Get on Google Play

[rana]

বঙ্গবন্ধু দ্বীপ
মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং সুন্দরবনের হিরণ পয়েন্ট থেকে ১৫ কিলোমিটার ও দুবলার চর উপকূল থেকে ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত ‘বঙ্গবন্ধু দ্বীপ’। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় দুই মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এ দ্বীপের বর্তমান আয়তন ৭.৮৪ বর্গকিলোমিটার।

জালিয়ার দ্বীপ
বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের উপজেলা টেকনাফের বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তের নাফ নদের মাঝখানের ছোট্ট দ্বীপটির স্থানীয় নাম ‘জালিয়ার দ্বীপ’। টেকনাফ শহরে ঢোকার মুখে হ্নীলা ইউনিয়নের উঁচু নেটং পাহাড় থেকেই চোখে পড়ে ২৭১.৯৩ একরের দ্বীপটি। এর একপাশে টেকনাফ, অপর পাশে মিয়ানমার। নয়ানাভিরাম সৌন্দর্যের আঁধার এ প্রাকৃতিক দ্বীপটিকে ঘিরেই গড়ে উঠেছে দেশের প্রথম বিশেষায়িত পর্যটন পার্ক। ‘নাফ ট্যুরিজম পার্ক’ নামের এ বিশেষ পর্যটন স্পটটি ২০২০ সালের মধ্যেই দৃশ্যমান হয়ে উঠবে পর্যটকদের জন্য। এ দ্বীপটিতে দীর্ঘদিন ধরে লবণ ও চিংড়ি চাষ হয়ে আসছিল।

শাহপরীর দ্বীপ
শাহপরী কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের একটি দ্বীপ। শাহপরীর দ্বীপের বাম পাশে নাফ নদ। নদের ওপারে বার্মা বা মিয়ানমার সীমান্ত। এর নামকরণ সম্পর্কে কেউ বলেন সম্রাট শাহ সুজার ‘শাহ’ আর তাঁর স্ত্রী পরীবানুর ‘পরী’ মিলিয়ে নামকরণ হয়েছিল এই দ্বীপের।
কারো মতে ‘শাহ ফরিদ’ আউলিয়ার নামে দ্বীপের নামকরণ হয়েছে।
অপরদিকে অষ্টাদশ শতাব্দীর কবি সা’বিরিদ খাঁ রচিত ‘হানিফা ও কয়রাপরী’ কাব্যগ্রন্থের অন্যতম চরিত্র ‘শাহপরী’। রোখাম রাজ্যের রানি কয়রাপরীর মেয়ে শাহপরীর নামেই দ্বীপের নামকরণ হয়েছে বলেও অনেকে বলেন। স্বাধীনতার নামেই শাহপরীর দ্বীপের আয়তন ছিল দৈর্ঘ্য ৪ কিলোমিটার ও প্রস্থ ৩ কিলোমিটার হয়ে গেছে।

বিহঙ্গ দ্বীপ
সুন্দরবনসংলগ্ন বলেশ্বর নদের বুকে জেগে উঠেছে প্রায় ১৫০ একর আয়তনের এক বিশাল চর। বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলায় অবস্থিত এ দ্বীপটির নামকরণ করা হয়েছে ‘বিহঙ্গ দ্বীপ’। একসময় এ দ্বীপটিকে স্থানীয় জেলেরা ‘ধানসির চর’ নামে জানত।