- Sat Apr 04, 2020 5:27 pm#2491
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা সবুজ আয়তক্ষেত্রের মধ্যে লাল বৃত্ত। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের ওপর ভিত্তি করে জাতীয় পতাকা নির্ধারণ করা হয়। তখন মধ্যের লাল বৃত্তে বাংলাদেশের মানচিত্র ছিল। মানচিত্রখচিত বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ডিজাইনার ছিলেন শিবনারায়ণ দাশ। ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের বটতলায় এক ছাত্রসভায় তৎকালীন ছাত্রনেতা ডাকসু ভিপি আ স ম আবদুর রব বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা প্রথম উত্তোলন করেন। এজন্য ২ মার্চ ‘জাতীয় পতাকা দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনে এম হোসেন আলী বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। এটি কোনো বিদেশি মিশনে সর্বপ্রথম বাংলাদেশি পতাকা উত্তোলন। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাবিধি প্রণীত হয়। এ সময় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা থেকে মানচিত্রটি সরিয়ে ফেলা হয়। পতাকার দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং লাল বৃত্তের ব্যাসার্ধের অনুপাত ৫:৩:১। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ডিজাইনার পটুয়া কামরুল হাসান। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার সঙ্গে জাপানের পতাকার মিল আছে।
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবন ঢাকা শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত। প্রখ্যাত মার্কিন স্থপতি লুই আই কান এটির মূল স্থপতি। পূর্ব বাংলার আইনসভা হিসেবে বর্তমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলটি ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশের প্রথম ও দ্বিতীয় সংসদের অধিবেশনগুলো অনুষ্ঠিত হয় পুরনো সংসদ ভবনে, যা বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ১৯৬১ সালে বর্তমান জাতীয় সংসদ ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়। নির্মাণকাজ সমাপ্ত হওয়ার পর ১৯৮২ সালে উদ্বোধন করা হয়। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তার সংসদ ভবনের উদ্বোধন করেন। ১৯৮৯ সালে জাতীয় সংসদ ভবন স্থাপত্য উৎকর্ষতার জন্য আগা গান পুরস্কার লাভ করে। সংসদ ভবন এলাকার আয়তন ২১৫ একর। সংসদ ভবনটি ৯ তলাবিশিষ্ট। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ এককক্ষবিশিষ্ট। জাতীয় সংসদ ভবনের মূল ভবনের সর্বোচ্চ উচ্চতা ১১৭ ফুট। জাতীয় সংসদ ভবনসংলগ্ন লেকটি ’ক্রিসেন্ট লেক’ নামে পরিচিত। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের প্রতীক শাপলা ফুল। এ পর্যন্ত দুইজন বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান জাতীয় সংসদে বক্তৃতা করেন। প্রথম জন হলেন যুগোস্লাভিয়ার প্রেসিডেন্ট জোশেফ মার্শাল টিটো এবং অন্যজন হলেন ভারতের প্রেসিডেন্ট ভি ভি গিরি। এরা উভয়ই ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশের পার্লামেন্টে বক্তৃতা করেন।
বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক
বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক উভয় পাশে ধানের শীষবেষ্টিত পানিতে ভাসমান জাতীয় ফুল শাপলা। তার মাথার ওপর পাট গাছের পরস্পর সংযুক্ত তিনটি পাতা, যার উভয় পাশে দুটো করে মোট চারটি তারকা। চারটি তারকা সংবিধানের চারটি মূলনীতি নির্দেশ করে। বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীকের রূপকার হলো কামরুল হাসান।
রাষ্ট্রীয় মনোগ্রাম
বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মনোগ্রাম রয়েছে লাল রঙের বৃত্তের মাঝে হলুদ রঙের বাংলাদেশের মানচিত্র। বৃত্তের উপরের দিকে লেখা আছে ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’, নিচে লেখা ‘সরকার’ এবং বৃত্তের পাশে দুটি করে মোট চারটি তারকা। আর এই মনোগ্রামের ডিজাইন করেছেনে এএনএ সাহা।
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা সবুজ আয়তক্ষেত্রের মধ্যে লাল বৃত্ত। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের ওপর ভিত্তি করে জাতীয় পতাকা নির্ধারণ করা হয়। তখন মধ্যের লাল বৃত্তে বাংলাদেশের মানচিত্র ছিল। মানচিত্রখচিত বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ডিজাইনার ছিলেন শিবনারায়ণ দাশ। ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের বটতলায় এক ছাত্রসভায় তৎকালীন ছাত্রনেতা ডাকসু ভিপি আ স ম আবদুর রব বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা প্রথম উত্তোলন করেন। এজন্য ২ মার্চ ‘জাতীয় পতাকা দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনে এম হোসেন আলী বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। এটি কোনো বিদেশি মিশনে সর্বপ্রথম বাংলাদেশি পতাকা উত্তোলন। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাবিধি প্রণীত হয়। এ সময় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা থেকে মানচিত্রটি সরিয়ে ফেলা হয়। পতাকার দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং লাল বৃত্তের ব্যাসার্ধের অনুপাত ৫:৩:১। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ডিজাইনার পটুয়া কামরুল হাসান। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার সঙ্গে জাপানের পতাকার মিল আছে।
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবন ঢাকা শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত। প্রখ্যাত মার্কিন স্থপতি লুই আই কান এটির মূল স্থপতি। পূর্ব বাংলার আইনসভা হিসেবে বর্তমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলটি ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশের প্রথম ও দ্বিতীয় সংসদের অধিবেশনগুলো অনুষ্ঠিত হয় পুরনো সংসদ ভবনে, যা বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ১৯৬১ সালে বর্তমান জাতীয় সংসদ ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়। নির্মাণকাজ সমাপ্ত হওয়ার পর ১৯৮২ সালে উদ্বোধন করা হয়। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তার সংসদ ভবনের উদ্বোধন করেন। ১৯৮৯ সালে জাতীয় সংসদ ভবন স্থাপত্য উৎকর্ষতার জন্য আগা গান পুরস্কার লাভ করে। সংসদ ভবন এলাকার আয়তন ২১৫ একর। সংসদ ভবনটি ৯ তলাবিশিষ্ট। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ এককক্ষবিশিষ্ট। জাতীয় সংসদ ভবনের মূল ভবনের সর্বোচ্চ উচ্চতা ১১৭ ফুট। জাতীয় সংসদ ভবনসংলগ্ন লেকটি ’ক্রিসেন্ট লেক’ নামে পরিচিত। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের প্রতীক শাপলা ফুল। এ পর্যন্ত দুইজন বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান জাতীয় সংসদে বক্তৃতা করেন। প্রথম জন হলেন যুগোস্লাভিয়ার প্রেসিডেন্ট জোশেফ মার্শাল টিটো এবং অন্যজন হলেন ভারতের প্রেসিডেন্ট ভি ভি গিরি। এরা উভয়ই ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশের পার্লামেন্টে বক্তৃতা করেন।
বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক
বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক উভয় পাশে ধানের শীষবেষ্টিত পানিতে ভাসমান জাতীয় ফুল শাপলা। তার মাথার ওপর পাট গাছের পরস্পর সংযুক্ত তিনটি পাতা, যার উভয় পাশে দুটো করে মোট চারটি তারকা। চারটি তারকা সংবিধানের চারটি মূলনীতি নির্দেশ করে। বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীকের রূপকার হলো কামরুল হাসান।
রাষ্ট্রীয় মনোগ্রাম
বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মনোগ্রাম রয়েছে লাল রঙের বৃত্তের মাঝে হলুদ রঙের বাংলাদেশের মানচিত্র। বৃত্তের উপরের দিকে লেখা আছে ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’, নিচে লেখা ‘সরকার’ এবং বৃত্তের পাশে দুটি করে মোট চারটি তারকা। আর এই মনোগ্রামের ডিজাইন করেছেনে এএনএ সাহা।