Get on Google Play

অনুপ্রেরণামুলক গল্প, বিখ্যাত ব্যক্তিদের জীবনী, ইতিবাচক আচার-আচারন ইত্যাদি
#7345
বিসিএস পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুদিন আগে মডেল টেস্টের বই সংগ্রহ করেছিলাম। ঘরে বসে মডেল টেস্ট দিতাম। টার্গেট থাকতে প্রত্যেকটি পূর্ণাঙ্গ মডেল টেস্ট এক ঘণ্টা ৪০ মিনিটের মধ্যে শেষ করা। পরে ভুলগুলো খুঁজে বের করে সংশোধন করতাম। শেষের দিকে এসে দেখতাম, ভুল কম হচ্ছে। তখন আত্মবিশ্বাস বেড়ে গিয়েছিল।
৩৭তম বিসিএসে প্রিলিমিনারিতে টেকার পর শুরু করেছিলাম লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি। ইংরেজির জন্য নবম-দশম শ্রেণির গ্রামার বই সংগ্রহ করে খুঁটিনাটি পড়েছি। চেষ্টা করেছি ইংরেজিতে ফ্রি হ্যান্ড রাইটিংয়ের স্কিল বাড়াতে। নিয়মিত ইংরেজি প্রত্রিকা পড়তাম। বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার ইংরেজি অংশ সমাধানের চেষ্টা করতাম। বাংলায় ভালো নম্বর তোলার একটি কৌশল হচ্ছে বানান ভুল না করা। বানান ও ব্যাকরণ চর্চার জন্য আলাদা সময় রাখতাম। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্য বইয়ের সাহিত্য ও ব্যাকরণ অংশ পড়তাম। কবি, সাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিকের সাহিত্যকর্ম সম্পর্কে জেনেছি।
সাধারণ জ্ঞানের জন্য সাম্প্রতিক সময়ের আলোচিত বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনেছি। আমার মোবাইলে বিভিন্ন পত্রিকার নোটিফিকেশন চলে আসত। এতে আপডেট থাকা সহজ হতো। পত্রিকার সম্পাদকীয়, কলাম, অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক পাতা নিয়মিত পড়তাম। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ, বিভিন্ন সংশোধনী বিস্তারিত পড়েছি। নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইটি খুবই তথ্যবহুল মনে হয়েছে। গণিতে সপ্তম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্য বইয়ের অধ্যায়গুলো নিয়মিত অনুশীলন করেছি।
বিখ্যাত ব্যক্তির উক্তি পেলেই নোট করে রাখতাম। পরীক্ষার খাতায় সংশ্লিষ্ট উক্তি লিখেছি। এটি লিখিত পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেতে সহায়তা করেছে বলে আমার ধারণা। একটি বিষয়ে অযথা সময় নষ্ট করার পক্ষপাতী ছিলাম না। পড়ার সময় কোনো টপিক কঠিন মনে হলে তা রেখে দিয়ে অন্য বিষয় পড়তাম।
লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্নের সিরিয়াল অনুসারে উত্তর দিয়েছিলাম। নম্বর পাওয়ার জন্য অনেক পরীক্ষকের বেলায় বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরের শিরোনাম লেখার সময় নীল কালির কলম ব্যবহার করেছি। খাতা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করেছি। প্রয়োজনীয় গ্রাফ ও চিত্র এঁকে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছি। অপ্রাসুঙ্গিক কিছু লিখিনি। আমার মহে হয়, ভালো নম্বর পাওয়ার ক্ষেত্রে এসব খুব কাজে দিয়েছে। প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় টিকে ভাইভার সময় আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। গুছিয়ে সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছি। ৩৭তম বিসিএসের ফল দেওয়ার পর দেখা গেল, পুলিশ ক্যাডারে প্রথম হয়েছি। বিষয়টি ছিল আমার জন্য দারুণ আনন্দের।
সংগৃহীত:-
    Similar Topics
    TopicsStatisticsLast post
    0 Replies 
    2174 Views
    by bdchakriDesk
    0 Replies 
    2523 Views
    by rafique
    0 Replies 
    1588 Views
    by raihan
    0 Replies 
    1664 Views
    by masum
    0 Replies 
    1780 Views
    by shanta

    A group of lions------------------------ A pride o[…]

    • Our family is on very good terms with his f[…]

    • ’মেঘনাদবধ’ কাব্যে ‘রাক্ষস[…]