- Sun Feb 23, 2020 9:46 am#2347
প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আসছে। এর আগে সর্বশেষ ২০১২ সালে প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাক্রম পরিবর্তন করা হয়েছিল।
বইয়ের সংখ্যা কমবে
বিষয়বস্তু বদলাবে।
উচ্চ মাধ্যমিকে দুটি পাবলিক পরীক্ষা।
তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রথাগত পরীক্ষা থাকবে না।
প্রাথমিক স্তর
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (NCTB) সূত্র মতে, তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রথাগত কোনো পরীক্ষা থাকবে না। তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত বিদ্যালয়ে ধারাবাহিক মূল্যায়ন হবে। এ চিন্তা থেকে হাতে-কলমে শেখানো যায় এমনভাবেই বইগুলো হবে। প্রাথমিক স্তরে বইয়ের নামও পরিবর্তন আনার কথা ভাবা হচ্ছে। যেমন- গণিত বইয়ের নাম হতে পারে ‘গণিতের মজা’।
ষষ্ঠ-দশম পর্যন্ত ১০টি বই
প্রস্তাবিত শিক্ষাক্রম অনুযায়ী, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীকে ১০টি অভিন্ন বই পড়ানো হবে। এরপর একাদশ শ্রেণিতে গিয়ে শাখা পরিবর্তনের সুযোগ রাখা হবে। বর্তমানে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত কিছু অভিন্ন বই পড়তে হয় এবং নবম শ্রেণিতে গিয়ে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা- এসব শাখায় ভাগ হয়ে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে। প্রস্তাবিত শিক্ষাক্রম অনুযায়ী, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত যে ১০টি বই পড়ানো হবে- বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, সামাজিক বিজ্ঞান, জীবন ও জীবিকা, ধর্ম, স্বাস্থ্য শিক্ষা এবং শিল্প ও সংস্কৃতি। বর্তমানে এসব শ্রেণিতে ১২-১৪টি বই পড়ানো হয়।
দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচিতে এসএসসি পরীক্ষা
বর্তমানে দুই বছর মেয়াদি নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে এসএসসি পরীক্ষা হয়। পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমে কেবল দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে এসএসসি পরীক্ষা নেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এটি অনুমোদন হলে ২০২৪ সালে গিয়ে তা বাস্তবায়ন হবে।
উচ্চ মাধ্যমিকে দুই পাবলিক পরীক্ষা
পরিকল্পনা পাস হলে ২০২৫ সাল থেকে একাদশ শ্রেণিতে গিয়ে একজন শিক্ষার্থী কোন শাখায় (বিজ্ঞান, মানবিক বা ব্যবসায় শিক্ষা) পড়বে, তা ঠিক হবে। তখন উচ্চ মাধ্যমিকে ছয়টি বিষয়ে ১২টি পত্র থাকবে। এর মধ্যে বাংলা, ইংরেজি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি – এ তিনটি বিষয় সবার জন্য বাধ্যতামূলক হবে। এর সাথে একজন শিক্ষার্থী তার পছন্দের শাখার তিনটি বিষয় নেবে, যার প্রতিটির জন্য তিনটি পত্র থাকবে। যেমন- বিজ্ঞানের তিনটি বিষয় পদার্থ, রসায়ন ও জীববিজ্ঞানের প্রতিটির জন্য প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয়পত্র থাকবে। বাধ্যতামূলক ঐ তিনটি পত্র এবং শাখার প্রতিটি বিষয়ের প্রথম পত্রের পরীক্ষা হবে একাদশ শ্রেণিতে। এ পরীক্ষা হবে শিক্ষা বোর্ডের অধীনে। এ পরীক্ষার নম্বর বোর্ডে সংরক্ষিত থাকবে। এরপর দ্বাদশ শ্রেণিতে সংশ্লিষ্ট শাখার প্রতিটি বিষয়ের বাকি দুটি করে মোট ছয়টি পত্রের পরীক্ষা হবে। এ পরীক্ষার নম্বর ও একাদশ শ্রেণিতে সংরক্ষিত নম্বর মিলিয়ে চূড়ান্ত হবে একজন শিক্ষার্থীর উচ্চ মাধ্যমিকের ফল।
বইয়ের সংখ্যা কমবে
বিষয়বস্তু বদলাবে।
উচ্চ মাধ্যমিকে দুটি পাবলিক পরীক্ষা।
তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রথাগত পরীক্ষা থাকবে না।
প্রাথমিক স্তর
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (NCTB) সূত্র মতে, তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রথাগত কোনো পরীক্ষা থাকবে না। তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত বিদ্যালয়ে ধারাবাহিক মূল্যায়ন হবে। এ চিন্তা থেকে হাতে-কলমে শেখানো যায় এমনভাবেই বইগুলো হবে। প্রাথমিক স্তরে বইয়ের নামও পরিবর্তন আনার কথা ভাবা হচ্ছে। যেমন- গণিত বইয়ের নাম হতে পারে ‘গণিতের মজা’।
ষষ্ঠ-দশম পর্যন্ত ১০টি বই
প্রস্তাবিত শিক্ষাক্রম অনুযায়ী, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীকে ১০টি অভিন্ন বই পড়ানো হবে। এরপর একাদশ শ্রেণিতে গিয়ে শাখা পরিবর্তনের সুযোগ রাখা হবে। বর্তমানে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত কিছু অভিন্ন বই পড়তে হয় এবং নবম শ্রেণিতে গিয়ে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা- এসব শাখায় ভাগ হয়ে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে। প্রস্তাবিত শিক্ষাক্রম অনুযায়ী, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত যে ১০টি বই পড়ানো হবে- বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, সামাজিক বিজ্ঞান, জীবন ও জীবিকা, ধর্ম, স্বাস্থ্য শিক্ষা এবং শিল্প ও সংস্কৃতি। বর্তমানে এসব শ্রেণিতে ১২-১৪টি বই পড়ানো হয়।
দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচিতে এসএসসি পরীক্ষা
বর্তমানে দুই বছর মেয়াদি নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে এসএসসি পরীক্ষা হয়। পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমে কেবল দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে এসএসসি পরীক্ষা নেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এটি অনুমোদন হলে ২০২৪ সালে গিয়ে তা বাস্তবায়ন হবে।
উচ্চ মাধ্যমিকে দুই পাবলিক পরীক্ষা
পরিকল্পনা পাস হলে ২০২৫ সাল থেকে একাদশ শ্রেণিতে গিয়ে একজন শিক্ষার্থী কোন শাখায় (বিজ্ঞান, মানবিক বা ব্যবসায় শিক্ষা) পড়বে, তা ঠিক হবে। তখন উচ্চ মাধ্যমিকে ছয়টি বিষয়ে ১২টি পত্র থাকবে। এর মধ্যে বাংলা, ইংরেজি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি – এ তিনটি বিষয় সবার জন্য বাধ্যতামূলক হবে। এর সাথে একজন শিক্ষার্থী তার পছন্দের শাখার তিনটি বিষয় নেবে, যার প্রতিটির জন্য তিনটি পত্র থাকবে। যেমন- বিজ্ঞানের তিনটি বিষয় পদার্থ, রসায়ন ও জীববিজ্ঞানের প্রতিটির জন্য প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয়পত্র থাকবে। বাধ্যতামূলক ঐ তিনটি পত্র এবং শাখার প্রতিটি বিষয়ের প্রথম পত্রের পরীক্ষা হবে একাদশ শ্রেণিতে। এ পরীক্ষা হবে শিক্ষা বোর্ডের অধীনে। এ পরীক্ষার নম্বর বোর্ডে সংরক্ষিত থাকবে। এরপর দ্বাদশ শ্রেণিতে সংশ্লিষ্ট শাখার প্রতিটি বিষয়ের বাকি দুটি করে মোট ছয়টি পত্রের পরীক্ষা হবে। এ পরীক্ষার নম্বর ও একাদশ শ্রেণিতে সংরক্ষিত নম্বর মিলিয়ে চূড়ান্ত হবে একজন শিক্ষার্থীর উচ্চ মাধ্যমিকের ফল।