- Mon Sep 02, 2019 2:22 pm#1638
*** এন আর সি কী?
- ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেনস (এনআরসি ) । গত বছরের জুলায় মাসে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী মুসলিম বাঙালিদের বিতাড়িত করার লক্ষে , এনআরসির জন্ম হয় । এনআরসিকে স্বাগত জানিয়ে অাসাম রাজ্যের অসমীয় ও বাঙালি হিন্দুরা আনন্দ মিছিল বের করেছিল । আসামের ইতিহাসে এন আরসির দামামা বাজিয়ে বেজেপি সরকার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ভোটে নির্বাচিত হয় বিজেপি সরকার !
এন আর সি তে মোট আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ৩০ লক্ষ ২৭ হাজার ৬৬১। চুড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েছে , ১৯ লক্ষ ৬ হাজার ৬৫৭ জনের নাম । উল্লেখ করা প্রয়োজন বোধ করি যে, এদের মধ্যে ১১ লক্ষেরও বেশি বাঙালি হিন্দু যারা বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী মুসলিমদের তাড়াতে অসমীয় হিন্দুদের সাথে এন আর সি এর বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলনে নেমেছিলেন । দু:খজনক ভাবে বলতে হয় যে এই তালিকা প্রকাশের পর ৫০ জনেরও বেশি মানুষ আত্মহত্যা করেন যাদের ৪০ জনই আসামের বাঙালি হিন্দু !
অর্থ্যাৎ, এটা স্পষ্ট যে, বিজেপির টার্গেট শুধু মুসলিম নয় বরং বাঙালি হোক সে মুসলিম কিংবা হিন্দু !
*** এন আর সি র বাস্তবায়নের পর বাদ পড়াদের ভবিষ্যত কী?
- যে ১৯ লক্ষ ৬ হাজার ৬৫৭ জন বাদ পড়লেন এদের এখন রাখা হবে অস্থায়ী ডিটেইনশন ক্যাম্পে । যেখানে শিক্ষা , চিকিৎসা , কর্মসংস্থান কিচ্ছু নেই । প্রতি ২০০ জন লোকের জন্য ১ টি টয়লেট । নারীদের প্রসবকালীনও কোন চিকিৎসার ব্যবস্থা সেখানে নেই । চাইলেও তারা ভারতে অবাধ চলাচল কিংবা জমি ক্রয় করতে পারবে না । এক কথায় বলা যেতে পারে কদিন আগেও যাদের সব ছিল তাদের রাতারাতি ভিখেরী বানিয়ে পশুর মত তীলে তীলে হত্যা করার অপর নামই এন আর সি!
*** এন আর সি থেকে বাদ পড়ারা কী ভারতের নাগরিকত্বের জন্য পূনরায় আপিল করতে পারবেন ?
- হ্যাঁ , পারবেন । তবে তাদের ন্যূনতম ৬ বছর এমন মানবেতর জীবন জাপন করতে হবে । তারপর কেবল যারা বাংলাদেশ থেকে শুধুমাত্র ধর্মীয় নিপীড়নের কারনে ১৯৭১ সালের পর ভারতে এসেছেন এবং আসার সময় কৎকালীন নিকটস্থ থাকায় এফ আর আই এর কপি দেখাতে পারবেন তারাই নাগরিকত্ব ফিরে পাবেন । নতুবা নয় !
বাংলাদেশের উপর এন আর সি এর প্রভাব ****
- ভৌগলিকভাবে আসাম বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় অবস্থানের কারনে ডিটেনশন ক্যাম্পটি এই সীমান্তেই হবে । যাতে অত্যাচার সহ্য না করতে পেরে তারা নিজে থেকেই আপনা আপনি বাংলাদেশে চলে আসে । এতে কূটনৈতিক ভাবে ভারতের সম্পর্কও ঠিক থাকলো , আপদও দূর হলো । রহিঙ্গাদের মত ।
- বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে এন আর সি কে কেন্দ্র করে নতুন উত্তেজনা শুরু হবে । বর্ধিত এই জনসংখ্যার ঢল ঠেকাতে বিজিবি বিএসএফ নতুন ভাবে সংঘর্ষের সম্ভাবনাও থাকবে । উল্লেখ্য যে বাংলাদেশ সীমান্তে বেশিরভাগ বিসএফ সদস্যকেই পোস্টিং করা হয়েছে অবাঙ্গালী পাঞ্জাব বংশদ্ভতদের । যাথে সহজে বিজিবির সদস্য কিংবা বাংলাদেশীদের সাথে সখ্যতা না - বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে এন আর সি কে কেন্দ্র করে নতুন উত্তেজনা শুরু হবে । বর্ধিত এই জনসংখ্যার ঢল ঠেকাতে বিজিবি বিএসএফ নতুন ভাবে সংঘর্ষের সম্ভাবনাও থাকবে । উল্লেখ্য যে বাংলাদেশ সীমান্তে বেশিরভাগ বিসএফ সদস্যকেই পোস্টিং করা হয়েছে অবাঙ্গালী পাঞ্জাব বংশদ্ভতদের । যাথে সহজে বিজিবির সদস্য কিংবা বাংলাদেশীদের সাথে সখ্যতা না হয়!
- গত বছর এনআরসির ঢেকুর তুলে বিজেপি সরকার আসাস থেকে ১৬৬ জনকে ফেরত পাঠিয়েছে, তাদের মধ্যে ১৪৭ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল বাংলাদেশে। অর্থাৎ বাংলাদেশে আর নতুন বর্ধিত ২০ লক্ষাধিক জনসংখ্যা প্রবেশ করতে যাচ্ছে । যার ফলে রহিঙ্গা সমস্যার মত আরেকটি মহা মানব দুর্যোগের সম্মুখিন হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ !!
- এ কথা আমাদের স্বীকার করতেই হবে যে, ভৌগোলিক কারনে বাংলাদেশ ভারতের উপর প্রত্যক্ষ্য ও পরোক্ষ্যভাবে নির্ভরশীল । এই অভিবাসন সমস্যার কারনে ঢাকা - নয়াদিল্লি সম্পর্কের টান পড়বে । যা তরান্বিত করবে বাংলাদেশের অর্থনীতি , কৃষি , প্রযুক্তি, রাজনীতি এবং আরও অভ্যন্তরীণ বিষয়ের উপর!
এন আর সির প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশের করণীয় ? ***
- এ অংশটুকু আপনাদের জন্য রেখে দিলাম । সবাই নিজের মতামত দেওয়ার চেষ্টা করবেন । সবার মাথা এক সাথে হলে ভালো ভালো উত্তর বের হবে ইনশা-আল্লাহ ।
Collected
- ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেনস (এনআরসি ) । গত বছরের জুলায় মাসে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী মুসলিম বাঙালিদের বিতাড়িত করার লক্ষে , এনআরসির জন্ম হয় । এনআরসিকে স্বাগত জানিয়ে অাসাম রাজ্যের অসমীয় ও বাঙালি হিন্দুরা আনন্দ মিছিল বের করেছিল । আসামের ইতিহাসে এন আরসির দামামা বাজিয়ে বেজেপি সরকার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ভোটে নির্বাচিত হয় বিজেপি সরকার !
এন আর সি তে মোট আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ৩০ লক্ষ ২৭ হাজার ৬৬১। চুড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েছে , ১৯ লক্ষ ৬ হাজার ৬৫৭ জনের নাম । উল্লেখ করা প্রয়োজন বোধ করি যে, এদের মধ্যে ১১ লক্ষেরও বেশি বাঙালি হিন্দু যারা বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী মুসলিমদের তাড়াতে অসমীয় হিন্দুদের সাথে এন আর সি এর বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলনে নেমেছিলেন । দু:খজনক ভাবে বলতে হয় যে এই তালিকা প্রকাশের পর ৫০ জনেরও বেশি মানুষ আত্মহত্যা করেন যাদের ৪০ জনই আসামের বাঙালি হিন্দু !
অর্থ্যাৎ, এটা স্পষ্ট যে, বিজেপির টার্গেট শুধু মুসলিম নয় বরং বাঙালি হোক সে মুসলিম কিংবা হিন্দু !
*** এন আর সি র বাস্তবায়নের পর বাদ পড়াদের ভবিষ্যত কী?
- যে ১৯ লক্ষ ৬ হাজার ৬৫৭ জন বাদ পড়লেন এদের এখন রাখা হবে অস্থায়ী ডিটেইনশন ক্যাম্পে । যেখানে শিক্ষা , চিকিৎসা , কর্মসংস্থান কিচ্ছু নেই । প্রতি ২০০ জন লোকের জন্য ১ টি টয়লেট । নারীদের প্রসবকালীনও কোন চিকিৎসার ব্যবস্থা সেখানে নেই । চাইলেও তারা ভারতে অবাধ চলাচল কিংবা জমি ক্রয় করতে পারবে না । এক কথায় বলা যেতে পারে কদিন আগেও যাদের সব ছিল তাদের রাতারাতি ভিখেরী বানিয়ে পশুর মত তীলে তীলে হত্যা করার অপর নামই এন আর সি!
*** এন আর সি থেকে বাদ পড়ারা কী ভারতের নাগরিকত্বের জন্য পূনরায় আপিল করতে পারবেন ?
- হ্যাঁ , পারবেন । তবে তাদের ন্যূনতম ৬ বছর এমন মানবেতর জীবন জাপন করতে হবে । তারপর কেবল যারা বাংলাদেশ থেকে শুধুমাত্র ধর্মীয় নিপীড়নের কারনে ১৯৭১ সালের পর ভারতে এসেছেন এবং আসার সময় কৎকালীন নিকটস্থ থাকায় এফ আর আই এর কপি দেখাতে পারবেন তারাই নাগরিকত্ব ফিরে পাবেন । নতুবা নয় !
বাংলাদেশের উপর এন আর সি এর প্রভাব ****
- ভৌগলিকভাবে আসাম বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় অবস্থানের কারনে ডিটেনশন ক্যাম্পটি এই সীমান্তেই হবে । যাতে অত্যাচার সহ্য না করতে পেরে তারা নিজে থেকেই আপনা আপনি বাংলাদেশে চলে আসে । এতে কূটনৈতিক ভাবে ভারতের সম্পর্কও ঠিক থাকলো , আপদও দূর হলো । রহিঙ্গাদের মত ।
- বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে এন আর সি কে কেন্দ্র করে নতুন উত্তেজনা শুরু হবে । বর্ধিত এই জনসংখ্যার ঢল ঠেকাতে বিজিবি বিএসএফ নতুন ভাবে সংঘর্ষের সম্ভাবনাও থাকবে । উল্লেখ্য যে বাংলাদেশ সীমান্তে বেশিরভাগ বিসএফ সদস্যকেই পোস্টিং করা হয়েছে অবাঙ্গালী পাঞ্জাব বংশদ্ভতদের । যাথে সহজে বিজিবির সদস্য কিংবা বাংলাদেশীদের সাথে সখ্যতা না - বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে এন আর সি কে কেন্দ্র করে নতুন উত্তেজনা শুরু হবে । বর্ধিত এই জনসংখ্যার ঢল ঠেকাতে বিজিবি বিএসএফ নতুন ভাবে সংঘর্ষের সম্ভাবনাও থাকবে । উল্লেখ্য যে বাংলাদেশ সীমান্তে বেশিরভাগ বিসএফ সদস্যকেই পোস্টিং করা হয়েছে অবাঙ্গালী পাঞ্জাব বংশদ্ভতদের । যাথে সহজে বিজিবির সদস্য কিংবা বাংলাদেশীদের সাথে সখ্যতা না হয়!
- গত বছর এনআরসির ঢেকুর তুলে বিজেপি সরকার আসাস থেকে ১৬৬ জনকে ফেরত পাঠিয়েছে, তাদের মধ্যে ১৪৭ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল বাংলাদেশে। অর্থাৎ বাংলাদেশে আর নতুন বর্ধিত ২০ লক্ষাধিক জনসংখ্যা প্রবেশ করতে যাচ্ছে । যার ফলে রহিঙ্গা সমস্যার মত আরেকটি মহা মানব দুর্যোগের সম্মুখিন হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ !!
- এ কথা আমাদের স্বীকার করতেই হবে যে, ভৌগোলিক কারনে বাংলাদেশ ভারতের উপর প্রত্যক্ষ্য ও পরোক্ষ্যভাবে নির্ভরশীল । এই অভিবাসন সমস্যার কারনে ঢাকা - নয়াদিল্লি সম্পর্কের টান পড়বে । যা তরান্বিত করবে বাংলাদেশের অর্থনীতি , কৃষি , প্রযুক্তি, রাজনীতি এবং আরও অভ্যন্তরীণ বিষয়ের উপর!
এন আর সির প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশের করণীয় ? ***
- এ অংশটুকু আপনাদের জন্য রেখে দিলাম । সবাই নিজের মতামত দেওয়ার চেষ্টা করবেন । সবার মাথা এক সাথে হলে ভালো ভালো উত্তর বের হবে ইনশা-আল্লাহ ।
Collected