Get on Google Play

বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার পরীক্ষা পদ্ধতি, সিলেবাস এবং মানবন্টন ইত্যাদি
#656
১) প্রিলিমিনারীতে কোটা অ্যাপ্লাই হয়না। কোটা অ্যাপ্লাই হয় ভাইভার পর। তবে ৩৪ তম বিসিএসে প্রিলিমিনারীতে কোটা অ্যাপ্লাই হয়েছিল। পরীক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পিএসসি সেই রেজাল্ট বাতিল করে পূনরায় রেজাল্ট পাবলিশ করেছিল।

২) গেজেট না হওয়ার পেছনে প্রার্থীর অতীত কার্যকলাপ দায়ী। প্রার্থীর নামে কোন মামলা থাকলে, নারীঘটিত কোন জটিলকেলেঙ্কারি থাকলে, শত্রুরা তদন্তকারী কর্মকর্তাকে মিথ্যা তথ্য দিলে, স্থায়ী ঠিকানা খুজে না পাওয়া গেলে ইত্যাদি নানা কারণে গেজেটে নাম না আসতে পারে বলে মনে করা হয়। শোনা যায়, রাজনৈতিক কারণেও অনেকের গেজেট আটকে যায়।

৩) আপনি বোথ ক্যাডারে অ্যাপ্লাই করে টেকনিক্যাল পরীক্ষায় ফেল করলেও আপনার মোট নম্বর যদি ৫৫০ হয় তাহলে আপনি বোথ ক্যাডারেই পাস করবেন। আর ৪৫০ এর উপর হলে শুধু জেনারেল ক্যাডারে পাস করবেন। এভাবে বোথ ক্যাডারে এপ্লাই করে শুধু টেকনিক্যাল ক্যাডারেও পাস আসতে পারে। তবে মনে রাখবেন, সব পরীক্ষায় আপনাকে উপস্থিতি নিশ্চিত করতেই হবে।

৪) দেশের বা বিদেশের যেকোন ভার্সিটি বা মাদ্রাসা থেকে যেকোন বিষয়ে পড়ালেখা করে শিক্ষাগত যোগ্যতার শর্ত পূরণ করলেই বিসিএস দেয়া যাবে। আপনার যদি আবেদন করার বয়স থাকে তাহলে শিক্ষাজীবনে ইয়ার গ্যাপও কোন ব্যাপার না।

৫) হাতের লেখা সুন্দর অসুন্দরে কোন যায় আসে না। হাতের লেখা পড়া গেলেই হলো। লেখায় ধার কতটুকু আছে সেটাই বিবেচ্য বিষয়। তবে ভালো লেখা দেখলে পরীক্ষকের মনটা ভালোও হয়ে যেতে পারে। আর মন ভালো হলে মার্ক একটু ভালোও আশা করা যায়।

৬) জেনারেল ক্যাডারদের তুলনায় টেকনিক্যাল ক্যাডারদের ভাইভা সহজ হয়- এটা ভাবা ঠিক না। ভাইভায় কাকে কি ধরবে তার কোন ধরাবাঁধা নিয়ম নাই। তবে ভাইভায় যেহেতু ক্যাডার রিলেটেড প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে তাই জেনারেল ক্যাডারদের ক্যাডার রিলেটেড জিনিস বেশি ধরে আর টেকনিক্যাল ক্যাডারদের টেকনিক্যাল জিনিস মানে সাবজেক্ট রিলেটেড জিনিস বেশি ধরে।

৭) পুলিশ ক্যাডার হোক আর শিক্ষাই ক্যাডারই হোক কোনটারই মেডিক্যাল টেস্ট ডিফেন্সের মেডিক্যাল টেস্টের মত না। এখানে আপনাকে বিবস্ত্র করে মেডিক্যাল করা হবে না। শুধু জেনারেল কিছু জিনিস দেখা হবে। এটা নিয়ে একেবারেই ঘাবড়ানোর কিছু নাই। আবার বলে বসবেন না, আমার তো দুই পা নাই, আমি কি পুলিশ ক্যাডার হতে পারব?

৮) পুলিশ ও আনসার ক্যাডারের ক্ষেত্রেই শুধু উচ্চতা ও ওজন দেখা হয়। অন্য কোন ক্যাডারে যদিও উচ্চতার ব্যাপার আছে তবুও কোন ব্যাপার না।

৯) বিসিএসের জন্য কোচিং করতেই হবে এমন কোন কথা কোথাও লেখা নাই। আমার অভিজ্ঞতা বলে, কোচিং না করে ক্যাডার হওয়ার সংখ্যাই বেশি। তাছাড়া বিসিএসে এমন কিছু আসেনা যা আপনি গাইড বই পড়েও বুঝবেন না। হ্যাঁ, মানলাম সবকিছু বুঝা যাবে না। সবকিছু বুঝারও তো দরকার নাই। তারপরেও যদি মনে হয় কোচিং না করলে আপনার মানসিক শান্তি আসবেনা, তাহলে কোচিং করতে পারেন।

১০) যারা ঝামেলা পছন্দ করেন না, দুর্নীতি করা বা ক্ষমতার দাপট দেখানোর ইচ্ছা নাই, অপেক্ষাকৃত রিলাক্স জীবন চান, তারা বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডার প্রথম পছন্দ দিতে পারেন।

১১) প্রিলি ও রিটেন উভয় পরীক্ষার জন্যই সিলেবাস আছে। পিএসসি ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে নিন। সিলেবাসেই বলা আছে কোন টপিক থেকে কত মার্কের প্রশ্ন হবে। তাছাড়া বিগত বছরের প্রিলি ও রিটেন পরীক্ষার প্রশ্ন দেখলেও বিষয়টা ক্লিয়ার হবে।

১২) বিসিএস ক্যাডারগণ জাতীয় পে স্কেলের নবম গ্রেডে একটি ইনক্রিমেন্টসহ যোগদান করেন। তাই চাকরির শুরুতেই তাদের মূল বেতন ২৩১০০ টাকা মাত্র।

১৩) মাদ্রাসা বলেন, প্রাইভেট ভার্সিটি বলেন, পাস কোর্সের ছাত্র বলেন কাউকেই ভাইভা বোর্ডে ছোট করে দেখা হয়না। সবাই একই প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়েই ভাইভা বোর্ডে গেছে। তাই এসব ভেবে হীনমন্যতায় ভুগবেন না।

১৪) বিসিএস পরীক্ষায় একাডেমিক রেজাল্টের উপর কোন মার্ক বরাদ্দ নাই। আপনার রেজাল্ট খারাপ হলেও আপনি ক্যাডার হতে তো পারবেনই এমনকি জাতীয় মেধায় প্রথমও হয়ে যেতে পারেন। বিশ্বাস হচ্ছে না? ৩০ তম বিসিএসে জাতীয় মেধায় প্রথম হয়েছিলেন সুশান্ত পাল। যার অনার্সে সিজিপিএ ছিল ২.৭৪।

১৫) প্রিলি পরীক্ষায় এমসিকিউ প্রশ্নের অপশনে দুইটা উত্তর থাকলে আপনি সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য উত্তরটি দেবেন। ইনসুলিন কোথায় থেকে নিঃসৃত হয়- এরকম একটা প্রশ্ন আছে যার অপশনে দুইটা উত্তর দেয়া থাকে (ক) অগ্ন্যাশয় (খ) প্যানক্রিয়াস। যদিও Pancreas মানে অগ্ন্যাশয় তথাপিও উত্তর হবে (ক)। কারণ প্রশ্ন বাংলায় করা হয়েছে। তাই উত্তরও দিতে হবে বাংলায়। অপশনে বাংলা না থাকলে তখন (খ) দিতে পারতেন।

১৬) প্রিলি দুই ঘন্টার পরীক্ষা। ২০০ টি এমসিকিউ থাকে। প্রত্যেক প্রশ্নের মান ১। একটি উত্তর সঠিক দিলে ১ মার্ক পাবেন আর ভুল উত্তর দিলে ১/২ মার্ক কাটা যাবে। বুঝা গেল না? বুঝিয়ে বলছি। ধরেন, আপনি পাঁচটা প্রশ্নের উত্তর দিলেন যার মধ্যে তিনটা সঠিক আর দুইটা ভুল। তিনটা সঠিকের জন্য পেলেন ৩ মার্ক আর দুইটা ভুলের জন্য ১ মার্ক কাটা হলো। আপনার প্রাপ্ত মার্ক গিয়ে দাঁড়াল ২।

১৭) প্রশ্ন কঠিন না সহজ হবে এটা কোন চিন্তার বিষয় না। কঠিন হলে সবার জন্যই কঠিন। সহজ হলে সবার জন্যই সহজ। আপনি আপনার প্রস্তুতি চালিয়ে যান। পরিশ্রম কখনও বৃথা যায়না।

১৮) মাস্টার্স ছাড়া শুধু জেনারেল এডুকেশন ক্যাডার কেন, যেকোন ক্যাডারই পাওয়া যায়। অ্যাপিয়ার্ড সার্টিফিকেট দিয়েও ক্যাডার হওয়ার নজির আছে অনেক।

১৯) ক্যাডার হওয়ার জন্য এত ঘন্টা পড়তে হবে- এরকম কোন কথা নাই। কোন পড়া কারো পাঁচ মিনিটে পড়া হয় আবার একই পড়া কারো ২০ মিনিট লাগে। আপনার দরকার অন্তত সিলেবাস ও কিছু বই কম্পিলিট করা। সেটা যত দ্রুত পারবেন তত মঙ্গল।

২০) ভাইভা বোর্ডে সাধারণত তিনজন থাকেন। একজন পিএসসির সদস্য যিনি বোর্ডের চেয়ারম্যান, একজন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার ব্যক্তি ও একজন একাডেমিক এক্সপার্ট।

২১) বিসিএসের ২৭ টি ক্যাডারকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সাধারণ ক্যাডার ক্যাডার ১৫টি। টেকনিক্যাল ক্যাডার ১২টি। সাধারণ ক্যাডারগুলো হলোঃ পররাষ্ট্র, প্রশাসন, পুলিশ, শুল্ক ও আবগারী, নিরীক্ষা ও হিসাব, কর, আনসার, ইকনোমিক, খাদ্য, সমবায় , পরিবার পরিকল্পনা, তথ্য, বাণিজ্য, ডাক, রেলওয়ে পরিবহণ ও বাণিজ্যিক। টেকনিক্যাল ক্যাডারগুলো হলোঃ কৃষি, মৎস্য, পশুসম্পদ, বন, স্বাস্থ্য, সাধারণ শিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা, জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল, পরিসংখ্যান, গণপূর্ত, সড়ক ও জনপথ, রেলওয়ে প্রকৌশল।

২২) ধরেন, কোন বিসিএসে ১০০০ জনের সার্কুলার দিল। কিন্তু ভাইভা পাস করলো ২০০০ জন। এই ২০০০ জনের ভিতর থেকে মেধা ও কোটা অনুসারে প্রথম ১০০০ জন বিভিন্ন ক্যাডারে সুপারিশ পাবে। যাদের সুপারিশ করে তারা প্রথম শ্রেণির গেজেটেড ক্যাডার কর্মকর্তা। বাকি যে ১০০০ জন থাকলো তারাই নন-ক্যাডার নামে পরিচিত। অনেকটা ভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষার ওয়েটিং লিস্টের মতো। ব্যাংকের পরীক্ষাগুলোতে এটা প্যানেল নামে পরিচিত। পিএসসি এই নন-ক্যাডার ১০০০ জন থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের চাহিদা মোতাবেক প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে সুপারিশ করে। উল্লেখ্য, প্রথম শ্রেণির গেজেটেড ননক্যাডার পদও আছে। যেমন: সাব-রেজিস্ট্রার, সমাজসেবা অফিসার ইত্যাদি।

সংগৃহিতঃ Alamin Islam
    Similar Topics
    TopicsStatisticsLast post
    0 Replies 
    725 Views
    by rafique
    0 Replies 
    25 Views
    by bdchakriDesk
    0 Replies 
    356 Views
    by sajib
    0 Replies 
    203 Views
    by kajol

    বিষয় : রাষ্ট্রপতির কার্যালয়, আপন বিভাগের “[…]

    বিষয় : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্[…]

    Amendment of Vacancy announcement for the post of […]