষ জেলা ময়মনসিংহ।
ভুট্টা – ভুট্টা উৎপাদনে শীর্ষ জেলা ঠাকুরগাঁও।
আমড়া – আমড়া উৎপাদনে শীর্ষ জেলা বরিশাল।
আম – দিনাজপুরে সবচেয়ে বেশি আম উৎপাদন হয় ।
চা – মৌলভিবাজার চা উৎপাদনে শীর্ষ জেলা।
গোলাপ – গোলাপ উৎপাদনে শীর্ষ জেলা যশোর।
সবজি – সবজি উৎপাদনে শীর্ষ জেলা বরিশাল।
    Similar Topics
    TopicsStatisticsLast post
    0 Replies 
    197 Views
    by tamim
    0 Replies 
    166 Views
    by raja
    0 Replies 
    140 Views
    by mousumi
    0 Replies 
    693 Views
    by kajol
    0 Replies 
    656 Views
    by raihan

    বিষয় : রাষ্ট্রপতির কার্যালয়, আপন বিভাগের “[…]

    বিষয় : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্[…]

    Amendment of Vacancy announcement for the post of […]