- Mon May 14, 2018 1:15 am#20
স্যাটেলাইট পরিচিতি :
নাম : বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। এটি একটি কৃত্রিম উপগ্রহ। জিও-স্টেশনারি স্যাটেলাইট বা ভ‚স্থির উপগ্রহ। ২০১৫ সালের ১১ নভেম্বর ফ্রান্সের থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেসের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ। তবে জেনে রাখা ভালো যে, বাংলাদেশে প্রথম স্যাটেলাইট নিয়ে কাজ শুরু হয় ২০০৭ সালে। আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর ২০০৯ সালে জাতীয় তথ্যপ্রযুক্তি নীতিমালায় রাষ্ট্রীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের বিষয়টি যুক্ত করা হয়।
বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট কোম্পানি :
মহাকাশে উৎক্ষেপণের পর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ পরিচালনার জন্য ‘বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি গঠন করা হয়।
নির্মাণ :
বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের মূল অবকাঠামো তৈরি করেছে ফ্রান্সের থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেস। এটির নির্মাণ শেষ হয় ২০১৮ সালের ৩০ মার্চ। নির্মাণ, পরীক্ষা, পর্যালোচনা ও হস্তান্তর শেষে বিশেষ কার্গো বিমানে করে সেটি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেইপ কেনাভেরালের লঞ্চ সাইটে পাঠায় থ্যালেস অ্যালেনিয়া। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর ওজন তিন হাজার কেজি।
অর্থায়ন :
শুরুতে বাজেট ধরা হয় ২৯৬৭.৯৫ কোটি টাকা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ২৭৬৫ কোটি টাকায় এ পুরো প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হয়। এর মধ্যে ১৩১৫ কোটি টাকা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। আর ১ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দিয়েছে হংক সাংহাই ব্যাংকিং কর্পোরেশন (এইচএসবিসি)ব্যাংক। এটি একটি বহুজাতিক ব্যাংক।
যা আছে :
এই স্যাটেলাইটে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার আছে। যার ২০টি বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হবে। আর বাকি ২০টি ভাড়া দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে।
কক্ষপথ কেনা :
স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ এবং তা কক্ষপথে রাখার জন্য রাশিয়ার ইন্টারস্পুটনিকের কাছ থেকে কক্ষপথ (অরবিটাল স্লট) কেনা হয়। মহাকাশে এই কক্ষপথের অবস্থান ১১৯ দশমিক ১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে সম্পাদিত চুক্তির ভিত্তিতে প্রায় ২১৯ কোটি টাকায় ১৫ বছরের জন্য এই কক্ষপথ কেনা হয়।
ফুটপ্রিন্ট :
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের ফুটপ্রিন্ট বা কভারেজ হবে ইন্দোনেশিয়া থেকে তাজিকিস্তান পর্যন্ত বিস্তৃত। শক্তিশালী কেইউ ও সি ব্যান্ডের মাধ্যমে এটি সবচেয়ে ভালো কাভার করবে পুরো বাংলাদেশ, সার্কভুক্ত দেশসমূহ, ফিলিপাইন এবং ইন্দোনেশিয়া।
গ্রাউন্ড স্টেশন :
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের গ্রাউন্ড স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর ও রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়ায়। এর মধ্যে গাজীপুরের তেলীপাড়ায় টেলিযোগাযোগ স্টাফ কলেজ সংলগ্ন এলাকায় স্থাপিত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রাইমারি গ্রাউন্ড স্টেশনটি সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। এটিই মূল নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র হবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের। আর রাঙ্গামাটির গ্রাউন্ড স্টেশনটি গাজীপুরে স্থাপন করা গ্রাউন্ড স্টেশনের বিকল্প।
উৎক্ষেপণকারী প্রতিষ্ঠান ও উৎক্ষেপণকারী রকেট :
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটটি মহাকাশে পাঠানোর কাজ করে মার্কিন রকেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স। বেসরকারি মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেসএক্স। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নিয়ে উড়াল দেয় ‘ফ্যালকন-৯’ রকেট।
সফল উৎক্ষেপণ : উৎক্ষেপণের তারিখ হচ্ছে-১২ মে ২০১৮। বাংলাদেশ সময় রাত ২টা ১৪ মিনিট।
উৎক্ষেপণ স্থান : যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়।
নাম : বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। এটি একটি কৃত্রিম উপগ্রহ। জিও-স্টেশনারি স্যাটেলাইট বা ভ‚স্থির উপগ্রহ। ২০১৫ সালের ১১ নভেম্বর ফ্রান্সের থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেসের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ। তবে জেনে রাখা ভালো যে, বাংলাদেশে প্রথম স্যাটেলাইট নিয়ে কাজ শুরু হয় ২০০৭ সালে। আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর ২০০৯ সালে জাতীয় তথ্যপ্রযুক্তি নীতিমালায় রাষ্ট্রীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের বিষয়টি যুক্ত করা হয়।
বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট কোম্পানি :
মহাকাশে উৎক্ষেপণের পর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ পরিচালনার জন্য ‘বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি গঠন করা হয়।
নির্মাণ :
বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের মূল অবকাঠামো তৈরি করেছে ফ্রান্সের থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেস। এটির নির্মাণ শেষ হয় ২০১৮ সালের ৩০ মার্চ। নির্মাণ, পরীক্ষা, পর্যালোচনা ও হস্তান্তর শেষে বিশেষ কার্গো বিমানে করে সেটি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেইপ কেনাভেরালের লঞ্চ সাইটে পাঠায় থ্যালেস অ্যালেনিয়া। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর ওজন তিন হাজার কেজি।
অর্থায়ন :
শুরুতে বাজেট ধরা হয় ২৯৬৭.৯৫ কোটি টাকা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ২৭৬৫ কোটি টাকায় এ পুরো প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হয়। এর মধ্যে ১৩১৫ কোটি টাকা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। আর ১ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দিয়েছে হংক সাংহাই ব্যাংকিং কর্পোরেশন (এইচএসবিসি)ব্যাংক। এটি একটি বহুজাতিক ব্যাংক।
যা আছে :
এই স্যাটেলাইটে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার আছে। যার ২০টি বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হবে। আর বাকি ২০টি ভাড়া দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে।
কক্ষপথ কেনা :
স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ এবং তা কক্ষপথে রাখার জন্য রাশিয়ার ইন্টারস্পুটনিকের কাছ থেকে কক্ষপথ (অরবিটাল স্লট) কেনা হয়। মহাকাশে এই কক্ষপথের অবস্থান ১১৯ দশমিক ১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে সম্পাদিত চুক্তির ভিত্তিতে প্রায় ২১৯ কোটি টাকায় ১৫ বছরের জন্য এই কক্ষপথ কেনা হয়।
ফুটপ্রিন্ট :
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের ফুটপ্রিন্ট বা কভারেজ হবে ইন্দোনেশিয়া থেকে তাজিকিস্তান পর্যন্ত বিস্তৃত। শক্তিশালী কেইউ ও সি ব্যান্ডের মাধ্যমে এটি সবচেয়ে ভালো কাভার করবে পুরো বাংলাদেশ, সার্কভুক্ত দেশসমূহ, ফিলিপাইন এবং ইন্দোনেশিয়া।
গ্রাউন্ড স্টেশন :
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের গ্রাউন্ড স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর ও রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়ায়। এর মধ্যে গাজীপুরের তেলীপাড়ায় টেলিযোগাযোগ স্টাফ কলেজ সংলগ্ন এলাকায় স্থাপিত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রাইমারি গ্রাউন্ড স্টেশনটি সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। এটিই মূল নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র হবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের। আর রাঙ্গামাটির গ্রাউন্ড স্টেশনটি গাজীপুরে স্থাপন করা গ্রাউন্ড স্টেশনের বিকল্প।
উৎক্ষেপণকারী প্রতিষ্ঠান ও উৎক্ষেপণকারী রকেট :
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটটি মহাকাশে পাঠানোর কাজ করে মার্কিন রকেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স। বেসরকারি মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেসএক্স। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নিয়ে উড়াল দেয় ‘ফ্যালকন-৯’ রকেট।
সফল উৎক্ষেপণ : উৎক্ষেপণের তারিখ হচ্ছে-১২ মে ২০১৮। বাংলাদেশ সময় রাত ২টা ১৪ মিনিট।
উৎক্ষেপণ স্থান : যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়।