- Thu Nov 12, 2020 12:07 pm#4242
বার্ষিক ও আহ্নিক গতি
পৃথিবীর নিজ অক্ষের চারিদিকে ঘূর্ণনকে পৃথিবীর আহ্নিক গতি বলে। এই গতি পশ্চিম থেকে পূর্বের দিকে ঘড়ির কাঁটার বিপরীত অভিমূখে হয়ে থাকে। পৃথিবীর আহ্নিক গতির অক্ষ উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে ভূ-পৃষ্ঠকে ছেদ করে।
সূর্যের সাপেক্ষে পৃথিবীর ঘূর্ননের সময়কালকে-এটির গড় সৌর দিন বলা হয়-এটা হল ৮৬,৪০০ সেকেন্ড গড় সৌর সময় । এর কারণ হল পৃথিবীর সৌর সময় দিন আজ সামান্য বড় ১৯ শতকের তুলনায় যার কারণ হল টাইডাল মন্দন, প্রতিটি দিন পরিবর্তিত হয়ে বড় হয়ে থাকে ০ থেকে ২ এস আই মিলি সেকেন্ড পর্যন্ত। পৃথিবীর আহ্নিক গতির পর্যায়কাল হিসাব করা হয় স্থির নক্ষত্র সমূহের সাপেক্ষে যেটাকে ইন্টারন্যাশনাল আর্থ রোটেশন এন্ড রেফারেন্স সিস্টেম সার্ভিস কর্তৃক বলা হয় এটির নাক্ষত্রিক দিন, যা হল ৮৬,১৬৪.০৯৮৯ সেকেন্ড গড় সৌর দিন বা ২৩ ঘন্টা ৫৬ মিনিট ৪.০৯৮৯ সেকেন্ড। অয়নকাল বা ঘূর্ণনরত গড় মহাবিষুবকালের সাপেক্ষে পৃথিবীর ঘূর্নণের সময়কালকে পূর্বে ভুলনামে প্রচলিত ছিল নাক্ষত্র দিন হিসেবে, যার মান হল ৮৬,১৬৪,০৯০৫ সেকেন্ড গড় সৌর সময় ১৯৮২ অনুযায়ী হতে। ফলাফলস্বরূপ নাক্ষত্র দিন নাক্ষত্রিক দিনের তুলনায় ছোট প্রায় ৮.৪ মিলিসেকেন্ড। আই.ই.আর.এস কর্তৃক গড় সৌর দিনের দৈর্ঘ্যের মানের হিসাব এস.আই এককে পাওয়া যায় ১৬২৩ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত এবং ১৯৬২ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত।
পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের উল্কাপিন্ড ও নিম্ন কক্ষীয় স্যাটেলাইট ছাড়া জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক বস্তুর আপাত মূল গতি লক্ষ্য করা যায় পৃথিবীর আকাশের পশ্চিম দিকে যার গতির হার হল ১৫॰/ঘন্টা=১৫’ মিনিট। বস্তু যেগুলো খ-বিষুবের কাছাকাছি থাকে তা সূর্য বা চাঁদের আপাত পরিধির সমান হয়ে থাকে প্রতি দুই মিনিট অন্তর, পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে সূর্য ও চাঁদের আপাত প্রায় সমান হয়ে থাকে।
বার্ষিক গতি
যে গতির ফলে পৃথিবীতে দিনরাত ছোট বা বড় হয় এবং ঋতু পরিবর্তিত হয় তাকে পৃথিবীর বার্ষিক গতি বলে। পৃথিবী সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে প্রায় ১৫০ নিযুত কিলোমিটার গড় দূরত্বের প্রতি ৩৬৫.২৫৬৪ গড় সৌর দিন পরপর, বা এক সৌর বছরে। এর মাধ্যমে অন্যান্য তারার সাপেক্ষে পূর্বদিকে সূর্যের অগ্রসর হওয়ার একটি আপাত মান পাওয়া যায়। যার হার হল প্রায় ১॰/দিন, যা হল সূর্য বা চাঁদের আপাত পরিধি প্রতি ১২ ঘন্টায়। এই গতির কারণে গড়ে প্রায় ২৪ ঘন্টা লাগে – একটি সৌর দিনে – পৃথিবীকে তার অক্ষ বরাবর একটি পূর্ণ ঘূর্ণন সম্পন্ন করতে, যাতে করে সূর্য আবার মেরিডিয়ানে ফেরত যেতে পারে। পৃথিবীর গড় কক্ষীয় দ্রুতি হরো ২৯.৭৮ কিমি/ সেকেন্ড। যা যথেষ্ট দ্রুত এই গতিতে পৃথিবীর পরিধির সমান দূরত্ব প্রায় ১২,৭৪২ কিমি, মাত্র সাত মিনিটে অতিক্রম করা যাবে, এবং পৃথিবীর থেকে চাঁদের দূরত্ব প্রায় ১২,৭৪২ কিমি, মাত্র সাত মিনিটে অতিক্রম করা যাবে, এবং পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব ৩,৮৪,০০০ কিমি, অতিক্রম করা যাবে প্রায় ৩.৫ ঘন্টায়।
চাঁদ ও পৃথিবীর ঘূর্ণন করে একই বেরিকেন্দ্রকে অনুসরণ করে, প্রতি ২৭.৩২ দিনে এটির আশেপাশের তারাগুলোর সাপেক্ষে একবার চাঁদের প্রদক্ষিণ সম্পন্ন হয়। যখন সূর্যর চারিদিকে পৃথিবী ও চাঁদের যৌথ সাধারণ কক্ষপথ হিসাব করা হয়, এই সময়কালকে বলা হয় চন্দ্র মাস, একটি পূর্নিমা হতে অপর পূর্ণিমা পর্যন্ত যা হল ২৯.৫৩ দিন। যদি খ-উত্তর মেরুর সাপেক্ষে হিসাব করা হয়, তাহলে পৃথিবীর গতি, চাঁদের গতি, এবং এদের কক্ষীয় নতি হবে ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে। যদি সূর্য বা পৃথিবীর উপরের কোনো সুবিধাজনক অবস্থান থেকে দেখা হয়, তাহলে মনে হবে, পৃথিবীর কাঁটার বিপরীত দিক দিয়ে প্রদক্ষিণ করছে।
ঘূর্ণন তল এবং অক্ষীয় তল পরিপূর্ণ ভাবে সরল রৈখিক ভাবে সারিবদ্ধ নয়: পৃথিবীর অক্ষ বাঁকা রয়েছে প্রায় ২৩.৪৪ ডিগ্রী পৃথিবীর -সূর্যের পরিক্রম থেকে উলম্ব বরাবর, এবং পৃথিবী-চাঁদের তল বাঁকা রয়েছে প্রায় ৫±ডিগ্রী পর্যন্ত পৃথিবী-সূর্যের তলের তুলনায়। যদি এই বাঁকা ভাব না থাকত তাহলে প্রতি দুই সপ্তাহে একটি করে গ্রহণ ঘটত, হয় চন্দ্রগ্রহণ হয়, নয়তবা সূর্যগ্রহণ হত।
পৃথিবীর নিজ অক্ষের চারিদিকে ঘূর্ণনকে পৃথিবীর আহ্নিক গতি বলে। এই গতি পশ্চিম থেকে পূর্বের দিকে ঘড়ির কাঁটার বিপরীত অভিমূখে হয়ে থাকে। পৃথিবীর আহ্নিক গতির অক্ষ উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে ভূ-পৃষ্ঠকে ছেদ করে।
সূর্যের সাপেক্ষে পৃথিবীর ঘূর্ননের সময়কালকে-এটির গড় সৌর দিন বলা হয়-এটা হল ৮৬,৪০০ সেকেন্ড গড় সৌর সময় । এর কারণ হল পৃথিবীর সৌর সময় দিন আজ সামান্য বড় ১৯ শতকের তুলনায় যার কারণ হল টাইডাল মন্দন, প্রতিটি দিন পরিবর্তিত হয়ে বড় হয়ে থাকে ০ থেকে ২ এস আই মিলি সেকেন্ড পর্যন্ত। পৃথিবীর আহ্নিক গতির পর্যায়কাল হিসাব করা হয় স্থির নক্ষত্র সমূহের সাপেক্ষে যেটাকে ইন্টারন্যাশনাল আর্থ রোটেশন এন্ড রেফারেন্স সিস্টেম সার্ভিস কর্তৃক বলা হয় এটির নাক্ষত্রিক দিন, যা হল ৮৬,১৬৪.০৯৮৯ সেকেন্ড গড় সৌর দিন বা ২৩ ঘন্টা ৫৬ মিনিট ৪.০৯৮৯ সেকেন্ড। অয়নকাল বা ঘূর্ণনরত গড় মহাবিষুবকালের সাপেক্ষে পৃথিবীর ঘূর্নণের সময়কালকে পূর্বে ভুলনামে প্রচলিত ছিল নাক্ষত্র দিন হিসেবে, যার মান হল ৮৬,১৬৪,০৯০৫ সেকেন্ড গড় সৌর সময় ১৯৮২ অনুযায়ী হতে। ফলাফলস্বরূপ নাক্ষত্র দিন নাক্ষত্রিক দিনের তুলনায় ছোট প্রায় ৮.৪ মিলিসেকেন্ড। আই.ই.আর.এস কর্তৃক গড় সৌর দিনের দৈর্ঘ্যের মানের হিসাব এস.আই এককে পাওয়া যায় ১৬২৩ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত এবং ১৯৬২ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত।
পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের উল্কাপিন্ড ও নিম্ন কক্ষীয় স্যাটেলাইট ছাড়া জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক বস্তুর আপাত মূল গতি লক্ষ্য করা যায় পৃথিবীর আকাশের পশ্চিম দিকে যার গতির হার হল ১৫॰/ঘন্টা=১৫’ মিনিট। বস্তু যেগুলো খ-বিষুবের কাছাকাছি থাকে তা সূর্য বা চাঁদের আপাত পরিধির সমান হয়ে থাকে প্রতি দুই মিনিট অন্তর, পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে সূর্য ও চাঁদের আপাত প্রায় সমান হয়ে থাকে।
বার্ষিক গতি
যে গতির ফলে পৃথিবীতে দিনরাত ছোট বা বড় হয় এবং ঋতু পরিবর্তিত হয় তাকে পৃথিবীর বার্ষিক গতি বলে। পৃথিবী সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে প্রায় ১৫০ নিযুত কিলোমিটার গড় দূরত্বের প্রতি ৩৬৫.২৫৬৪ গড় সৌর দিন পরপর, বা এক সৌর বছরে। এর মাধ্যমে অন্যান্য তারার সাপেক্ষে পূর্বদিকে সূর্যের অগ্রসর হওয়ার একটি আপাত মান পাওয়া যায়। যার হার হল প্রায় ১॰/দিন, যা হল সূর্য বা চাঁদের আপাত পরিধি প্রতি ১২ ঘন্টায়। এই গতির কারণে গড়ে প্রায় ২৪ ঘন্টা লাগে – একটি সৌর দিনে – পৃথিবীকে তার অক্ষ বরাবর একটি পূর্ণ ঘূর্ণন সম্পন্ন করতে, যাতে করে সূর্য আবার মেরিডিয়ানে ফেরত যেতে পারে। পৃথিবীর গড় কক্ষীয় দ্রুতি হরো ২৯.৭৮ কিমি/ সেকেন্ড। যা যথেষ্ট দ্রুত এই গতিতে পৃথিবীর পরিধির সমান দূরত্ব প্রায় ১২,৭৪২ কিমি, মাত্র সাত মিনিটে অতিক্রম করা যাবে, এবং পৃথিবীর থেকে চাঁদের দূরত্ব প্রায় ১২,৭৪২ কিমি, মাত্র সাত মিনিটে অতিক্রম করা যাবে, এবং পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব ৩,৮৪,০০০ কিমি, অতিক্রম করা যাবে প্রায় ৩.৫ ঘন্টায়।
চাঁদ ও পৃথিবীর ঘূর্ণন করে একই বেরিকেন্দ্রকে অনুসরণ করে, প্রতি ২৭.৩২ দিনে এটির আশেপাশের তারাগুলোর সাপেক্ষে একবার চাঁদের প্রদক্ষিণ সম্পন্ন হয়। যখন সূর্যর চারিদিকে পৃথিবী ও চাঁদের যৌথ সাধারণ কক্ষপথ হিসাব করা হয়, এই সময়কালকে বলা হয় চন্দ্র মাস, একটি পূর্নিমা হতে অপর পূর্ণিমা পর্যন্ত যা হল ২৯.৫৩ দিন। যদি খ-উত্তর মেরুর সাপেক্ষে হিসাব করা হয়, তাহলে পৃথিবীর গতি, চাঁদের গতি, এবং এদের কক্ষীয় নতি হবে ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে। যদি সূর্য বা পৃথিবীর উপরের কোনো সুবিধাজনক অবস্থান থেকে দেখা হয়, তাহলে মনে হবে, পৃথিবীর কাঁটার বিপরীত দিক দিয়ে প্রদক্ষিণ করছে।
ঘূর্ণন তল এবং অক্ষীয় তল পরিপূর্ণ ভাবে সরল রৈখিক ভাবে সারিবদ্ধ নয়: পৃথিবীর অক্ষ বাঁকা রয়েছে প্রায় ২৩.৪৪ ডিগ্রী পৃথিবীর -সূর্যের পরিক্রম থেকে উলম্ব বরাবর, এবং পৃথিবী-চাঁদের তল বাঁকা রয়েছে প্রায় ৫±ডিগ্রী পর্যন্ত পৃথিবী-সূর্যের তলের তুলনায়। যদি এই বাঁকা ভাব না থাকত তাহলে প্রতি দুই সপ্তাহে একটি করে গ্রহণ ঘটত, হয় চন্দ্রগ্রহণ হয়, নয়তবা সূর্যগ্রহণ হত।