Get on Google Play

বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার পরীক্ষা পদ্ধতি, সিলেবাস এবং মানবন্টন ইত্যাদি
#570
১. বিসিএস একটা দীর্ঘমেয়াদি পরীক্ষা। সার্কুলার থেকে প্রিলি,রিটেন,ভাইভা,নিয়োগ পর্যন্ত ২.৫ – ৩ বছর সময় লাগে। এই দীর্ঘ সময়ে অনেক টেনশন, হতাশা আসবে, কিন্তু ধৈর্য ধরতে হবে। ২. বিসিএস এর অনেকগুলা ধাপঃ প্রিলি, রিটেন, ভাইভা, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ভেরিফিকেশন (পুলিশ, এনএসাই, ইউএনও, স্পেশাল ব্রাঞ্চ), গেজেট, পোস্টিং।
ফরম পূরণঃ
১. টেকনিক্যাল ক্যাডার ও বোথ ক্যাডার। যারা শুধুমাত্র টেকনিক্যাল ক্যাডার দিবেন,তাদের চয়েস একটাইঃ বিসিএস(স্বাস্থ্য), রসায়ন, গণিত ইত্যাদি। আর যারা বোথ ক্যাডার দিবেন তারা প্রথমে প্রশাসন, ফরেইন, পুলিশ, ট্যাক্স ইত্যাদি দিবেন, এরপর স্বাস্থ্য/নিজের সাবজেক্ট। ২. ফরম পূরনের সময় স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা একই দিলে ভাল। না হয় দুই জায়গায় ভেরিফিকেশন হবে। তবে স্থায়ী ঠিকানায় বাড়ি বা জমি থাকতে হবে। স্থায়ী ঠিকানা পরে পরিবর্তনের সুযোগ নাই। ৩. নাম, বাবার নাম, জন্মতারিখ ইত্যাদি এসএসসি সার্টিফিকেট অনুযায়ী দিতে হবে। ৪. স্নাতক লিখিত পরীক্ষা শেষ হলেই Appeared সার্টিফিকেট দিয়ে বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহন করা যায়।
প্রিলিমিনারী পরীক্ষাঃ ১. প্রিলিতে সবার জন্য পাস মার্ক/কাট মার্ক একই। অর্থাৎ প্রায় ২,৫০০০০ পরীক্ষার্থীর মধ্যে যে ১০-১২ হাজার প্রিলিতে টিকবে আপনাকে এর মধ্যে একজন হতে হবে। এখানে কোন ধরনের কোটা/আলাদা কাট মার্ক এপ্লাই করা হয় না, তাই সেই লেভেলের প্রস্তুতি নিতে হবে। ২. প্রিলি একটি বাছাই পরীক্ষা। এই নাম্বার পরবর্তীতে যোগ হবে না। তাই ১ম হয়ে প্রিলি পাস করা আর ১০,০০০ তম হয়ে প্রিলি পাস করা একই কথা।
রিটেন পরীক্ষাঃ ১. যারা বোথ ক্যাডারে দিবেন তাদের জন্য পরীক্ষা হল ১১০০ নাম্বারের। আর যারা শুধুমাত্র টেকনিকাল/শুধুমাত্র জেনারেল ক্যাডার তাদের ৯০০ নাম্বারের পরীক্ষা। টেকনিকালদের বাংলা ২য় পত্র ও বিজ্ঞান পরীক্ষার পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট টেকনিক্যাল বিষয়ে ২০০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হবে। বোথ ক্যাডারদের জেনারের ক্যাডারের সব বিষয় সাথে নিজ বিষয়ের ২০০ নম্বরের পরীক্ষা। ২. লিখিত পরীক্ষা পাস নম্বর গড়ে ৫০%। সবাইকে অবশ্যই ৫০% মার্কস পেতে হবে ভাইবা দেওয়ার জন্য। আপনার ক্যাডারে যত সিটই থাকুক আপনি যদি রিটেনে ৫০% মার্কস না পান, তাহলে আপনি রিটেনে ফেল। তবে শুধুমাত্র ৫০% মার্কস ক্যাডার প্রাপ্তি নিশ্চিত করে না। যত বেশি মার্ক পাবেন রিটেনে তত ক্যাডার প্রাপ্তির সম্ভাবনা বাড়বে। ৩. রিটেন পরীক্ষায়ও কোন ধরনের কোটা/আলাদা কাট মার্ক এপ্লাই করা হয় না। ৪. কোন পরীক্ষায় ৩০% এর কম পেলে ওই সাবজেক্টের নাম্বার যোগ হবে না। ৫. বিসিএস পরীক্ষার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল লিখিত পরীক্ষা।এখানে যে যত বেশি পাবে, তার ক্যাডার পাওয়ার সম্ভাবনা তত বাড়বে।
ভাইভাঃ ১. ভাইভা পরীক্ষা ২০০ নম্বরের, পাস মার্ক ১০০। ভাইভা বোর্ডে ৩ জন পরীক্ষক থাকেন। ১ জন পিএসসির মেম্বার, বাকি দুজন বাইরের এক্সটারনাল। ২. যারা জেনারেল/বোথ ক্যাডারে ভাইভা দিবেন তাদের এক্সটারনাল যে কোন বিষয়ের হতে পারে। ৩. যারা শুধুমাত্র ট্যাকনিক্যাল ক্যাডারে ভাইভা দিবেন, তাদের বোর্ডে সংশ্লিষ্ট সাবজেক্টের দুইজন এক্সটারনাল থাকবেন। যেমনঃ স্বাস্থ্য দুজন ডাক্তার (যে কোন সাবজেক্টের), গণিতে দুই জন গণিতের শিক্ষক ইত্যাদি। ৪. ভাইভার উপর ক্যাডার প্রাপ্তি নির্ভর করে না। কারণ ভাইভাতে বেশিরভাগই পাস করে এবং এভারেজ একটা নাম্বার পায়। অল্প কিছু পরীক্ষার্থী খুব ভাল ভাইভা মার্কস পান। নিজেকে সাধারণ ভাবুন। ধরে নিন এভারেজ ভাইভা দিবেন, কিন্তু অসাধারন রিটেন দেওয়ার প্রস্তুতি নিন। ৫. কোন ধরনের তদবির থেকে দূরে থাকুন। বিসিএস ই একমাত্র চাকুরি যা তদবির ছাড়া পাওয়া যায়। ৬. রিটেন ও ভাইভার প্রাপ্ত নাম্বার যোগ করে কোটা এপ্লাই করে চূড়ান্ত ফলাফল দেওয়া হয়।
স্বাস্থ্য পরীক্ষাঃ চূড়ান্ত ফলাফলের কিছুদিন পর অনুষ্টিত হয়। বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ /ইন্সস্টিটিউট এ হয়। ওজন,উচ্চতা,প্রশ্রাব,চক্ষু ইত্যাদি পরীক্ষা করা হয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় সাধারণত কেউ বাদ পড়ে না।
ভেরিফিকেশনঃ ১. পুলিশ,এনএস আই,ইউ এন ও, স্পেশাল ব্রাঞ্চ ইত্যাদি সংস্থা ভেরিফিকেশন করে। এখানে দেখা হয় কোন মামলা আছে কিনা, রাজনৈতিক পরিচয় নিজের এবং আত্মীয়স্বজনের, স্থায়ী ঠিকানা ঠিক আছে কিনা, স্কুল কলেজ ও মেডিকেল কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় এ ও ভেরিফিকেশন করা হয়। ২. মামলা থাকলে ভেরিফিকশনে বাদ যাবে। ৩. বিরোধী রাজনৈতিক দলের কেউ হলে নিজে কিংবা ফ্যামিলি তাহলে বাদ যাওয়ার সম্ভাবনা। এগুলা আগে থেকেই যে কোন ভাবে ম্যানেজ করতে হবে। ৪. কোটাধারীদের কোটা সংক্রান্ত কাগজপত্র খুব ভালভাবে যাচাই,বাচাই করা হয়। ৫. অনেকে মনে করেন টেকনিকাল (স্বাস্থ্য,শিক্ষা,ইঞ্জিনিয়ারিং) ক্যাডারের জন্য ভেরিফিকেশন সহজ। আসলে তা নয়। একই ব্যক্তিই এক এলাকায় সব ক্যাডারের ভেরিফিকেশন করেন, তাই সব ক্যাডারে সমানভাবেই সব যাচাই বাচাই করা হয়।
গেজেটঃ সব রিপোর্ট ওকে থাকলে তারপর সরকারী গেজেটে নিজের নাম দেখা যাবে।
জয়েনিংঃ ১. গেজেট দেওয়ার ১৫-৩০ দিনের মধ্যে নিজ মন্ত্রণালয়ে জয়েন করা লাগে। ২. মন্ত্রণালয়ে জয়েনিং এর পর কর্মস্থলে জয়েনিং এর জন্য আলাদা গেজেট প্রকাশিত হয়। এটা মন্ত্রণালয়ে জয়েনিং এর ৭ দিনের মধ্যে হয় সাধারণত।
এতগুলা প্রসিডিউর সফলভাবে শেষ করতে পারলে তবেই আপনি বিসিএস ক্যাডার। গুরুত্বপূর্ণ হল রিটেন পরীক্ষা, রিটেনে ভাল নাম্বার পেলেন তো আপনি ক্যাডার হওয়ার পথে অনেকদূর এগিয়ে গেলেন। এরপর যেটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা হল ভেরিফিকেশন। মামলা যদি থেকে থাকে যে কোন ভাবে মামলা তুলে নেওয়ার/সমাধান করার চেষ্টা করুন। রাজনৈতিক বিরোধ মিটমাট করুন। ভেরিফিকেশন শুরু হওয়ার আগে প্রতিবেশী/এলাকাবাসীকে/চেয়ারম্যান/মেম্বার এদের হাতে রাখুন।
১- অনার্স পাশ করে কি বিসিএস এ আবেদন করা যায় ? নাকি মাস্টার্স লাগে ?
উঃ অনার্স ফাইনালের লিখিত পরীক্ষা হয়ে গেলে অনার্স ফাইনালে appeared দেখিয়েও বিসিএস পরীক্ষার জন্য আবেদন করা যায় ।
২- কত নাম্বারের পরীক্ষা ? কি কি বিষয় থাকে ?
উঃ প্রথমে ২০০ নাম্বারের প্রিলিমিনারি (MCQ) পরীক্ষা হয়, এর মধ্য থেকে কিছুসংখ্যক পরীক্ষার্থীদের লিখিত পরীক্ষার জন্য নির্বাচন করা হয় । ঠিক কতজন নির্বাচন করা হবে তার কোন নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই, তবে প্রিলিমিনারি পরীক্ষাতে মোটামুটি ৫৫-৬০% নাম্বার পেলে ধরে নেয়া যায় প্রিলিমিনারিতে সফল হবার চান্স বেশি। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার বিষয়গুলো বাংলা, ইংরেজি, গনিত, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, সাধারণ জ্ঞান, মানসিক দক্ষতা, ভূগোল ও পরিবেশ, নৈতিকতা ইত্যাদি। প্রশ্ন সাধারণত কেমন হয় এজন্য যারা নতুন পরীক্ষা দিচ্ছেন তারা বিগত বছরের প্রিলিমিনারির প্রশ্নগুলো দেখুন, কিছুটা ধারণা হবে।
এরপর , প্রিলিমিনারি পরীক্ষা থেকে বাছাইকৃত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৯০০ নাম্বারের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় –
বাংলা ২০০ নাম্বার,
ইংরেজি – ২০০ নাম্বার,
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী – ২০০ নাম্বার,
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী – ১০০ নাম্বার,
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি – ১০০ নাম্বার (বিজ্ঞান ৫০+ প্রযুক্তি ৫০),
গনিত ও মানসিক দক্ষতা ১০০ ( গনিত ৫০ + মানসিক দক্ষতার ৫০ টি MCQ )
লিখিত পরীক্ষায় পাশ নাম্বার ৯০০ এর মাঝে সম্মিলিতভাবে ৫০% অর্থাৎ ৪৫০, প্রতিটি বিষয়ে আলাদাভাবে পাশ করতে হয় এখানে বিষয়টি এমন নয়, তবে কোন বিষয়ে ৩০ এর কম নাম্বার পেলে সেটি আর মোট নাম্বারের সাথে যোগ হয়না । লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের থেকে ভাইভার জন্য নির্বাচন করা হয় । ভাইভা ২০০ নাম্বারের পরীক্ষা , পাশ মার্ক ৫০% । বিসিএস পরীক্ষার রেজাল্ট লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষার নাম্বার মিলিয়ে সম্মিলিতভাবে দেয়া হয়, লিখিত পরীক্ষায় নাম্বার ৯০০ আর ভাইভাতে নাম্বার ২০০ , তারমানে লিখিত পরীক্ষায় যে যত ভালো নাম্বার পাবে তার পরীক্ষায় সফল হবার সম্ভাবনাও ততো বেড়ে যাবে । বিসিএস পরীক্ষার মূল পরীক্ষাটাই হচ্ছে লিখিত পরীক্ষা ।
৩ – অনার্স পাশ করা যে কেউ কি যেকোনো জেনারেল ক্যাডারের জন্য আবেদন করতে পারবে ?
উঃ পারবে , ফরম পূরণ করার সময় আপনি চাইলে চয়েস সবগুলোই দিতে পারবেন । যার যে টাইপ জব ভালো লাগে বা যে ক্যাডার পছন্দ সেভাবে সিরিয়ালি দিতে পারেন, কোন বাধা নেই আপনি শুধু জেনারেল, শুধু টেকনিক্যাল অথবা both cadre চয়েস দিতে পারবেন যেটা আপনার ইচ্ছা । কয়টা চয়েস দেয়া যাবে এসব নিয়েও কোন ধরাবাঁধা নিয়ম নেই , আপনি চাইলে সবগুলো চয়েসই দিতে পারবেন ।
৪ – জেনারেল, টেকনিক্যাল নাকি both cadre কিভাবে ফরম পূরণ করলে সুবিধা ?
উঃ আপনি যেভাবেই ফরম পূরণ করুন না কেন শুধুমাত্র ভালো পরীক্ষা দিতে পারলেই আপনার সফল হবার সম্ভাবনা বাড়বে, ফরম পূরণ করা নিয়ে বিশেষ কোন সুবিধা আপনি পাবেন না , তবে এটা তো যেকেউ বুঝবে যে both cadre এ ফরম পূরণ করলে আপনার অপশন বেশি থাকছে তাইনা ? তবে both cadre এ ফরম পূরণ করলে এক নাম্বার চয়েস টেকনিক্যাল ক্যাডার না দিলেই ভালো । অন্তত ৫-৬ টি জেনারেল ক্যাডারের চয়েস দিয়ে পরে আপনি টেকনিক্যাল ক্যাডার চয়েস দিতে পারেন ।
৫ – জেনারেল ক্যাডার কোনগুলো এবং টেকনিক্যাল ক্যাডার কোনগুলো ?
উঃ আপনি যেকোনো বিসিএস এর সার্কুলার একটু মনোযোগ দিয়ে পুরোটা পড়লে আপনার অনেক প্রশ্নেরই উত্তর পাবেন । জেনারেল ক্যাডারের মাঝে রয়েছে বিসিএস প্রশাসন, পুলিশ, ফরেন এফেয়ারস, কাস্টমস, ট্যাক্স, অডিট, ইকনোমিক, ফুড, সমবায়, আনসার, ডাক, রেলওয়ে ইত্যাদি । আর টেকনিক্যাল ক্যাডারে পরীক্ষার মাধ্যমে আপনি আপনার graduation এর বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট জব পাবেন যেমন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সরকারী কলেজের বিভিন্ন বিষয়ের প্রভাষক, কৃষি অফিসার, মৎস্য অফিসার ইত্যাদি ।
৬ – বিসিএস এর সবচেয়ে ভালো ক্যাডার কোনটা ?
উঃ অনেকেই এই প্রশ্ন করেন , উত্তর হল একেক ক্যাডার একেক রকম । এক চাকুরী সবার ভালো লাগবেনা এটাই স্বাভাবিক , যার যেই ক্যাডার পছন্দ সেটাই তার জন্য বেস্ট । যেমন কারো পুলিশ পছন্দ বেশি , কারো প্রশাসন পছন্দ, কারো ফরেন, কারো কাস্টমস, কারো ট্যাক্স, কারো অডিট ইত্যাদি । যদি প্রশ্ন করা হয় ভার্সিটির এক নাম্বার সাবজেক্ট কোনটা উত্তর কি হবে ? ভার্সিটিতে কোন স্টুডেন্ট যে বিষয়ে স্টাডি করে খুব ভালো কিছু করতে পারবে সেটাই তার জন্য ১ নাম্বার সাবজেক্ট তাইনা ?
৭ – বিসিএস পরীক্ষার জন্য দৈনিক কয় ঘণ্টা করে স্টাডি করা উচিত ?
উঃ এসব silly প্রশ্ন করার কি কোন মানে হয় ? একেকজনের পড়ার স্টাইল একেকরকম । একেক বিষয়ে একেকজনের একেকরকম সময় লাগতেই পারে, এটাই স্বাভাবিক । পড়া হওয়া দিয়ে কথা তাইনা ? সেটা আপনি ৩ মাসে পড়লেন নাকি ৬ মাসে সেটা ফ্যাক্ট না । এটা ব্যক্তির ওপর নির্ভর করে । ঘণ্টা হিসেবে কি কখনো পড়া হিসেব করা হয় ????
৮ – প্রিলির জন্য কি কি বই পড়তে হয় ?
উঃ বই এর কোন শেষ নেই। প্রথমে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করে ধারণা নিন প্রশ্ন কেমন হয়, পরে প্রতিটি বিষয়ের যেকোনো একটি বই মোটামুটিভাবে পড়ে ফেলার চেষ্টা করুন। বাজারে যেসব গাইড আছে সেগুলোও ভালোই। আগে প্রতিটি বিষয়ের জন্য যেকোনো একটি করে বই পড়ে ফেলুন, পরে সময় পেলে নিজের জ্ঞানের পরিধি বাড়ানোর চেষ্টা করুন , ব্যস। যেই বই থেকেই পড়ুন ভালমতো পড়ুন, একটি বিষয়ের ৫-১০ টি বই আধো আধো না দেখে একটি বই ভালমতো দেখুন সেটা কাজে আসবে।
৯ – নন- ক্যাডার কি ?
উঃ যারা প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় পাশ করার পর লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ভাইভা পরীক্ষা দিয়ে ভাইভাতেও পাশ করে কিন্তু বিসিএস ক্যাডার হতে পারে না (আসন সংখ্যা সীমিত থাকার কারনে)। পরে নন- ক্যাডারদের মধ্যে যারা সিরিয়ালে সামনের দিকে থাকে তাদের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট এর চাকুরীর জন্য সুপারিশ করা হয় ।
১০ – both cadre এ পরীক্ষা দিলে কি বেশি পরীক্ষা দেয়া লাগে ?
উঃ হ্যাঁ, তখন মোট ১১০০ নাম্বারের পরীক্ষা দিতে হয়, অতিরিক্ত আপনার graduation এর সাবজেক্টের ১ম পত্র আর ২য় পত্র এই ২ টি ২০০ নাম্বারের পরীক্ষা আপনাকে অতিরিক্ত দিতে হবে , প্রতিটি বিষয়ের জন্য আলাদা সিলেবাস থাকে ।
১১ – both cadre এ কি সবাই পরীক্ষা দিতে পারবে ?
উঃ তার graduation এর বিষয়ের সাথে related টেকনিক্যাল ক্যাডার থাকলে সে পরীক্ষা দিতে পারবে । এই হিসেব অনুযায়ী সবাই পারেনা ।
১২ – লিখিত পরীক্ষায় আর ভাইভা পরীক্ষায় কত নাম্বার পেলে ক্যাডার হওয়া যায় ?
উঃ এটার কোন নির্দিষ্ট সীমা নেই, একেকবার একেক টাইপ হয়ে থাকে । তবে আমার যেটা মনে হয় লিখিত পরীক্ষায় ৫৫০ প্লাস নাম্বার একটি ভালো নাম্বার ।
১৩ – ডাক্তাররা নাকি জেনারেল বিসিএস দিতে পারেনা ? বা দিলেও নাকি ভাইভা তে সমস্যা হয় ?
উঃ ডাক্তাররা জেনারেল বিসিএস দিতে পারে, ভাইভাতে শুধু উত্তর দিতে হবে কেন একজন ডাক্তার জেনারেল ক্যাডারে যেতে চায় । ভাইভা তে খুব বেশি সমস্যা হয় বিষয়টা এমন নয় । এসব নিয়ে অনেকেই মিসগাইড করে । লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষা যার ভালো হবে তার সফল হবার সম্ভাবনা বেশি থাকবে ।
১৪ – জাতীয় ভার্সিটি থেকে কি বিসিএস দিতে পারে? সেখান থেকে কি ক্যাডার হয় ?
উঃ পারবে না কেন? অবশ্যই পারবে। ক্যাডার হবেনা কেন, পরীক্ষা যার ভালো হবে তারই সফল হবার সম্ভাবনা বেশি, কে কোথায় কোন বিষয়ে পড়েছে এটা ফ্যাক্ট না।
১৫ – প্রাইভেট ভার্সিটি থেকে কি ক্যাডার হয় ?
উঃ হবেনা কেন? একই উত্তর, কে কোথায় স্টাডি করেছে এটার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কে কেমন পরীক্ষা দিলো সেটা, পরীক্ষা ভালো দিলে তো অবশ্যই হবার সম্ভাবনা থাকবে।
১৬ – ভার্সিটি এর শুরু থেকেই কি চাকুরীর জন্য পড়বো বা কিভাবে শুরু করবো ?
উঃ ভার্সিটির শুরু থেকে আপনি আপনার graduation এর সাবজেক্টে ভালো রেজাল্টের জন্য চেষ্টা করা উচিত। বিসিএস ই একমাত্র পেশা নয়, আপনি ফাইনাল ইয়ারের দিকে এসে ধীরে ধীরে প্রস্তুতি নেয়া শুরু করুন , এতো আগে থেকে এসব বোরিং বিষয় নিয়ে প্রস্তুতি নিয়ে নিজের ক্যাম্পাস লাইফের আনন্দ মাটি করার দরকার নেই ।
awal liked this
    long long title how many chars? lets see 123 ok more? yes 60

    We have created lots of YouTube videos just so you can achieve [...]

    Another post test yes yes yes or no, maybe ni? :-/

    The best flat phpBB theme around. Period. Fine craftmanship and [...]

    Do you need a super MOD? Well here it is. chew on this

    All you need is right here. Content tag, SEO, listing, Pizza and spaghetti [...]

    Lasagna on me this time ok? I got plenty of cash

    this should be fantastic. but what about links,images, bbcodes etc etc? [...]