- Sun Nov 15, 2020 10:34 am#4273
কক্ষের নতি এবং ঋতু পরিবর্তন
পৃথিবীর অক্ষীয় ঢালের পরিমাণ হল প্রায় ২৩.৪৩৯ ২৮১ ডিগ্রী, যার কক্ষতলের অক্ষটি সর্বাদা খ-মেরুর দিকে তাক হয়ে থাকে। পৃথিবীর অক্ষীয় ঢাল অক্ষ রেখাটি হেলানো থাকার কারণে, কোন একটি নির্দিষ্ট স্থানে যে পরিমাণ সূর্যের আলো আসে তা সারা বছর ধরে সমান থাকে না এর মান পরিবর্তন হয়। এর ফলশ্রুতিতে প্রকৃতি তথা জলবায়ুতে ঋতুর পরিবর্তন হয়, উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্মকালে সূচনা হয় যখন সূর্য সরাসরি কর্কটক্রান্তি রেখার দিকে তাক হয়ে থাকে এবং একই জায়গায় শীতকালে সূচনা ঘটে সূর্য যখন দক্ষিণ গোলার্ধে থাকা মকরক্রান্তি রেখার দিকে তাক হয়ে থাকে। গ্রীষ্মকালে দিনগুলো অনেক লম্বা হয় ও সূর্য আকাশের অনেক উপরের দিকে থাকে। অপরদিকে শীতকালে জলবায়ু ঠান্ডা হয়ে যায় ও এ সময় দিনগুলো হয় উত্তরের সঠিক পূর্বদিকে এবং অস্ত যায় পশ্চিম দিকে। যার বিপরীত ঘটনা ঘটে শীতকালে। গ্রীষ্মকালের অয়তান্ত বিন্দু অংশে সূর্য উদয় হয় দক্ষিণের সঠিক পূর্ব দিকে দক্ষিণের নাতিশীতোষ্ণ অক্ষাংশে এবং অস্ত যায় দক্ষিণের সঠিক পশ্চিম অংশে।
আর্কটিক সার্কেলের উপরে, একটি চরম অবস্থা দাড়ায় যেখানে বছরের কিছু সময় দিনের আলো পৌছায় না শুধুমাত্র উত্তর মেরুতেই প্রায় ৬ মাসের উপরে এই অবস্থা থাকে, এটি মেরু রাত্রি নামে পরিচিত। দক্ষিণ গোলার্ধে এই সময় এই ঘটনাটি সম্পূর্ন বিপরীত থাকে, দক্ষিণ মেরুর অবস্থান ও দিকও এসময় উত্তর মেরুর অবস্থানের সম্পূর্ন বিপরীত দিকে থাকে। ছয় মাস পরে, এই মেরুটি অনুভব করে মধ্যরাতের সূর্য যেখানে এক একটি দিন হয় ২৪ ঘন্টা লম্বা একই সময় বিপরীত ঘটনা ঘটে দক্ষিণ মেরুতে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানের রেওয়াজ থেকে অয়তান্ত বিন্দু অনুসারে চারটি ঋতুর হিসাব করা হয়-এটা হলো সেই বিন্দু যা থেকে পৃথিবীর অক্ষ রেখার অক্ষীয় ঢাল সূর্যের কত কাছে রয়েছে বা সূর্য থেকে কত দূর রয়েছে তার হিসাব পাওয়া যায়। এবং বিষুব অনুসারে, যখন অক্ষীয় ঢালের দিক ও সূর্যের দিক সমান্তরালে থাকে। উত্তর গোলার্ধে শীতকালীন অয়তান্ত-বিন্দু বর্তমানে বিষুব হয়ে থাকে ২০ মার্চের কাছাকাছি এবং হেমন্তকালীন বিষুব হ্যে থাকে ২২ বা ২৩ সেপ্টেম্বর। দক্ষিণ গোলার্ধে এর বিপরীত ঘটনা থাকে, যেখানে গ্রীষ্মকালীন ও শীতকালীন অয়তান্ত-বিন্দু গুলো নিজের মধ্যে পাল্টিয়ে যায় এবং বসন্ত বিষুব ও শারদীয় বিষুবের দিনও নিজেদের মধ্যে পাল্টিয়ে যায়।
পৃথিবীর অক্ষীয় ঢালের ,মান আপেক্ষিকভাবে অনেক লম্বা সময় ধরে অপরিবর্তনীয় রয়েছে। গড়ে ১৮.৬ বছরে পৃথিবীর অক্ষীয় ঢালের অক্ষবিচলন ঘটে, সাধারণত অতি সামান্য অনিয়মিত গতি পরিলক্ষিত হয়।এছাড়াও পৃথিবীর অক্ষের অভিমূখ সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়। এটির অয়নচলনের বৃত্তটি পরিপূর্নভাবে শেষ হয় প্রতি ২৫,৮০০ বছরে একবার; এই অয়নচলন গতিটি নাক্ষত্র বছর ধরে ট্রপিক্যাল হিসেবে কাজ করে। এই উভয় গতি সৃষ্টি হয় পৃথিবীর নিরক্ষখার স্ফীতি বরাবর সূর্য ও চন্দ্রের ভিন্ন ধর্মী আকর্ষনের কারণে।
বর্তমান সময়ে পৃথিবীর অনূসরবিন্দুতে অবস্থান করে ৩রা জানুয়ারির কাছাকাছি সময়ে এবং অপসূরবিন্দুতে ৪ঠা জুলাইয়ের কাছাকাছি সময়ে। অয়নচলনের কারণে ও অক্ষীয় বিভিন্ন ঘটনার কারণে সময়ের সাথে সাথে এই দিনগুলোর পরিবর্তিত হয়। এই ঘটনাটির তাৎপর্য পৃথিবীর অক্ষীয় ঢালের কারণে মোট শক্তিন পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার তুলনায় খুবই যৎসামান্য। এবং বেশিরভাগ অতিরিক্ত শক্তি গ্রহণ করে দক্ষিণ গোলার্ধে বেশি পরিমাণে থাকা সমুদ্রের পানি।
পৃথিবীর অক্ষীয় ঢালের পরিমাণ হল প্রায় ২৩.৪৩৯ ২৮১ ডিগ্রী, যার কক্ষতলের অক্ষটি সর্বাদা খ-মেরুর দিকে তাক হয়ে থাকে। পৃথিবীর অক্ষীয় ঢাল অক্ষ রেখাটি হেলানো থাকার কারণে, কোন একটি নির্দিষ্ট স্থানে যে পরিমাণ সূর্যের আলো আসে তা সারা বছর ধরে সমান থাকে না এর মান পরিবর্তন হয়। এর ফলশ্রুতিতে প্রকৃতি তথা জলবায়ুতে ঋতুর পরিবর্তন হয়, উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্মকালে সূচনা হয় যখন সূর্য সরাসরি কর্কটক্রান্তি রেখার দিকে তাক হয়ে থাকে এবং একই জায়গায় শীতকালে সূচনা ঘটে সূর্য যখন দক্ষিণ গোলার্ধে থাকা মকরক্রান্তি রেখার দিকে তাক হয়ে থাকে। গ্রীষ্মকালে দিনগুলো অনেক লম্বা হয় ও সূর্য আকাশের অনেক উপরের দিকে থাকে। অপরদিকে শীতকালে জলবায়ু ঠান্ডা হয়ে যায় ও এ সময় দিনগুলো হয় উত্তরের সঠিক পূর্বদিকে এবং অস্ত যায় পশ্চিম দিকে। যার বিপরীত ঘটনা ঘটে শীতকালে। গ্রীষ্মকালের অয়তান্ত বিন্দু অংশে সূর্য উদয় হয় দক্ষিণের সঠিক পূর্ব দিকে দক্ষিণের নাতিশীতোষ্ণ অক্ষাংশে এবং অস্ত যায় দক্ষিণের সঠিক পশ্চিম অংশে।
আর্কটিক সার্কেলের উপরে, একটি চরম অবস্থা দাড়ায় যেখানে বছরের কিছু সময় দিনের আলো পৌছায় না শুধুমাত্র উত্তর মেরুতেই প্রায় ৬ মাসের উপরে এই অবস্থা থাকে, এটি মেরু রাত্রি নামে পরিচিত। দক্ষিণ গোলার্ধে এই সময় এই ঘটনাটি সম্পূর্ন বিপরীত থাকে, দক্ষিণ মেরুর অবস্থান ও দিকও এসময় উত্তর মেরুর অবস্থানের সম্পূর্ন বিপরীত দিকে থাকে। ছয় মাস পরে, এই মেরুটি অনুভব করে মধ্যরাতের সূর্য যেখানে এক একটি দিন হয় ২৪ ঘন্টা লম্বা একই সময় বিপরীত ঘটনা ঘটে দক্ষিণ মেরুতে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানের রেওয়াজ থেকে অয়তান্ত বিন্দু অনুসারে চারটি ঋতুর হিসাব করা হয়-এটা হলো সেই বিন্দু যা থেকে পৃথিবীর অক্ষ রেখার অক্ষীয় ঢাল সূর্যের কত কাছে রয়েছে বা সূর্য থেকে কত দূর রয়েছে তার হিসাব পাওয়া যায়। এবং বিষুব অনুসারে, যখন অক্ষীয় ঢালের দিক ও সূর্যের দিক সমান্তরালে থাকে। উত্তর গোলার্ধে শীতকালীন অয়তান্ত-বিন্দু বর্তমানে বিষুব হয়ে থাকে ২০ মার্চের কাছাকাছি এবং হেমন্তকালীন বিষুব হ্যে থাকে ২২ বা ২৩ সেপ্টেম্বর। দক্ষিণ গোলার্ধে এর বিপরীত ঘটনা থাকে, যেখানে গ্রীষ্মকালীন ও শীতকালীন অয়তান্ত-বিন্দু গুলো নিজের মধ্যে পাল্টিয়ে যায় এবং বসন্ত বিষুব ও শারদীয় বিষুবের দিনও নিজেদের মধ্যে পাল্টিয়ে যায়।
পৃথিবীর অক্ষীয় ঢালের ,মান আপেক্ষিকভাবে অনেক লম্বা সময় ধরে অপরিবর্তনীয় রয়েছে। গড়ে ১৮.৬ বছরে পৃথিবীর অক্ষীয় ঢালের অক্ষবিচলন ঘটে, সাধারণত অতি সামান্য অনিয়মিত গতি পরিলক্ষিত হয়।এছাড়াও পৃথিবীর অক্ষের অভিমূখ সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়। এটির অয়নচলনের বৃত্তটি পরিপূর্নভাবে শেষ হয় প্রতি ২৫,৮০০ বছরে একবার; এই অয়নচলন গতিটি নাক্ষত্র বছর ধরে ট্রপিক্যাল হিসেবে কাজ করে। এই উভয় গতি সৃষ্টি হয় পৃথিবীর নিরক্ষখার স্ফীতি বরাবর সূর্য ও চন্দ্রের ভিন্ন ধর্মী আকর্ষনের কারণে।
বর্তমান সময়ে পৃথিবীর অনূসরবিন্দুতে অবস্থান করে ৩রা জানুয়ারির কাছাকাছি সময়ে এবং অপসূরবিন্দুতে ৪ঠা জুলাইয়ের কাছাকাছি সময়ে। অয়নচলনের কারণে ও অক্ষীয় বিভিন্ন ঘটনার কারণে সময়ের সাথে সাথে এই দিনগুলোর পরিবর্তিত হয়। এই ঘটনাটির তাৎপর্য পৃথিবীর অক্ষীয় ঢালের কারণে মোট শক্তিন পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার তুলনায় খুবই যৎসামান্য। এবং বেশিরভাগ অতিরিক্ত শক্তি গ্রহণ করে দক্ষিণ গোলার্ধে বেশি পরিমাণে থাকা সমুদ্রের পানি।