- Tue Sep 08, 2020 4:54 pm#3215
বাংলাদেশ সংবিধান তৈরির উদ্দেশ্যে ১৯৭২ সালের ১১জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ অস্থায়ী সংবিধান আদেশ জারি করেন । পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৩ মার্চ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী বাংলাদেশ গণপরিষদ আদেশ জারি করেন । সংবিধান রচনার উদ্দেশ্যে যে পরিষদ গঠিত হয় , তাই গণপরিষদ । ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর এবং ১৭ ডিসেম্বর জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচন এবং ১৭ জানুয়ারি উপনির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তান থেকে নির্বাচিত সদস্যরা গণপরিষদের সদস্য বলে পরিগণিত হয় । জাতীয় পরিষদে ১৬৯ এবং প্রাদেশিক পরিষদে ৩০০ জন মিলে মোট ৪৬৯ সদস্য হওয়ার কথা ছিল । কিন্তু বিভিন্ন কারণে (যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত , মৃত ,দেশত্যাগ ) ৪০৩ সদস্য নিয়ে গণপরিষদ গঠিত হয় । গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন বসে ১৯৭২ সালের ১০ এপ্রিল । গণপরিষদের প্রথম স্পিকার ছিলেন শাহ আবদুল হামিদ এবং ডেপুটি স্পিকার ছিলেন মোহাম্মদ উল্লাহ । গণপরিষদের সদস্যদের মধ্য থেকে ৩৪ জন নিয়ে বাংলাদেশের সংবিধান রচনা কমিটি গঠিত হয় । কমিটির সভাপতি ছিলেন ড. কামাল হোসেন । এজন্য ড. কামাল হোসেনকে সংবিধানের রূপকার বা স্থপতি বলা হয় । সংবিধান কমিটির একমাত্র মহিলা সদস্য ছিলেন বেগম রাজিয়া বানু । সংবিধান রচনা কমিটির একমাত্র বিরোধী দলীয় সদস্য ছিলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত । কমিটি ভারত ও যুক্তরাজ্যের সংবিধানের আলোকে বাংলাদেশের সংবিধান রচনা করে ।
বাংলাদেশ সংবিধানের ৯০ পৃষ্ঠাসংবলিত খসড়া সর্বপ্রথম গণপরিষদে উত্থাপিত হয় ১২ অক্টোবর ১৯৭২ । সংবিধানের খসড়া গণপরিষদের উত্থাপন করেন ড. কামাল হোসেন। ৪ নভেম্বর ১৯৭২ বাংলাদেশের সংবিধানের খসড়া গণপরিষদে গৃহিত হয়। এজন্য চার নভেম্বর ‘সংবিধান দিবস’ হিসেবে পালিত হয় । গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সংবিধান কার্যকর বা প্রবর্তিত হয় ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ । বাংলাদেশে প্রথম হস্তলিখিত সংবিধান ছিল ৯৩ পাতার । হস্তলিখিত সংবিধানটির মূল লেখক ছিলেন শিল্পী আবদুর রউফ। হস্তলিখিত সংবিধানটির অঙ্গসজ্জা করেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন। এর কভার ডিজাইন করেন কামরুল হাসান । গণপরিষদের সদস্যরা হস্তলিখিত মূল সংবিধানের বাংলা ও ইংরেজি লিপিতে স্বাক্ষর করেন ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭২ । গণ পরিষদের ৩০৯ সদস্য হস্তলিখিত মূল সংবিধানে স্বাক্ষর করেন । স্বাক্ষরসহ মোট খসড়া সংবিধানটি হয় ১০৮ পৃষ্ঠার । সংবিধান রচনা কমিটির বিরোধীদলিয় সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মূল সংবিধানে স্বাক্ষর করেনি । বাংলাদেশের সংবিধান গৃহিত হওয়ার সময় রাষ্ট্রপতি ছিলেন বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী এবং প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মূল সংবিধান ইংরেজি ভাষায় রচিত হয় এবং একে বাংলায় অনুবাদ করা হয়। তাই এটি বাংলা এবং ইংরেজি উভয় ভাষায় বিদ্যমান । তবে ইংরেজি ও বাংলার মধ্যে অর্থগত বিরোধ দৃশ্যমান হলে বাংলা রূপ অনুসরণীয় হবে। মূল সংবিধানের কপিটি বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে ।
বাংলাদেশ সংবিধানের ৯০ পৃষ্ঠাসংবলিত খসড়া সর্বপ্রথম গণপরিষদে উত্থাপিত হয় ১২ অক্টোবর ১৯৭২ । সংবিধানের খসড়া গণপরিষদের উত্থাপন করেন ড. কামাল হোসেন। ৪ নভেম্বর ১৯৭২ বাংলাদেশের সংবিধানের খসড়া গণপরিষদে গৃহিত হয়। এজন্য চার নভেম্বর ‘সংবিধান দিবস’ হিসেবে পালিত হয় । গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সংবিধান কার্যকর বা প্রবর্তিত হয় ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ । বাংলাদেশে প্রথম হস্তলিখিত সংবিধান ছিল ৯৩ পাতার । হস্তলিখিত সংবিধানটির মূল লেখক ছিলেন শিল্পী আবদুর রউফ। হস্তলিখিত সংবিধানটির অঙ্গসজ্জা করেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন। এর কভার ডিজাইন করেন কামরুল হাসান । গণপরিষদের সদস্যরা হস্তলিখিত মূল সংবিধানের বাংলা ও ইংরেজি লিপিতে স্বাক্ষর করেন ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭২ । গণ পরিষদের ৩০৯ সদস্য হস্তলিখিত মূল সংবিধানে স্বাক্ষর করেন । স্বাক্ষরসহ মোট খসড়া সংবিধানটি হয় ১০৮ পৃষ্ঠার । সংবিধান রচনা কমিটির বিরোধীদলিয় সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মূল সংবিধানে স্বাক্ষর করেনি । বাংলাদেশের সংবিধান গৃহিত হওয়ার সময় রাষ্ট্রপতি ছিলেন বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী এবং প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মূল সংবিধান ইংরেজি ভাষায় রচিত হয় এবং একে বাংলায় অনুবাদ করা হয়। তাই এটি বাংলা এবং ইংরেজি উভয় ভাষায় বিদ্যমান । তবে ইংরেজি ও বাংলার মধ্যে অর্থগত বিরোধ দৃশ্যমান হলে বাংলা রূপ অনুসরণীয় হবে। মূল সংবিধানের কপিটি বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে ।