- Thu Jan 30, 2020 11:52 pm#2272
বাঙালি জাতির উৎপত্তিঃ পর্ব ০১
সমগ্র বাঙালি জনগোষ্ঠীকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়- প্রাক আর্য বা অনার্য জনগোষ্ঠী এবং আর্য জনগোষ্ঠী। আর্যপূর্ব জনগোষ্ঠী মূলত নেগ্রিটো, অস্ট্রিক, দ্রাবিড় ও ভোটচীনীয়- এই চারটি শাখায় বিভক্ত ছিল বলে মনে করা হয়। কেউ কেউ তাদের ‘নিষাদ জাতি’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। প্রায় পাঁচ হাজার বছর পূর্বে ইন্দোচীন থেকে আসাম হয়ে বাংলায় প্রবেশ করে অস্ট্রিক জাতি নেগ্রিটোদের উৎখাত করে। অস্ট্রিক জাতির সমকালে দ্রাবিড় জাতির সঙ্গে মঙ্গোলীয় বা ভোটচীনীয় জাতির সংমিশ্রণ ঘটে। গারো, ত্রিপুরা, চাকমা ইত্যাদি মঙ্গোলয়েড। অস্ট্রিক দ্রাবিড় জনগোষ্ঠীর মিশ্রণে যে জাতির প্রবাহ চলছিল, তার সঙ্গে আর্য জাতি এসে যুক্ত হয়ে গড়ে তুলেছে বাঙালি জাতি। আর্যদের আদিনিবাস ছিল ইউরাল পর্বতের দক্ষিণে বর্তমান মধ্য এশিয়ার ইরানে। আর্যরা সনাতনী ধর্মাবলম্বী ছিল। তাদের ধর্মগ্রন্থের নাম ছিল বেদ। নৃতাত্ত্বিকভাবে বাংলাদেশের মানুষ প্রধানত আদি-অস্ট্রেলীয় নরগোষ্ঠীভুক্ত।
প্রাচীন বাংলার জনপদ
প্রাচীন যুগে বাংলা (বর্তমানের বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ) এখনকার বাংলাদেশের মতো কোনো একক ও অখণ্ড রাষ্ট্র বা রাজ্য ছিল না। বাংলার বিভিন্ন অংশ তখন অনেকগুলো ছোট ছোট অঞ্চলে বিভক্ত ছিল। আর প্রতিটি অঞ্চলের শাসক যার যার মতো শাসন করতেন। বাংলার এ অঞ্চলগুলোকে তখন সমষ্টিগতভাবে নাম দেওয়া হয় জনপদ।
প্রাচীন জনপদ – বর্তমান অবস্থা
পুণ্ড্র – বৃহত্তর বগুড়া (মহাস্থানগড়), রাজশাহী, রংপুর ও দিনাজপুর অঞ্চল।
বরেন্দ্র – রাজশাহী বিভাগের উত্তর-পশ্চিমাংশ, বগুড়ার পশ্চিমাংশ রংপুর ও দিনাজপুরের কিছু অংশ।
বঙ্গ – বৃহত্তর ঢাকা, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, বরিশাল ও পটুয়াখালী অঞ্চল।
সমতট – বৃহত্তর কুমিল্লা ও বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চল।
চন্দ্রদ্বীপ – বরিশাল, পটুয়াখালী, বাগেরহাট, খুলনা ও গোপালগঞ্জ।
গৌড় – মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, বর্ধমান ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
শ্রীহট্ট – সিলেট অঞ্চল।
হরিকেল – পার্বত্য সিলেট, চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল।
তাম্রলিপি – হরিকেলের উত্তরে বর্তমান মেদিনীপুর জেলার তমলুকিই ছিল তাম্রলিপির প্রাণকেন্দ্র।
রাঢ় – বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার দক্ষিণ অংশে ছিল রাঢ়ের অবস্থান। রাঢ়ের আরেক নাম ছিল সুক্ষ্ণ।
সমগ্র বাঙালি জনগোষ্ঠীকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়- প্রাক আর্য বা অনার্য জনগোষ্ঠী এবং আর্য জনগোষ্ঠী। আর্যপূর্ব জনগোষ্ঠী মূলত নেগ্রিটো, অস্ট্রিক, দ্রাবিড় ও ভোটচীনীয়- এই চারটি শাখায় বিভক্ত ছিল বলে মনে করা হয়। কেউ কেউ তাদের ‘নিষাদ জাতি’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। প্রায় পাঁচ হাজার বছর পূর্বে ইন্দোচীন থেকে আসাম হয়ে বাংলায় প্রবেশ করে অস্ট্রিক জাতি নেগ্রিটোদের উৎখাত করে। অস্ট্রিক জাতির সমকালে দ্রাবিড় জাতির সঙ্গে মঙ্গোলীয় বা ভোটচীনীয় জাতির সংমিশ্রণ ঘটে। গারো, ত্রিপুরা, চাকমা ইত্যাদি মঙ্গোলয়েড। অস্ট্রিক দ্রাবিড় জনগোষ্ঠীর মিশ্রণে যে জাতির প্রবাহ চলছিল, তার সঙ্গে আর্য জাতি এসে যুক্ত হয়ে গড়ে তুলেছে বাঙালি জাতি। আর্যদের আদিনিবাস ছিল ইউরাল পর্বতের দক্ষিণে বর্তমান মধ্য এশিয়ার ইরানে। আর্যরা সনাতনী ধর্মাবলম্বী ছিল। তাদের ধর্মগ্রন্থের নাম ছিল বেদ। নৃতাত্ত্বিকভাবে বাংলাদেশের মানুষ প্রধানত আদি-অস্ট্রেলীয় নরগোষ্ঠীভুক্ত।
প্রাচীন বাংলার জনপদ
প্রাচীন যুগে বাংলা (বর্তমানের বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ) এখনকার বাংলাদেশের মতো কোনো একক ও অখণ্ড রাষ্ট্র বা রাজ্য ছিল না। বাংলার বিভিন্ন অংশ তখন অনেকগুলো ছোট ছোট অঞ্চলে বিভক্ত ছিল। আর প্রতিটি অঞ্চলের শাসক যার যার মতো শাসন করতেন। বাংলার এ অঞ্চলগুলোকে তখন সমষ্টিগতভাবে নাম দেওয়া হয় জনপদ।
প্রাচীন জনপদ – বর্তমান অবস্থা
পুণ্ড্র – বৃহত্তর বগুড়া (মহাস্থানগড়), রাজশাহী, রংপুর ও দিনাজপুর অঞ্চল।
বরেন্দ্র – রাজশাহী বিভাগের উত্তর-পশ্চিমাংশ, বগুড়ার পশ্চিমাংশ রংপুর ও দিনাজপুরের কিছু অংশ।
বঙ্গ – বৃহত্তর ঢাকা, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, বরিশাল ও পটুয়াখালী অঞ্চল।
সমতট – বৃহত্তর কুমিল্লা ও বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চল।
চন্দ্রদ্বীপ – বরিশাল, পটুয়াখালী, বাগেরহাট, খুলনা ও গোপালগঞ্জ।
গৌড় – মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, বর্ধমান ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
শ্রীহট্ট – সিলেট অঞ্চল।
হরিকেল – পার্বত্য সিলেট, চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল।
তাম্রলিপি – হরিকেলের উত্তরে বর্তমান মেদিনীপুর জেলার তমলুকিই ছিল তাম্রলিপির প্রাণকেন্দ্র।
রাঢ় – বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার দক্ষিণ অংশে ছিল রাঢ়ের অবস্থান। রাঢ়ের আরেক নাম ছিল সুক্ষ্ণ।