- Thu Oct 08, 2020 3:00 pm#3651
কৃষিজ সম্পদ
যেসব কৃষকের নিজেদের জমির পরিমাণ এক একরের নিচে তাদের ভূমিহীন চাষী বলে।
ফসল উৎপাদনের জন্য সারা বছরকে ২টি মৌসুমে ভাগ করা যায় – রবি মৌসুম এবং খরিপ মৌসুম।
রবি মৌসুম: আশ্বিন মাস থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত সময়কে রবি মৌসুম বলে। রবি শস্যকে শীতকালীন শস্য বলে আখ্যা দেয়া হয়।
খরিপ মৌসুম:
ক. খরিপ-১: চৈত্র থেকে জৈষ্ঠ্য মাস পর্যন্ত সময়কে খরিপ-১ বলা হয় । এ সময়কে গ্রীষ্মকালও বলা হয়।
খ. খরিপ-২: আষাঢ় থেকে ভাদ্র মাস পর্যন্ত সময়কে খরিপ-২ বলা হয়।
জুম চাষ
জুম চাষ পাহাড়ি এলাকায় প্রচলিত এক ধরনের কৃষিপদ্ধতি বা চাষাবাদ। এই চাষাবাদ এক ধরনের কৃষি অর্থনীতি। জুম চাষ এক ধরনের স্থানান্তরিত কৃষি পদ্ধতি। রাঙ্গামাটি, খগড়াছড়ি ও বান্দরবান এই তিন জেলা নিয়ে গড়ে ওঠা পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রায় ৯০ শতাংশ পাহাড়ি জুম চাষি। একসময় নেত্রকোণা ও শেরপুরের গারো পাহাড়ে মান্দি ও হাজং এবং শ্রীপুর কুলাউড়া ও মৌলভিবাজারের সীমান্তে খাসিয়া পাহাড়ে খাসিয়াড়াও জুম চাষ করতেন । কিন্তু প্রায় একশ বছর আগে ব্রিটিশ আমলে বন বিভাগ গারো পাহাড় এবং মধুপুর গাজীপুর ভাওয়ালগড় এলাকার প্রাকৃতিক বনাঞ্চলকে সংরক্ষিত বনাঞ্চল বলে ঘোষণা করে। একই সাথে তারা বন ও পরিবেশ সংরক্ষণের নামে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে জুম চাষ ও শিকার। এ কারনে গারো পাহাড়ে জুম চাষ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। খাসিয়া পাহাড়েও সাধারন জুম চাষ অনেক আগেই বিলুপ্ত । তবে নানা প্রতিকূলতার ভেতরেও খাসিয়ারা পান জুম চাষ করেন।
বাংলাদেশ কৃষি শুমারি
পরিসংখ্যান আইন, ২০১৩ অনুযায়ী জনশুমারি এবং অর্থনৈতিক শুমারির পাশাপাশি কৃষি শুমারি পরিচালনা করার ব্যাপারে বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাই দেশে পঞ্চমবারের মতো কৃষি শুমারি ২০১৮ পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ২০১৯ সালে শুরু হবে পঞ্চম কৃষিশুমারি তথ্যের কাজ। বাংলাদেশে প্রথম কৃষি শুমারি অনুষ্ঠিত হয় ১৯৬০ সালে। তবে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম ১৯৭৭ সালে। তারপর ১৯৮৩-৮৪ এবং ১৯৯৬ সালে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শুমারি অনুষ্ঠিত হয়। চতুর্থ তথা সর্বশেষ কৃষি শুমারি অনুষ্ঠিত হয় ২০০৮ সালে। যেটি ছিল বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ কৃষিশুমারি অর্থাৎ গ্রাম ও শহরে একযোগে অনুষ্ঠিত কৃষিশুমারি।
খাদ্যশস্য
বাংলাদেশে উৎপাদিত খাদ্যশস্যের মধ্যে ধান, গম, ডল, তেলবীজ, ভুট্টা, যব এবং নানারকম মসলা প্রধান।
ধান: ধান বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য। বাংলাদেশের উৎপন্ন ধানকে প্রধানত আউশ আমন ও বোরো তিন ভাগে ভাগ করা যায়। বাংলাদেশের প্রধান ধান হচ্ছে বোরো। আউশ ধান উঁচু জমিতে, আমন ধান অপেক্ষাকৃত নিচু জমিতে এবং বোরো ধান শীতকালীন ফসল হিসেবে বিভিন্ন নিচু জলাশয়, বিল, হাওরসহ অন্যান্য জমিতে উৎপাদিত হয়। আমন ধান অগ্রাহায়ন – পৌষ মাসে ওঠে। বাংলাদেশে সর্বনিম্ন ইরি – ৮ জাতের উফশী ধান আমদানি করা হয়। যা এখনও এ দেশে চালু আছে। উত্তরবঙ্গের মঙ্গা এলাকার জন্য ধান বি-৩৩।একটি দেশজ নতুন জাতের ধান হলো ইরি। এই উSচ্চফলনশীল ধানের আবিষ্কারক নড়াইলের হরিপদ কাপালী। নারিকা-১ হলো এক ধরনের খরা সহিষ্ণু ধান। উৎকৃষ্ট মানের ধান হিসেবে বরিশাল, বলাম, দিনাজপুরের কাটারীভোগ, নোয়াখালী ও কুমিল্লার কালিজিরা ও চিনিগুড়া উল্লেখযোগ্য।
আলু: স্প্যানিশ Patata থেকে potato এসেছে। আলু বাংলাদেশের একটি অর্থকরী ফসল। নেদারল্যান্ডস থেকে আলু বাংলাদেশে আনা হয়েছে। আলু বিশ্বের কন্দাল জাতীয় ফসল।
যেসব কৃষকের নিজেদের জমির পরিমাণ এক একরের নিচে তাদের ভূমিহীন চাষী বলে।
ফসল উৎপাদনের জন্য সারা বছরকে ২টি মৌসুমে ভাগ করা যায় – রবি মৌসুম এবং খরিপ মৌসুম।
রবি মৌসুম: আশ্বিন মাস থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত সময়কে রবি মৌসুম বলে। রবি শস্যকে শীতকালীন শস্য বলে আখ্যা দেয়া হয়।
খরিপ মৌসুম:
ক. খরিপ-১: চৈত্র থেকে জৈষ্ঠ্য মাস পর্যন্ত সময়কে খরিপ-১ বলা হয় । এ সময়কে গ্রীষ্মকালও বলা হয়।
খ. খরিপ-২: আষাঢ় থেকে ভাদ্র মাস পর্যন্ত সময়কে খরিপ-২ বলা হয়।
জুম চাষ
জুম চাষ পাহাড়ি এলাকায় প্রচলিত এক ধরনের কৃষিপদ্ধতি বা চাষাবাদ। এই চাষাবাদ এক ধরনের কৃষি অর্থনীতি। জুম চাষ এক ধরনের স্থানান্তরিত কৃষি পদ্ধতি। রাঙ্গামাটি, খগড়াছড়ি ও বান্দরবান এই তিন জেলা নিয়ে গড়ে ওঠা পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রায় ৯০ শতাংশ পাহাড়ি জুম চাষি। একসময় নেত্রকোণা ও শেরপুরের গারো পাহাড়ে মান্দি ও হাজং এবং শ্রীপুর কুলাউড়া ও মৌলভিবাজারের সীমান্তে খাসিয়া পাহাড়ে খাসিয়াড়াও জুম চাষ করতেন । কিন্তু প্রায় একশ বছর আগে ব্রিটিশ আমলে বন বিভাগ গারো পাহাড় এবং মধুপুর গাজীপুর ভাওয়ালগড় এলাকার প্রাকৃতিক বনাঞ্চলকে সংরক্ষিত বনাঞ্চল বলে ঘোষণা করে। একই সাথে তারা বন ও পরিবেশ সংরক্ষণের নামে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে জুম চাষ ও শিকার। এ কারনে গারো পাহাড়ে জুম চাষ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। খাসিয়া পাহাড়েও সাধারন জুম চাষ অনেক আগেই বিলুপ্ত । তবে নানা প্রতিকূলতার ভেতরেও খাসিয়ারা পান জুম চাষ করেন।
বাংলাদেশ কৃষি শুমারি
পরিসংখ্যান আইন, ২০১৩ অনুযায়ী জনশুমারি এবং অর্থনৈতিক শুমারির পাশাপাশি কৃষি শুমারি পরিচালনা করার ব্যাপারে বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাই দেশে পঞ্চমবারের মতো কৃষি শুমারি ২০১৮ পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ২০১৯ সালে শুরু হবে পঞ্চম কৃষিশুমারি তথ্যের কাজ। বাংলাদেশে প্রথম কৃষি শুমারি অনুষ্ঠিত হয় ১৯৬০ সালে। তবে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম ১৯৭৭ সালে। তারপর ১৯৮৩-৮৪ এবং ১৯৯৬ সালে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শুমারি অনুষ্ঠিত হয়। চতুর্থ তথা সর্বশেষ কৃষি শুমারি অনুষ্ঠিত হয় ২০০৮ সালে। যেটি ছিল বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ কৃষিশুমারি অর্থাৎ গ্রাম ও শহরে একযোগে অনুষ্ঠিত কৃষিশুমারি।
খাদ্যশস্য
বাংলাদেশে উৎপাদিত খাদ্যশস্যের মধ্যে ধান, গম, ডল, তেলবীজ, ভুট্টা, যব এবং নানারকম মসলা প্রধান।
ধান: ধান বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য। বাংলাদেশের উৎপন্ন ধানকে প্রধানত আউশ আমন ও বোরো তিন ভাগে ভাগ করা যায়। বাংলাদেশের প্রধান ধান হচ্ছে বোরো। আউশ ধান উঁচু জমিতে, আমন ধান অপেক্ষাকৃত নিচু জমিতে এবং বোরো ধান শীতকালীন ফসল হিসেবে বিভিন্ন নিচু জলাশয়, বিল, হাওরসহ অন্যান্য জমিতে উৎপাদিত হয়। আমন ধান অগ্রাহায়ন – পৌষ মাসে ওঠে। বাংলাদেশে সর্বনিম্ন ইরি – ৮ জাতের উফশী ধান আমদানি করা হয়। যা এখনও এ দেশে চালু আছে। উত্তরবঙ্গের মঙ্গা এলাকার জন্য ধান বি-৩৩।একটি দেশজ নতুন জাতের ধান হলো ইরি। এই উSচ্চফলনশীল ধানের আবিষ্কারক নড়াইলের হরিপদ কাপালী। নারিকা-১ হলো এক ধরনের খরা সহিষ্ণু ধান। উৎকৃষ্ট মানের ধান হিসেবে বরিশাল, বলাম, দিনাজপুরের কাটারীভোগ, নোয়াখালী ও কুমিল্লার কালিজিরা ও চিনিগুড়া উল্লেখযোগ্য।
আলু: স্প্যানিশ Patata থেকে potato এসেছে। আলু বাংলাদেশের একটি অর্থকরী ফসল। নেদারল্যান্ডস থেকে আলু বাংলাদেশে আনা হয়েছে। আলু বিশ্বের কন্দাল জাতীয় ফসল।