Get on Google Play

অনুপ্রেরণামুলক গল্প, বিখ্যাত ব্যক্তিদের জীবনী, ইতিবাচক আচার-আচারন ইত্যাদি
#3230
কৃষ্ণাঙ্গ একটি মেয়ে ছোট্ট একটা চাকরির আশায় বিভিন্ন রেষ্টুরেন্টে ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রায় সকল রেষ্টুরেন্ট মালিকদের একই কথা আামাদের এখানে কোন লোকের প্রয়োজন নেই।তুমি বরং অন্য রেষ্টুরেন্টে খুঁজে দেখো, কৃষ্ণাঙ্গ মেয়েটি হতাশ হয়ে সেই রেষ্টুরেন্ট থেকে অন্য রেষ্টুরেন্টে যায়। এভাবে মেয়েটা অন্য রেষ্টুরেন্টে একদিন একটা চাকরি পেয়ে গেলো, প্রথম দিনে রেষ্টুরেন্ট মালিকের কড়া নির্দেশ। দেরি করে আসা যাবেনা তাহলে চাকরি বাতিল! সবকিছু মাথায় রেখেই মেয়েটি সেই রেষ্টুরেন্টে কাজ করে যাচ্ছে। খাবারের অর্ডার নিচ্ছে তার পর খাবার পৌঁছে দিচ্ছে টেবিলে টেবিলে, খাবার শেষ হবার পর টেবিল পরিস্কার করছে।কাজের কিছু অদক্ষতার কারণে প্রায় প্রতিদিন মালিকের বকাও খাচ্ছে, মেয়েটা বেশ হাসি মুখে সবকিছু সহ্য করে যাচ্ছে।কখনও হয়তো কাস্টমারের সামনে থেকে কফির মগ নিতে গিয়ে একটু গায়ে ফেলে দিয়েছে। কাস্টমার প্রচন্ড রেগে গিয়ে মালিকের কাছে নালিশ করেছে,মেয়েটি হয়তো কাঁদোকাঁদো গলায় সরি বলে পার পেয়ে গেছে। গায়ের রং কালো বলে সম্ভবত রেষ্টুরেন্টে কর্মরত ছেলেরা খুব একটা পাত্তাও দেয়নি। একদিন সহকর্মীর জন্মদিনে তার বাসায় চলে গেল কেক কাটার পর যে খাবার দেয়া হলো। সেগুলো সহকর্মী লক্ষ্য করে দেখলো যে মেয়েটি একদম খেতে পারছেনা। অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো খাবারে কোন সমস্যা আছে কি না? মেয়েটি জবাব বলল পেট ভরা সে জন্য খেতে পারছিনা। কোন একদিন হয়তো সহকর্মীদের সঙ্গে কমদামি গাড়িতে ঘুরতে গিয়েছিলো সেদিন কমদামি গাড়িতে বসতে কষ্ট হয়েছে তার। কিন্তু মুখফুটে কাউকে কিছু বলতে পারেনি সব কিছু চেঁপে গিয়েছে আর ভেবে নিয়েছে আমি দেশের অন্য মানুষের মতই একজন মানুষ, তারা পারলে আমি পারবো না কেনো? দিন এভাবেই অতিবাহিত হয়ে যাচ্ছিল। একদিন মেয়েটির সহকর্মীরা লক্ষ্য করে দেখলো যে, কাজ শেষে রেষ্টুরেন্ট থেকে বের হওয়ার পর মেয়েটিকে ৬ জন দেহরক্ষী তাকে ঘিরে রাখে এবং গাড়িতে করে নিয়ে যায়।তার পরেই রেষ্টুরেন্টে শুরু হয় নানা গুঞ্জন মূহুর্তের মধ্যে খবরটি পৌঁছে যায় সাংবাদিকদের কান পর্যন্ত। বেরিয়ে আসে রেষ্টুরেন্টে কাজ করা কৃষ্ণাঙ্গ মেয়েটির সত্যিকারের পরিচয় মেয়েটি আর কেউ নয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারক ওবামার কনিষ্ঠ কন্যা শাসা ওবামা,নিজের আত্মপরিচয় গোপন করে একটি রেষ্টুরেন্টে কাজ করে যাচ্ছে।এই খবরটি সংবাদ মাধ্যমে ব্যপক আলোড়ন সৃষ্টি করে এবং সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে শাসা ওবামার মাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সন্তানদের একটা বয়সের পরে রাজকীয় বিলাসিতা ত্যাগ করতে বাদ্য করেছি কারন তাদের সাধারন মানুষের সাথে মিশতে হবে। অন্য আর দশ-টা মানুষের মতই তাদের বাঁচতে শিখতে হবে।

একজন প্রসিডেন্টের মেয়ে যেমন কাজ করতে লজ্জা বোধ করেনি তেমনি তার মাও তাকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পিছপা হননি। অথচ আমাদের দেশের বিত্তবানরা তো দূরে থাক, আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্মগ্রহণ করেও কোন ছোট কাজ করতে লজ্জা বোধ করছি। কাজ করলে কখনো আত্মমর্যাদা বোধ কমেনা বরং বৃদ্ধিপায়। একজন শিশু বা মানুষকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করবার দায়িত্ব শুধু স্কুলের না পরিবারের ও। পরিবার থেকেই শুরু হোক প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করবার হাতে খড়ি।তাহলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম শুধু সুশিক্ষিত হবে না হবে স্বশিক্ষিত।
তাহলেই---- বদলাবে সমাজ ----বদলাবে দেশ।

সংগৃহিতঃ-
    Similar Topics
    TopicsStatisticsLast post
    0 Replies 
    5432 Views
    by delower
    1 Replies 
    838 Views
    by tasnima
    0 Replies 
    5457 Views
    by bdchakriDesk
    0 Replies 
    108 Views
    by raihan
    0 Replies 
    92 Views
    by masum

    বিষয় : রাষ্ট্রপতির কার্যালয়, আপন বিভাগের “[…]

    বিষয় : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্[…]

    Amendment of Vacancy announcement for the post of […]